আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে, শুধু তোমায় ভালোবেসে-
কী অদ্ভূত!!কাউকে ভালোবাসলে জীবনের কতো স্বাদ আহ্লাদ ফুরিয়ে যায় সময়ের আগেই—একটা নির্দিষ্ট মানুষকে ঘিরেই সব চাওয়া,পাওয়া,স্বপ্ন,ইচ্ছে,ভালো থাকা আবর্তিত হয়, বাকী সবকিছুই হয়ে যায় ফানসে—সেই নির্দিষ্ট মানুষটার একটু অবহেলাতেই থমকে যায় জীবন- স্বপ্ন,ইচ্ছে,চাওয়া,পাওয়াগুলো সব চাপা পড়ে যায়-তারপর শুরু হয় মিথ্যার অভিনয়—অদ্ভুত ভাবে কেটে যায় জীবন………..
**জয়শ্রী আমার প্রাণের সখি—দুজন আমরা দুই ধর্মের—কিন্তু আমাদেরকে দেখে কেউ কখনো বুঝতে পারতো না যে কে হিন্দু আর কে মুসলমান—এক প্লেটে করে ভাত আমরা কতোবার খেয়েছি তার কোন হিসেব নেই—কতো যে ছেলেমানুষী আর পাগলামীর সাক্ষী দুজন দুজনার–আয়না ছিলাম দুজন দুজনার —সুনীলের সাথে মিষ্টি একটা প্রেম ছিলো জয়শ্রীর, সে দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় তাদের দুজনের প্রেম শুরু—দুজন একই ধর্মের হলেও দুজনের বংশ/জাত আলাদা—দুজনই হোমনার বাসিন্দা—অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন, একদিন রাতে ঘুম আসছিলো না, এপাশ ওপাশ করছি—হোস্টেলে আমাদের বেডগুলো এক বেডের সাথে অন্য বেডের মাথা লাগানো ছিলো, আর পায়ের দিকে ছিলো পড়ার টেবিল—হঠাৎ জয়শ্রীর গলা শুনলাম—উল্টো দিকে ফিরে তাকাতেই দেখি জয়শ্রী তাকিয়ে আছে আমার দিকে—জানতে চাইলাম কি হয়েছে?—ফিসফিস করে বললো তোকে না একটা কথা বলার ছিলো—কি? বল—সুনীলদের ফ্যামিলিতে না পিরিয়ড চলাকালীন সময় বউদেরকে নীচে থাকতে হয়—অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করলাম, কেনো?—এ সময় নাকি মেয়েরা অপবিত্র থাকে, মেয়েদের কাছ থেকে পাপ ছড়ায়, কাঁদো কাঁদো গলায় বলল জয়শ্রী—তোদের ফ্যামিলিতে কি এমনটা হয় নাকি, জানতে চাইলাম—না, আমাদের ফ্যামিলিতে এমন কুসংস্কার মানে না—সুনীল তোকে ভালোবাসে, তোর সাথে সে এমনটা করবে না, আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে তুই সুনীলকে নিচে থাকতে বলিছ, এভাবে বলে বন্ধুকে চিন্তা করতে নিষেধ করলাম—কিন্তু না, বিষয়টা আমি যতোটা হালকাভাবে নিয়েছিলাম তার চেয়েও অধিক সিরিয়াস ভাবে দেখছে জয়শ্রী—তার পেছনেও যথেষ্ঠ কারণ আছে—আর সেই কারণটা হচ্ছে সুনীল—সুনীল বলেছে, ওদের ফ্যামিলির এমন সব নিয়ম কানুন তাকে মেনে চলতে হবে—আর সুনীলের পরিবারের এমন অনেক নিয়মকানুন আছে যা জয়শ্রীদের কাছে শুধুই কুসংস্কার—আর সুনীল এখন প্রায় বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতিগুলোকে নিয়ে জয়শ্রীর সাথে তর্কে জড়ায়—উচ্ছ্বল জয়শ্রী সারাক্ষণ মানসিক এক যন্ত্রনা