ছদ্মবেশে হাঁটতে বেড়িয়েছি কোনো নাম না জানা শহরের কিনার ঘেসে। চারহাত পেয়ে প্রাণীর আনাগোণা ঢের এদিকটায়। যেচে পড়ে আলাপে তাঁদের ভীষণ উৎসাহ। ঠোঁট খুললেই বনেদী আমলের পরিচিত গন্ধ টের পাওয়া এখন শিখে গেছি। ব্যাতিক্রমী কোনো শব্দ কানে এসে আছড়ে পড়লে কিছুটা কৌতুহল জাগে মনে। এই গন্ধটা বোধহয় একেবারে ভীন্নরকম কিছুটা। চোখ তুলে তাকানো যেতে পারে। [ বিস্তারিত ]
হাতের পাঞ্জা আর আঙুল গুলোকে কায়দা করে ধরে; খালি গেলাস নিয়ে বসি! কিছু তরল ঢালি! বলছিনা, কোন সে অংশ জল, নাকি অন্যকিছু? টেবিলের ওই পাড়ে ছায়া! ছায়ার চোখ জন্ম থেকেই ঘোলা। পূণরায় - পুনশ্চ রকম দুর্দান্ত সব ফাগুন চুরির প্রচ্ছন্ন অযুহাত বিদ্ধ! টইটুম্বুর রসালো বায়োলজি বা কেমিস্ট্রির কি চমৎকার গবেষণা! ল্যাবরেটরীর মাইক্রোস্কোপ কাঁচ এড়িয়ে চলে [ বিস্তারিত ]
দীপ্র সময় এখন। দীপ্র কী? এটা একটা প্রতিকী শব্দ। বুঝলাম... কিন্ত এখানে দীপ্র প্রতিকে কী বোঝাচ্ছো সেটাই তো বুঝতেছি না। আচ্ছা তুমি বসে আছো কোথায়? এ কেমন প্রশ্ন! তুমি যেখানে! আমিও সেখানে! কোথায়? আরে!! বলো-- কোথায়? শাহবাগ হলো না কেন? তুমি বসে বা দাঁড়িয়ে যাইই থাকো! তুমি অবস্থান করছো একবিংশ শবতাব্দির জলপিঁড়ি তে। আবার জলপিঁড়ি [ বিস্তারিত ]
প্রজাপতি উড়ে গিয়ে বলনা আমি নই তার হাতে খেলনা - আহারে! : গানটা ভালো লাগে - আমারো : আমি সেই ছোটবেলায় শুনেছি। আজ আবার ডাউনলোড করলাম - আপনি বড় হয়ে গেছেন? : আগের চেয়ে একটু হয়েছি। আপনি তো অনেক বড়! - অ---নে---ক বড়, সরি, ভুল হলো। বেড়ে উঠেছি, বড় হইনি এখনো। : গানটা যখন শুনেছি [ বিস্তারিত ]
কোনো এক বিচ্ছিন্ন অথচ একক তন্ত্রের চাহিদা জোড় দাবি দাওয়া করেছিলো শ্লোগান। কতগুলো শুকনো মরা কাঠে পেরেক ঠুঁকে ঠুঁকে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছিলো একটা অবয়ব। তারপর তার নাম রাখা হলো পাকাপোক্ত করে। একে একে জমতে শুরু হলো কাঠের পরিচয়ে চেয়ার! টেবিল ছিলো কি? - কি জানি! মনে করতে [ বিস্তারিত ]
শুনেছি পাতাদের কোলাহল! বাদামী শরীরে তার অজস্র শিরা ঋনাবদ্ধ। ঝরেনি আকাঙ্খি বৃষ্টির বিলাস্য নামচা! পথিকের কানে শ্রবণহীন ডামাডোলে নিরুত্তর থাকে যাবতীয় কথাদের দায়। পাথর ভারী হলে জলের তলে আশ্রয় হয়। তবে আর ঘোলাটে সময়ের গায়ে কলংক লেপে কে- কোন দুঃসাহসে! বিভ্রম অথবা বাস্তবতার মাঝ বরাবর সেতু ঝুলে আছে বিপরীত জিঘাংসার বোঝাপড়া। আঙুলের ক্ষত মনে করিয়ে [ বিস্তারিত ]
আকাশে সূর্য উদিত হয় পূর্বদিক দিয়ে। সত্যি না মিথ্যে? - সত্য পক্ষ কাল পর পর চন্দ্র তার শীর্ণ শরীরে পূর্ণতা লাভ করে। সত্যি না মিথ্যে? -সত্য বিল-খাল-নদীতে জোয়ার ভাটা হয় নির্দষ্ট সময়ে। সত্যি না মিথ্যে? - সত্য আকাশে'ই মেঘ জমে বৃষ্টি হয় ঋতু পরিবর্তনে। সত্যি না মিথ্যে? -সত্য সূর্য ক্রমান্বয়ে অস্ত যায় পশ্চিমে দিন শেষে, [ বিস্তারিত ]
ছোট খাটো অক্ষর কুড়িয়ে-টুকিয়ে নিয়ে খোড়া,ল্যাংড়া শব্দ সাজাতে বসি.....ভগ্নাংশের ছিটেফোঁটা অক্ষরের দৈন্যতা ভোগাতে থাকে অবিরতঃ। পঞ্চদশ পৃষ্ঠায় এসেই থমকে গ্যাছে আঙুলের যাবতীয় সাড়তা। অসাড়, নির্লিপ্ত চোখের দৃষ্টিতে শুধুই মৃত মাছের জমাট বাঁধা রক্তের ছোপ! পূর্বাপর হাজারো অক্ষরের জমিনে চাপ চাপ ভুল বানান ; দাঁড়ি,কমা,সেমিকোলন,বিরাম চিহ্ন! কেবলই হামাগুড়ি দেয়া শিশুর চার হাত পায়ের ছাপ-ছায়া, ছাড় পায়না [ বিস্তারিত ]
