
আমি তোমার জন্য-(পর্ব-৫৬)
ওরে বাবা! তুমি চোরের মতো আসছো কেন! আমি তো ভিশন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
আরে বাবা চোর না আমি বীরের মতোই আসতে চাইছিলাম কিন্তু ভাবিরা তোমার পিচু ছাড়ছিলো না তাই লুকিয়ে চোরের মতোই আসলাম।মিতু হাসতে হাসতে বললো ছেলেরা প্রেম করলে প্রেমিকার সাথে লুকিয়ে দেখা করে কথা বলে চোরের মতো আর বউয়ের কাছে আসলেও চোর সাজতে হয় আজ প্রথম জানলাম।তারপর কেমন আছো পাগলি বউ আমার?
ভালো আছি, সোনা তুমি কেমন আছো?ভালো নেই পাগলি তোমাকে কবে যে কাছে পাব রোহান কথা শেষ করার আগেই মিতু থামিয়ে দেয়।রোহান চুপ করো বাইরে থেকে কেউ শোনতে পাবে বলেই মিতু রোহানের মুখ চেপে ধরল অমনি! বউমা তোমার বাবার বাড়ি থেকে সবাই চলে আসছে।
রোহান এবার লুকানোর জায়গা পায় না কোথায় যাবে যা তো মিতুর রুমের দিকেই আসছে। ওরে বাবা! কোথায় যাব! মিতু তাড়াতাড়ি তার শাড়ির আচলটা পিন খুলে পিচন থেকে ছুঁড়ে মারল রোহান ওখানেই আশ্রয় নিল। মা ভিতরে আসেন হ্যাঁ বউমা তোমার বাবা,মাা,চাচা,চাচী,বোন,ভাই ভাবী প্রায় সবাই এসে পড়ছে।তাই মা।হ্যাঁ শ্রেয়া কোথায়।
মা ভাবী বাসায় গিয়েছে রেডি হয়ে আসবে।তোমার সাজ,শাড়ী পড়ানো হয়েছে?জ্বী মা হয়েছে, আপনি যান মেহমানদের সময় দেন।
যাচ্ছি বলেই কি জানি ভেবে পিচনে ফিরলেন বউমা তোমার শাড়ি এলোমেলো কেন.? নাহ্ মা ঠিকই আছে। না ঠিক নেই, শ্রেয়া বিদেশী শাড়ী পড়ানো কি জানে ইসস শাড়ীতে পড়াতে পাড়ল না।
আমার বড় ভাই রোহানের বড় মামা ইন্ডিয়া থেকে শাড়ীটা কিনে আনছে। শ্রেয়া ভালো ভাবে পড়াতে পারে নাই বলে শাড়ীর সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে গেছে।রোহান মনে মনে আল্লাহ নাম যপছিলো তবু মা রুম থেকে সরছিলো না।মিতু কোন ভাবে মাকে তাড়াতেই পারছিলো না, আটার মতো লেগেই আছে যাচ্ছে না।
বউমা ওঠে দাঁড়াও আমি তোমাকে সুন্দর ভাবে শাড়ী পড়িয়ে দিচ্ছি।রোহান লজ্জায় এবার মরে যেতে ইচ্ছে করছে ইসস কেন যে মিতুর সাথে দেখা করতে আসলাম! মিতুও বোবা হয়ে শ্বাশুড়ী মায়ের দিকে চেয়ে আছে।বউমা উঠে দাঁড়াও বলেই জুতো খুলে এক লাফে বিছানায় উঠে গেল। মিতুকে শাড়ি পড়িয়ে দিবে বলে আল্লাহ্ তুমি রক্ষা করো বলেই মিতু চুপ বন্ধ করলো।
রোহানের মা কোথায় তুমি বাসায় বেয়াইন সাহেবা আসছে একটু এদিকে আস..!ওহ্! মানুষটা ডাকার আর সময় পেল না আমি দেখেই আসলাম মিতুর বাবার বাড়ির লোকজন আসছে।বউমা তুমি একটু অপেক্ষা করো তোমার শ্বশুড় বাবা ডাকছে আমি দেখা করে আসছি, পরে শাড়ি পরিয়ে দিব বলেই মা চলে গেলেন।