নিয়ে নিজের সাথে ভালো থাকার অভিনয়ে ব্যস্ত—কিন্তু অভিনয় আর কতোদিন, অভিনয় করতে করতে জয়শ্রী বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো—সুনীলের সাথে তার মিষ্টি প্রেমটা যে ধীরে ধীরে তিতো হচ্ছে তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল—সুনীলকে নিয়ে এখন আর সে আগের মতো স্বপ্নময় কোন গল্প করে না, বরং সুনীলের কথা জানতে চাইলে সে এড়িয়ে যেতো—কয়েকবার খুব বেশি বিষন্ন হয়ে চিৎকার করে বলেছিলো, এই সমস্ত ছেলেগুলো কেনো নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবী করে,যারা মিথ্যা আর গোঁড়ামিকে নিজের মাঝে ধারণ করে তারা শিক্ষিত হতে পারে না—দেখেছি আমি জয়শ্রীকে চিৎকার করে কাঁদতে-রুমের বাইরে থাকা ময়লার ঝুড়িতে সুনীলের দেওয়া উপহার সামগ্রী ছুঁড়ে ফেলতে—কেনো এমন ধর্মীয় ভন্ডকে সে এভাবে ভালোবাসতে গেলো?কতো যে হায় হুতাশ করতে দেখেছি মেয়েটাকে, কিন্তু কখনো সান্ত্বনা দিতে পারিনি-এই কাজটা যে আমি পারি না—খুব কাছ থেকে দেখেছি কিছু গোঁড়ামিপূর্ণ নিয়মকানুন কিভাবে ওদের দুজনের মাঝে ধীরে ধীরে একটা মজবুত দেয়াল তুলে দিয়েছিলো—কিভাবে একটা প্রাণচঞ্চল মেয়েকে পাথর বানিয়ে দিয়েছিলো—মাষ্টার্স পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জানতে পারি যে, সুনীল তার মায়ের পছন্দ করা তাদের একই জাতের একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে—না, এমন নিউজে একটুও অবাক হয়নি—এমনটাই তো হওয়ার কথা—তবে খুব বেশি অবাক হয়েছি যখন দেখেছি এমন নিষ্ঠুর খবরে জয়শ্রীর কোন প্রতিক্রিয়া নেই, না এরপর জয়শ্রীকে আমি একটুও কাঁদতে দেখিনি, কখনোই দেখিনি—বর্তমানে জয়শ্রী একটা ব্যাংকে কর্মরত আছে—সময়ের ব্যবধানে হয়তো কখনো অন্য কাউকে সেও বিয়ে করে নিবে—কিন্তু ভুল মানুষকে ভালোবেসে মিথ্যে প্রেমের জন্য তার হৃদয়ে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা কি কখনো মুছবে?…………….
**আমি পরী—না, আমার এমন কোন অদ্ভূত প্রেমের গল্প নেই—আমার আজো কাউকে বলা হয়নি “ভালোবাসি” কথাটি—কেউ আমাকে ভালোবেসে কখনো বলেওনি “ভালোবাসি”—আমি জানি না এই প্রেম জিনিসটা কি?—কোথায় থেকে এই প্রেমের জন্ম হয়?—কেনোই বা এই প্রেম নিঃশেষ হয়?—এই প্রেম কিভাবে দুটো মনকে একই রকম স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করে?