সাতকাহন

বিষণ্নতার পরিপূরক

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১১ বছর ১০ মাস আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৭৫টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ৪৪৮টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৮১১টি
হারিস মন্ডলের গরু মারা এবং রামদাসের কারাদণ্ড পরের দিন সকালে হারিস মন্ডলের স্ত্রী ফাতেমা গোয়াল ঘরে গরুকে খড় দিতে এসে মৃত গরুটিকে দেখে। ফাতেমা আর্তনাদ করে ওঠে। দৌড়ে গোয়াল থেকে বের হয়ে যায়। ফাতেমা: হায় আল্লাহ! আমার এতো বড় সর্বনাশ কেডা করলো? হায় আল্লাহ! ফাতেমার চিৎকার শুনে হারিস মন্ডল ঘর থেকে বের হয়ে আসে। লোকজন [ বিস্তারিত ]
হারিস মন্ডলের গরুকে রামু ও কৃষ্ণার বিষ খাওয়ানো অবস্থাসম্পন্ন হারিস মন্ডলের বাড়ি। একটা কুকুর করুণ স্বরে ডাকছে। টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে কুপির তীর্যক রশ্মি দেখা যায়। বেড়ার বুননের ফাঁক দিয়ে কুপির আলো দেখা যায়। এমন নিশুতি রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কিছুই কানে আসে না। ডোমপাড়ার সবাই সন্ধ্যারাতেই অতল ঘুমে তলিয়ে যায়। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা [ বিস্তারিত ]
চামেলী-রামুর অভিসার কৃষ্ণপক্ষের রাত। রামু ও কৃষ্ণা হারিস মন্ডলের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে গরু বিষ খাইয়ে মারবে বলে। ডোমপাড়ার মানুষেরা তখন ঘুমে চুর হয়ে আছে। রামু এদিক-ওদিক তাকিয়ে খুব সন্তপর্ণে হাঁটছে। তার দৃষ্টি ডোমপাড়ার বিধবা নারী চামেলীর ঘরের জানালার দিকে। রামু হঠাৎ কথা বলে উঠে...। রামু: কৃষ্ণা তে তেনি সামনে আগাও হাম আয়োতিন। কৃষ্ণা: আচ্ছা। [ বিস্তারিত ]
কুতুবপুর থানা, বদিউজ্জামানের ফাঁদে হরিলাল  কুতুবপুর ইউনিয়নের বাজারটা স্বাভাবিক ভূমি স্তরের চাইতে অনেক উঁচু। পুরো বাজারজুড়ে বিস্তৃত বহু প্রাচীন বট আর পাকুড় গাছ ছেয়ে থাকে, ছায়া করে রাখে সারাবেলা। সে প্রাচীন বট আর পাকুড়’কে বৃক্ষ না বলে গাছ বললে ভাবগত ভাবের সন্নিকটবর্তী হওয়া যায়। শনি এবং মঙ্গলবার হাটবার। দুপুর গড়ালে সুর্যের সোনাঝরা আলোয় যখন ঝাঁ [ বিস্তারিত ]
সবাই হরির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে হয়তো হরি কোনো উচিত জবাব দেবে। কিন্তু  হরি কিছুই বলে না, মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। সবাই হতাশ হয়ে নেতিয়ে পড়ে। হঠাৎ হরি কথা বলে উঠে...। হরি: স্যার হামনিককে অশিক্ষিত ছোটকা  জাতকে  আদমি। প্যাটে লাথ না মারবোকো স্যার। হরির এই অপ্রত্যাশিত কথায় সবাই ভূত দেখার মতো চমকে উঠে। যুদ্ধক্ষেত্রে [ বিস্তারিত ]
ডোমপাড়ার কৃষ্ণবর্ণের পেশল আদিম মানুষগুলো হাতের কাছে যে যায় পায়, লাঠি-শোঠা, বল্লম, ভোজালি, চাপাটি হাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলে হরি আর রামদাসের পিছু পিছু। ডোমপাড়ার মানুষদের এই কাফেলা গিয়ে পৌঁছায় নিখিলচন্দ্র স্কুল মাঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে কালো পেশল পেলব মানুষেরা। হেডমাস্টার বদিউজ্জামানের পিয়ন কেদারনাথ জানালার ফাঁক দিয়ে ডোমপাড়ার মানুষদের মারমুখী ভঙ্গি দেখে ভড়কে যায়। কেদারনাথ নিজেকে [ বিস্তারিত ]
বাঙালি বাবুদের প্রতি ডোমদের ক্ষোভ       রামদাসের বাড়ির উঠান। রামদাসসহ ডোমপাড়ার কয়েকজন একসাথে গোল হয়ে বসে জুয়া খেলছে। সামনেই সান বাঁধানো বটগাছ তলায় একটা শিব মন্দির। সেখানে একটা শিব লিঙ্গ এবং ঘট আছে। কল্কি ঘুরে ঘুরে সিদ্ধি খাওয়া চলছে। রামদাসের ছোট্ট ছেলে গণেশ এস বাবা রামদাসের কাঁধে চড়ে বসে। রামদাস: আস্তে কারকে ধর বেটা চোট লাগোতেতো। [ বিস্তারিত ]
