
সকাল সকাল রওনা দিয়েও বিকেল নাগাত কবীর সরদারের বাড়িতে পৌছাল মনুমিয়া। অতঃপর ভাগিনা চন্দনকে বন্ধু কবীরের হাতে সপে দিয়ে কান্নায় ভেঁঙ্গে পড়ল। মনুমিয়াকে আশ্বস্থ করতে কবীর সরদার বললেন-
: তুমি এভাবে কান্না করো না মনু। তোমার ভাগিনা সে তো আমারও ভাগিনা। চন্দন আমার এখানে যত্নে থাকবে। আমি বেঁচে থাকতে চন্দনকে কোন কষ্ট পেতে দেব না।
বাজারের পাশের গ্রামেই বসবাস করেন অবস্থাপন্ন কবীর সরদার। বছর তিন হল বাড়িতে পাকা বল্ডিং তুলেছেন। বিল্ডিং ছাড়াও দুটো টিনের ঘর আছে। টিনশেডের পাকা ঘর দুটো বাড়ির বাইরের দিকে। তারই একটিতে থাকবার ব্যবস্থা হল চন্দনের।
নিজস্ব একটা ঘর পেয়ে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করতে লাগল চন্দন। ঘরের মধ্যে একটা বড় সড় চকি, একটা পড়ার টেবিল, একটা চেয়ার আর কাপড় রাখার জন্য দুই পাশে দড়ি দিয়ে বাঁধা একটা মোটা সাইজের ঝুলানো কঞ্চি। স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজের সামান্য কিছু জিনিস ঘরের নিদিষ্ট স্থানে রেখে দিল চন্দন।
সন্ধ্যার পর পরই রাতের খাবার নিয়ে চন্দনের ঘরে ঢুকল একটি মেয়ে। মেয়েটির পিছন পিছন ঢুকলেন কবীর সরদার। চকির উপর বসে ছিল চন্দন। কবীর চাচাকে দেখে উঠে দাঁড়াল। কবীর চাচা মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন
: আমার মেয়ে রোদেলা।
মেয়েটির দিকে তাকাল চন্দন। অল্প পাওয়ারের হলুদ আলোতেও মেয়েটির গায়ের অদ্ভুত রঙটি চোখে পরল চন্দনের। মেয়েটি হাসছে। শান্ দেয়া সেই হাসির দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিল চন্দন।
কবীর চাচা আরো বললেন-
: তোমার চাচী বারো মাসের রুগী। তাই ঘর সংসার সব কিছু রোদেলাকেই সামলাতে হয়।
মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে চন্দন। পড়ার টেবিলের উপর খাবার নামিয়ে রেখে চলে যায় রোদেলা। রোদেলার পিছন পিছন কবীর সরদারও চলে যান।
রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস নেই চন্দনের। দিনে এক বেলা ভাত খায় সে বাকী দুই বেলা মুড়ি। মুড়ির সাথে সাধারণত কাঁচা মরিচ আর পেয়াজ থাকে। কালেভদ্র গুঁড়।
ভাতের সাথে বেগুন ভর্তা আর শিং মাছের ঝোল। নিমিষেই চেটে পুটে খেয়ে নিল চন্দন। রান্নাটা অসাধারণ ছিল। বিছানায় গা এলাতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল চন্দন।
কা কা শব্দে ঘুম ভেঁঙ্গে যায় চন্দনের। ঘরের বাইরে গিয়ে দাঁড়াতেই রোদেলাকে দেখল। রোদেলা বাড়ির উঠান ঝাড়ু দিচ্ছে। চন্দনকে দেখে ঝাড়ু দেয়া বন্ধ করে দিয়ে ওর দিকে এগিয়ে এসে বলল –
: রাইতে ঘুম ভাল হইছে?
: চন্দন মাথা নেড়ে জানাল তার ঘুম ভাল হইছে।
: মুচকি হেসে রোদেলা জানতে চাইল চন্দনের বাইরে যাওয়ার বেগ পাইছে কিনা?
লজ্জায় লাল হয়ে মাথা নিচু করে রইল চন্দন। চন্দনের দিকে তাকিয়ে হিহি করে হেসে উঠল রোদেলা তারপর বলল-
: আমার পিছন পিছন আহো!
