
অন্তরীক্ষ প্রদক্ষিণ করে করে থুবড়ে থাকে নিগুঢ় বোবা কান্না। অন্তস্থ বলয় ধরে যখনই প্রশ্নবাণ এসে করে আহত! চতুষ্কোণে আড়াল পড়ে মূঢ় বোধের জল্প। নিখাঁদ ভালবাসা আহুতি হয়ে জ্বলে জলাঞ্জলির যজ্ঞে-
ঠোঁটে কুলুপ আর পিঠে বাঁধা কুলো নিয়ে নিশ্বাসের কাউন্টডাউন ধুকছে বর্তমানের সিড়িতে।
বিদ্যেবোঝাই পিপড়ার অহং চলে স্রোতের বুকে ভাসমান পাতার ওপর।
সাঁতরে তীর ছুঁতে চাওয়া সরিসৃপ অপেক্ষায় আছে, একটা ঢেউ এসে নিয়ে যাবে ঠেলে কুলে, বিষদাঁত সব লুকানো আস্তিনে…..
মোহগুলো তরতাজা দীর্ঘায়ু পেতেই থাকে নিরন্তর; যেন খর্ব হয়না কিছুতেই: যার মূল্যায়ন বড় সেকেলের তকমায় আদি ইতিহাস ঘাটে।
যত সব ছড়ানো চাটাই পাতা অভিন্ন ভোগের নৈবদ্যের হাতছানি!
ততই সুদের হার চড়া: বুক পিঞ্জরের খবরাখবর ব্রেকিং নিউজে আসে না……
১৯টি মন্তব্য
তির্থক আহসান রুবেল
অনেকগুলো শব্দ পেলাম লেখায়। যা অনেক বছর পর চোখে পড়লো
বন্যা লিপি
ওহ্…রিয়্যালি!!! আপনাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সাঁতরে তীর ছুঁতে চাওয়া সরিসৃপ অপেক্ষায় আছে, একটা ঢেউ এসে নিয়ে যাবে ঠেলে কুলে, বিষদাঁত সব লুকানো আস্তিনে…..আপু ক্যামনে লিখেন। এবার ঢাকা এলে আপনার আশির্বাদ নিয়ে আসবো।
কলম চলুক,,,❤️❤️
বন্যা লিপি
ঢাকা এলে অবশ্যই আমরা একসাথে চা খাব…. আর- আচমকা বৃষ্টি নেমে এলে আশির্বাদ ঠিকঠাক পেয়ে যাব ইনশাল্লাহ্ আপনি – আমি দুজনেই।
মনে থাকে যেন…..রুকাপু😊
হালিমা আক্তার
একা খেলে হবে না। আমিও কিছু টা আশির্বাদ চাই।
বন্যা লিপি
@হালিমা আফা- ওয়াও দারুন হবে কিন্তু আফা… তিনমুর্তি বৃষ্টিতলে আশির্বাদের যাচনায় চায়ের কাপে ঠোঁট ডোবাবো, মোদের রোখে সাধ্য কার!!!
রোকসানা খন্দকার রুকু
কতা সত্যই!!! আর কাউকে নেয়া যাইতো না।
বন্যা লিপি
রুকাপু@ ওয়া কি কইলেন? আর কাউরে নেয়ন যাইত ক্যা? দলে ওজন হইলে জমবে চায়ের আড্ডা দারুন।
হালিমা আক্তার
আস্তিনে লুকানো বিষের খবর ব্রেকিং নিউজ হলে। পৃথিবী পরিশুদ্ধ হয়ে যেত। চারদিকে বিষ বাষ্প ছড়ানো বলেই মোহ গুলো বড় হয়ে উঠে। জানিনা কি মন্তব্য করলাম। শুভ রাত্রি।
বন্যা লিপি
মন্তব্য ছাড়ুন…. চলেন চা ট্রিটের পরিকল্পনায় মেতে উঠি…..
রোকসানা খন্দকার রুকু
গরম আমার ভীষণ অসহ্য! ঢাকা শহরের ভ্যাপসা গরম তো আরও।
এসি থেকে বের হলে মনে হয়- আগুন ধরাইস না আমার গায়🤭🤭
তাই অবশ্যই প্রচন্ড শীতে, মনে থাকে যেন!!!