রোহান এক লাফে বিছানা ছেড়ে দৌঁড়ে পিচনের জানালা দিয়ে পালাল, মিষ্টি বউ রাতে দেখা হবে আমি যাই।মিতু সস্তির নিঃশ্বাস পেলে বুকে থুথু দিল। চারপাশ চেয়ে দেখে একা রুমে হাসতে লাগলো ইসস আল্লাহ্ সম্মান বাঁচাল মা রোহানকে দেখলে একটা অবস্থা হতো। মিতুর বাবা,মা কয়েকজন মুরব্বী বাসায় ভিতরে আসছে যারা মাইক্রোবাসে করে আসছে।
প্রিয়াকে দেখেই রোহানের মা এগিয়ে আসল মামনি কেমন আছো, খুব ভালো আছি আন্টি।আপনি কেমন আছেন?ভালো বলেই প্রিয়া সালাম করলো।এদিকে দেখ ইনি মিতুর মা বলেই ফরিদ সাহেব বেগম শেখরকে দেখেলেন।বেয়াইন সাহেবা কেমন আছেন বলেই রোহানের মা মিতুর মাকে জড়িয়ে ধরলেন।
মেয়েকে আপনার কাছে রেখে ভালো থাকি কি করে বলুন, তা ঠিকই বলছেন।মিতু মা আমার লক্ষী দুদিনের আমাদের আপন করে নিয়েছে।বসুন আপনারা সবাই মেজ মামী,প্রিয়া, জিসানের বউ,মাধবী সবাই ড্রয়িং রুমে বসছে।বাসার সামনে মিতুর বাড়ির বাসটা এসে থামছে আরাফ,শ্রেয়া,রোহানের বন্ধু সবাই সবাই দাঁড়িয়ে নতুন মেহমানদের রিসিভ করছে।রোহান তুমি মহিলাদের বাসার ভিতরে নিয়ে যাও, বাকিরা এখানে বাইরের রুমে বসবে বলেই আরাফ রোহানকে বাসার ভিতরে পাঠাল। প্রিয়াকে আরাফ দেখার আগেই সে বড় মামা মামী সবাইকে নিয়ে বাসার ভিতরে চলে গেছে।
বড় মামী চলেন আমরা মিতুর কাছে যাই বলেই প্রিয়া সহ সবাই রোহানের রুমে গেল। মিতু মাকে দেখা মাত্রই বিছানা ছেড়ে তাড়াতাড়ি নেমে আসলো মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেলল, মামীর কাঁদতে শুরু করলেন।আরে মেয়েটা গতকাল আমাকে দিয়ে দিলেন এখন আবার কাঁদছেন কেন! এটা ঠিক না বেয়াইন মিতু মা আমার মেয়ে ওর জন্য একদম টেনশন করবেন না বলেই রোহানের মা শান্তনা দিলেন।নাহ্! বেয়াইন ঠিক তা নয় মেয়েটা এতদিন আমার কাছেই ছিলো হঠাৎ চলে আসাতে বাড়িটা খালি হয়ে গেছে বলেই রোহানের মাকে জড়িয়ে ধরল বেগম শেখর সবার মাঝে আন্তরিকতা পূর্ণ মনোভাব পরিবেশটা আরো সুন্দর করে তুলল।রোহানের মামী,চাচী প্রায় সবার সাথে ওরা পরিচিত হলো প্রিয়া মিতুর পাশে বসল।
তারপর মিতু কেমন লাগছে নতুন বাড়ি.?হ্যাঁ খুব ভালো প্রিয়া আপ্পি।এখানে সবাই আমাকে খুব আপন করে নিয়েছে,বাবা তো মা মা করেই অস্তির।তাই নাকি!জিসানের বউ প্রিয়ার পাশ থেকে বলে ওঠল মিতু রোহান সাহেব আপন করে নিয়েছে তো.?
জিসানের বউয়ের কথায় মিতু লজ্জা পেল ভাবী তুমি কি যে বলো না।মাধবী, পিংকি যেন কিছু জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। সুযোগটা ছাড়লো না মাধবী বলেই ফেলল কিরে দোস্ত রোহান সাহেব কেমন রোমান্টিক?
