
কাবাডী, কাবাডী, কাবাডী বলে ‘কাবাডী বউ’ যদি ঘুমের ভেতরে আপনাকেই দুপেগ মেরে দিয়ে পাছু লাল করে দেয়, আপনি কি করবেন, অপেক্ষা? নাকি ধপাধপ তাকেও মেরে? কারণ স্বামীদের তাই করা উচিত! চলুন মুভিতে দেখি, কি করবেন-
অবসর নেওয়া এক মহিলা কাবাডি খেলোয়াড়ের খেলায় ফিরে আসতে চাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘পাঙ্গা’ ছবি। ছবির সবচেয়ে জোরদার জায়গা হল চিত্রনাট্য। অশ্বিনীর সঙ্গে চিত্রনাট্য লিখেছেন নিখিল মেহরোত্রা। অতিরিক্ত চিত্রনাট্যের দায়িত্বে নীতেশ তিওয়ারি।
স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন- জেসি গিল। যিনি প্রতিরাতে বউয়ের লাথ্থি খেয়ে, সকালে বাম মানে পাছুর নিচে গরম সেক দিতে দিতে বলেন, দেখো আবার উল্টা জায়গায় মেরো না। তাহলে দ্বিতীয়বার আর তোমার মা হওয়া হবে না। কপাল, এরকম স্বামী সিনেমাতেই সম্ভব।
কঙনা রনৌত ৭ বছর আগে খেলা ছেড়ে দেয়া একজন কাবাডী খেলোয়ার। এখন চাকরী করেন রেলওয়েতে। স্বামী ও দুষ্টু ছেলে আদিকে নিয়ে সংসার। তাও একেবারে সাজানো, যেখানে কমতি বলে কিছু নেই।
চাকরী মানে বস। তাই একসকালে দেরীতে ডিউটিতে যাওয়ায় বস তাকে দুকথা শুনিয়ে দেন। অন্যদিন ছুটিই দেন না। সেদিন ছেলের স্কুল ফাংশানে জয়েন করতে না পারায়, ছেলে ভীষন মন খারাপ করে। ছেলেকে গল্প শোনায় তার বাবা, কেন তার মা সে সময় জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন থেকেও আজ এ অবস্থায়। কঙনা রনৌত এই ছোট্ট ছেলেটির চাওয়ায় ৩২ বছর বয়সে আবার কাম ব্যাক করেন।
পাশের মানুষটা যদি পাশে থেকেও, না থাকে, তার কষ্ট ভয়ানক। মুভিতে অসাধারণ এক ত্যাগী চরিত্রে স্বামী ‘জেসি গিল’। কেন কঙনা রনৌত খেলতে চায়? এর জবাবে স্বামীকে বলে, যখন আমি তোমাকে ও আদিকে (ছেলে) নিয়ে ভাবি, আমি খুশি হই। কিন্তু যখন নিজেকে নিয়ে ভাবি, আমি খুশি হই না।স্বামী বুঝতে পারে তার শূন্যতা। কঙনা রনৌতের কাম ব্যাক সম্ভব হয় স্বামীর ত্যাগের কারণে। সে সকল সিদ্ধান্তের সম্মান দিয়ে পাশে থাকে। যা সচরাচর আমাদের পুরুষোচিত সমাজে দেখা যায় না।
অনন্য এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙোনার বন্ধু , সহ- খেলোয়ার, কোচ ’রিচা চাড্ডা‘। যে খেলা পাগল বলে আজও বিয়ে করেনি। তার এ ডায়ালগটি অদম্য হাসির খোরাক ও শিক্ষণীয়। তাকে ছেলে পক্ষ দেখতে এসেছে-
-বেটা, আপনে আব্-তাক সাদী কিউ নেহি কিয়া!( বেটা এখনও বিয়ে করোনি কেন)?
-আঙ্কেল, মান-ই নেহি কিয়া ( মনই চায়নি)।
-তো আব এ কষ্ট কিঁউ( তো এখন এ কষ্ট কেন)?
-দেখো আঙ্কেল হামনে শুনা হ্যায় আগলে তিন-চার সাল ম্যায় আন্ডে ফুটনে ছে তাকলীফ হো যায়। আর ইয়ে লোগো কি আগলে সাল নাতি চাহিয়ে, তো হাম আ গ্যায়ে( আমি শুনেছি আসছে দুই তিন বছরের মধ্যে আন্ডা ফুটতে কষ্ট হবে, আর বাবা- মায়ের নাতি চাই। তাই চলে এলাম)। এমন কথা বলার পর বিয়ে হবার কথা নয়। হয়ও না, তিনি চলে যান কঙনার কোচ হয়ে। তারপরের টুকু অবশ্যই দেখতে হবে। তো দেখতে থাকুন!!
অভিনয়: কঙ্গনা রনৌত, জেসি গিল, রিচা চড্ডা, নেহা গুপ্তা
পরিচালক: অশ্বিনী তিওয়ারি আইয়ার।
https://youtu.be/H-ZkgG9pu5A
ছবি- নেটের।
৮টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
কঙোনা রনৌত আমার প্রিয় অভিনেত্রী।
ছবিটি দেখার ইচ্ছে আছে। তোমার আকর্ষণীয় বর্ণনা ছবিটির প্রতি লোভী করে তুলেছে।
কঙোনার সাহসী কন্ঠস্বর আমাকে বরাবরই টানে।
ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর রিভিউর জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থেক।
হালিমা আক্তার
সময়ের অভাবে মুভি দেখা হয় না। আপনার লেখা পড়ে দেখার আগ্রহ হলো। চেষ্টা করবো দেখে নিতে।শুভ কামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
অবশ্যই আপা।ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
এই রকম ত্যাগী স্বামি লাখে দুই একটা মেলে কিনা সন্দেহ। বাস্তবেও আছে ঐযে উদাহরণে নই, লাখে পাই কিনা সন্দেহ। আমি হিন্দি বুঝিনা দেখব ইনশা ল্লাহ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ঠিকই বলেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
কঙ্কনা অভিনীত মুভি পারতোপক্ষে মিস করি না। তার অভিনয় আমার ভালো লাগে। তবে এই মুভিটি দেখতে চাওয়ার আরেকটা হেতু আপনি তৈরী করে দিলেন!
« পাশের মানুষটা যদি পাশে থেকেও, না থাকে, তার কষ্ট ভয়ানক। মুভিতে অসাধারণ এক ত্যাগী চরিত্রে স্বামী ‘জেসি গিল’»
হ্যা, এই ত্যাগী চরিত্রের গল্পটা জানার জন্য মুভিটা দেখবো।
ধন্যবাদ মুভি রিভিউর জন্য।
শুভ কামনা 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু
সরি মন্তব্য দেখতে দেরী হলো। দেখুন দেখুন তারাতারি।
শুভ কামনা রইলো।