
সারা পৃথিবীতেই লড়াই চলছে। এই লড়াইটা কিন্তু বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে নয়, এই লড়াই দুটো মতবাদের মধ্যে— ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মৌলবাদ।
লড়াইটা বিজ্ঞানমনস্কতা আর ধর্মান্ধতার মধ্যে, যুক্তিবাদিতা আর কুসংস্কারের মধ্যে, জ্ঞান আর অজ্ঞানতার মধ্যে, সচেতনতা আর অচেতনতার মধ্যে, স্বাধীনতা আর পরাধীনতার মধ্যে।
বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ হিসেবে আমাদেরকেই বেছে নিতে হবে সত্য, ন্যায়কে। পরিত্যাগ করতে হবে অন্যায় এবং মিথ্যেকে। এটাই নিজের অধিকার, এটাই বাকস্বাধীনতা।
বাকস্বাধীনতার এই শর্তটি আজকাল অনেকেই জানেন। জানলেও কিছু কিছু ধর্মীয় মৌলবাদী-সন্ত্রাসী শর্তটি মোটেও মানতে চান না।
১৪শত বছর আগে যার হাত ধরে ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে তিনি ন্যায়ের পথে থেকেছেন, সহিষ্ণুতা শিখিয়েছেন, দেখিয়েছেন নম্রতা। তাঁর সময়েও ইসলামের কোন দল ছিলোনা। কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন।
দলীয়করণ করে যে ইসলামকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হয় এই ইসলাম অসহিষ্ণু হবে এটাই স্বাভাবিক। শান্তি খুঁজে পায় তারাই যারা একান্তকায়মনে আল্লাহ ও তার রাসুলকে অনুসরণ করেছে।
এর জন্য বাকস্বাধীনতা শেখার দরকার হয়না। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে ধর্মকে মানা বা না মানার। এটাই প্রকৃত ইসলামের বাণী। জোর করে কাউকে ধার্মিক বানানো যায়না।
১৬টি মন্তব্য
ইঞ্জা
বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ হিসেবে আমাদেরকেই বেছে নিতে হবে সত্য, ন্যায়কে। পরিত্যাগ করতে হবে অন্যায় এবং মিথ্যেকে। এটাই নিজের অধিকার, এটাই বাকস্বাধীনতা।
যথার্থ বলেছেন ভাই, এছাড়া আর উপায় নেই।
তৌহিদুল ইসলাম
ধন্যবাদ ভাই, সকলের সুমতি হোক। ভালো থাকুন আপনিও।
ইঞ্জা
আমীন।
ধন্যবাদ ভাই, শুভকামনা জানবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
আপনার উপরিউক্ত বক্তব্য তুলে ধরায় একজন তাঁর অত্যন্ত কাছের মানুষকে নাস্তিক বলে গাল দিচ্ছেন আমার সামনে। অথচ দুজনেই নিয়মিত নামাজ পড়েন।
ফেতনার আশংকা থাকলে কিছু হালাল কাজকে ও বর্জনের হুকুম দেওয়া হয়েছে ইসলামে। গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে সুস্থ চিন্তা করলেই অনেকের সমস্যা। নাস্তিক ভেবে বসে। ইসলামের সৌন্দর্য অনুধাবন করতে পারেনা বলেই এতো হানাহানি মানহানি হয়।
আল্লাহ পাক সকলকে হেফাজত করুন।
তৌহিদুল ইসলাম
তারা মনে করেন ইসলামের বিপরীতে বলি আমরা। অথচ সত্যকে গ্রহণ করার পরামর্শ ইসলামেই দেয়া হয়েছে। ফেতনা ফাসাদ অবশ্যই বর্জন করা একজন মুসলিমের কর্তব্য। তাদের কথায় কান দেবেন না আপু।
শুভকামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া
প্রদীপ চক্রবর্তী
১৪শত বছর আগে যার হাত ধরে ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে তিনি ন্যায়ের পথে থেকেছেন, সহিষ্ণুতা শিখিয়েছেন, দেখিয়েছেন নম্রতা। তাঁর সময়েও ইসলামের কোন দল ছিলোনা। কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম।
শান্তির বার্তা বহন করে।
.
