
বাড়ির ধারে আরশি নগর-পাঠ-৩
——————–*———————————-
আরে আরে কি করছে দেখো ঠাকুরের বেটা -দিলো তো দিন’টা নষ্ট করে?
কি হয়েছে নুছরাত বেগম-আর বলনা এই যে সকাল সন্ধ্যা তুলসী পাতা আর জল দিয়ে মানুষ কে বিরক্ত করে-কি করে সইবো বলো।,সে তুমি রাগ করনা নুছরাত বেগম-তবে সে মানুষ কিন্তু খুব ভালো!তাও ভালো, সে’তো সকাল আর সন্ধ্যা, তবে তোরা যে মাইক লাগিয়ে আল্লা বলিস, আল্লা শুনবলে আল্লা কি শুনো- তাই বলি কি
এসব বাদ দে না তোরা,সবাই মিলেমিশে চলতে শিখ -সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি কর,দেখবে বিরক্তি আর লাগছেনা!
তবে যাই বলিস এই আড়শি নগরে মানুষ বড় অদ্ভুত, যেনো এ-কি সুতোয় বাঁধা,কোন দন্দ নেই,নেই বিবাধ ঝগড়া দিন শেষে সবাই এক সাথে এক থালাতে বসে খায়!
আচ্ছা চল দুজনে মিলে একসাথে চা খাই,তবে চলো।
কি-রে কৃষ্ণ কেমন আছিস তুই, -এই তো বেশ ভালো আছি দাদা, তুমি কেমন আছ গো -বেশ ভালো!আমাদের দু-কাঁপ চা দে-তো, আচ্ছা বসেন দিচ্ছি?
কি ভাবছিস রে তুই , না কিছু না,তবে এদের জ্বলায় আর পারিনা দাদা-?
সেই সকাল সন্ধ্যা, এই একি কথার দন্দ,হিন্দু আর মুসলমান।
ছাড় না এসব কথা তুই আগে দু কাপ চা দিবি,
মাথাটা ঠাণ্ডা করি!
বসেন দিচ্ছি।কি-রে কৃষ্ণ চিনির দামটা কমে গেছে নাকি – ওটা কি দিলে, চা না সর্বত!
আমি তো চা’ই দিয়েছি।
তবে আর পারলাম কই – ভাবছি চায়ের সাথে বিশ মিশিয়ে দেবো,!
ওরে কৃষ্ণ এসব বাদ দে, এখন বলো দামটা হলো কতো?
কি যে বলো দাদা, দামটা যেন তুমি জানোনা, এই সকল সকাল মাথাটা গরম কইরে দিও না,দামটা দিয়ে যাও তোমার যা ইচ্ছে।
আচ্ছা ঠিকআছে,?
কি মিত্র বাবু এবার যাওয়া যাক- না হলে যে বাবা বকবেন শেষে।
বেশ চলো,
হেরে সাগর আজ আসি আরেক দিন আসবো , কি মিত্র বাবু এতো তাড়াহুড়া কেন,কি হইছে তোমার কি-গো ফাতেমা তুমি কি কিছু বলবে,না সৌরভ বাবু, আমি আর কি বলবো বলো,আমার কিছু বলার নেই,
তা হলে মিত্র বাবু আজ না হয় আসো,তবে হে অন্য দিন আসলে হাতে সময় নিয়ে এসো।
হে-রে ঠিক আছে আবার আসলে সময় নিয়েই আসবো,।
তবে হা আমাদের পড়শি পাড়া শিবানীর বিয়য়ে তোরা আসবে কি,হে মিত্র বাবু সে-তো অবশ্যই আসবো।
তা- হলে আজ আসি, হে আসো,সবাই ভালো থাকিস,তুমিও ভালো থেকো।
এসো ফাতেমা,এবার না হয় যাওয়া যাক।
সেতো বটেই, চলো তাহলে,তবে হে বাড়িতে গিয়ে মাসিমাকে বলবানা আমার কথা।
বেশতো বলবো,এবার চলো-হে চলো।
জানো ফাতেমা আজ বহুদিন পর আনন্দ পেলাম-
সকল বন্ধুদের সাথে কথা বলে,হু তুমি ঠিক বলেছে
আমিও তো খাঁচায় বন্দী ছিলাম একা একা বেরতে ভাল লাগতো না, আজ আনন্দের নিশ্বাস নিচ্ছি বহু দিন পর, বেশ!
