
দেয়াল ঘেঁষে অনর্থক গজানো শ্যাওলাগুলোর একটি চিঠি পড়বে?
হ্যাঁ চিঠি! সেকেলে কিন্তু খাঁ খাঁ বুকটা সবটুকু সেখানেই মেলে ধরে!
পেরেক আঁটা দেয়ালিকায় বন্ধনী চিহ্ন আঁকা; এটা সত্যি,
ওপারে নন্দনকানন সাজানো পরিপাটি তা-ও সত্যি!
আকাশ ছাওয়া নির্বাণ ও সত্যি,
ক্ষুদ্র এই মানবীর পায়ের তলার মাটি আর শুকতারার মাঝে মহাশূন্য বিদ্যমান,
বলো এ-ও তো সত্যি, এরপর ও বলবে দিচ্ছি ফাঁকি?
কবি!
মনের তল খুঁজে পায়নি তো মনি ঋষি ও।
প্রণোদনা প্যাকেজ নির্মাতাদের উদ্যোগে হারিয়ে যায় কলমিলতা, গুল্মলতা যত,
বুকের চাতালে ফোটা ফুল মৃত ঝিলের জলে ছলকে উঠে হয় বিরহিত!
আরও একটি ছোট্ট ভুল হয়েছে কবি,
দেয়ালটি কংক্রিটের নয়, ভঙ্গুর কাচের ; যাতে আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষতা আছে।
কিন্তু ভেদ করে আলিঙ্গনাবদ্ধ হওয়ার আগেই ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়বে মাথার উপর।
সে খেয়াল আছে?
বেখেয়ালি কবি!
চলো চোখে চোখ রাখি, হাতে হাত, আঙ্গুলে আঙুল, শুধু অস্পৃশ্যতার শর্তে!
দেবতারা খুশি থাকবে স্বর্গ- মর্ত্যে!
১৫টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আবারও পড়তে হবে।
এমন কবিতা বুঝতে হলে কবি হওয়া আবশ্যক!
খাদিজাতুল কুবরা
তাই বুঝি।
আপনার অকবিতা মিস করছি।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য
সাবিনা ইয়াসমিন
অ-কবিতা! আমিও মিস করি, জানি না কবে আবার ধরা দিবে 🙁
বন্যা লিপি
আনমনে গেয়ে যায় পাখি!
নিজের সুর তুলে রেখে যায় তার রেশ।
তারপর?
তারপর থাকে অলক্ষ্যে -অগোচরে ঝরে পরা কিছু পালক। পালকের গায়ে লেগে থাকা প্রতি ইঞ্চিতে গেঁথে থাকে ভুলে ফেলে যাওয়া সুরের সরগম।
কাঁচ ভাঙা টুকড়োয় ছায়ায়াটুকু আর সরেনা আমৃত্যু……
খাদিজাতুল কুবরা
কি অসাধারণ হয়েছে লেখাটা আপু।
অনেক ধন্যবাদ।
ভালোবাসা অশেষ
হালিমা আক্তার
পায়ের তলার মাটি আর শুকতারার মাঝখানে থাকা সেই মহাশূন্যে ভেসে ভেসে আকাশ ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আমি মানবী পাখির মতো উড়ে আকাশ পারিনা ছুঁয়ে দেখতে। ধুলোয় বোনা মাটিতে বিছিয়ে দেই পা। তবুও আকাশে মন থাকে কেন পরে। খুব সুন্দর লিখেছো। মন্তব্য করতে আবার পড়তে হবে। মনে যা আসে তাই রেখে গেলাম।
খাদিজাতুল কুবরা
আপনি একদম ঠিকঠাক ধরেছেন। মূল কথা এটুকুই।
ভালোবাসা জানবেন আপু।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির ছোঁয়া কবি আপু ভাল থাকবেন
মোঃ মজিবর রহমান
ইচ্ছে তো অনেক হই স্বাধ জাগে পারিনা ছুয়ে দেখতে ে বড়ই প্লীহা দায়ক। ভালো লাগা রইল আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া পড়ে মন্তব্য করার জন্য
মোঃ মজিবর রহমান
অশেষ ধন্যবাদ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
ইদানীং কেন জানি কবিতা গুলো শুধু পড়ি, কিন্তু পড়ে কিছুই বুঝতে পারি না। কাব্য/কবিতাকে জটিল মনে হয়।
খাদিজাতুল কুবরা
না ছুঁয়ে ও ভীষন ভাবে ছুঁয়ে থাকা যায় অনায়াসে কাচের দেয়ালের দুপাশ ঘেঁষে,
বাকীটা ইতিহাস
চাইলেই সব দেয়াল অতিক্রম করা যায় না। তাই বলে চাওয়াটা তো মিথ্যে নয়।
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
এহ্ হে এতো কঠিন। আর কবার পড়বো, একটু সহজ করুন কবি।।
কাচের অপর পাশ থেকে হাতে হাত, ছোঁয়াছুয়ি এ আবার কেমন!!
চালু থাকুক।।