
রাতে শহরে ওভার ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির এক সময় সবকিছু ছিলো। পকেট ভরতি টাকা, সুন্দর জীবন আর এক ঝাক বন্ধুবান্ধব। সময়ের বর্বরতায় লোকটির আজ কিছুই নেই। এক সময় যে মানুষটি বন্ধুদের সাথে রাতভোর আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরতো, আজ সে শহরের ওভার ব্রীজে দাঁড়িয়ে একা একা গাড়ি গুনে! রাত হলে চাকচিক্যময় শহরে অদ্ভুত কিছু দৃশ্য ধরা পরে চোখে। কিছু মানুষ দামি গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে পরিবারের সাথে পিকনিক করতে যায়। আবার কিছু মানুষ হসপিটালে ভর্তি হওয়া অসুস্থ বাবাকে দেখতে বসে আছে জ্যামের ফাঁকে।
কিছু মানুষ তো কারণ ছাড়াই গাড়ি চড়ে ঘুরাঘুরিতে ব্যস্ত। আবার কিছু মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে বসে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রাণ ভিক্ষা চায়। রাত্রি হলে ল্যামপোস্ট কিংবা ওভার ব্রীজে দাঁড়িয়ে তাকা লোকগুলো খুব অসহায় হয়ে পরে। কেউ কেউ চাকরী হারিয়ে নিঃশ্ব। কেউ আবার প্রিয় মানুষের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাত বাড়লে কষ্ট বাড়ে, স্মৃতিরা ক্ষত করে সুপ্ত মগজ! কেউ কেউ এসব থেকে বাঁচার প্রতীক্ষায় বেঁচে নেয় আত্মহত্যা নামক নরকীয় পথ। কেউ আবার জীবনের সাথে যুদ্ধ করে গভীর রাতে নিকোটিন টানতে টানতে বাড়ি ফিরে!
১২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শহরের যান্ত্রিকতার ভীড়ের মানুষ গুলোর পোষ্টমর্টেম দারুন ভাবে তুলে ধরলেন। সত্যিই অদ্ভুত বাস্তবতা এসব মানুষের। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
মাছুম হাবিবী
অনেক ধন্যবাদ দিদি
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দারুণ অনুভূতির প্রকাশ — রাত বাড়লে কষ্ট বাড়ে, স্মৃতিরা ক্ষত করে সুপ্ত মগজ! কেউ কেউ এসব থেকে বাঁচার প্রতীক্ষায় বেঁচে নেয় আত্মহত্যা নামক নরকীয় পথ। কেউ আবার জীবনের সাথে যুদ্ধ করে গভীর রাতে নিকোটিন টানতে টানতে বাড়ি ফিরে!
শুভ কামনা ।
মাছুম হাবিবী
অনেক ধন্যবাদ
ফয়জুল মহী
সুনিপুণ রচনাশৈলী।
মাছুম হাবিবী
ধন্যবাদ
সুপায়ন বড়ুয়া
মানুষ মাঝে মাঝে বড় অসহায় পড়ে
স্মৃতি হাতড়িয়ে বেড়ায় বিষন্ন বদনে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
মাছুম হাবিবী
অনেক ধন্যবাদ
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাস্তবতার এক স্থিরচিত্র ফুটে উঠেছে লেখনীতে।
অদ্ভুত বাস্তবতায় সামিল হতে তাদেরকে।
যথার্থ লেখনী দাদা।
মাছুম হাবিবী
অনেক ধন্যবাদ দাদা
সুরাইয়া নার্গিস
বাহ্! দারুন লেখা।
আরজু মুক্তা
মনের খবর কে বা রাখে?