বাইরে কালবৈশাখী ঝর
আমি একা কেবল হেঁটে চলেছি
ভিজে একাকার , কেউ নেই পাশে !
এক মুহূর্তের জন্য মনে হোল ,
আমার পাশে যদি সে থাকতো ?
আমি কল্পনায় ডুবতে লাগলাম
ক্যামন যেন একটা ঘোরের মতো
তীব্র ঝরের সন্ধ্যায় রাস্তায় আমরা দুজন
আমি ওর হাতটা একটু ধরতাম
ধরে হেঁটে যেতাম নীরব রাস্তার উপর দিয়ে
মৃদু স্বরে ও আমার সাথে কথা বলতো
আমি ওকে বলতাম একটা বৃষ্টির গান ধরনা গো !
ও বেসুরো গলায় বেসুরো বৃষ্টির গান শোনাত
আমি তাই শুনতাম মন্ত্র মুগ্ধের মতো ।
ও আমাকে অদ্ভুত রকমের ভালোবাসে
আমার সবকিছুই ওর ভালোলাগে
আমার চুল, আমার গা এর শ্যামা রং
আমার চোখ নাকি ওকে খুব টানে
যেদিন আমার কপালে কালো টিপ থাকেনা
সেদিন ওর ভীষণ অভিমানি চোখ দেখেই আমি মুগ্ধ হই ।
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি ও কি করে
আমাকে এতো ভালোবাসে ?
কি করে আমাকে ঘিরে থাকে ??
সব দুঃখ ভুলে মাঝে মাঝে ওকে খুব ভালবাসতে ইচ্ছা করে
একরাশ মৌনতা এসে তখন আমার মন খারাপ করে দিয়ে চলে যায়
আমি যে ওর ভালোবাসার নিদারুণ কাঙাল !!
৬টি মন্তব্য
বনলতা সেন
সুন্দর আবেগময় কবিতা।মন খারাপ ভালো হয়ে যাক ।
সুলতানা সোনিয়া
সুন্দর মন্তব্য দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ , ব্লগে এসে আপনাকেই প্রথম আমার অতিথি হিসেবে পেলাম। ভালো লাগেছে ।
জবরুল আলম সুমন
প্রতিটি লাইনেই ভালোবাসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালোই লাগে এমন ভালোবাসাময় কবিতা পড়তে… 🙂
সুলতানা সোনিয়া
ভালো থাকুন সুমন , শুভ কামনা আপনার জন্য ।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ভালো লাগলো কবিতাটি।
শুভ কামনা ।
সুরাইয়া পারভীন
আমিও যে তার ভালোবাসার নিদারুণ কাঙ্কাল
আমিও চাই তার হাতটি ধরে ঝড়োবৃষ্টির জলে ভিজতে
সবার সব ইচ্ছে পূরণ হয় না
দারুণ লিখেছেন