কবীর চাচার সাথে স্কুলে ভর্তি হতে গেছে চন্দন। প্রাইমারী স্কুলটা গ্রামের ভিতরে হলেও হাই স্কুলটা বাজার পার হয়ে। রোদেলাদের বাড়ি থেকে পায়ে হেটে স্কুলে যেতে কম করে হলেও আধা ঘন্টা সময় লাগে।
কবীর চাচা আর চন্দনের সাথে রোদেলাও স্কুলে এসেছে। রোদেলা এবার নিয়ে তিন বার ক্লাস নাইনে পড়ছে। ঘর সংসারের কাজ সামলে রোদেলা একেবারেই লেখাপড়া করার সময় পায় না। সত্যি কথা বলতে পড়াশুনায় মন নেই রোদেলার।
ছাত্র হিসেবে চন্দন তুখোর হলেও অষ্টম শ্রেনী পাশ করার পর মামী আর তাকে স্কুলে ভর্তি হতে দেয়নি। পুরো একটা বছর গাধার মত মামার সংসারে খেটেছে তারপরও কেন জানি মামি তাকে একবারেই সহ্য করতে পারতেন না। মামা হঠাৎ করেই তার ছোটবেলার বন্ধু কবীর সরদারের কাছে তাকে নিয়ে আসে। কবীর সরদার উদার মনের ভাল মানুষ। তিনি নিজ থেকেই চন্দনকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতে চাইলেন।
হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনা বাক্যে চন্দনকে নবম শ্রেনীতে ভর্তি করিয়ে নিলেন। চন্দনের বিজ্ঞান শাখায় পড়ার ইচ্ছা থাকলেও কবীর চাচার ইচ্ছায় বানিজ্য শাখায় ভর্তি হল। রোদেলাও বানিজ্য শাখার ছাত্রী।
চন্দনকে বানিজ্য শাখায় ভর্তি করতে পেরে মনে মনে আশ্বস্থ হন কবীর সরদার। চন্দন ভাল ছাত্র। চন্দনের সংস্পর্শে এসে রোদেলার যদি পড়াশুনায় একটু মন হয়।
স্কুলে ভর্তি শেষে বাড়ি ফিরে রোদেলার মায়ের সাথে দেখা করে চন্দন। রোদেলার মা চন্দনের মাথায় হাত রেখে বললেন –
: আমার কোন ছেলে নাই বাবা। আজ থাইক্যা তুমিই আমার ছেলে। এই বাড়িঘর দেখা শোনার দায়িত্ব এখন থাইক্যা রোদেলার একার না। তুমিও নিজের মনে কইরা সব দেখা শোনা করবা।
মাথা নিচু করে কাঁদতে থাকে চন্দন। এই বাড়ির সবাই খুব ভাল। একদিনের পরিচয়ে সবাই তাকে কত আপন করে নিয়েছে। মনে মনে শপথ নেয় চন্দন সারা জীবন সে এই পরিবারের জন্য তার পক্ষে যা যা করা সম্ভব সব করবে।
প্রথম দুই দিন স্কুলে গেল না রোদেলা। তৃতীয় দিন থেকে চন্দনের সাথে স্কুলে যাওয়া শুরু করল। রোদেলা অনেক কথা বলে। এক কথায় বাচাল মেয়ে রোদেলা। চন্দন স্বল্পভাষী হলেও রোদেলার কথা শুনতে তার ভালই লাগে। রোদেলার বকবকানী শুনতে শুনতে কোথা দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার সময় টুকু পার হয়ে যায় টেরই পায় না চন্দন।
ছাত্রী হিসেবে রোদেলা শুধু খারাপ না খুবই খারাপ। শ্রেনীকক্ষেও রোদেলা খুব অমনোযোগী। প্রায় প্রতি দিনই কোন না কোন ক্লাসে হয় কথা বলার জন্য না হয় পড়া না করার জন্য শাস্তি পায় সে। এ নিয়ে কোন ভ্রক্ষেপ নেই রোদেলার কিন্তু ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগে চন্দনের। তাই একদিন স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে চন্দন জানতে চায়-
: রোদেলা আপা তুমি লেখা পড়া করো না ক্যান?