মিতুর উপযুক্ত জবাব দিল সেটা জানার জন্য একটা রাত দরকার নেই। গত তিন বছরেই জেনেই রোহান রোমান্টিক ছেলে তাই তো সম্পর্কটা প্রেম,বিয়ে পর্যন্ত গড়াল।আরে বাহ্ আমার ননদী দেখি ভালোই গুছিয়ে কথা বলতে শিখে গেছে, তা রোহান বাবু কাছে শিখেছ বুঝি! এবার মিতু মুখ চেপে হাসতে শুরু করলো।হাসছো কেন সত্যিটা বলো বলেই জিসানের বউ মিতুকে জোর করলো।প্রিয়া, মিতু পিংকি,মাধবীর কে কথা বলার সুযোগ দিয়ে রোহানের মা বড় মামী অন্য রুমে চলে গেল।প্রিয়া, মাধবী,পিংকি একে একে সবাই বিছানায় উঠে মিতুর পাশে বসলো। তারপর কি খবর..!
এবার মিতু রোহানের লুকিয়ে দেখা করা,মায়ের হাতে ধরা পড়ার ভয় সব ভাবীর কাছে খুলে বললো।সব শোনে পুরা রুমে হাসির প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেল…সবাই বুঝতে পারলো বাসরের জন্য মিতুকে আজকের দিনটা অপেক্ষার করতে হবে!ওদের নানা রকম,হাসি আনন্দ গল্প চলছে।
বাড়িতে ঘুরে দেখলাম বাইরে থেকে দেখে মনে হয় জমিদার বাড়ি,মিতুর কিছু বেশ চালাক মেয়ে দেখে শোনেই রোহানকে পছন্দ করেছে।ছেলে ব্যাংকার, বাবার অটেল টাকা পয়সা,জাত বংশও ভালো, মেজ ভাইজানকে নিয়ে ঘুরে দেখলাম বলেই আজাদ মিরার পাশে বসল। শোন এসব কি আমাদের মিতু কম কিসে দেখতে, শোনতে মেয়ে ভালো আমার বাবারও সচিব ছিলেন সেটা তুমি ভুলে গেছ!আর মিতুর বাবা বড় ভাইজান ওনিও তো ব্যাংকে চাকরি করতেন।
আরে বাবা রাগ করছো কেন,মেয়েটার বিয়ে ভালো হয়েছে সেটাই বললাম। এবার মিরা শান্তভাবে বললো তাহলে ঠিক আছে, নিজের মেয়ের জন্য ভালো একটা বিয়ে দেখ।
প্রিয়া এর আগেও রোহানের হলুদ নিয়ে এবাড়িতে আসছিলো তাই তার সব চেনা। বাড়ির সবার সাথে মিতু তার পরিবারের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিল।প্রিয়া, মাধবী, পিংকি মিতু ছাড়াও রুমে আছেন রোহানের মামাত,বোন,ভাই,ছোট মা, চাচাত বোন, রোহানের বন্ধুর বউ আরো অনেকেই সবাই মিলে নানা রকম গল্প চলছে।ফরিদ সাহেব ভিতরে এসে শেখর সাহেবকে মেয়ের সাথে দেখা করিয়ে নিয়েছেন।মেয়ে ভালো আছে ওর হাসি খুশি মুখটা দেখেই বুঝা যায়,শেখর সাহেব খুশি মেয়েকে উপযুক্ত পাত্রের হাতে তুলে দিসেন।…!