—প্রেমবিষয়ক এমন অনেক প্রশ্ন আমার কাছে আজো কৌতূহলী প্রশ্ন হয়েই রয়ে গেলো— আর এই প্রেম আমার কাছে অজানা/অচেনাই থেকে গেলো—বেশ কিছুদিন আগে কিছুটা সময় খুব বেশী অস্থিরতায় কাটছিলো—অদৃশ্য এক ছায়া কল্পলোকের মতো আমার ভাবনার রাজ্যের আশেপাশে এসে ঘুরাঘুরি করছিলো—প্রতিদিন আসতো, কিছু বলতে চাইতো আমায় দূর থেকে, প্রথম প্রথম ঐছায়াকে আমার কাছে শুধুই একধরনের ভ্রম মনে হতো, এড়িয়ে যেতে চাইতাম, কিন্তু না একটা সময় ঐ ছায়ার প্রতি আমার বিষন মায়া জমে গিয়েছিলো—হাত বাড়িয়ে দিই ঐ ছায়ার দিকে, নিয়ে আসি তাকে আমার ভাবনার জগতে—তারপর ধীরে ধীরে সে আমার ভাবনার রাজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে নিলো—আমার ঊষা লগ্ন থেকে গোধূলী ক্ষণ, সন্ধ্যাতারার হেসে উঠা থেকে শুকতারার হারিয়ে যাওয়া পর্যন্ত, সবার অলক্ষ্যে ঐছায়ায় আমার সংগী হয়ে উঠে—খুব বেশি অস্থির হয়েছিলাম—বুঝতে পারছিলাম না কেনো আমার সাথে এমনটা হচ্ছে?—কেনো ঐছায়ার সাথে ভাবনার জগতে পড়ে থাকতে আমার এতো ভালো লাগতো?—কেনো আমি ঐছায়াকে নিয়ে এতো ভাবি?—কোন উত্তর মিলছিলো না—আমার এই অস্থিরতা একটা সময় আমার পরিবারের মানুষগুলোকেও অস্থির করে তোলে—কিন্তু আমি তাদের কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না—গত বছর আমার আপুকে সব খুলে বলি—আপুতো সব শুনে হাসতে শুরু করলো আর বলে উঠলো তুই এখনো সেই পিচ্চিটিই রয়ে গেলি—পাগলী, বয়সটাই যে এমন-কেউ একজন আসবে রঙিন স্বপ্নের ঝুড়ি নিয়ে, অন্ধকার আকাশে আলোর ফানুস উড়াবে, শত নীল পদ্ম দিয়ে আবেগের থালা সাজিয়ে ভাবনার জগতের পালেস্তরার উজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দিবে—আরো কতো কি?—তাই বলে এতো অস্থিরতা?—সত্যিইতো কেনো আমার মাঝে এতো অস্থিরতা কাজ করছে?-কিসের জন্য?-কার জন্য?—শুধু একটা ছায়া যা শুধু ভাবনাতেই আসে, বাস্তবে যার কোন খবরই নেই—তার জন্য কিসের এতো অস্থিরতা আমার মাঝে?—মুহুর্তেই পরীর যাদুর কাঠি দিয়ে সব অস্থিরতাকে ভ্যানিশ করে দিলাম—পণ করেছি, যতোই আসুক না কেউ নীল পদ্ম দিয়ে আবেগের থালা সাজিয়ে, আমি কিন্তু আবেগে ভাসবো না—ফ্রেমে বেঁধে নিয়েছি স্বপ্নগুলোকে—আমি এমন কোন ভুল করতে চাই না, যে ভুলের মাশুল শুধু নিজেকে না, পুরো পরিবারকে দিতে হয়—আবেগের বশবর্তী হয়ে আমি এমন কোন কাজ করতে চাই না, যা শুধু নিজের মুখে কালি নয়, পুরো পরিবারের মুখে কালি মেখে দেয়—প্রেমে মজে, সময়ের ব্যবধানে সেই প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বিশেষ কারো জন্য নিজের জন্ম দেওয়া বাবা’মায়ের কথা ভুলে, নিজের হাতে নিজের জীবন(আত্মহত্যা) শেষ করে দেওয়ার পক্ষে আমি নই—তাই বলে আমি প্রেম বিরোধীও নই—সুস্থ, স্বাভাবিক,সুন্দর প্রেমের পক্ষে আমি—যে প্রেমে শুধু আমি একা নই, আমায় ঘিরে থাকা প্রতিটা মানুষ হাসবে, প্রাণ খুলে হাসবে—জানি না কতোটা ভাগ্যবান হলে এমন স্বর্গীয় প্রেম কারো জীবনে আসে?—তারপরও অপেক্ষা……………….
