
কইগো কই গেলা? বলে দরজার কাছ থেকে ডাক দেয় আসমার স্বামী গিয়াস উদ্দিন।
-এইতো আমি! বলতে বলতে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসে আসমা।
-কখন আইলা কামের থিকা?
-মাত্রই আইলাম। পোলা কান্দে ক্যান?
-আমারে জিগাও ক্যান?
-একি তোমার মুখ ফোলা ক্যান? তুমি কানতেছিলা নাকি?
-কই নাতো? বলতে গিয়ে আসমার ফর্সা মুখ লাল হয়ে যায়। স্বামীর কাছে সে কিছুই লুকাতে পারে না।
-আমি যে দেখতাছি। তোমার কি মন খারাপ?
বলতে বলতে নিজের স্ত্রীকে নিজের বুকের কাছে টেনে নেয় গিয়াস উদ্দিন। ছেলে ততক্ষণে কান্না থামিয়েছে একটু।
-তুমি আমারে একদিন ঢাকা নিয়া যাইবা?
বিষাদের সুরে বলে আসমা।
-ক্যান নিমু না? কবে যাইবা? কবে যাইতে চাও?
-তোমার যেদিন কাম থাকবো না। ওইদিন যামু।
-আইচ্ছা ঠিক আছে। সামনের সপ্তায় ছুটি নিমু একদিন, তখন যাইও। যাইতে তো বেশি সময় লাগবো না।
-আইচ্ছা ঠিক আছে। এখন যাও হাতমুখ ধুইয়া কয়ডা খাইয়া লও।
দশ বছর আগের কথা..
আসমা তখন ঢাকায় নবিনগরের আবাসিক এলাকার কাছে এক টিনশেড কলোনীতে মামা-মামীর সাথে থাকতো। গ্রামে অভাবের সংসার ছিল। মামা তাকে বাবা মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসে নিজের কাছে। ক’দিন যাবত মেয়েটার শরীর কেমন যেন শুকিয়ে গেছে। চোখের নিচে কালো দাগ, খেতে চায় না। মাঝে মাঝে মাথা ভনভন করে চক্কর দিয়ে উঠে! মামী ভেবেছে গার্মেন্টসে যাওয়া আসার জন্য রোদের মধ্যে হাঁটাহাঁটির কারণে মনে হয় এমন হয়েছে। নিজ থেকেই একদিন স্বাস্থ্যকর্মী রেহানাকে খবর দেয় খালা (শেফালী)
শেফালী- আপা আসমারে একটু দেখবেন।
অনেক ক্ষন দেখার পর…
রেহেনা আপা- ক্যামনে বলি তোমারে? আবার না বলেও পারতেছি না!
-কি হইছে আপা?
-আসমার পেটে বাচ্চা আসছে। বিশ্বাস না হলেও ঘটনা সত্যি। আমি সব পরীক্ষা কয়েকবার করে দেখছি।
-কেমনে হইল এইসব?
শুনেই হুঁহুঁ শব্দে কেঁদে ওঠে শেফালী..হায় হায় এ কি সর্বনাশ হয়ে গেল?
-শেফালী নিজেকে সামলাও! তোমার এই অবস্থায় এমন ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। স্বামীর সাথে খোলামেলা আলাপ কর এই সমস্যা নিয়ে। আসমার বয়স অল্প। না জানি কিভাবে এই ভুল করে বসলো। ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে! কপালে চিন্তার রেখা ফুঁটিয়ে বললেন রেহানা, আসমার এখন প্রায় চার মাস চলে..