কি লিখেছিলাম কবে কোন পোষ্টে তা আজ আর ঘাটাঘাটি করতে যেতে ইচ্ছে হলো না। শুধু মনে আছে মন্তব্যের ঘরে একটা অভিনব মন্তব্য....." আপু, আমি যেন আপনারই ছায়া...." মন্তব্যের দিকে বেশ অনেকটা সময় তাকিয়ে রইলাম.... কে ইনি? লেখা পড়েই এতবড় বিশেষণ!!! বড়জোড় বলা যেতে পারত " আপু, আপনার লেখায় আমি আমাকে খুঁজে পেলাম" তা না.... সরাসরি [ বিস্তারিত ]
বৃ্ষ্টি শেষে রাতটুকু বড় কাতর হয়ে উঠেছিলো বুঝিবা। ভ্রূণ তর সইছিলোনা ফেটে চৌচির হয়ে মাটি ছুঁতে। নিঝুম অজগাঁয়ের বাঁশঝাড়ের খুব নিভৃতে আর্ত করুণ শব্দ ছাপিয়ে যাচ্ছিলো অপ্রোয়জনীয় উপসর্গ প্রসব করার অপেক্ষা। আলোহীন রাত্রি চিরে জন্মাবে বলে যন্ত্রণাদায়ক এক উপসর্গ। নাড়ি ছিঁড়তে অভাব ব্লেড কিংবা ধারালো কিছু একটা। ধাত্রীর হাত তখনো টেনে ধরে আছে গর্ভফুল; অপেক্ষা..... [ বিস্তারিত ]
সত্যি বলছি............................এই সব চেষ্টাগুলো ছেড়ে দিয়েছি। যখনই বলতে চাই! হৃদপিণ্ড তখনই দুনিয়ার তাবৎ শক্তি জোগাড় করে প্রতিবাদ করে ওঠে। একটা ভারী তর্জনী টিপে ধরে বুকের মাঝ বরাবর। বিমূঢ় বিমুখতায়, আমি আবার আলো হাতে নেবার চেষ্টা করি। অমাবশ্যা বড্ড ক্ষুধা জমাতে জমাতে : একসময় ক্লান্ত হয়ে যায়। সুঁই সুতোয় গাঁথতে গাঁথতে -পুরো আকাশ মেঘ দিয়ে ঢাকা [ বিস্তারিত ]
মুহুর্মুহু বিষন্ন পাখোয়াজ বেজে চলে - আমি কান পেতে রই তারও গভীরের ডাক শুনব বলে। নীল শুন্যতায় ছাওয়া আকাশে আজ শরতের ডাক ডাকছে ভীষণ সাদা মেঘে। হরবোলা পাখিও বলে আমার নামটি কোথাও কী আছে পড়ে!! উত্তর – দক্ষিন- পূর্ব – পশ্চিমের দিক, কখন গিয়েছে মুছে কালের বয়স মেপে!! রোজ সকালে ঘুম জাগানিয়া দোয়েলের ঠোঁটে আয়ু [ বিস্তারিত ]
আমাদের ঘোরলাগা সময়গুলোকে রেখে দেই নিশ্চিন্তে কোনো ফড়িংএর ডানায়। তারপর চলো ভুলে যাই সব।আমরা বরং অনিশ্চিত কোনো ইচ্ছাকে দম দিতে থাকি নিশ্চিন্তে। কিছু শব্দ ওড়াই বাতাসের অদৃশ্য পৃষ্ঠায়। অগুণতি প্রতিশ্রুতি থরে থরে সাজুক মরা কোনো বৃক্ষের তাকে। ন্যাপথলিনের দরকার হবে না কখনো। শব্দগুলো মায়ায় ছড়াবে স্মৃতির সুগন্ধি, এক্কেবারে তরতাজা থেকে যাবে পৃথিবী ধ্বংসের শেষদিন পর্যন্ত। [ বিস্তারিত ]
ব্লগার সুরাইয়ার ফোন এলো সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর। ফোন চার্যে দিয়ে টিভি দেখছিলাম। ফোনের আওয়াজে দৌড়ে গিয়ে রিসিভ করতেই সুরাইয়ার চিৎকার-- " আপু তুমি কই? সারাদিন কই ছিলা? তুমি খবর কিছু জানো না??? পাগলের প্রলাপের মত লাগছিলো সুরাইয়ার উচ্চারিত শব্দগুলো। একটা লাইন শুধু কানে প্রচণ্ড আঘাত করলো......... আরজু আপু নাকি নেই???? হাত চলছে না..... ভাষা [ বিস্তারিত ]
কখনো বিপরীত লিঙ্গের দুটো মানুষের সাথে বন্ধুত্ব বড্ড দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। মুখে মুখে নিজেদের মতামত নিজেরাই নির্ধারন করে অন্য মানুষের কাছে নিজের একটা আলাদা পরিচয় /পরিচিতি প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর থাকি সর্বদা আমরা। এটাও একটা খেলা। বড্ড মারাত্মক মস্তিষ্ক প্রসুত চতুর খেলা। মুখ ও মুখোশের মতো। যাবতীয় বন্ধুত্বের দাবিদার আমরা নিজেরাই নির্ধারন করি বন্ধুত্বের পরিসীমা। একসাথে [ বিস্তারিত ]
