সময় কারো জন্য থেমে থাকে না।আজ পর্যন্ত কোন মানুষ মৃত্যুর সময়ের রেখা অতিক্রম করতে পারেনি।সময় আসলে মরতে হবে সবাই জানেন,কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ সময় এলে যখন কার্য সম্পন্ন হয় তখন বুদ্ধিমান লোক ব্যতীত অন্যরা হৈ চৈ শুরু করে দেয়।আগুনে হাত রাখলে হাত যেমন পুড়ে যায় তেমনি পানিতে হাত রাখলে হাত ভিজবে।অর্থাৎ কার্য সম্পন্ন হলে তার ফল অবশ্যম্ভাবী।
তাই কুরআন ও হাদিসের উল্লেখিত সমস্ত ঘটনা যখন ঘটে যাবে তখন তা বাস্তবায়ন হবেই,এটা কোন মানুষের পক্ষে রোধ করা সম্ভব নয়।মানুষের পক্ষে সম্ভব শুধু মাত্র তা যা,না বুঝে ভুল পথে পরিচালিত হওয়া এবং সত্য গ্রহণের পরিবর্তে না বুঝেও বিরোধিতা করা সে সব বুঝ অবুঝদের স্রষ্টার আনুগত্যের প্রতি ধাপিত করার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন।আবার এ সব নবীগনের অনুসারি হয়ে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন কিছু ধার্মিক পীর আওলীয়া জাতের সাদা মনের ব্যাক্তিবর্গ তারা ইসলাম প্রচারে ঘুড়ে বেড়িয়েছেন দেশ হতে দেশান্তরে।সে সব আওলীয়াদের মধ্যে হযরত নিজাম উদ্দিন আওয়ালীয়া অন্যতম।
শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া,হযরত নিজামুদ্দিন নামেও পরিচিত,তিনি হলেন ভারতীয় উপ মহাদেশের চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সূফি তাঁর মূল ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী হয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সাথে মিলিত হয়।সে অনুযায়ী তাঁরা চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্বিক ধারাবাহিকতা বা সিলসিলা তৈরী করেছেন,যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপক ভাবে প্রচলিত।নিজামুদ্দিন আউলিয়া, তাঁর পূর্ব সূরীদের ন্যায়, প্রেম বা ইশককে স্রষ্টা বা আল্লাহ প্রাপ্তির পন্থা বা পথ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তাঁর মতে “স্রষ্টার প্রতি ভালবাসা মানবতার প্রতি ভালবাসার জন্ম দেয়”।
জিয়াউদ্দির বারানি নামে চৌদ্দ শতকের একজন ঐতিহাসিক দাবি করেন যে,দিল্লির মুসলমানদের উপর তাঁর প্রভাব এমন ছিল যে পার্থিব ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি উল্লেখ যোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়।মানুষ আধ্যাত্বিকতা এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগী এবং দুনিয়াবী চিন্তা থেকে পৃথক হয়ে পড়েন।
শেখ নিজামউদ্দিনের জন্ম হয়েছিল উত্তর প্রদেশের বুদাউন জেলায় ১২৩৬ সালে।বুদাউন সুফি-সন্ত-আউলিয়াদের জন্য বিখ্যাত।মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর শিশু নিজামউদ্দিন মায়ের হাত ধরে দিল্লিতে আসেন। এখানেই সন্ত শেখ ফরিদ শাকারগঞ্জের কাছে তিনি শিষ্যত্ব লাভ করেন। হজরত নিজামউদ্দিনের মৃত্যু হয় ১৩২৫ সালে। প্রকৃত পক্ষে তাঁর সমাধির অস্তিত্ব আর নেই। ফিরোজ শাহ তুঘলক (১৩৫১-৮৮) সেই সমাধি-সৌধ মেরামত করলেও পরে তা অবলুপ্ত হয়। এরপর ১৫৬২-৬৩ সালে বর্তমান কাঠামোটা গড়েন ফরিদুঁ খান নামে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি।দরগার পশ্চিমে রয়েছে মেয়েদের আলাদা মসজিদ, জামাত-খানা মসজিদ। এখানেও রয়েছে অন্যান্য সৌধের মতোই কয়েক তলা বিশাল কুয়ো বা বাওলি। দর্শনার্থীরা এর জলকে পবিত্র বলে মনে করে।নুসরত ফতেহ আলির উদাত্ত কাওয়ালি….
“দুনিয়া থেকে আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি,
তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক জুড়েছি।
প্রভু,
আমায় তোমারই রঙে রাঙিয়ে নাও
নিজামউদ্দিন আওলিয়া তুমি আমার পীর,
প্রভু রেখে দাও আমার লজ্জাশরম সব,
আমায় তোমারই রঙে রাঙিয়ে নাও প্রভু।”
কুমিল্লা জেলা দেবীদ্বার বড় শালঘর এলাকায় নিজামউদ্দিন আওলীয়ার মাজার বা দরবার শরীফ আছে যেখানে প্রতি বছর ওরশ হয় খুব ঘটা করেই।মামার বাড়ীর উছিলায় সেখানে যাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।সুন্দর একটি পরিবেশে চলছে বাৎসরিক উৎসব।সব কিছুই আছে,আছে রাত ভর কাউয়ালী গানের উৎসব।অবাক হই যেখানে প্রায় প্রতিটি মাজারে চলে গাজাখোরদের দৌরাত্বা কাওয়ালীর তালে দিশেহারা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এক সাথে “ধূম মারো ধূম গাইছেন” সে অর্থে এখানের পরিবেশ ভিন্ন রূপ যেন কোন এক মসজিদে কোন এক পবিত্র রজনীর পবিত্র উৎসব।গান বা পালা গান আছে তবে অশলীলতার কোন লেস নেই।
-{@ হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আওলিয়া (র) এর উপদেশ সমুহ
১) এলেম গভীর সাগর সাদৃশ্য মারফত উহার তরন্গ্য.
