
“আমি তোমার জন্য এসেছি (পর্ব নয়)
-তুমি কেমন আছো..?
-আলহামদুলিল্লাহ্, ভালো আছি।
-তারপর তোমার খবর বলো বয়স তো অনেক হলো এবার কারো গলায় মালাটা পড়িয়ে দাও। অনেকদিন কোন বিয়ের দাওয়াত পাই না পেট ভরে খেতে পারব।
-হি হি হি হি হি পাগল তুমি কি বাসায় না খেয়ে থাক, যে আমার বিয়েতে পেট ভরে খাবে 😂
-না রে পাগলী, বান্ধবীর বিয়ে বলে কথা একটু আনন্দ ফুর্তি বেশি হবে এই আর-কি আর যদি বিয়েতে সুন্দরী কোন নারী আমার প্রেমে সাড়া দেয় তাহলে তো জীবন ধন্য। একটা প্রেম করার সুযোগ পাব, জীবনে তো কেউ প্রেমের অফার করলো না হা হা হা হা।
কখনো কাউকে বলার সুযোগ দিয়েছো, আর বললেও সবাইকে প্রত্যাখান করছো, বলতে বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে করবো প্রেম আমি করবো না বলেই সব বাদ দিতে এখন প্রেম,বিয়ে নিয়ে ভাবো নাকি বললো শীলা।আরে মজা করলাম রে পাগলী দোস্ত তারপর বলো কি অবস্থা তোমার, চাকরিটা তো ছেড়ে দিলে এখন কি করছো..?
শীলা বাসা আর টিভি দেখি মাকে সময় দেই ভালোই সময় কেটে যায়।
-আরাফ!
-বলো।
-আন্টি আঙ্কেল কেমন আছেন.?
-আমার কথা বলে.?
-সবাই ভালো আছে।
তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তোমাকে সবাই চিনে, ভালোবাসে, মাঝে মাঝেই মা প্রশ্ন করে কি রে শীলার কি বিয়ে হয়ে গেছে.?
-আমি বলি নাহ্।
আগের মতো যোগাযোগ হয়না তবে আজ বাড়ি ফিরে মাকে বললো শীলা ভালো আছে।
-শীলা হেসে বললো, তোমার ও বয়স কম হলো না এবার একটা বিয়ে করো আন্টিকে একটু বিশ্রামে দাও।
-আরে শোন আমার মা অন্য মহিলাদের মতো ঘরে বসে থাকে না, সারাদিন পার্টি,সমাজ সেবা করে বেড়ায় বাসায় ১০ ঘন্টা থাকলে ১৪ঘন্টা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন মন খারাপ করে কথা গুলো বললো আরাফ।
-শীলা চা খাবে না কফি, -এই গরমে কিছুই খাব না চল বরং উঠি একটু ছোট খালার বাসা হয়ে যাব বলেই শীলা উঠে দাঁড়াল।
-আরে বসো এক কাপ চা খেয়ে যাও বললো আরাফ।
– আচ্ছা চা শেষ করেই খাবার শীলার ইচ্ছা না করলেও খাবার খেল আরো কিছু গল্প করার পর দুজনেই ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে গেল।
-আসছি পরে মোবাইলে যোগাযোগ করবো আজ সময় নেই তোমার সাথে অনেক কথা জমে আছে দোস্ত নিরিবিলি পরিবেশে বলতে হবে এই হৈ হুল্লু-রে বলা যাবে না বলেই শীলা ক্যান্টিন ত্যাগ করলো আরাফ শীলাকে বিদায় জানিতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
প্রিয়া এবার ৮ম শ্রেণিতে পড়ে গায়ের রংটা আরো উজ্জল হয়েছে, বয়সের সাথে মানানসই স্বাস্থ্য লম্বাটা প্রায় ৫’ ৩ ইন্সি হবে, ভাসা ভাসা চোখ সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ সুন্দরী নারী। মা এখন আর প্রিয়াকে একা স্কুলে যেতে দিতে ভরসা পায়না মিরা স্কুলে নিয়ে যায়, সামনে স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষ পড়াশোনার ব্যাপারে প্রিয়া খুব সিরিয়াস ভালো রেজাল্ট করতে হবে।
রাতের আকাশে সারি সারি তারা দেখা গেল। মেঘমুক্ত রাতের আকাশকে ভালোই লাগছে তার এর আগে এতো ভাল করে আকাশকে লক্ষ করেনি আরাফ। এমন তন্ময় হয়ে আকাশ দেখছে প্রথম বার মনটা আজ বেশ ভালো কলেজ বন্ধ ছিলো, সারাদিন শীলার সাথে ঢাকা শহর ঘুরে বেড়িয়েছে দুপুরে বাইরে খেয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছে।
আরাফ ভাইজান,আকরাম আঙ্কেল আপনাকে ডাকছে একটু ড্রইংরুমে আসুন সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে কি জানি আলোচনা করবে বলেই কাজের মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে আরাফের উওর ….
