
ফেসবুকে নিজের দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকী দিয়েছেন নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বুবলী। ইনি কিন্তু সেই বুবলী যিনি নিজের ডিগ্রী পরীক্ষায় পাশের জন্য অন্য আটজনকে প্রক্সি দিয়ে লিখিয়েছিলেন।
তার ধারনা, সব দোষ সাংবাদিকদের। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাই এমন খবর প্রকাশ করে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে লিখেছেন-
” ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া পাওয়ার হিসেব রাখিনি। নরসিংদীবাসীকে ভালোবেসেছি। কিছু অপশক্তি পেছনে লেগেছে, কতকিছু ঘটনা দেশে ঘটে, এত লেখালেখি কেউ করে না। আপনারা এটা নিয়ে এমনভাবে লিখছেন যেন আমার জন্য ৫০ জীবন শেষ হয়ে গেছে। লুটপাট হয়েছে, সর্বনাশ হয়েছে অনেকের।
আমার যদি কিছু হয়… দুই বাচ্চা নিয়ে সুইসাইড করি খুশি হবেন তো আপনারা? ঠিক আছে আপনাদের খুশিই আমার খুশি। ভালো থাকুক আমার সাংবাদিক ভাইরা, আল্লাহ ভালো রাখুক আপনাদের।
আমার এ জীবনে পাওয়ার চাইতে মনের দুঃখে মরেছি অনেকবার, বারবার মরার চাইতে একবারে মরে গেলেই ভালো মনে করি।”
নৈতিকতা বিবর্জিত এমন কাজ করার জন্য তিনি সরকারদলীয় সংগঠন থেকে বহিস্কৃত হন। কিন্তু তার সন্তানের কি দোষ? তারাতো অনৈতিক কর্ম করেনি। তাহলে এমন কথা বলে বুবলী নিজের সাথে সন্তানদের জড়িয়ে আরও বড়ো রকমের নৈতিক স্থলনের শিকার হলেননা কি?
একজন সংসদ সদস্যের এমন গর্হিত কাজ কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয়। একজন মা হিসেবে যিনি নিজের সাথে তার সন্তানের মৃত্যু কামনা করেন আর যাই হোক তিনি দেশের কোন মঙ্গল চাইতে পারেননা। তিনি তার ভুল বুঝতে পারবেন এটাই কাম্য।
২৫টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
একজন মা হিসেবে যিনি নিজের সাথে তার সন্তানের মৃত্যু কামনা করেন আর যাই হোক তিনি দেশের কোন মঙ্গল চাইতে পারেননা।
কথা গুলো একদম সঠিক
তৌহিদ
হয়তো আবেগের বসেই এমন বলেছেন। তবে একজন সাংসদের কাছ থেকে এমনতর কথা আশা করা যায়না।
কামাল উদ্দিন
এটা যদি ওনি থাকেন তাহলে ওনাকে আমি বোকা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না। ওনি আমার প্রতিবেশী।
তৌহিদ
টিভি মিডিয়া সব তোলপাড় এই খবরে আর প্রতিবেশীর খবর জানেন না? এটা তারই স্ট্যাটাস ভাই। উনি বোকার মতই কাজ করেছেন। হয়তো অতি আবেগেই বলেছেন এসব।
নিতাই বাবু
আমার ছোট্ট একটি প্রশ্ন: যিনি নিজের পরিক্ষা নিজে দিয়ে, টাকার বিনিময়ে অন্য আরও ৮/১০ মানুষ দিয়ে করাতে পারে, তার কাছ থেকে মানুষ কী আশা করতে পারে? আর এই সত্য ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসার কারণে, তিনি এখন সাংবাদিক ভাউদের দুষছেন এবং নিজের আণ্ডাবাচ্চা নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি এবারও আরেকটি হাস্যকর ঘটনার জন্ম দিলেন, বলে মনে হয়।
তৌহিদ
অবশ্যই হাস্যকর এবং মুর্খামিরর পরিচয় এটি দাদা। একজন সাংসদ এমন কি করে করতে পারেন?