….চলবে।
১৬টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
রোহান বাবাজী মিতুর শাড়ির আঁচল তলে লুকিয়ে থাকার বিষয়টা পড়ে খুবই মজা পেলাম! একা একাই হাসলাম! আপনার লেখা “আমি তোমার জন্য এসেছি” শিরোনামের গল্প পড়ে ভালো লাগছে। আর আপনার পর্বও দ্রুত এগিয়ে চলছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুন্দর মন্তব্যে আপ্লুত হলাম, পর্বটা লিখতে গিয়ে আমিও হাসলাম।
এমন একটা ঘটনা আমাদের এক আত্মীয়ের বিয়েতে হয়েছিলো সেটা গল্পে যোগ করে দিলাম।
উপন্যাসটা আপনার ভালো লাগছে এটাই আমার স্বার্থকতা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি আপনার লেখনীতে পুরো বিষয়গুলো ই সুন্দর করে সাজিয়ে তুলে ধরেছেন, কোনো কিছুই বাদ দেননি। ধন্যবাদ আপনাকে। এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ দিদি ভাই।
বিয়ে বাড়ির আনুষ্টানিকতা আমি খুব কাছ থেকে দেখি নাই, তবে শুনে যতটুকু জেনেছি ততটুকুই গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
আপনার সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম দিদি ভাই, পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল দিদি ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
বরাবরি চমৎকার লেখছেন আপু
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো লিখতে পারি না,আপনাদের সবার লেখা পড়ে লেখার চেষ্টা করি মাত্র।
খুব ভালো লাগছে দাদা আপনার মতামত পেয়ে, পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল দাদা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আমাদের সকলের জীবন যাপান এমনই হওয়া উচিৎ —বড় মামী চলেন আমরা মিতুর কাছে যাই বলেই প্রিয়া সহ সবাই রোহানের রুমে গেল। মিতু মাকে দেখা মাত্রই বিছানা ছেড়ে তাড়াতাড়ি নেমে আসলো মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেলল, মামীর কাঁদতে শুরু করলেন।আরে মেয়েটা গতকাল আমাকে দিয়ে দিলেন এখন আবার কাঁদছেন কেন! এটা ঠিক না বেয়াইন মিতু মা আমার মেয়ে ওর জন্য একদম টেনশন করবেন না বলেই রোহানের মা শান্তনা দিলেন।নাহ্! বেয়াইন ঠিক তা নয় মেয়েটা এতদিন আমার কাছেই ছিলো হঠাৎ চলে আসাতে বাড়িটা খালি হয়ে গেছে বলেই রোহানের মাকে জড়িয়ে ধরল বেগম শেখর সবার মাঝে আন্তরিকতা পূর্ণ মনোভাব পরিবেশটা আরো সুন্দর করে তুলল।রোহানের মামী,চাচী প্রায় সবার সাথে ওরা পরিচিত হলো প্রিয়া মিতুর পাশে বসল।— খুব ভালো লিখেছেন। রগিয়ে চলুক জীবনের গল্প। শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
সত্যি আমি অবিভূত এত চমৎকার মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম।
একজন নারী পারে একটা সংসারকে স্বর্গ করে তুলতে, আবার সেই পারে নরগ করে দিতে।
তাই নারীকে সংসার ঠিকাতে যেমন সংগ্রাম করতে হয়, তেমনি সংসারে দায়িত্ব কর্তব্য গুলো নিষ্ঠার সাথে করা উচিত।
ভালো থাকবেন ভাইজান,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার লেখায় সমাজকে সুন্দরভাবে গঠনের অঙ্গীকার প্রতীয়মান। এগিয়ে চলুক লেখা সাবলীল গতিতে। শুভেচ্ছা।
সুরাইয়া নার্গিস
কৃতজ্ঞতা রইল জাইজান, দোয়া রাখবেন।
দোয়া রইল আল্লাহ্ আপনি সহ পরিবারের সকলকে হেফাজত করুন
সুপায়ন বড়ুয়া
“আরে বাবা রাগ করছো কেন,মেয়েটার বিয়ে ভালো হয়েছে সেটাই বললাম। এবার মিরা শান্তভাবে বললো তাহলে ঠিক আছে, নিজের মেয়ের জন্য ভালো একটা বিয়ে দেখ।”
সুন্দর ভাবে শেষ হলো।
আর একটা বিয়ের আশ্বাষ দিয়ে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই।
আমরা বাস্তবিক অর্থে অন্যের দোষ,গুন গুলো এভাবেই আলোচনা করি।
আজাদের কথা মিরা প্রথমে চটে গেলেও পরবর্তীতে শান্ত হয় নিজের মেয়ের বিয়ের চিন্তা করে।
সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
খাদিজাতুল কুবরা
আড্ডা, হাসি, কান্না,খুনসুটি এবং বর বৌয়ের লুকোচুরি সব মিলিয়ে বেশ জমাটি গল্প।
ভালো লাগলো।
কলম চলুক আপু ।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি সবার ভালো লাগার মতো কিছু লিখতে, আলহামদুলিল্লাহ্ “আমি তোমার জন্য। এসেছি” উপন্যাসটা সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারছে এটাই আমার লেখার স্বার্থকতা।
আপু সময় করে আগের পর্ব গুলো পড়ার আহবান রইল, পরের পর্ব পড়বেন আশা করি।
সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম আপু।
ভালো থাকুক,
শুভ কামনা রইল।
খাদিজাতুল কুবরা
নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
শুকরিয়া আপু৷ দোয়া রাখবেন।