*কিছুকথা* না বললেই নয়—আমি লিখতে জানি না—তারপরও মাঝে মাঝে কিছু এলোমেলো ভাবনাকে শব্দজটে বাঁধার চেষ্টা করি—আর একবার বাঁধতে পারলেই সেটা এফবি/সোনেলাতে শেয়ার করি—এ দুই জায়গা ছাড়া আমি আমার এলোমেলো ভাবনাগুলোকে অন্য কোথাও শেয়ার করি না–নিজের দেখা অদ্ভূত যতো প্রেম নিয়ে লেখার ইচ্ছেটা হঠাৎ করেই মাথায় আসে—তারপর খুব সংক্ষেপে লিখেও ফেলি—অদ্ভূত যতো প্রেম শিরোনামে একটা পোস্টই দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো–লেখার বিষয়টা জিসান ভাইয়ার সাথে শেয়ার করি—তারপর জিসান ভাইয়ায় আমাকে উৎসাহ এবং সাহস দিয়ে লেখাটা পর্বাকারে দেওয়ার জন্য বলেন—প্রথম আমার মাঝে কিছুটা অনীহা কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত উনার দেওয়া উৎসাহ পেয়ে আমি দারুন উৎসাহিত হয়ে লেখাটা আবার নতুন করে শুরু করি—যে কাজটা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিলো যে কোনকিছুতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা—জানি না কাজটা আমি কতটুকু ভালো করতে পেরেছি?—তবে আমি আজ আনন্দিত যে কাজটি আমি আজ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শেষ করতে পারছি—একটা ছোট শিশুকে তার পরিবার যেভাবে প্রথম দাঁড়াতে/প্রথম হাতেখড়ি দিতে শিখায়, জিসান ভাইয়াও ঠিক সেইভাবেই আমাকে সোনেলাতে পথ চলতে শিখিয়েছে—যার জন্য আমি জিসান ভাইয়ার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ—কৃতজ্ঞ আমি সোনেলার সেই মানুষগুলোর কাছে যারা সোনেলাতে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন—সবাইকে অনেক ধন্যবাদ—ভালো থাকবেন সবাই……………
৪২টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
ভেবেছিলাম পরী আপু তার নিজের কথাও লিখবেন এখানে, লিখবেন বুদ্ধুটার কথা।কিছুই পেলাম না।এটা কিছু হলো? 🙁
খেয়ালী মেয়ে
লিখেছি তো কিছুমিছু 🙂
নিশীথের নিশাচর
যাক অবশেষে তাহার নিজের কথা গুলো জানতে পারলাম।
তবে এই অদ্ভুত সব প্রেমের গল্প গুলো খুবই কষ্টের এবং যাদের সাথে ঘটে তারা কতটুকু কষ্টে থাকে।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম যাদের সাথে ঘটে তাদের হৃদয়ে একটা ক্ষত সারাজীবনের জন্যই থেকে যায়…
ছাইরাছ হেলাল
না, এভাবে শেষ করে দেয়ার কথা ছিল না।
আর আপনি এক কাজ করুণ, নিজেকে ভালোবেসে নিজের প্রেমে পড়ে যান।
ফলাফল জানার অপেক্ষায়।
আপনি লিখতে পারেন না বুঝি? যা পেড়েছেন তাতে আমাদের ভালই চলে যাচ্ছে।
আপনার সমস্যা কী!!
খেয়ালী মেয়ে
যা শুরু করা যায় তা একসময় শেষও করতে হয়, তাই শেষ করে দিলাম 🙂
প্রেম তাও আবার নিজের সাথে…ভালোই তো….
উফফফফফ্ যাক বাবা পঁচা লেখা পড়ে কেউই আমায় বকে না, আমি যে বড়ই ভাগ্যবতী 😀
ছাইরাছ হেলাল
পঁচা লেখা কে বলেছে?
আপনার এত সুন্দর লেখাই যদি পঁচা লেখা হয় তাহলে আমাদের লেখা কোন লেখাই না।
খেয়ালী মেয়ে
কেউ এখনো পর্যন্ত বলেনি এই জন্যইতো আমি বড় ভাগ্যবতী 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রেম যখন আসে, কিছুতেই আটকে রাখা যায়না গো পরী আপু।
‘এ ব্যথা কি যে ব্যথা
বোঝে কি আনজনে!