শিপু ভাই
লজ্জিত হয়ে তার চুপ থাকাই শ্রেয় ছিল।
তা না করে উনি উল্টো গলাবাজি করছেন।
উনি নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ করেছেন।
তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হোক।
তৌহিদ
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ভাই। এমন মানুষ সংসদে বসার অযোগ্য।
ভালো থাকবেন ভাই।
এস.জেড বাবু
” ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া পাওয়ার হিসেব রাখিনি। নরসিংদীবাসীকে ভালোবেসেছি। কিছু অপশক্তি পেছনে লেগেছে, কতকিছু ঘটনা দেশে ঘটে,
এজন্য উনাকে এমন বাজে একটা কাজ করার লাইসেন্স দিতে হবে এটা কেমন কথা।
তিনি বোকা নন, বোকার হাড্ডি।
খবরের শতভাগ সত্যতা তিনি নিজেই নিশ্চিত করে দিলেন।
অভিনন্দন সাংবাদিকগণ।
তৌহিদ
আসলেই বোকার মত কাজ করেছেন তিনি। এটা মোটেই কাম্য নয়।
ভালো থাকবেন বাবু ভাই।
এস.জেড বাবু
এদের মতো অবস্থানের মানুষদের বোকামী, জাতির জন্য লজ্জার।
এটা কখনোই ওরা ভাবে না।
যেদিন ভাববে, পাল্টে যাবে দেশ।
শুভেচ্ছা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
যে ভাবেই হোক তিনি ভুল করেছে, এটা তাঁকে মেনে নিতেই হবে।
তৌহিদ
জ্বী ভাই, অবশ্যই তিনি ভুল করেছেন। এটা মানতেই হবে তাকে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
উনি যা করতে চাচ্ছেন বা করবেন তার পেছনের মূল কারণ হচ্ছে আবেগ।
আবেগের বশবর্তী হয়ে এ পথ বেছে নিয়েছেন।
যা মোটেও কাম্য নয়।
তৌহিদ
একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন আবেগ কিছুতেই মানা যায়না। ভালো থেকো ভাই।
জিসান শা ইকরাম
তার উচিৎ ছিলো ভুল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া,
ওনার বি এ পাশ সনদ কেন দরকার? এমন তো নয় যে বি এ পাশ না হলে সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না।
ওনার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের তীব্র নিন্দা জানাই।
পোষ্ট দিয়ে ঘটনা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিগন নিজেদের ভুল স্বীকার করতে চাননা এটাই সমস্যা। এই কালচার থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।
পড়াশুনা করতে চান ভালো কথা তবে তার পথটি ছিলো অনৈতিক। যা মোটেই কাম্য নয়।
ভালো থাকবেন ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
উনি যা করতে চাচ্ছেন বা করবেন তার পেছনের মূল কারণ হচ্ছে আবেগ।
আবেগের বশবর্তী হয়েছে, যা মোটেও কাম্যনয়।
তৌহিদ
আবেগে অনেক অপকর্ম হয়ে যায় মানুষের দ্বারা তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা জরূরী।
ভালো বলেছেন দাদা।
মাহবুবুল আলম
জাস্ট ইমুশন্যাল ব্লাকমেইল।
তৌহিদ
হ্যা ভাইজান, একদম ঠিক। যা মোটেও উচিত নয়।
নুর হোসেন
এরকম ভাঁড় চরিত্রের নেত্রীরা যদি দেশের রাজনীতির সাথে যোগ থাকেন,
তাহলে প্রশ্নফাঁস, বালিশ দুর্নীতি, ক্ষমতাসীন লোকজনদের গনধর্ষণ আর রওশন এরশাদ ও মতিয়া চৌধুরী, ইনুদের শনপাপড়ীর মগজ নিয়ে পবিত্র পার্লামেন্টের শৌচাগার ভরাটে কোন দোষ দেখিনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার প্রচারনা অপরাধ।
সাইবার ক্রাইমের ধারা অনুযায়ী গার্বেজ মহিলাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
তৌহিদ
এদের মত নির্বোধ মানুষদের জন্য আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়।
ভালো থাকবেন ভাই।
আরজু মুক্তা
মাথায় বুদ্ধি কম
তৌহিদ
ঘিলু কম দিয়া তিনি সংসার সামলান কিন্তু!! আর সংসদ সেতো ডালভাত।😃