….চলবে।
সুরাইয়া নার্গিস।
১২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
আজ সকালটা শুরু আপু আপনার
মিষ্টি গল্প পড়ে
ভালো লাগার রেশটা যেন থাকে
সারাদিন ধরে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল দাদা সময় নিয়ে আমার সব লেখা পড়ার জন্য। সব সময় পাশে থাকুন, এভাবে সুন্দর মতামত দিয়ে উৎসাহিত করুন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সব সময় এই দোয়া রইল।
শুভ কামনা সবার জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শীলা আরাফের বন্ধুত্ব টা ভালো লাগছে। সাথে আছি পাশে আছি এগিয়ে যান আপনি। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো। শুভ সকাল
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল দিদি ভাই সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম, সব সময় পাশে থাকুন এভাবে উৎসাহ্ দিয়ে।
দোয়া রইল ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
কামনা রইল
জিসান শা ইকরাম
আরাফ, শীলার বন্ধুত্ব বেশ সুন্দর।
ওদিকে প্রিয়াও বড় হচ্ছে, তবে পিচ্চি এখনো। এই পিচ্চিরে প্রেমে পড়াবেন নাকি আবার?
শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতে অনুপ্রাণিত হলাম।
শীলা তো গল্পে প্রবেশ করেছে দেখা যাক, আরাফের মনে প্রিয়ার জায়গা কতটুকু থাকে নাকি পিচ্চি প্রিয়ার মনে প্রেম জানে সেটাই এখন দেখার বিষয়..!
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা রইল।
তৌহিদ
কৈশোরের ভালোলাগাগুলি লেখায় উঠে আসছে। সুন্দর করে লিখেছেন তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে তাড়াহুড়ো করছেন বেশী। এর জন্যই দাড়ি কমাগুলো মিসিং হচ্ছে।
আবার কিছু কিছু লাইন – ৫ ফুট ৩ এতটুকু লিখলেই হতো, ইঞ্চি লেখার দরকার নেই। কটু দেখাচ্ছে।
রাতের আকাশে সারি সারি তারা দেখা গেল। মেঘমুক্ত রাতের আকাশকে ভালোই লাগছে তার এর আগে এতো ভাল করে আকাশকে লক্ষ করেনি আরাফ। দেখুন এখানে এরকম করা যেতো – উজ্জ্বল আকাশে সারি সারি তারায় মেলার সৌন্দর্যে অভিভূত আরাফ মনে মনে ভাবছে- কি আশ্চর্য! এই সৌন্দর্য আমি আগে দেখিনি!
তারা রাতেই ওঠে তাই আলাদা করে রাত বলার প্রয়োজন নেই আবার মেঘমুক্ত না হলে দেখাও যায়না তাইনা?
নতুন যে কোন কিছুতেই আবেগময় এবং আশ্চর্য হওয়াই হচ্ছে কৈশরের প্রথম লক্ষন। কি ঠিক বললাম না?
লিখুন নিজের মত। নিজেই লিখতে জানিনা উল্টো কি যে সব বললাম!! ভালো থাকবেন আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রইল ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতে অনুপ্রাণিত হলাম।খুব ভালো লাগছে ছোট ছোট বিষয় গুলো বুঝিয়ে দিবার জন্য পরবর্তীতে অবশ্যই এগুলো খেয়াল রাখব। আমি একদম নতুন তাই আপনাদের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।
সব সময় এভাবে ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন এটাই প্রত্যাশা করবো, ভালো থাকুন।
শুভ কামনা রইল সবার জন্য।
তৌহিদ
আরে নাহ!! কি যে বলেন!! আপনি নিজেই অনেক ভালো লেখেন। ভালো থাকবেন আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনিও ভালো থাুকন।
ফয়জুল মহী
পরিপাটি লেখা ,ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল ভাইয়া।আপনার সুন্দর মতামতে অনুপ্রাণিত হলাম, সব সময় উৎসাহ দিয়ে এভাবেই পাশে থাকুন।
ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন শুভ কামনা রইল।