তবে হে, কি-?
সামনে চেয়ে দেখো,বাড়ির কাছে এসেছি
এখন একটু চুপ থাকো,আজ বকে দেবে কাকা বাবু-আচ্ছা চুপ থাকলাম,
তুমি যাও ফাতেমা,দেখি কি করা যায়, আচ্ছা ঠিক আছে মিত্র বাবু,তুমিও যাও,হে আসি ফাতেমা কাল আবার দেখা হবে,হু হু ঠিক আছে।
দাঁড়াও সোনার ছেলে,এখন তোমার আসার সময় হলো বুঝি,গড়ি দেখেছ এখন কয়টা বাজে।
কিছু বলছ না কেন,মাথা নিচু করে আছ যে,আমার সোনার ছেলে,
তবে তুমি বলো সেই সকাল বেলা বেরিয়ে ছিলে এখন তো সন্ধ্যা বেলা ?
আহা্, থামো তো মিত্রের বাবা,ছেলেটা আমার সারাদিনে বাড়ি ফিরছে আর তুমিমি যা তা বকছ।
তুমি চুপ থাকো তো,ছেলে কে আসকারা দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলে রেখেছ,লেখা পড়ার নামে নাম নেই,শুধু বন্ধু আর বন্ধু, ছাঁপ কথা বলে দিচ্ছি হে,পড়ালেখা করলে
ঠিক ভাবে করতে হব-
তা,না হলে বেপসায় বসতে বলো, ভালো হবে আমিও একটু সাহায্য পাব।
সে দেখা যাবে তুমি এখন চুপ কর।
ভুলহলে ক্ষমা করবেন ধন্যবাদ।
১০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
গল্পে যা বুঝিয়েছেন, আসলে বাস্তবেও তাই হয়। প্রতিবেশি কোন ধর্মের বা তারা কে কার আরাধনা করে এটা নিয়ে কম মানুষই মাথা ঘামায়। দিন শুরু আর শেষ পর্যন্ত একে অপরের সাথেই মিলেমিশে থাকে, বাঁচে।
ভালো লাগলো লেখাটি। বানান কিছুটা ঠিক করে নিলে আরও সুন্দর ভাবে পড়া যেত।
শুভ কামনা দাদা 🌹🌹
সঞ্জয় মালাকার
হু ঠিক আছে দিদি, আমি সম্পাদনা করেনেবো ,
ধন্যবাদ দিদি শুভেচ্ছা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
প্রতিবেশী-ই আমাদের পরম আত্নীয় এ কথাটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
সঞ্জয় মালাকার
হে দাদা আপনি ঠিক বলেছে পড়াপ্রতিবেশী আমাদের পরম আত্নীয়।
ধন্যবাদ দাদা শুভেচ্ছা রইল।
জিসান শা ইকরাম
বিপদে আপদে পাড়া প্রতিবেশীরাই আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়,
পাড়া প্রতিবেশীরাই আমাদের পরম আত্মীয়।
গল্প ভালো লেগেছে দাদা,
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
আপনি পড়েছেন ভইজান আমি ধন্য হলাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
জিসান শা ইকরাম
মোবাইলের সমস্যার সমাধান হয়েছে আশাকরি।
প্রবাসে ভালো থাকবেন।
সঞ্জয় মালাকার
হ্যা ভাইজান ঠিক হয়েছে, আর আপনার জন্য শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
বিপদে সর্বপ্রথম আসে প্রতিবেশী।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দিদি শুভেচ্ছা অফুরন্ত , ঠিক বলেছেন প্রতিবেশী’ই আপন বন্ধু।