বন্যা লিপি
রুকু@ আসলেই… ঢাকা শহরে আষাঢ়-শ্রাবণেরও সিডিউল খালি নাই গরমের ঠ্যালায়। ওই কথাই রইলো, যদি আল্লাহ্ হায়াত নসীব করেন তো শীতের অপেক্ষা থাকল।
মনির হোসেন মমি
মন্তব্য করবো নাকি নিমন্ত্রণ নিবো বুঝতে পারছি না ।যাই হোক
অন্তরীক্ষ প্রদক্ষিণ করে করে থুবড়ে থাকে নিগুঢ় বোবা কান্না
-এই একটি লাইন হাজার বছরেও লিখতে পারুম কিনা সন্দেহ আছে।
বন্যা লিপি
আমি তো কাউরে নিমন্ত্রণ দেইনাই ভাই,,,,রুকাপু, আশির্বাদের জন্য ঢাকা আসার কথা কইলো বইলা কইলাম, চা খাইতে খাইতে যদি বৃষ্টি নামে মাথার ওপর! তাইলে আশির্বাদ আমিও পাইমু আরকি!
অন্তরীক্ষ এর মানে ব্যাপকার্থে ব্যাবহার করেছি এখানে ভাই। এক -অন্তরীক্ষ বোঝাতে… সিমাহীন নক্ষত্র মন্ডলি বোঝানো হয়। এখানে আমি বুঝিয়েছি ভিন্ন অর্থ। অন্তঃস্থ – আছে যেখানে, সেখানে আপনাকে বুঝতে অন্তরীণ অন্তঃস্থ বিষয়ে। এখন জানতে চাইতে পারেন, অন্তরীণ অন্তঃস্থ বিষয়টা কি? আমার লেখার উপমায় এই অন্তরীণ অন্তঃস্থ হচ্ছে মনের গহীণ থেকে গহীণের কথোপকথন।
আশা করি একটু হলেও কিছু বিষয় বুঝেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ পড়েছেন।
রিতু জাহান
যজ্ঞের আগুনে পুড়ে যায় যে নিঁখাদ প্রেম তার কি বেঁচে থাকার কথা ছিলো!
আসলেই নিঁখাদ যা কিছু তা হয়তো নিজস্ব অনুভূতি,,
আমি বলছি আমার প্রেম নিঁখাদ, ওপ্রান্তে সে বলছে, সে-ই বরং নিঁখাদ ছিলো,, শুধু ভুল বুঝে যজ্ঞের আগুনে ভষ্ম হলো প্রেম আমার।
আপনি খুব সুন্দর লেখেন।
বন্যা লিপি
এখানে যজ্ঞ বলতে বোঝানো হয়েছে তাবৎ বিকলাঙ্গ মস্তিষ্কের অনাচার। মস্তিষ্ক ই যদি পঙ্গু হয়, তাহলে যাবতীয় নিঁখাদ/ নিপূণতার দায় বহন করে শুধু একপক্ষ।
এ প্রান্তে যখন আমি!
তখন উগড়ে তো দিচ্ছি বাহারি শব্দের উপমা ধরে!
আর এই আমি* বলতে শুধুই কি আমি?
আমার মত আপনি/ সে/ এবং আরো আরো যারা কলম সৈনিক।
আপনার শেষ লাইনটা — আমাকে লোভী করার জন্য যথেষ্ঠ লোভনীয়। কিন্তু…. অনেককাল ধরে ভীষণ ক্লান্ত। লিখতে এখন শব্দের অভাব বিরাজ করছে।
রিতু জাহান
কবিতার শব্দকে কখনো আমি তারই নিজস্ব একার কথা ভেবে ভুল করি না,
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বার্থোন্মত্ত সরিসৃপ স্বার্থোদ্বার হওয়া পর্যন্ত আস্তিনেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে থাকে, বিষদাঁত যতোই লুকিয়ে রাখুক নিঃশ্বাসটা ছাড়ে ঠিকঠাক মতোন।
নিঁখাদ ভালোবাসার সর্বশেষ গন্তব্য একটাই…আত্মহুতি। কেউ মানে, কেউ স্বীকার করে না।
বিদ্যাবানদের কিছু বিদ্যা পিঠেও রাখা থাকে বোঝা বাড়ানোর জন্য, হয়তো দেখাতেও সুবিধা হয়।
আর ভালো লাগে না। আত্মহুতির কত দেরী বলতো?
বন্যা লিপি
“বিদ্যাবানদের কিছু বিদ্যা পিঠেও রাখা থাকে বোঝা বাড়ানোর জন্য, হয়তো দেখাতেও সুবিধা হয়।”
সেরা উক্তি তোমার…. তোমারে এত পোষ্ট মর্টেম করতে কয় কেডা?
পাঞ্জেরী, রাত্রি পোহাতে আর কত দেরী?
আমি তো জেগেই কাটাই দিতে সমস্ত দিনের জলাঞ্জলি!!!!