আমার ভাবনায় আমি, লিখতে গিয়ে দেখছি আমার মধ্যেও অস্তিত্বের বিরাট ধারাক্রমে অনেক কিছুই স্বীকার করেছি যা আগে কখন স্বীকার করি নাই । যেমন, আগে প্রচণ্ড তীব্রতার সাথে অন্যায়ের প্রতীবাদ করতাম, এখনো করি কিন্তু মনে হয় সেই বজ্র কণ্ঠের আওয়াজ আছে কিন্তু সেই বলিষ্ঠ বিশ্বাসের অমর্যাদায় আমার বিশ্বাসের সুন্দর যেখানে অবনত হয় লজ্জা ও অপমানে । এবং তাদের দেখি নির্লজ্জের মতো তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয় কিন্তু আমার বিশ্বাস আমাকে বলে তাদের শব্দাবলী কি জীবনের নান্দনিকতার চিরকালীন আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণতা দিতে পারে ? অথবা শুভ্রতার অমল স্পর্শ ছড়াতে ? নাহ,- তাই কালের কটাক্ষকে স্বীকার করে যুগের দাবীর সাথে একাত্ম ঘোষণা করেই আমি আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনায় আমি থাকি সচল । যুগ তার স্বাভাবিক নিয়মে প্রভাব ফেলবে কিন্তু যুগের প্রভাবে কেন আমি আমার একান্ত নিজস্ব বলয়ের অস্তিত্বে সামান্যতমও আঁচর ফেলবার সুযোগ করে দেব । এখানে উপরের চিন্তা আর শেষ বক্তব্যের চিন্তায় ব্যবধান লক্ষ্য করছি । এই যে লিখতে গিয়ে অথবা কথা বলতে গিয়ে ব্যবধানের উপলব্ধি করতে পারাইত চরম স্বীকারোক্তি । সে সমকাল আগামীকালের হৃৎস্পন্দনকে অনুভব করতে পারে না, এবং পারে না বিগত কালের ঐতিহ্যকে আপন করতলে ধারণ করতে– তা তো শুধুই ক্ষণকালের স্ফুলিঙ্গ হয়ে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু যা সত্য, সুন্দর, মোহন এবং আনন্দ-সঞ্চারী; দুর্বিনীত অসুন্দরের প্রতাপে তা কখনো কখনো মূর্ছাতুর হলেও মৃত্যুতে তা অবসিত হয় না কখনই । তাইতো আমি ফিরে আসি শালীন শব্দের ফেনপুঞ্জের কাছে, এবং অনড় প্রত্যয়ে স্থির হয়ে আছি অভিজাতিক রুচি-বৈদগ্ধ্যের স্বাক্ষরবাহী জীবন চলার তরঙ্গের বেলাভূমিতে । আর এ কারণেই আমার জীবন সম্পদে সমুদ্রের কল্লোল মিশে থাকে ।।
৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
যা সত্য, সুন্দর, মোহন এবং আনন্দ-সঞ্চারী; দুর্বিনীত অসুন্দরের প্রতাপে তা কখনো কখনো মূর্ছাতুর হলেও মৃত্যুতে তা অবসিত হয় না কখনই
তা ঠিক।
সৈয়দ আলী উল আমিন
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
“যুগ তার স্বাভাবিক নিয়মে প্রভাব ফেলবে কিন্তু যুগের প্রভাবে কেন আমি আমার একান্ত নিজস্ব বলয়ের অস্তিত্বে সামান্যতমও আঁচড় ফেলবার সুযোগ করে দেব।” সম্পূর্ণ লেখাটি এই একটি লাইনেই গেঁথে গেলো।
সৈয়দ আলী উল আমিন
আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর একটি লেখা। হ্যাঁ সময়ে ভেসে নিজের রুচিকে মিটিয়ে দেয়া ঠিক নয়। আমরা প্রয়োজন পাল্টাতে পারি তবে নিজের প্রত্যয়ে নয়। ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
চিঠি প্রতিযোগিতায় চিঠি দেবেন না ভাইয়া? লিখে ফেলুন।
সৈয়দ আলী উল আমিন
আন্তরিক ধন্যবাদ। সময় পেলে নিশ্চয়ই চিঠি প্রতিযোগিতায় চিঠি , লিখব।
প্রহেলিকা
যা সত্য, সুন্দর, মোহন এবং আনন্দ-সঞ্চারী; দুর্বিনীত অসুন্দরের প্রতাপে তা কখনো কখনো মূর্ছাতুর হলেও মৃত্যুতে তা অবসিত হয় না কখনই ।
সহমত, সত্য অমোঘ। ভাল লাগল ভাবনা।
সৈয়দ আলী উল আমিন
আন্তরিক ধন্যবাদ_____