
হঠাৎ ধুলো ঝড় শুরু হলো। তারপর ভীষণ বাজ পড়া আওয়াজ!! কিছু মুহুর্ত বাদেই তুমুল বৃষ্টি। চোখে ধুলো ঢুকে পরেছে। চোখ রগড়াতে রগড়াতে গা বাঁচাতে কাছেই বড় এক ছাউনি তলে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। মেঝেতে লাল গালিচা পাতা। একটা উঁচু মঞ্চও আছে। মঞ্চের বাঁ দিকের ব্যানারটা চোখে পড়েনি। খোলা কোঁকড়া চুল, দুই ভ্রুর মাঝখানে ছোট্ট একটা কালো টিপ, থ্রি পিস স্যুটে আপাত সাধারণ নারী বলেই মনে হলো…. জনা কয়েক পুরুষের মাঝখান থেকে উঠে এলেন – আপনি এখানে ঢুকেছেন কেন? এ প্রশ্নের জবাব কি হওয়া উচিত ভাবার আগেই দ্বিতীয় প্রশ্ন- আপনি কি লেখক? এটা লেখক আড্ডা’র জায়গা। জীবনে দুকলম লেখার যোগ্যতা আছে বা হয়েছে কখনো? আমার তো মনে হয় জীবনে আপনি বাজার ফর্দও ভালো করে লিখতে পারেন নি, এখানে ঢোকার কথা ভাবলেন কি করে?
বাইরে সমস্ত কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবার মত বৃষ্টি। দমকা বাতাসে অর্ধেকটা ভিজে যাচ্ছে ছাউনির অনেকটা পর্যন্ত। যে যতটা পারছে আরো ভেতরের দিকে সেঁধিয়ে যেতে চাইছে বৃষ্টিচ্ছটার হাত থেকে বাঁচতে।
– বাজার ফর্দ আর লেখকের সাথে সম্পর্কটা বুঝলাম না। আমি শুধু বৃষ্টিতে ভিজতে চাইনি বলে এখানে ঢুকে পড়েছি। এটা সংরক্ষিত এলাকা বুঝিনি। আমাকে ক্ষমা করবেন। বেরিয়ে ছাউনির বাইরে দাঁড়ালাম। আরেক কোনা থেকে আরেকজন হাঁক দিয়ে বললেন- আরে আপনি এত বৃষ্টিতে এমন করে ভিজছেন কেন? সরে আসুন এদিকে,,,, এমন ভিজে বাড়ি ফিরবেন কি করে?
গলা চড়িয়ে উত্তর দিলাম’ – অ-লেখকদেরই বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, লেখকদের মাথার উপরে ছাউনি রয়।
লেখক মঞ্চের ব্যানারটা এবার ভালো করে দেখলাম।
সভয়ে আমি আরো বেশি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জোড় কদমে হেঁটে দূর থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছি……
৬টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
হু এরকম হয় ভাল থাকবেন লিপি আপু
বন্যা লিপি
আপনিও ভালো থাকুন লিটন ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
বিদায় দাও গো বন্ধু তোমরা যাবার সময় অবেলায়।
বন্যা লিপি
কি কইলেন কিছুই বুঝলাম না
হালিমা আক্তার
মাথায় উপর ছাউনি দেওয়া লেখক হওয়ার চেয়ে বৃষ্টিতে ভেজা অ-লেখক হওয়াই মনে হয় ভালো। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
হঠাৎ কেন মাথায় এলো এমন একটা টপিক আমি নিজেও বুঝিনি আপা। তবে এটা ঠিক বেশ কয়েকবার এবার বই মেলাতে আসা যাওয়াতে মিশ্র অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ বলতে পারেন এই লেখা।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।