১
সেন্টারফোল্ডের মতো ঝলমলে উপস্থাপন –
এই দেখো, না দেখোনা লুকোচুরি
আজ এই হাত কাল ঐ হাত ঘোরাঘুরি –
এইরকম করে আর কতদূর যাবে?
অথচ আমি তো জানি –
জীবন বদলাতে চেয়েছিলে, চারুলতা।
২
কখন যে মুছে আসে আলো –
কখন যে পর হয় পরিচিত ঘ্রাণ,
মনে রাখবার আয়োজন করেই ভুলেছি তার সব
কথা, ব্যথা, হাসি, অভিমান ; একান্ত অনুভব।
৩
খর রোদ্দুরের –
নিদাঘ দাহকালে
বিভাজনের ছবি দেখি,
আকাশের আয়নায়।
দ্বিখণ্ডিত জীবনের –
উড়াল দ্বীর্ঘশ্বাস
বেপথু হাওয়ায়
বিষণ্ণ পরবাস।
৪
সেই যে নদীটা –
যার বুকের থেকে দেখা যায়,
পথে পথে মায়া ছড়ানো।
তার সাথে দেখা হলে ফের, জেনে নিও –
তার জলের কোন ঘুর্নিতে দুঃখ লুকানো।
৫
আতশবাজির রঙের উৎসবে বিব্রত জোছনা
আমার নিঃসাড় মুখ দেখো –
তোমাদের রঙ্গীন আলোর সৌরভ ;
আমার আধাঁর পোড়ানো, বোঝনা।
৬
অথচ, সহায় হবার কথা ছিল …
নিশূন্য চরাচরে, মৃত সময়ের ঐ পাড়ে –
সাহস দেবার কথা ছিল অন্ধকারে
কি অদ্ভুত মানবজীবন।
১১টি মন্তব্য
নীরা সাদীয়া
বেশ ভাল লেগেছে। ২,৩ বেশি ভাল হয়েছে। বাকিগুলো ভাল লেগেছে। সবচেয়ে ভাল আপনার ভাষার ব্যবহার এবং নির্ভূল বানান।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ আপনাকে নীরা 🙂
বানান নিয়ে আমি প্রচুর কনফিউজড থাকি, ভাগ্য ভালো এইখানে ভুল হয় নাই।
জিসান শা ইকরাম
শিরোনামই যে একটি লেখার প্রাণ, তা এই শিরোনামের সব লেখা গুলো পড়লেই বুঝা যায়। শব্দরা অবতির্ন হচ্ছে মনে হয় 🙂
শুভ কামনা।
আগুন রঙের শিমুল
দাদা (3
নীলাঞ্জনা নীলা
বদলাতে চাইলেই বদল হওয়া যায়না। তাহলে এমন অনেক চারুলতা আছে যাদের স্বপ্ন নেই। লাল-নীল বাতির আলোয় তারা ঝিলিক দেয়, আর দিনের আলোয় অচেনা রোদ্দুর। সাদা-কালো। প্রতিটি কবিতাই দারুণ। আর১, ৪, ৫ মন ছুঁয়েছে।
আগুন রঙের শিমুল
এর জন্যই হয়তো রাজারা চিরকাল জিতে যায়, অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়ে আধারে মিলায়
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ বেশ বললেন তো! পরিচিত কবিতাকে মন্তব্য বাক্সে নতুন করে সাজিয়ে নিয়ে এলেন যেনো।
মোঃ মজিবর রহমান
খর রোদ্দুরের –
নিদাঘ দাহকালে
বিভাজনের ছবি দেখি,
আকাশের আয়নায়।
দ্বিখণ্ডিত জীবনের –
উড়াল দ্বীর্ঘশ্বাস
বেপথু হাওয়ায়
বিষণ্ণ পরবাস।
অপুরব লাগলো।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ ভাই (3
প্রহেলিকা
সবগুলোই বলিষ্ঠ! টানে।
আগুন রঙের শিমুল
থেঙ্কিউ প্রহেলিকা (3