
অনেকেই ডিপ্রেশনের কারণে সুইসাইডকে ডিফেন্ড করছেন তাদের কিছু খন্ড ঘটনা বলি..
খেলার মাঠে যখন সবার সামনে আপনার রুগ্ন বডির কারণে যখন শুনতে হয় কাইলা মাছ বা পাট কাঠি। বা পরিবার থেকেই যখন বলে নেশা করিস নাকি তখন যে প্রেশারটা ব্রেইনের উপর পরে সেটাই ডিপ্রেশন!
আপনার চোখ বড় বিধায় “গরুর চোইখা” বলে যখন আপনাকে ক্ষ্যাপানো হয়, বুলি করা হয় সেটার প্রেশারটাই ডিপ্রেশন!
আপনি চশমা পড়েন বলে আপনাকে ব্যাটারি, চার চোখ, ওই চশমা বলে ডাকা হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই যখন এভাবে ডাকে। তাচ্ছিল্য করে হাসে সেই হাসির প্রেশারটাই ডিপ্রেশন!
আপনি আপনার বন্ধুমহলের সবাইকে ভালবাসেন, সবার জন্য আপনার সাধ্য অনুযায়ী খরচ করেন, হঠাৎ একদিন আপনার কাছে টাকা না থাকায় যখন সেই মহলেরই একজন বলে বসে “ওর কাছে টাকা নাই অরে চো*র টাইম নাই, অরে নেওয়ার দরকার নাই” আর কথাটা আপনি শুনে যে প্রেশার ফিল করেন সেটাই ডিপ্রেশন!
আপনি যখন আপনার বন্ধুর দ্বারা আর্থিকভাবে ইউজড হন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার নাম করে আপনাকে নিয়ে যায় তার কাছে বাস ভাড়া পর্যন্ত নাই বলে! পৌঁছে এরপর বলে তুই চলে যা এমন জায়গায় তুই মানানসই না। আপনি লজ্জায় সেখান থেকে চলে আসেন ওই চলে আসার সময়টুকুতে আপনি যে ফিল পান সেটাই ডিপ্রেশন!
আপনি যখন আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে তার থাকার সমস্যার কথা ভেবে আপনার মেসের রুমটা শেয়ার করেন আর সে ওই মেসেরই সদ্য পরিচিত কারোর সঙ্গে আলগা পিরিত দেখায়ে আপনার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়, ইগ্নোর করে আর আপনার নামে গুটি করে নানান সমস্যা তৈরি করে আর এসব জানার পর আপনি যে প্রেশারটা ফিল করেন সেটাই ডিপ্রেশন!
আপনি যখন ভাল রেজাল্ট করেন আর সেই কৃতিত্ব যায় পরিবারের বড়দের আর যখন ফেল করেন সেটার দোষ বর্তায় আপনার উপর সেই প্রেশারটাই ডিপ্রেশন!
একবার ভাবুনতো সেই এসিড দগ্ধ হওয়া মেয়েটার কথা যে এসিড নিক্ষেপ করছে সে কিন্তু এই তথাকথিত সমাজে বুলির শিকার হয় না বরং যে ভিক্টিম সেই প্রতিদিন নোংরা বুলির শিকার হন! ভাবুনতো সেই ইতর প্রজাতির রেপিস্টদের কথা?কতজন সেই রেপিস্টের কথা মনে রাখে? বরং এই নষ্ট সমাজ ভিক্টিমকেই প্রশ্নের জালে হেনস্তা করেঃ
-বাহিরে বের হও কেন?
-তথাকথিত পর্দা করো না কেন?
-নিশ্চয়ই মেয়েরই দোষ ছিলো তাই এমন হয়েছে!
