ঈশ্বর কে নিয়ে কবিতা লিখবো
ভেবেছিলাম
তাকে খুঁজে পাই নি।
রোজকার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপালাম
ঈশ্বর কে খুজে পাই নি।
পবিত্রতায় মন ভরে গেছে বড্ড
চায়ের কাপের উষ্ণতায় অনুভব করছি
তোমায়।
বিশ্বাস করুন ঈশ্বর – পথশিশুর চিৎকারে
কেঁপে উঠা শহর থেকে তোমায় খুঁজেছি ,
শীতের রাতের অসহায় মানুষগুলো আর ওই
বৃদ্ধা মহিলার কঙ্কাল সার হাতের
রেখাগুলো আজ ক্লান্ত তোমায় খুঁজে খুঁজে।
ঈশ্বর কে নিয়ে কবিতা লিখবো
ভেবেছিলাম।
যে কবিতায় মিথ্যা থাকবে না।
যে কবিতায় থাকবে না অনাহারী, দুঃখী
মানুষের গল্প !
গোটা শহরে মাইকিং করেছি..! পোস্টারে
পোস্টারে দেয়াল ভরিয়েছি
কালো পতাকার নিশান উড়িয়েছি, ঈশ্বর কে
খুঁজে পাই নি।
ওই যে অভয়াশ্রম এর বৃদ্ধ কাঁদে পাশের
বাড়িতে কাজ করা শিশু কাঁদে,
মরে যাওয়া মানুষের অত্তা কাঁদে,
বৃষ্টি হলে আকাশ কাঁদে …!
তবুও ঈশ্বর আসেন নি।
পদ্মানদীর মাঝি কুবের ঠিকই বলেছিল –
“ঈশ্বর কে এখানে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে
না, ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লীতে !”
১৩টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
অভাবে ও ঈশ্বর কাঁদে, ঈশ্বর তখনও কাঁদে যখন, সে কঙ্কাল হাড্ডিসার হাতটি মাটিতে লেপ্টে থাকতে দেখে।
সুন্দর, শুভকামনা রইল।
ইয়াসির রাফা
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল।
আবু খায়ের আনিছ
সৃষ্টিকর্তাকে খোজাঁ নিষেধ আছে, সৃষ্টিকে খুজুঁন। ভালো লিখেছেন।
তেলাপোকা রোমেন
খোঁজা নিষেধ আছে। খুজতে তো নিষেধ নেই না?
আবু খায়ের আনিছ
খোজাঁ বলতে আমি তাকে নিয়ে গবেষণা না করতে বলেছি। এটা করতে গেলো ঝামেলা।
তেলাপোকা রোমেন
ইশ্বর থাকেন ভদ্রপল্লীতে অথবা বেশ্যাবাড়ির ইয়াসমিনের চাপাকান্নায় 🙂
উনি অনিশ্চয়তা নীতি মানেন
ইয়াসির রাফা
রোমেন সাহেব আপনার মন্তব্য টা ভাল লাগলো নাহ।
এ ধরনের মন্তব্য করার চেয়ে না করাই ভাল।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে ঈশ্বর থাকেন না।
উনার ঠিকানা বদলে গেছে।
কবিতায় ভালো লাগা।
ইয়াসির রাফা
শুভেচ্ছা নীলা আপা।
মেহেরী তাজ
হাসি, কান্না, আনন্দ, প্রাণী, প্রাণ সবই ঈশ্বর। ঈশ্বরেন কোন একক রুপ নেই! তাই ঈশ্বর কে খোজা অমূলক।
কবিতা ভালো লেগেছে…. 🙂
ইয়াসির রাফা
ধন্যবাদ মন্তব্য প্রকাশের জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
ঈশ্বর সর্বত্র, খুনী মানুষের ভেতরেও ঈশ্বর আছে।
ভালো লেগেছে কবিতা ভাই।
ইয়াসির রাফা
ধন্যবাদ।