শেফালী- কিছু করা যায় না আপা? বাচ্চা নষ্ট করে ফেলা যায় না? ওর মামা জানলে যে কি করবো আমি বুঝতেই পারতাছি না।
রেহানা- এখন আর ওসব চিন্তা করে লাভ নাই। অনেক দেরী হয়ে গেছে। এখন আর বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না। তাছাড়া আসমার বয়স অনেক কম। এখন বাচ্চা নষ্ট করলে হয়তো ও আর কোনদিন মা হতে পারবে না। মেয়েটার লাভের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশী হয়ে যাবে শেফালী! এইগুলা চিন্তা করা বাদ দাও।
-বুঝছি আপা। আমার নিজের পেটেও বাচ্চা আছে। আমি বুঝতাছি! বলে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছে শেফালী।
-কোন পরামর্শ লাগলে আমি আছি, আমাকে ডেকো বলে চলে যায় রেহানা।
যেই আদরের ভাগ্নিকে কখনও বকা দেননি, স্ত্রীর কাছে এই ঘটনা শুনে দিগবিদিক জ্ঞান হারিয়ে আসমাকে কয়েকটি চড় দেন মামা।
মামার পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে সব ঘটনা খুলে বলে। গার্মেন্টসে যাবার পথে এক নির্মানরত বাড়ির সাইট ম্যানেজার ইলিয়াস মোল্লা নামক এক লোকের খপ্পরে পড়ে আসমার আজ এই অবস্থা। যেখানে নরনারীর শারীরিক সম্পর্কের কোন কিছু আসমার জানা ছিল না, সেখানে সন্তান জন্মাবার ইতিবৃত্ত তার কাছে অজানা রহস্যের মতই ছিল। ছেলেটি তাকে প্রেমের ছলনা করে ফুসলিয়ে এই সর্বনাশ করেছে। পরদিন মামা ইলিয়াসের খোঁজে যায় কিন্তু কোথাও খুঁজে তার আর কোন হদিস পাওয়া যায় না।
এদিকে আসমার মানুষিক অবস্থা খুবই খারাপ। হৃদ স্পন্দন বুঝতে পায় সে। নিজের শরীরের মধ্যে অন্য একটা অস্তিত্ত্ব বেড়ে উঠছে ধীরে ধীরে। সমাজের যার কোন স্বীকৃতি নেই। সমাজের কাছে যে শুধু একটা অবৈধ, জারজ শিশু মাত্র।
সারাদিন মেয়েটার এখন কান্নাকাটি করে দিন যায়। মুখ শুকিয়ে এতটুকুন হয়ে গেছে। সারাক্ষণ মনে হয় আত্মহত্যা করে সব কিছুর ইতি টানবে। মামী অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে নজরে নজরে রাখে।
কিছুদিনের মধ্যে মামা জামাল সাহেব নবাবপুরের নতুন বস্তিতে উঠে। যেখানে সন্দেহ করার মত কেউ নেই। মেয়েটা অন্তত ক’টা দিন একটু স্বস্তিতে থাকুক এই ভেবে চোখ মুছে মামা।
আসমার মুখের দিকে তাকানো যায় না। চোখ গর্তে চলে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে শরীরে আর কিছু নেই। ঘরের থেকে বের হয় না। ঘরের বাইরের সব কিছুই তার কাছে নরকের মত মনে হয়। দিন গুনতে থাকে কবে এই নরক যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাবে। ইলিয়াসের লালসার শিকার হয়ে নিজের পরিণতির অপেক্ষা করতে থাকে হতভাগী মেয়েটা।
-খালা! ও খালা!
-কেডা? বলতে বলতে এক মধ্যবয়সী মহিলা ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ায়।
-আমি জামাল হোসেন।
-কি হইছে জামাল মিয়া?
-খালা একটু আমার ঘরে আসেন। আসমার ব্যথা উঠছে।
-তাই নাকি? কই চল দেখি।
আসমা মরার মত পড়ে থাকে। শারীরিক যন্ত্রণা ওকে তেমন স্পর্শ করে না। প্রসব বেদনার মত ভয়াবহ কষ্টকেও নিজের মধ্যে হজম করে নেয়। নয় মাসের এই ধকল ছোট্ট এই মেয়েটাকে যেন অনেক পরিণত করে দিয়েছে। মনে মনে ভাবতে থাকে, কি করবে সে এই সন্তান দিয়ে? কিভাবে মানুষ করবে? কি পরিচয় থাকবে? ভাবতে ভাবতে চোখের কোনা দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে। মামী পাশে বসে চোখ মুছিয়ে দেয়। একসময় আসমার কিশোরী শরীর বিদীর্ণ করে বেরিয়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। আসমা একটি বারের জন্য তার চিৎকার শুনতে পায় বেহুশ হবার আগে। মাত্র একটিবারের জন্যই..
আসমাকে জানানো হয় যে তার একটি মরা ছেলে হয়েছে। শুনে সে কোন উচ্চবাচ্য করে না। ঘটনা অন্তরালেই থেকে গেল। অসহ্য শারীরিক যন্ত্রণা আর মানসিক চাপে আসমার মনে হল ও পাগল হয়ে যাবে। ভোরবেলা মামী একগ্লাস গরম দুধ নিয়ে আসমার কাছে বসে। ও অনেক কষ্টে উঠে বসে জিজ্ঞাসা করেঃ
-মামী বাচ্চাটা কোথায়?
