তুমি আছো রাতের বিস্তৃত খোলা জানালায়,
মোমের আলোয় লুকোচুরি খেলায়।
তুমি আছো চট্ট মেট্টো ঘ’তে ফিরে যাওয়া পথে,
তুমি আছো কিশোরের ঘর্মাক্ত বুকে মুখ গুঁজে।
তুমি আছো অবশূন্যতায়, আছো মুগ্ধতায় ।
অন্য কারো বুকের বাম পাশে দাঁড়িয়ে ।
আর আমি ছবি তুলে যাই !
আমার বুকে সারা জীবন মাথা রাখতে কি
বেশি কষ্ট হত শুদ্ধা?
তুমি ছিলে অভ্যস্ততা, ব্যস্ততা ,ভালবাসি’র তীব্র যন্ত্রণা।
তুমি ছিলে আমার ছবির প্রথম মানুষটা।
আচ্ছা তুমি কি আমায় বুঝেছিলে?
নাকি চোখের পানিতে মেকাপ নষ্ট না
হওয়ার দিকেই তোমার সবটুকু চেতনা নিবিষ্ট ছিল?
‘এত বছর পর কেমন আছি জানতে চাচ্ছো
শুদ্ধা?’
আমি আছি স্মৃতি-বিস্মৃতির ফাঁকে এক
ফটোগ্রাফার ।
১০টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
ভালো লাগল।
নিজে লিখুন অন্যদের লেখাও পড়ুন।
ইয়াসির রাফা
ধন্যাবাদ
মৌনতা রিতু
চোখের পানি গড়িয়ে পড়লেই কি শুধু ব্যাথার প্রকাশ পায় ?
অন্যের বাম পাশে ভালবাসার সেই মুখটির ছবি তুলতে আসলেও কষ্টকর।
কবিতা ভাল হয়েছে।
ইয়াসির রাফা
ধন্যাবাদ
ইঞ্জা
বিমোহিত
ইয়াসির রাফা
সার্থকতা।
ধন্যাবাদ
অনিকেত নন্দিনী
সব ছবি কি আর টিকে থাকে? কিছু ছবি ঝাপসা হয়ে যায়, কিছু ছবি চাপ লেগে মুছে যায়, প্রিন্ট করা কিছু ছবি ছত্রাক পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
ছবিগ্রাহক কি আর একটা ছবিকে আঁকড়ে পড়ে থাকে? তাকে একের পর এক ছবি তুলে যেতে হয়। জীবন বহতা নদী, বয়ে চলে যায়। “চট্ট মেট্রো ঘ” এর মতো নয় তার পথ, তার পথ একমুখী।
ছবি তুলতে থাকুন। মেমরি কার্ডের জায়গা ফুরোবার আগে আরো অনেক ছবি তুলুন। ওই একজন ছাড়া আরো অন্যদের ছবিও তুলুন। দেখুন জীবন আনন্দময় কতোকিছু নিয়ে অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য।
শুভকামনা।
ইয়াসির রাফা
সুন্দর বলেছেন।
শুভেচ্ছা নিবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতায় ভালো লাগা রইলো।
ইয়াসির রাফা
ভাল লাগলেই সার্থকতা।