অনেক গ্রাম্য মাতব্বর আছে ভিক্টিমকে বিয়ে দিয়ে দেয় সেই কালপ্রিটের সাথে! অনেক ঘটনা এভাবেই চাপা পরে যায় এই পুরুষতান্ত্রিক নষ্ট সমাজে!এ
এক মুহূর্তেই উলট পালট হয়ে যায় সেই মেয়েটির সকল স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যায়। যে কাল্ট রেপ করলো তার শাস্তিতো হলোই না বরং মেয়েটিকে সেই কাল্টের সাথেই আজীবন থাকার বন্দবস্ত করে দিলো এই সমাজের হর্তাকর্তারা। সেই মেয়েটা আজীবন যে প্রেশারটা বহন করবে সেটাই ডিপ্রেশন!
ভাইরে এমন শতসহস্র ডিপ্রেশনের উদাহরণ দেয়া যাবে আপনার আশেপাশে থাকা হাজারো হাসি হাসি মুখ করে চলা মানুষগুলোর কাছ থেকে! এঁরাই শিখিয়ে দেয় আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। যোদ্ধাদের যুদ্ধ করেই যেতে হয় জয় পরাজয় বলে কিছু নেই তাঁদের কাছে নিজের স্যাটিফ্যাকশনই আসল!
🌹ফেইমের মোহ থেকে বের হতে শিখুন, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন সরিয়ে নেওয়ার। ইগ্নোর করুন টক্সিক মানুষদের। অন্যে কি ভাবলো সেটা ভাবার খুব একটা দরকার নেই। নিজের মত বাঁচুন, বিশ্বাস করুন সত্যিই ভাল থাকবেন..
১৩টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
অতুলনীয় লেখা শুভ কামনা রইলো
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য🎉💯
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব ভালো বলেছেন। নিজের স্যাটিসফেকশনটাই আসল। যুদ্ধ করতে হবে । কিন্তু সবাই সবকিছু নিতে পারে না, সবার সহ্যশক্তি এক হয়না। কেউ খুব আবেগী, কেউ খুব বাস্তববাদী। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাল ও সুস্থ থাকুন সব সময়🎉🎈
প্রদীপ চক্রবর্তী
ফেইমের মোহ থেকে বের হতে শিখুন, নিজেকে প্রস্তুত রাখুন সরিয়ে নেওয়ার। ইগ্নোর করুন টক্সিক মানুষদের। অন্যে কি ভাবলো সেটা ভাবার খুব একটা দরকার নেই। নিজের মত বাঁচুন, বিশ্বাস করুন সত্যিই ভাল থাকবেন..
এটাই মুখ্য বিষয়।
ভালো লাগলো, দাদা।
রেজওয়ান
অনেক ধন্যবাদ দাদা পড়ার জন্য🍷💯ভাল থাকবেন
তৌহিদ
ডিপ্রেশন একটি মেডিকেল কন্ডিশন। তবে পরিবারের সদস্যদের সঠিক শিক্ষাই পারে একজন মানুষকে হতাশা থেকে বের করতে। অথচ আমরা করি উল্টোটা। পজিটিভ কথা না বলে সবসময় মানুষকে খোঁচা দেই, অপমান করি। যা মোটেই উচিত নয়।
ভালো থাকুন ভাই।
রেজওয়ান
পরিবারের অগোচরেই বেশিরভাগ সুইসাইডাল কেইস গুলো হয়!😢আসলে পরিবারকেই প্রথমে বন্ধু হতে হয়💯ভাল থাকবেন ভাই💯
হালিম নজরুল
ডিপ্রেশন অনেক সময় বড় ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। সিজোফ্রেনিয়ার এই ধাপটি কখনো কখনো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
রেজওয়ান
একদম বাস্তবিক সত্য বলেছেন😢ভাল থাকবেন ভাই🍷
আরজু মুক্তা
টক্সিক মানুষগুলোই সমস্যা। ইগনোর করে চললেই জীবন সুন্দর
রেজওয়ান
জি আপু💯ভাল ও সুস্থ থাকবেন সব সময়🎈🎉
রেজওয়ান
জি আপু💯ভাল ও সুস্থ থাকবেন সব সময়🎈🎉