সজনী আমি বুঝি
মরেছি মনে মনে।’ হেমন্তের এই গানটা শুধু মনে রেখো গো আপুনি।
আমি তো আমার ছেলের শ্বশুরের সাথে প্রেম করার চিন্তা করছি। :p বলেছি হ্যান্ডসাম শ্বশুর দেখে প্রেম করিস। ছেলে আমার সামনের বছর প্রেম করবে, দেখি কেমন মেয়েকে প্রপোজ করে। 😀
খেয়ালী মেয়ে
প্রেম যখন আসে কিছুতেই আটকে রাখা যায় না ঠিক……….সব লড়াই শেষে সেই প্রেমের পরিণতিটাও সুন্দর হলে ভালো লাগত———কিন্তু মাঝপথে কেউ একজন ছেড়ে যায়, প্রেমের জন্য কোন লড়াই করতে চায় না–কেউ কেউ আবার প্রেমের জন্য বাবা মাকে ছেড়ে যায়, কিন্তু সবাইকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে না———প্রেমের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো আমাকে খুব কষ্ট দেয়………….হেমন্তের গানটা দারুন (y)
হায়!!হায়!!ছেলের বাবার কি হবে ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
ছেলের বাবা ছেলের শাশুড়ীর সাথে প্রেম করবে। :p
খেয়ালী মেয়ে
কী সাংঘাতিক!!!তারপরও প্রেম করবা :@
নীলাঞ্জনা নীলা
https://www.youtube.com/watch?v=S_bmuNgiT4E
গানটি দিয়ে গেলাম।
খেয়ালী মেয়ে
অনেকগুলা থ্যাঙ্কুউউউউউউউ -{@
জিসান শা ইকরাম
ঐ অল্প বয়েসের জয়শ্রীর কষ্টকে দেখতে পেলাম তোমার লেখায়।লেখায় বাস্তব অবস্থাকে বুঝাতে পেরেছ।অনেক ছেলে মেয়েই এমন আছে, যারা শিক্ষিত হয়ে অশিক্ষিতই থেকে যায়। জয়শ্রী ভালো থাকুক।
ছায়া অপছায়া হয়ে এসেছিল মনে হয়,দুর হয়ে যাক এই অপছায়া।জীবন অনেক সুন্দর এ সুন্দর জীবনে কোন খারাপ ছায়া তোমাকে স্পর্শ না করুক। পরীর কল্পনার মতই কেউ একজন আসুক পরীর কাছে।আন্তরিক ভাবে এই দোয়া করি।
আমার সম্পর্কে খুব বেশী বলা হয়ে গিয়েছে মনে হয়।
তুমি খুব ভালো শিশু এবং ছাত্র,যে একবারেই সব বুঝে যায়।এমন শিশু পরিবারের গর্ব।
এই পর্ব গুলোর সমস্ত কাহিনী জীবন থেকে নেয়া।
লেখাটি কতটা সার্থক হয়েছে,তুমি নিজে হয়ত বুঝতে পারছো না
আমরা পাঠকরা অনেক কিছু শিখেছি এই লেখা থেকে।
শুভ কামনা।
খেয়ালী মেয়ে
জয়শ্রী ভালো থাকুক এটা যে আমারও চাওয়া…
আর আমি একটুও বেশি বলিনি ভাইয়া,যা সত্যি শুধু সেটুকুই বলেছি……..
আপনার জন্যই আমি আজ নিজেকে সোনেলার একজন ভাবতে পারছি, এত্তোগুলো প্রিয় মানুষ পেয়েছি সোনেলাতে এসে শুধু আপনার জন্য…………………….
