
ইসকা মিয়া ‘রিশকা’ চালায়
আরামবাগের গলিতে।
আমার কাছে মনের কথা
করল শুরু বলিতে।
দেশে নাকি আইছে আজব
মরনব্যাধি করোনা!
আমি অধম কেমন আছি-
চিন্তা তো কেউ কর না!
শুনছি আবার আনছে টিকা।
তেলেসমাতি কারখানা!
তাইলে কি এই ব্যামোর কাছে
তোমাদের সব হার মানা?
তোমরা তো কেউ নিচ্ছ শুনি,
সবাই নিচ্ছ না টিকা!
আর কতদিন চলবে এমন
‘পলিটিশ’ আর নাটিকা?
এই করোনা গাও-গেরামে,
এই করোনা টাউনে।
হাওয়া খায়া বাইচা আছি
তোমাদের লকডাউনে।
টিকা দিয়ে জীবন চলে?
ক্ষুধা পেটে? দরকারে?
লোকের বলাবলি শুনি-
আহার দেবে সরকারে!
আমার আহার কাহার পেটে?
কে খেয়েছে আমার ভাগ?
নিজেরে আজ নিজেই দুষি,
নিজের উপর যত রাগ!
করোনাতে মরতে রাজি,
ক্ষুধায় মরতে রাজি না।
ব্যামোর ভয়ে পালায়ে যাব?
দেখা যাক। সে আজই না!
চালের কেজি তিন কুড়ি আর
আলুর কেজি বিশ টাকা।
পেটের ক্ষুধা হিসেব মানে?
পকেট আমার বিষ-ফাঁকা!
আমার দুঃখ আমি বুঝি,
তোমার কথা জানি না।
করোনাটা মানি আমি,
লকডাউনটা মানি না।
(ছবিঃ মনিরুল ইসলাম)
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে লক ডাউন একটি অভিশাপ আমাদের দেশে। অব্যবস্থাপনায় এদের কাছে বেঁচে থাকার সামগ্রী পৌছে না।
একদিন আয় না করলে এদের পরিবার না খেয়ে থাকে।
ছন্দের কবিতায় বাস্তবতা তুলে এনেছেন ভালো ভাবেই।
শুভ কামনা।
** ম্যাসেঞ্জার এ ম্যাসেজ দিয়েছি।
নাজমুল আহসান
এরকম কঠিন একটা পরিস্থিতি সামাল দিতে যে দক্ষতা আর আন্তরিকতা দরকার, তার কোনোটাই আমাদের নীতিনির্ধারকদের নেই। সবাই নিজের ধান্দা নিয়ে আছে।
হালিমা আক্তার
ছন্দে ছন্দে অনবদ্য কাব্য। শুধু নিম্নআয়ের নয় মধ্যবিত্তের অবস্থাও করুন। এ করোনা থেকে আল্লাহ আমাদের মুক্তি দিন। শুভ কামনা।
নাজমুল আহসান
আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন।
ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ছন্দে ছন্দে অসাধারন কবিতা। লকডাউন আসলেই নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাডিয়েছে।
শুভ কামনা ভাই।
নাজমুল আহসান
ভালো থাকবেন। আশেপাশের মানুষের খেয়াল রাখবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ছন্দের তালে তালে আবারো কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরলেন। লকডাউন কার কতোটা উপকার করছে তা আজ প্রমাণিত। এসব খেটে খাওয়া মানুষ আর মধ্যবিত্ত দের একদম পথে বসিয়ে দিয়েছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
নাজমুল আহসান
খেটে খাওয়া মানুষের কথা আমরা কে বা ভাবি!
সাবিনা ইয়াসমিন
ইশকা মিয়া রিক্সাওয়ালা জানেন না তার প্রকৃত ঋণ কতো। জানলে যা বলতো সেইসব শব্দ দিয়ে কবিতার ছন্দ মিলতো কিনা সন্দেহ আছে।
৮ জুন ২০২০ইং এর জরিপে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি জানিয়েছিলো ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমান ৭৯ হাজার টাকা। অথচ দেশের ৯৮% মানুষই এই ঋণ নেননি।
ইশকা মিয়ারা তিন কুড়ি টাকায় চাল কিনতে গিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শিকার হতে দ্বিধা করে না। আর তথাকথিত স্বাস্থ্যসেবকেরা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে লকডাউনকেই একমাত্র হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে।
না খেয়ে সব ঘরের ভিতর মরে পরে থাকুক, লকডাউন চলবে!
নাজমুল আহসান
অপরিনামদর্শী শাসনব্যবস্থার চুড়ান্ত উদাহরণ এসব।
ভালো থাকবেন।
তৌহিদুল ইসলাম
লকডাউনের এই পদ্ধতি কার্যকর নয় খুব একটা। মানুষ প্রাইভেট কার নিয়ে ঠিকই যাতায়াত করছে। যত ভোগান্তি সব দিনমজুর এবং নিম্ন আয়ের মানুষের।
যাক তবু কবিতাতেও পা দিলেন। কবিতার জগতে স্বাগতম।
নার্গিস রশিদ
ছন্দে ভরা সুন্দর কবিতা।
নাজমুল আহসান
ধন্যবাদ।
নাজমুল আহসান
সবই চলছে। চলছে না শুধু গরিবের জীবন।
আরজু মুক্তা
সরকার ঘরে চাল দিয়ে লকডাউন দিক। এটা আমার কথা না। একজন পথচারীর
নাজমুল আহসান
দুঃখের বিষয় হল, পথচারীর কথা যাদের শোনার কথা, তাঁরা শোনেন না।