-তোমার মামা খালারে দিসে। উনি ফালাইয়া দিসে।
-ফালাইয়া দিসে? বলেই আসমা মামীর বুকের উপরে মাথা রেখে কাঁদতে থাকে।
-কান্দিস না আসমা। তোর একসময় বিয়া হইব। তখন তোর আবার বাচ্চা হইব!
-আমি ওরে দেখুম মামী। আপনি আমারে লইয়া চলেন…
-তুই কি পাগল হইলি রে আসমা?
-না মামী আপনি আমারে লইয়া চলেন। বাচ্চাটারে একবারের জন্যও দেখলাম না।
-তোর মামা শুনলে রাগ করবো আসমা, এমন করিস না!
-করুক রাগ। আমার আর আছে কি? আমি একবারের জন্য দেখতে চাই।
আপনি আমারে লইয়া চলেন। কই ফেলছে?
-গলির শেষ মাথার প্লটের ধারে নিয়া ফালাইছে।
-মামী বাচ্চা নাকি মরা হইসে? আমি কিন্তু একবার কান্নার শব্দ শুনছিলাম।
আসমার এই প্রশ্নের উত্তরে শেফালো নিশ্চুপ থাকে। বুক চিরে শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে তার। আসমাকে খাট থেকে উঠায়ে দাঁড় করায়। ওর মাথা টলতে থাকে কিন্তু তবুও সে শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। সেও যে মা! তাকে তো দাঁড়াতেই হবে।
শীতের সকাল!!
আসমা গায়ে মামীর দেয়া শালটা জড়িয়ে নেয়। গলির শেষ মাথার প্লটের ধারে খোলা যায়গায় আসমা আর শেফালী এসে দাঁড়ায়। দেখে কয়েকজন মানুষের জটলা। শেফালী বলে, ‘আল্লা’র দোহাই লাগে, কাউরে বুঝতে দিস না যে বাচ্চাটার তোর! লোকে জানলে ঝামেলা করবো..
আসমা মাথা কাঁত করে সায় দেয়। জটলার কাছে গিয়ে শুনতে পায় লোকে বলাবলি করছেঃ
-আহারে! বাচ্চাটারে লবণ খাওয়াইয়া মারছে।
-হ! হারামির পয়দা না হইলে এমন কইরা কেউ বাচ্চারে মারে?
-কে যে লাশটা দুধের কৌটায় কইরা রাইখা গেছে।
-আহারে! কেমন কইরা মারলো বাচ্চাটারে?
-দেখেন না? মুখ ভরতি লবণ? লবণ দিয়া মারছে।
-বাচ্চাডারে কি করুম?
-এইখানেই গর্ত কইরা মাটি চাপা দেই।
-হ এইটাই ঠিক হইবো। কার না কার বাচ্চা কেডা জানে..
লবণ দিয়ে মারার কথা শুনে আসমার সারা শরীর শক্ত হয়ে যায়। ভিড় ঠেলে এগিয়ে গিয়ে শেষবারের মত এক ঝলক দেখে নেয় তার নাড়িছেড়া ধনকে। ঘাসের উপরে ফেলে রাখা এতটুকু একটা বাচ্চার লাশ। শীতে নীল হয়ে গেছে শরীর। পাশে বড় একটা দুধের কৌটা। এক ঝলক দেখেই আসমা সরে আসে। ওখানেই দেখে এক লোক কোদাল নিয়ে এসে মাটি কোপাতে শুরু করে। এক মহিলা একটা ছেড়া শাড়ির টুকরা দিয়ে বাচ্চাটার শরীর মুড়ে দেয়। অল্পক্ষণের মধ্যেই বাচ্চাটাকে মাটি চাপা দেয়া হল। মানুষকে কবর দেয়ার মত নয়। মরা বিড়াল বা কুকুরকে যেভাবে মাটি চাপা দেয় অনেকটা সেভাবেই..
আসমাকে একরকম জোর করে ধরে ওর মামী দূরে নিয়ে আসে। এমন শক্ত শরীর দেখে শেফালী মনে মনে ভয় পেয়ে যায়! মেয়ে যদি কিছু করে বসে আবার? শেফালীর বুক কাঁপতে থাকে!
-আসমা চল বাসায় যাই।
-আপনি যান আমি আমি যামু না।
-যাবি না মানে?
-হ মামী। আমি আর এই শহরে থাকুম না। গেরামে মার কাছে চইলা যামু।
-যাবি পরে যাইস। তোর শইলডাতো ভালা না।
-না মামী। আমি অক্ষনই যামু। আমার আর শইল! সব শেষ হইয়া গেছে। আমি তো এখন বাজারের নটী বেটি হইয়া গেছি।
-তুই এইগুলা কি কস আসমা?