চায়ের দোকানে বৈষম্য, হরির প্রতি বঞ্চনা  গ্রামের সদর রাস্তার পাশে একটা চায়ের দোকানে বসে হারিস মন্ডল সমাজের গণ্যমান্য কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে চা খাচ্ছে, আড্ডা মারছে। কেটলিতে গরম দুধ। দাউ দাউ করে জ্বলছে লাকরি, গোবর ঘুটে আর তুষের আগুন। হরি চুপচাপ চুলার পাশে দোকানদার গোপালের কাছে গুঁটিশুটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে। গোপাল হরিকে দেখেও না দেখার ভান [ বিস্তারিত ]
শ্রীপদ হাঁটতে হাঁটতে যমুনার ঘাটে আসে। শরতের চাঁদ তখন মেঘের আড়ালে লুকিয়েছে। নরমুণ্ডুটা পাশে রেখে নদীর জলে জোনাক আলোতে লাশের কালচে রক্ত মাখা হাত মুখ ধোয় শ্রীপদ। হঠাৎ মেঘের আড়াল থেকে উঁকি মারে শরৎ পূর্ণিমার চাঁদ। জলের উপড় নিজের রক্ত মাখা মুখমণ্ডল দেখে শ্রীপদ ভয়ে চিৎকার করে উঠে। সে চিৎকারের শব্দ প্রতিধ্বনি করতে করতে দূর [ বিস্তারিত ]
শরতের শশীমাখা সে রাতেই শ্রীপদ চাপাতি হাতে রুদ্ধশ্বাসে ছুটে বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে। ছুটতে ছুটতে যে জায়গাটায় এসে থামে সে জায়গাটি শুনশান নীরবতা। উঁচু একটা ভিটামাটির মেঝে তিন দিকে তার তিনটি বাঁশের খাম , একটি খাম ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে ঠেস দিয়ে পড়ে আছে কৌডুক। পাশেই অকেজো মাটির হেসেল, পুরোনো খোন্তা, পাশে একটা ভাঙ্গা মালসার [ বিস্তারিত ]
হঠাৎ কৃষ্ণা বেমক্কা একটা প্রশ্ন করে বসে। কৃষ্ণার সে প্রশ্ন শুনে শ্রীপদ কেমন যেনো বিমর্ষ হয়ে যায়। লাশকাটা এই পাষণ্ড মানুষটি কেমন করে যেনো দমে গিয়ে মোমের মতো নরম হয়ে যায়। গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শ্রীপদ। এই ঈষদকুসুম দীর্ঘশ্বাস যেনো তার ভেতরের গুমড়ে ওঠা কান্নাবাষ্প। কৃষ্ণা: আচ্ছা মালিক তুই লাশ কাটা প্রথম কে করছে শিখেবারো? [ বিস্তারিত ]
রাজা নয়, রাণীও পারেন কল্পলোককে নিয়ন্ত্রণ করতে, যেমন পেরেছেন বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ (১৯০৮) নামক কল্পকাহিনীতে। রোকেয়া বন্দিনী ছিলেন। সেটা বোঝা যাবে তাঁকে যদি তাঁর পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে স্থাপন করি। জন্ম ১৮৮০তে। কলকাতা থেকে অনেক দূরে, রংপুরে। পিতা ছিলেন বিত্তবান, কিন্তু অপব্যয়ী ও রক্ষণশীল। দুই ছেলেকে তিনি কলকাতায় রেখে সাহেবদের স্কুলে পড়িয়েছেন; কিন্তু মেয়েদের শিক্ষায় [ বিস্তারিত ]
মৃত সূর্যাইয়ের শরীরধারী আত্মার সাথে বালক পঞ্চলালের গল্পকথন     তারও কয়েক বছর পর ভর দুপুরে দেবডাঙার সুবিস্তৃত বালুকারাশির চরে সেই শুকনো মরা বেল গাছের নীচে সেই বৃদ্ধ অন্ধ বসে আছে। একটা শুয়োরের পাল চলে যায় সর্ সর্...। পালের পেছনে লাঠি হাতে শুয়োরের রাখোয়াল বালক পঞ্চলাল। অন্ধ সূর্যাইয়ের আত্মা শরীর ধারণ করে মরা শুকনো বেল গাছটির নীচে [ বিস্তারিত ]
যমুনার তীরবর্তী নদীবিধৌত অঞ্চল সারিয়াকান্দি থানা। বগুড়া জেলা শহরের সারিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে রিফাত, রিদয় কিংবা দেওয়ান নামের ছোট্ট মিনিবাসে চড়ে শুরু হবে যাত্রা। টং টং টং টং টং টং- রেলের পাতে হাতুড়ির ঘন্টা বাজলেই কালো ধোঁয়া আর পড়ন্তযৌবনা টাটা ইঞ্জিনের বিকট শব্দে বেপরোয়া ছুটে চলবে  দেওয়ান ট্রান্সপোর্ট নামের রঙচটা, ঘষা খাওয়া মিনিবাস, বগুড়া-ট ১১১২, গেইট [ বিস্তারিত ]

পাগলার বউ (শেষ পর্ব)

সাতকাহন ৩০ নভেম্বর ২০১৩, শনিবার, ১২:৪১:২৭অপরাহ্ন গল্প ১২ মন্তব্য
গ্রামের মাঝখানে চৌরাস্তায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল তেঁতুল গাছটি। গ্রাম অঞ্চলে এখন আর সচরাচর বড় গাছ দেখা যায় না। মানুষ রাক্ষসের মত সব খেয়ে নিচ্ছে। এত বড় গাছ এ তল্লাটে আর নেই। এই বিখ্যাত তেঁতুল গাছের নিচে গ্রামের বিচার-আচার, ধর্মীয় সভা এমনকি গানের আসরও বসে। আজ তেঁতুল তলায় সালিশ বসেছে। অভিযোগকারী খালেক এবং [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