ব্লগার সজীব
জয়শ্রী ভুল মানুষকে বিয়ে করেনি জেনে ভাল লেগেছে।নারীত্বের অবমাননা এটি,প্রতিবাদী জয়শ্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম জানলাম।অবাক হলাম খুব।
আপু জানলাম আপনার কথা।অপেক্ষা করেন,রাজপুত্র আসবে পঙ্খিরাজ ঘোড়া নিয়ে আপনার জন্য।
পর্বটি এত দ্রুত শেষ হওয়ায় হতাশ হলাম।খুবই ভালো এবং সফল একটি পর্ব এটি,
খেয়ালী মেয়ে
সজীব ভাইয়া আমিও খুব অবাক হয়েছি এমনটা জেনে–কতো যে গোঁড়ামিতে ভরা আমাদের এই সমাজ–আর বেশিরভাগ পরিবার এখনো এই গোঁড়ামিগুলো মেনে চলে 🙁
ওহোওও রাজপুত্র আসবে তাও আবার পঙ্খিরাজ ঘোড়া নিয়ে—কিন্তু আমার যে পালকিতে চড়ার খুব শখ :p
ব্লগার সজীব
পংখিরাজের সাথে একটি পালকিও নিয়ে আসবে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
তাহলে ঠিক আছে 🙂
ব্লগার সজীব
পালকি চড়ে পরী আপু বধু সাঁজে যাচ্ছেন,এমন ফটো কিন্তু দেবেন ব্লগে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
উক্কে, আগে রাজপুত্র পঙ্খিরাজ ঘোড়া চড়ে পালকি নিয়ে আসুক 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
না এভাবে নয় এমন করে নয় এভাবে শেষ হতে পারে এই সিরিজ লিখা। আশা করবো এমন জীবনের গল্পগুলো নিয়ে চলতে থাকবে আপনার লিখা।
বাস্তবতার পাতা হতে নেওয়া ঘটে যাওয়া ঘটনার গাল্পিক বর্ণনা আমার বেশ ভাললেগেছে।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
খেয়ালী মেয়ে
প্রতিটা পর্বে পাশে ছিলেন সেই জন্য অনেক ধন্যবাদ……..
শুন্য শুন্যালয়
পরীর নিজের কথাগুলো কেমন ছায়া ছায়া হয়ে থাকলো। তবে খুশি হলাম তার ভাবনা চিন্তাগুলো দেখে। নিজের কথা ভাবতে গিয়ে আমরা সবাই পরিবারের সবার কথা ভুলে যাই।
জয়শ্রীর ঘটনা শুনে অবাক হইনি বেশি। শিক্ষিত নামের মানুষের ভেতরের অনেক চিত্র দেখেছি। অবাকও এখন অবাক হতে ভুলে গেছে। জয়শ্রীর জন্য আমি কষ্ট পাইনি, বেঁচে গেছে সে। ক্ষত সারানোর প্রয়োজন নেই। যতদিন থাকবে ততদিনই সে শিখবে বাস্তব কি।
খুব ভালো একটা সিরিজ শেষ করলে। দেখা গুলোও লেখা হয়ে অন্তর ভেদ করে গেলো। অভিনন্দন। -{@
খেয়ালী মেয়ে
পরীর নিজের কথাগুলো কেমন ছায়া ছায়া হয়ে থাকলো–চিন্তার বিষয় ;? এমনটা তো হওয়ার কথা ছিলো না 🙁
হুমম জয়শ্রী বেঁচে গেছে, সেও বিয়ে করবে–তবে নিজেকে আরো কিছুটা শক্ত করে…….
তোমরা পাশে ছিলা বলেই শেষ করতে পেরেছি–তা না হলে সিরিজ?তাও আবার আমি 😀
শুন্য শুন্যালয়
তোমাকে দিয়ে কি কি সম্ভব তা কিন্তু আমরা জেনে গেছি এতদিনে। পাশে কি গো, আশেপাশে উপর নীচে দশ দিগন্তে পাবা আমাদের।
এমনটাই তো হলো, পরী আমাদের তার নিজের প্রেমের ছায়ার মধ্যে রেখে দিলো। ছায়া টা বুদ্ধু কবে হলো, কবে কখন তার অবয়ব রূপ নিলো, আরেকটু যে জানতেই চাই।
খেয়ালী মেয়ে
ছায়াটাই বুদ্ধু সেটা ঠিক আছে–কিন্তু তাকে নিয়ে লেখাগুলো যে সব কাল্পনিক–তার অবয়ব সবই যে কাল্পনিক—সব যে আমার এলোমেলো ভাবনা–আর কিছু না–তাইতো তাকে ফ্রেমের মাঝে বেঁধে নিয়েছি-সব অস্থিরতা ঝেড়ে ফেলেছি—–তারমানে এই না যে তাকে নিয়ে আর লিখবো না—-তাকে নিয়ে আরো লিখবো, নতুন নতুন আরো স্বপ্ন বুনবো–তবে তা ফ্রেমের বাইরে না, বাস্তবতায় তাকে কখনো খুঁজতে যাবো না, অস্থিরতায় নিজেকে আর কখনো ফেলবো না 🙂
স্বপ্ন
এত দ্রুত শেষ হয়ে গেলো পর্ব?আরো কিছু পর্ব দিলে ভালো হত না আপু?এই নিয়েই আমাদের জীবন,এই নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। (y) (y)
খেয়ালী মেয়ে
আরো কিছু পর্ব দেওয়া যেতে পারতো–তবে আমার দেখা এই ঘটনা গুলোই আমার কাছে অদ্ভূত মনে হয়েছে–অনেক গভীর প্রেম ছিলো অথচো শেষ পর্যন্ত কেউ একজন তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দিলো স্বার্থপরের মতো……………..