-ঠিকি কই মামী। আমার বালিশের নিচে কয়টা ট্যাকা আছে, আইনা দেন। আমি চইলা যাই। আমার এইখানে আর না থাকলেও চলবো।
অগত্যা শেফালী উপায় না দেখে আসমার হাতে টাকা গুজে দিয়ে একটা রিক্সা ডেকে তাতে উঠিয়ে দেয়। রিক্সায় উঠার আগে আসমাকে জড়িয়ে ধরে সে কাঁদে কিছুক্ষণ। কিন্তু আসমা একটুও কাঁদে না। মামী শিখিয়ে দেয়, কেউ যেন টের না পায়…
দশ বছর পর
বিশাল একটা মাটির স্তুপের সামনে আসমা আর তার স্বামী গিয়াস দাঁড়ায়ে আছে। গিয়াসের কোলে তার ছেলে ঘুমিয়ে। জমিটাতে বাড়ি বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। আসমা অনেক খোজাখুজি করেও জায়গাটা দেখতে পায় না যাকে মায়ের দুধ খাওয়ার আগে লবন খেয়ে মরতে হয়েছে। সব জায়গার মাটি খুঁড়ে ফেলা হয়েছে নতুন দালান উঠানোর উদ্দেশ্যে…
গিয়াস- কি দেখতে আইলা?
আসমা- আমার পোলারে!
গিয়াস- সে তো আমার কোলে ঘুমায়।
দ্বীর্ঘশ্বাসে গিয়াসের কোল থেকে আসমা ছেলেকে নিজের কোলে তুলে নেয়! বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে বলেঃ “হ কেউ ঘুমায় কোলে, কেউ ঘুমায় গোরে..!”
সমাপ্ত
১৭টি মন্তব্য
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
খুব দুঃখজনক ঘটনা। এমন এখন অহরহ এখানে ওখানে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আমরা আসলে অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। সুন্দর বাস্তবসম্মত লেখা। ধন্যবাদ।
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ভাই💯ভাল ও সুস্থ থাকুন সব সময়😇
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক অনেক ভালো লাগলো। এতো সুন্দর করে প্রতিটি চরিত্র, ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন যে মনে হলো সব সত্যি আমার সামনেই সব ঘটে গেছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ আপু পড়া ও এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য! ভাল থাকবেন💯
ফয়জুল মহী
দারুন লিখেছেন
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ ভাই💯
ইঞ্জা
রেজওয়ান, বেশ ভালো গল্প দিলে আজ, লেখাটি আমাদের সমাজের এক কূটিল চরিত্রকেই তুলে আনলে, না জানি কত দুঃখি আসমা এমন পরিস্থিতিতে পড়ছে, দুঃখ লাগলেও কিছুই করতে পারছি, এই দুঃখ।
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ ভাই। মানুষ জাতি দিন দিন সভ্যের না হিংস্র হয়ে যাচ্ছে..এমন কত কেইস রেকর্ড হয় না! হত্যার বিচারও হয় না😭
ভাল থাকুন সব সময় ভাইজান😻
ইঞ্জা
দুঃখজনক। 😢
তৌহিদ
সমাজের কুটিলতা বেশ ভালোভাবেই লেখায় ফুটে ঊঠেছে। আমরা এমন কেন? নিজের মনের শয়তানটাকে বশ করতে পারিনা এটাই আমাদের দূর্বলতা।
দারুণ একটি গল্প পড়লাম ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
রেজওয়ান
মানুষের চেয়ে হিংস্র প্রাণী আর নেই😭
অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য❤
আরজু মুক্তা
বড়ই মর্মান্তিক।
চোখে পানি আসলো।
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য!🍷ভাল ও সুস্থ থাকুন সব সময়💯
জিসান শা ইকরাম
গল্পটি পড়ে মন হুহু করে উঠলো,
কত কস্ট চাপা পরে যায় এভাবেই।
ভালো গল্প।
শুভ কামনা।
রেজওয়ান
অনেক অনেক ভালবাসা নিবেন ভাইজান❤
হালিম নজরুল
গল্পটির কাহিনী ভাল। উপস্থাপনও চমৎকার। তবে এই ছবিটি আমি সমর্থন করি না।
রেজওয়ান
অথচ ছবিটির সাথে গল্পের যথেষ্ট মিল!