হাজার বছর আগে এই পৃথিবী বাস যোগ্য ছিলনা।তখন পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত।প্রায় প্রতিটি স্হানেই উত্তপ্ত লাভা প্রবাহিত হত।বছরের পর বছর তা ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে যা এখন মানুষের বসবাস যোগ্য।চোখে দেখেনি বিভিন্ন বই পুস্তকে পড়ে জেনেছি পৃথিবীর অতীত। আমরা যারা মুসলমান দাবী করি আমরা জানি যে সৃষ্টি কর্তার আদেশ অমান্য করায় বিবি হাওয়া এবং আদমকে পৃথিবীতে প্রথম মানব জাতি হিসাবে আল্লাহ তা আলা পাঠান।এর পর হতে মানব জাতির বংশ বিস্তার হতে থাকে বিভিন্ন গোত্রে ।তখনও কোন ধর্ম আসেনি।ক্রমান্নয়ে মানব জাতি বিভিন্ন গোত্রে ভাগ হয় বিভিন্ন নামে।সৃষ্টি কর্তা হিসাবে বিভিন্ন ভাবে মানতে শুরু করে কেউ মাটির পুতুলকে কেউবা চন্দ্র-সূরুজকে পূজা করে।তখনই আল্লাহ মানুষের কাছে নিজেকে সৃষ্টি কতা হিসাবে জানাতে যুগে যুগে নবী ও রাসুল পাঠান পৃথিবীতে।আজকে যে ইহুদি গোত্র খৃষ্টান ধর্ম দাবী করছে তা আল্লাহ প্রেরিত নবী ঈসা(আঃ)এর অনুসারী।ঈসা নবী(আঃ)আল্লাহকে মানতেন, আজকের খৃষ্টানরা ঈসা(আঃ)কে মানেন অথ্যাৎ তারা সৃষ্টিকে মানেন স্রষ্টাকে নয়।তখন থেকেই খৃষ্টানরা ইসলামের চির শত্রু।
যে কোন ধর্ম মেনে নেয়া জরুরী কতটুকু তা বোধয় আমরা অনেকেই জানিনা যদি জানতাম তবে নাস্তিক বাদ আসত না।তবে আমি মনে করি তা কেবল মাত্র সামাজিক বন্ধন।তা না হলে আমি তুমি সে সবাই মনে হয় একই জায়গা হতে পৃথাবীতে এসেছি আবার সময় মত চলে যেতে হবে কিন্তু কোথায় যাব?ইসলাম বলো, বৌদ্ধ বলো ,খৃষ্টান বলো সবার একই কথা ONE DAY WE MUST BE DIE.এবং পাপ পূর্ণ্যের হিসাব হবে ।ইসলামের দৃষ্টিতে পরকালে আল্লাহর দরবারে।অন্য ধর্মেও এরকম ইঙ্গিত আছে বিচার হবে স্রষ্টার আদালতে কারো কাছে ভগবান,কারো কাছে যিষু।ধর্মের যত নামের তালিকা হউক কেউ একজন এই পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রয়ন করছে তা সব মানব জাতি মানতে বাধ্য।যতগুলো ধর্ম এই পৃথিবীতে এসেছে তার মধ্যে ইসলামই একমাত্র সত্য এবং মানব জাতির পরিপূর্ণ জীবন বিধান পবিত্র কোরানে আছে যা অন্য কোন ধর্ম গ্রহণ্হে এত পরিস্কার ভাবে নেই।আমি সে দিকে আর যাব না ফিরে আসি মূল কথায়……
আমরা মুসলমান আমাদের নীতির ,ঐক্যে,মানব সেবার কাছে যে কোন ধর্ম ম্লান হবার কথা কারন ইসলামই পৃথিবীতে একমাত্র শান্তির ধর্ম।প্রয়োজনে বিশ্লেষন করুন। অথচ এই ইসলাম এখন পৃথিবীর কাছে একটি অশান্তী এবং আতংকের ধর্ম হিসাবে গণ্য।
একটা সময় ছিল রাশিয়া পৃথিবীকে শাসন করত তখন ইসলামের উপর এমন স্পট পড়েনি।এখন পৃথিবীর পরাশক্তিশালী অ্যামেরিকা সেই জজ বুস প্রেসিডেন্ট হতে ইসলামের উপর আঘাতটা একটু বেশীই হচ্ছে এর জন্য দায়ী স্বয়ং মুসলমানরাই।বহু খৃষ্টান পবিত্র কোরান বিশ্লেশন করে পৃথিবীতে নিজেদেরকে আবিস্কারক হিসাবে প্রতিষ্টিত করেছে অথচ সেখানে মুসলমানের সংখ্যা নগণ্য।তুমি যুদ্ধ করবে কি দিয়ে তার মূলে তার মালিকানায় অধিকাংশ ইহুদি।মুসলমান হিসাবে তারা কি করল…….
“মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত !!!?”।
যে সব মুসলিম কান্ট্রির ক্ষমতা ছিল বিশ্বের দরবারে মুসলিম জাতিকে শক্তি শালী করতে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্র সফরে মাগী-মদ নিয়ে আনন্দ ফুর্তিতে ব্যাস্ত নতুবা আজকে মুসলমানদের এ অবস্হা হত না।যারাই মাথা উচু করে দাড়াতে চেয়েছে তাদেরকেই সন্ত্রাসী বানিয়ে পৃথিবী হতে চির বিদায় দিয়েছে। গাদ্দাফী কি দরকার ছিল ক্ষমতাকে আকড়ে রাখার।জনগণ যখন চেঞ্জ চায় তখন ছেড়ে দে ক্ষমতা।শেষ পর্যন্তে ছাড়তে হয়েছে নিজেকে বলি দিয়ে এবং সমস্ত মুসলমানদের কলুংকিত করে।মুসলমানদের পক্ষে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দুই একটি কথা সে বলত তাকেও হারাল ইসলাম বিশ্ব।
আর এক নেতা সাদ্দাম হোসেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিল কয়েক যুগ।পাশা পাশি আর এক ভ্রাদার রাষ্ট্র কুয়েত তাকে রাতের আধাঁরে দখল করে বসে।তাকেও করুনভাবে পৃথিবী হতে বিদায় করেছে । “পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে ইহুদিরা সাদ্দামকে নয় যেন ফাসি দিয়ে ইসলামকেই কোরবানী করল “।২০১৩ সাল পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা ইসলাম রাষ্ট্রেই মুসলমানরা অশান্ত হয়ে একে অপরকে অনায়াসে হত্যা করছে।এর পিছনে পশ্চিমাদের কোন দুরবিসন্ধি থাকতে পারে কিন্তু মুসলমানরা কেনো তা আচঁ করতে পারেনা অবশ্যই এখানে টেকনোলজি আর পরাষ্ট্রনিতীতে মুসলমানরা বিশ্ব হতে অনেক পিছিয়ে।হাদিসে কোরানে আছে শুধু মানুষ নয় জীব হত্যাই মহা পাপ।তবে কেনো এক মুসলমান আর এক মুসলমানকে হত্যা করছে ?
সিরিয়া মুসলমানদের আর একটি মুসলিম শক্তিধর রাষ্ট্র।কিছু দিন আগে বিপুল জনগণের ভোটের মাধ্যমে মুসলিম ব্রদার হুড দলের মুরসি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল।কিছু দিন যেতে না যেতে আবার শান্ত সিরিয়া অশান্ত হয়ে উঠল।BBCতে ওবামার ভাষনে স্পষ্ট হয় সিয়িয়া আক্রমন।অন্যদিকে আসাদ সরকারের সাথে হাত মিলান ইরান,চীন,ও রাসিয়া তারা ওবামার হামলার বিপক্ষে।ওবামা সিরিয়া আক্রমন করলে বড় কোন বিশ্বযুদ্ধ লাগাটা স্বাবাভিক।সিরিয়া মুসলিম বলে নয় যে কোন হত্যাই মহাপাপ।যেভাবে রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে ছোট ছোট শিশুদের হত্যা করেছে যে কোন মানবের মনে আফসোসের দাগ কেটে যাবে।ওরা কি মানুষ নাকি জানোয়ার।জানোয়ার হলেও এমনটি করতনা।জানোয়ারেরও ধর্ম আছে।দেখবেন আপনি একটা কুকুরের কাছ হতে কোন ভাবেই তার সন্তানকে নিতে পারবেন না আর নিজেদের যা কিছু হউক একজন আর এক জনের মাংস খাবেনা।ওবামার এমন লড়াকু সিদ্ধান্ত ছিল কেবল দেশ শান্তির নামে আরো কিছু নিরীহ লোকের মৃত্যু।আর ক্ষমতা এমন এক নেশা যা পৃথিবীর সব নেশাকে হার মানায়।ক্ষমতাকে যতক্ষন পর্যন্ত নেশা মনে না করে সেবা মনে করতে পারবে ততদিন পৃথিবীতে কোথায়ও না কোথাও হত্যাজ্ঞ চলবে।
আমরা মানুষ।মানুষ মানে মরণশীল।তবে যেন অকালে মরন না হয়। রাসায়নিক কেমিক্যাল অস্ত্র রাসিয়া হতেই আমদানী করা- যারা মরনাস্ত্র বিক্রয় করে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা করায় তাদের কোন বিচার নেই !! এ এক আজব দুনিয়ায় বসবাস করছি !!।
ওবামা এবং রাসিয়া উভয় পৃথিবীর দুই পরাক্রমশালী রাষ্ট্রের মূল উদ্দ্যেশ্য এক এবং অভিন্ন।একজন মধ্যপ্রাচ্যে তেলের জন্য মরিয়া অন্যজন তাদের তৈরীকৃত অস্ত্র বারূদ বিক্রয়ে ব্যাস্ত।তাদের মানব ধ্বংসের অস্ত্র বিক্রয় করে রাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্য হতে খাদ্য আমদানী করে আর মধ্যপ্রাচ্য আমদানী করে মরনাস্ত্র।
কথায় বলে ….“কেউ মদ বিক্রয় করে দুধ ক্রয় করে আবার কেউবা দুধ বিক্রয় করে মদ ক্রয় করে”।
৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এটি একটি বাংলা ব্লগ । শিরোনামটি বাংলায় করুন ।
মা মাটি দেশ
সরি।
আদিব আদ্নান
কঠিন এ বাস্তবতা ।
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ।
খসড়া
বিভেদ হিসাবে ধর্মকে ব্যাবহার করা হয় আসল সমস্যা ক্ষমতার তৃষ্ণা। তা সে মুসলমার হোক কি খ্রিষ্টান। যে যতবেশি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ সে তত ক্ষমতাবান।
প্রিন্স মাহমুদ
খুব সত্যি কথা
মা মাটি দেশ
সহমত প্রকাশ করছি।
তৌহিদ
আমরা মুসলমান আমাদের নীতির ,ঐক্যে,মানব সেবার কাছে যে কোন ধর্ম ম্লান হবার কথা কারন ইসলামই পৃথিবীতে একমাত্র শান্তির ধর্ম।