কিছু ধর্মান্ধ ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যায় অবিচারের লিপ্ত হচ্ছে। আর তাদের মাত্রাও বেড়ে চলছে। এরা ধর্মের মূল সারতত্ত্ব অনুধাবন করতে পারেনা।
.
বাকস্বাধীনতা শেখার দরকার হয়না। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে ধর্মকে মানা বা না মানার। এটাই প্রকৃত ইসলামের বাণী। জোর করে কাউকে ধার্মিক বানানো যায়না।
ভালো বলছেন, দাদা।
সকল ধর্মের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করুক।
এটাই চাই।
বন্ধ হোক ধর্মের নামে হানাহানি।
তৌহিদুল ইসলাম
একদম ঠিক দাদা। ভালো থাকুন আপনিও।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। ধর্মকে ব্যবসায় পরিণত করেছে যারা বা করছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই আপনি/আমি হয়ে যাই নাস্তিক। তারা গোপনে ঠিকই অন্যায়, ব্যভিচারে লিপ্ত। ধর্মকেও এরা ভাগ করে ফেলেছে একই ধর্মের মানুষের মধ্যে । অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। শুভ সন্ধ্যা
তৌহিদুল ইসলাম
যারা নাস্তিক বলে তারা ধর্মীয় গোঁড়ামি মনে ধারন করে। তাদের কাছে জোব্বাওয়ালা ব্যাক্তিরা সব পাপের ঊর্ধ্বে। তারা মনে করেন ইসলামের বিপরীতে বলি আমরা। অথচ সত্যকে গ্রহণ করার পরামর্শ ইসলামেই দেয়া হয়েছে। ফেতনা ফাসাদ অবশ্যই বর্জন করা একজন মুসলিমের কর্তব্য। সত্যকে গ্রহণ করতে সব ধর্মেই তাই বলা হয়েছে। তাদের কথায় কান দেবেন না আপু।
শুভকামনা রইলো।
পপি তালুকদার
সীমিত জ্ঞান নিয়ে ধর্ম নিয়ে কথা বলতে ভয় লাগে! তবে যতটুকু বুঝি ইসলাম শান্তি, ন্যায়,সত্যের ধর্ম।
সঠিক ভাবে ধর্মের পথে থাকা ব্যক্তি কোনো মতে নৈরাজ্য, অশান্তি কিংবা মানুষ কে পথভ্রষ্ট করে না।
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,যে শিখা দিয়ে গেছেন সে ভাবে চললে সমাজে আজকের চিত্র দেখা যেতোনা।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এযেন এক বাস্তব স্বীকৃত হয়ে গেছে!
এর পরিণাম কি হবে কে জানে!
তৌহিদুল ইসলাম
আপনার কথায় সহমত জানাচ্ছি আপু। সুন্দর বলেছেন।
শুভকামনা জানবেন।
হালিমা আক্তার
ধর্ম নিয়ে কথা বলার মতো জ্ঞান নাই | ইসলাম শান্তির ধর্ম | ইসলাম কারো উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেয় নাই | ফেতনা এবং ফ্যাসাদ ইসলামে নিষিদ্ধ | অথচ ধর্মের নামে ভণ্ডামি করে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করছে | ইসলামে না জেনে কাউকে নাস্তিক বলা যায় না , এটা কথিত ধার্মিকরা জানেকি !!!
খুব চমৎকার লিখেছেন |
তৌহিদুল ইসলাম
ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম।
শুভকামনা জানবেন।
আরজু মুক্তা
এরা ধর্ম বা আল্লাহ প্রদত্ত কোরআন হাদীস বিশ্লেষণ না করেই ব্যাখ্যা নিজেদের মতো দাঁড় করায়। এজন্যই সংঘাত। অথচ মানুষ এখন অনেক শিক্ষিত।
তৌহিদুল ইসলাম
এদের এমন কাজের জন্য সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভুল পথে পরিচালিত হয়। সচেতন হতে হবে আমাদেরকেই।
ভালো থাকবেন আপু।