লীলাবতী
পরী অসাধারন এক পর্বের সমাপ্তি হলো।প্রত্যেকের কাহিনী আলাদা এবং প্রতিজনের কাহিনীর মাঝে ভাবার আছে অনেক কিছু।খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছ প্রতিটি পর্ব।অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়েছি।মনে হচ্ছিল এটি আমারই পরিচিত কোন মানুষের কাহিনী।
নিজের কথায় কেবল ছায়া? 🙂 তোমার অনেক ধৈর্য্য যে কারনে এই পর্ব গুলো লিখতে পেরেছ -{@
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ লীলাবতী আপু প্রতিটা পর্বে পাশে থাকার জন্যে -{@
তোমাদের জন্যই শেষ করতে পেরেছি–
আপুরে আমার ধৈর্য্যে খুব কম, কিভাবে যে এই লেখা আমি শেষ করেছি তা একমাত্র আল্লাহ্ ই জানে……… 😀
আমার যে ছায়া ছাড়া আর কোন কথা নেই কি করবো 🙁
মেহেরী তাজ
আমাকে কেউ ধন্যবাদ দেয় না। আচ্ছা থাক লাগবে না।
আগের দুটা পর্ব আগে পড়ে নেই।
খেয়ালী মেয়ে
তাজ আপুমনি তোমাকে অনেক ধন্যবাদ যে এতোদিন পরে এসেও আগের দুটা পর্ব পড়তে যাচ্ছো 🙂
মিথুন
বাস্তবতার আলোকে এমন সিরিজ আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত। তবে সমস্যা হলো আমরা বাস্তব থেকে কিছু শিখিনা, এমনকি নিজের ভুল থেকেও শিখিনা। খেয়ালী আপুর প্রেম কিন্তু অজানা থাকলো, জানি পুরোটা আপু বলেনি। তবে অবাক হয়েছি নিজের টা শেষে দিয়ে এভাবে ইতি টানা দেখে, আই এম ইমপ্রেসড।
খেয়ালী মেয়ে
মিথুন আপু আমার জন্য কারো মনে এখনো প্রেম জন্মায়নি 🙁 আজ পর্যন্ত কেউ আমায় ভালোবাসি এই কথাটা বলেনি 🙁 কি করে লিখবো বলো প্রেমিক ছাড়া প্রেমের গল্প ;(
অরণ্য
যদিও ‘অদ্ভুত প্রেম’ কেন ‘চমৎকার প্রেম’ হলো না এটা নিয়ে একটু ভাবছিলাম নিজে নিজেই, তবুও আজ মনে হচ্ছে সে হতেই পারে। পড়েছি আগেই; আজ এলাম ভাললাগা প্রকাশ করতে। ভাল লিখেছেন। একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে। বেশি রিজিডিটি অনেক সময় ভাল হয়না। ‘কিছুটা ফ্লেক্সিবিলিটি’ অনেক ক্ষেত্রে অনেক বড় গুণ। ভাল থাকবেন।
খেয়ালী মেয়ে
অনেক ধন্যবাদ, সেইসাথে আপনার কথাটাও মনে থাকবে 🙂
ভালো থাকবেন…
ব্লগার সজীব
পরী আপু, নতুন লেখা চাই। সেলামি হিসেবে তিনটি ফুল -{@ -{@ -{@
খেয়ালী মেয়ে
এতো অল্পতে চলবে না :@
ব্লগার সজীব
কতটা লাগবে তাহলে?হুকুম করুন পরী আপু 🙂
খেয়ালী মেয়ে
অনেকগুলোওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওও