বয়স বিশ পেরিয়ে গেলেই মানুষ একা হয়ে যায়। একটা সময় ছিল বয়স নিয়ে চিন্তাই হতনা। স্কুল জীবন, কলেজ জীবন এসব নিয়ে খুব বোরিং ফিল করতাম। মাঝে মধ্যে পড়ার টেবিলে অংক বইটা খুলে পাঠিগণিত যখন মগজে ঢুকতোনা। তখন ভাবতাম পড়ালেখার হাত থেকে কবে মুক্তি পাব! কবে বড় হব আর কবে এই লেখাপড়ার বুঝাটা মাথা থেকে নামবে। সময়ের পালাবদলে বড় হলাম। বয়স বাড়ছে নিজের গতিতে। চেহারাসহ শরীরেও পরিবর্তনের ছোঁয়া! কিন্তু এখন বুঝি কিশোরকালটাই বেটার ছিল। মাথা ভরতি পড়ার চাপ থাকলেও। ডিপ্রেশন, একাকিত্বতা এসব ছিলনা। বন্ধুদের সাথে আড্ডা। কলেজের ফাঁকে বান্ধবীদের নিয়ে বইমেলায় ঘুরতে যাওয়া! সেই সময়টাই ভালো ছিল। এখন বালিশে মাথা রাখলেই ভাবি ;কোথায় ছিলাম আর কোথায় এলাম। পুরনো কথাগুলো মনে পরতেই চোখ দিয়ে পানি চলে আসে! মনে হয় এই বুঝি বুড়ো হয়ে গেলাম। মনে হয় এই তো আর কয়দিন। তারপর, বয়সের ভাড়ে কোমড় চলবেনা। বিছানায় শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হবে।

সত্যি ‘বয়স বাড়লে বন্ধু হারিয়ে যায়। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়। জীবনটা যদি সেই স্কুল লাইফ কিংবা কলেজ জীবনে আটকে যেত! তাহলে এতো এতো দুঃখ কষ্ট আর হতাশা নামক যন্ত্রণাটা থাকতোনা। ২২/২৩ বয়সটা খুবই খারাপ। এই বয়সে কেউ পাশে থাকেনা। না বন্ধুরা পাশে থাকে। নাহ বা পরিবার, প্রেমিকা কিংবা কাছের কেউ। সবাই যে যার মতই ব্যস্ত। শুধু আপনার আর আমার বয়সটাই বাড়তে থাকে।

৮৭৩জন ৭৫২জন
0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