: চন্দন তোরে না কত বার কইছি আমারে আপা ডাকবি না।
: কিন্তু তুমি তো বয়সে আমার চাইতে বড়।
: কিন্তু আমরা তো একি ক্লাসে পড়ি। তুই আমারে আপা ডাকবি না।
চন্দন আর কথা বাড়ায় না। চুপচাপ রোদেলার পাশে হাটতে হাটতে বাড়ি চলে আসে।
রোদেলা দেখতে একদম ভাল না। রোদেলার গায়ের রং ঠিক কালো না। রোদেলার গায়ের রঙ পোড়া এটেল মাটির মতন। চোখ দুটো অনেক বড় বড়। চোখের সাদা অংশটা পরিমানে যেমনি একটু বেশী তেমনি আবার একটু বেশী সাদা। হঠাৎ করে রোদেলাকে দেখলে কেমন যেন ভয় ভয় লাগে চন্দনের। তবে রোদেলার হাসিটা খুব সুন্দর। কমলার কোয়ার মতন টসটসে ঠোঁট আর ইঁদুরের দাঁতের মতন চিকন চকচকে দাঁতের হাসিটা সত্যই হৃদয়গ্রাহী।
গ্রামে রোদেলাকে নিয়ে একটা মন্দ কথা প্রচলিত আছে। রোদেলা খুব ছেলে ঘেষা। কথায় কথায় সে নাকি ছেলেদের জড়িয়ে ধরে। সেটা এখন ভালই বুঝতে পারে চন্দন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় সময়ই চন্দনের হাত ধরে থাকে রোদেলা। মাঝে মাঝে আবার হঠাৎ করে চন্দনকে ঝাপটে ধরে। খুব অস্বস্তি হয় চন্দনের। হ্যাচকা টানে দূরে সরে যায়। এতে খুব মজা পায় রোদেলা। খিলখিল করে হাসতে থাকে। হাসতে হাসতেই চন্দনকে বলে-
: তোরে দেখলে কিন্তু বুঝা যায় না রে চন্দন তোর গায়ে এও শক্তি!
হ্যাংলা পাতলা ছিপছিপে গড়নের চন্দনের গায়ে গন্ডারের মত শক্তি। মামা বাড়িতে থাকতে অনেক কাজ করতে হতো তাকে। সেই থেকে আস্তে আস্তে শরীর শক্ত হয়ে গেছে।
রোদেলাকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই কবীর সরদারের। একটা মাত্র সন্তান তার! সম্পত্তির লোভে অনেকেই রোদেলাকে বিয়ে করতে চায় কিন্তু লোভী কারো কাছে রোদেলাকে বিয়ে দিতে নারাজ কবীর সরদার। রোদেলা কোন মতে মাধ্যমিকটা উতরতে পারলেই একজন সৎ পাত্রের সাথে রোদেলার বিয়ে দেবেন তিনি। তাই রোদেলার বারণ সত্বেও সংসারের কাজ কর্ম করার জন্য একজন কাজের লোক রেখে দিলেন কবীর সরদার।
ধীরে ধীরে চন্দনের জীবন পাল্টে যেতে থাকল। ক্রমেই কবীর সরদারের সব কিছুতে তার উপস্থিতি সুস্পস্ট হতে লাগল। রোদেলাকে দিন রাত সময় দেয়ার ফাকে রোদেলার মায়ের জন্যও সময় বের করতে হয় চন্দনকে। চাচীকে সংসারের যাবতীয় খোঁজ খবর দেয়া ছাড়াও চাচীর হাত পা টিপে দিতে হয়। মাঝে মাঝে চাচীর মাথায় তেলও দিয়ে দেয় চন্দন। চাচীকে খুব ভাল লাগে চন্দনের। চাচীর সাথে চন্দন তার মায়ের কোথায় যেন একটা মিল খুঁজে পায়। যে দিন চাচীর খুব মাথা ব্যথা করে সেদিন চাচীকে চা করে খাওয়ায় চন্দন। চা খেতে খুব পছন্দ করেন চাচী। চা করে দিলেই চাচী খুশি হয়ে চন্দনের মাথা হাত দিয়ে বলবে-
: তোকে আমি পেটে ধরিনি ঠি ক কিন্তু তুই আমার সত্যিকারে সন্তান রে চন্দন।
চাচীর সাথে সময় কাটানোটা পছন্দ করে না রোদেলা। চাচীর সাথে কথা বলার সময় চন্দনের সব সময় মনে হয় রোদেলা রাগ হয়ে তার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে থাকে।
এছাড়াও সপ্তাহে একদিন কবীর চাচার আড়তের হিসেবের খাতা মিলিয়ে দিতে হয় চন্দনকে।
বাজারে কবীর সরদারের বিরাট চালের আড়ত। হঠাৎই আড়তের ম্যানেজার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। এমতাবস্থায় চন্দনকে আড়তে বসতে বলেন কবীর চাচা। স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি থাকায় চন্দন আড়তে বসতে রাজি হলে রাগ হয়ে যায় রোদেলা। রোদেলা রাগ হলেও আড়তের ক্যাশে বসে টাকা গুনতে ভালই লাগত চন্দনের। সারা জীবন অভাবে কেটেছে তার। এক সাথে এত টাকা দেখার সুযোগ কখনো হয়নি তার। টাকার গন্ধে এক ধরনের নেশা অনুভব করে চন্দন।
রোদেলার সাথে থাকতে একদম ভাল লাগে না চন্দনের কিন্তু রোদেলা সারাক্ষণ চন্দনের সাথে ছায়ার মতন লেগে থাকে। আড়তে বসার কয়েকটা দিন ভাল কেটেছিল চন্দনের। নতুন ম্যানেজার আসার পর চন্দনকে আর আড়তে বসতে হয় না তাকে থাকতে হয় রোদেলার সাথে।
দুদিন ধরে রোদেলা বায়না ধরছে চন্দনকে নিয়ে ঝিল পাড়ের মাঠে মটর শাক তুলতে যাবে। চন্দন এটা সেটা বলে এড়িয়ে গেলেও শেষ অবদি রেহাই পেল না।
: রোদেলা আপা ঝিল পাড়ের মাঠ আর কত দূর?
: তোরে না কত বার কইছি আমারে আপা ডাকবি না।
: আচ্ছা ডাকুম না। ঝিলের মাঠ আর কত দূরে?
: বলুম না।
গ্রীষ্মের পূর্ব দিকের রোদটা এসে চোখে মুখে লাগছে চন্দনের। মুখ পুড়ে যাচ্ছে চন্দনের তবুও চুপচাপ রোদেলার পাশে হেটে যাচ্ছে। রোদেলাও আজ তেমন কথা বলছে না।
ঝিলের পাড়ে বিশাল মটরের খেত। এই ক্ষেতের মালিক কবীর সরদার। ক্ষেতে নেমে শাক তুলতে লাগল রোদেলা। আইলের উপর দাড়িয়ে রইল চন্দন। শাক তুলতে তুলতে হঠাৎ উধাও হয়ে গেল রোদেলা। ভয় পেয়ে গেল চন্দন। ক্ষেতের চারিধারে চোখ বুলায় চন্দন। ক্ষেতের কোথাও দেখা যাচ্ছে না রোদেলাকে। রোদেলা আপা রোদেলা আপা বলে ক্ষেতের মধ্যে এলোপাতালি দৌড়াতে থাকে চন্দন। হঠাৎ কেউ একজন চন্দনের পা ধরে টান দিলে ক্ষেতের মধ্যে পরে যায় চন্দন। ক্ষেতের মধ্যে চন্দনকে চেপে ধরে রোদেলা।
: কি করতাছো রোদেলা আপা আমার ব্যথা লাগতাছে তো।
: তোরে না কত বার কইছি আমাকে আপা ডাকবি না!
: আচ্ছা ডাকুম না। এখন ছাড়ো।
: না ছাড়ুম না। তুই আমারে শক্ত করে জড়ায়ে ধর।
: এই সবের কি মানে? ছাড়ো। আমার দম বন্ধ হইয়া যাইতেছে।
রোদেলা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চন্দনকে চেপে ধরে কয়েকটা চুমু খেল। সাথে সাথে সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে রোদেলাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে উঠে দাড়ায় চন্দন। এতে মজা পেয়ে খিলখিল হাসিতে ফেটে পরে রোদেলা।
….. চলবে
৭টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ধন্যবাদ বন্ধু, পোস্টটা খুব ভালো।
বিস্তারিত মন্তব্য সময় করে করবো।
ফয়জুল মহী
মাধুর্যভরা সৃজন , অনাবিল শুভকামনা সর্বক্ষণ।
আরজু মুক্তা
দেখা যাক সামনে কি হয়? কৌতূহল থেকেই গেলো!
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভালো লাগলো গল্প। সাজানো গুছানো সুন্দর।
সামনে কি হয় দেখা যাক।
শুভ কামনা রইলো।🌹🌹
শামীম চৌধুরী
এমন কাজে কে না হাসে। রোদেলারও হাসি ফুঁটেছে। ভাল লাগলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
চন্দনের কপালে কি আছে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
রোদেলার আচরণ সাংঘাতিক মনে হচ্ছে।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। চন্দনের সাথে কি ঘটে দেখা যাক আর রোদেলার চরিত্র টি রহস্যময়ী আর সাংঘাতিক মনে হচ্ছে। আপনার লেখার হাত চমৎকার। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। নিয়মিত লিখুন