২) দান করলেই খোদায়ী নেয়ামত লাভ সম্ভব.
৩) আরেফ এর নিদর্শন হল-তিনি মৃত্যুকে বন্ধু মনে করবেন.এবং প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে তিনি খোদাকে স্বরণ করবেন.
৪) পিতা মাতার দিকে ভক্তি সহকারে তাকানোও ইবাদত.
৫) হতভাগা সেই লোক যে গুনার কাজে লিপ্ত থেকে মনে করে খোদা তাকে কবুল করে নিবেন.
৬) ভাল করার চেয়ে ভালদের সাথে থাকা উত্তম.পাপ করার চেয়ে পাপিদের সাথে থাকা তত খারাপ’
৭) বন্ধুর সাথে ভালবাসার প্রকৃত দাবিদার সে ,যে সর্বদা বন্ধুর সাথে কথা শুনতে ভালবাসে.
এ রকম আরো অনেক দ্বীনি উপদেশ লেখা রয়েছে মাজারে একটি বোর্ডে।উরশ চলে সপ্তাহ ব্যাপি প্রচুর সিরনির ব্যাবস্থা থাকে।এ রকম একজন গুণী লোকের সম্পর্কে আমার এ লেখা যৎ সামন্য তবে লেখাটি লিখতে উৎসাহিত হয়েছিলাম পরলোকগত আমার বড় মামার কথা মনে পড়ে…. বেড়াতে যাওয়ায় ছোট বেলায় নিজামদ্দিন আওলীয়ার এক লোমহর্ষকর গল্প শুনে…..
অবশ্য গল্পটি আরো অনেকেই জানেন তবুও নিজেকে শুধরে নিতে গল্পটি বার বার পড়ে মনে প্রানে এর মাহিত্তকে ধারন করতে হবে তবেই না আমি মানুষ।
হযরত নিজামউদ্দিন আওলীয়া তখনো সে আওলীয়ার খেতাব পাননি তখন সে ছিলেন একজন খুনী….খুনের নেশায় মন সব সময় ছটফট করত একে একে সে একশ একটি খুন করেন যা সম্পূর্ন না জায়েজ কোরান হাদিসের বিপরীত।সম্ভবতঃ ১০০টি খুন করার পর একশ একটি খুন করতে যাবেন ঠিক তখন ভিকটিম তাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে তাকে বেকায়দায় ফেলে দেন…..
-আপনি যে একের পর এক মানুষ খুন করছেন যা মহা পাপ তার জন্য আপনার লাভ হচ্ছে
-কেনো তার বিনিময়ে আমি আমার সংসার চালাচ্ছি খেয়ে দেয়ে উত্তম ভাবে
-তাতে আপনার ব্যাক্তিগত কোন লাভ আছে কি? অথবা রোজ হায়সরের ময়দানে যখন আপনার পাপের কারনে আপনি দোজগে যাবেন তখন কি আপনার পরিবার এর দায় ভার নিবেন?
-কেনো নিবেন না আমিতো তাদের জন্য এ পাপ কাজ করছি
-তাহলে একটু পরিক্ষা বা যাচাই করে দেখুনতো…..।
সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন….সত্যিইতো আমার পরিবার কি আমার এ পাপের ভার আদৌ নিবেন?চিন্তিত মনে পরিবারের সবাইকে একে একে জিজ্ঞাসা করিলেন হযরত নিজামউদ্দিন আওলীয়া কিন্তু হতাশ হন কেউ তার পাপের ভাগ নিতে রাজী হলেন না।
-পরিবারকে চালানোর দায়ীত্ব তোমার তুমি যে ভাবেই দায়ীত্বপালন করো না কেনো তা তোমার ব্যাপার তাই বলে তোমার পাপের অংশিদার আমরা হবো কেনো তা ছাড়া আমরাতো বলিনি তুমি মানুষ খুন করে সংসার চালাও।মানুষ খুন করা শুধু পাপই নয় মহাপাপ বটে।
তখন হতেই সে খুনের পথ ছেড়ে দিয়ে সাধারন মানুষের মতো জীবন ধারন শুরু করলেন।জগতে দেখার মাঝে স্রষ্টা ধন সম্পদ ক্ষমতা নয় মানুষের মন দেখেন,দেখেন তার নিয়ত।
সুতরাং আমরা যখন যাই করি অনেক ভেবে চিন্তে করতে হবে একটু ভুলের কারনে জীবনে হয়তো অনেক কিছুকেই হারাতে হবে।স্রষ্টা কাকে কখন কি ভাবে পুরষ্কৃত তিরষ্কৃত করবেন তা কেবল সেই জ্ঞাত তবে স্রষ্টা সব সময় ভালোর সাথে আছেন মন্দের বিপরীত।পার্থিব জগতের মোহে আমি তুমি আমরা কি না করছি রাতকে দিনকে রাত করছি কিন্তু জীবনের শেষ অধ্যায়ে হযরত আজরাইল (আঃ)যখন জম দূত হয়ে ঘরে প্রবেশ করে প্রশ্ন করবেন… পূর্ণ্য কি এমন করেছো যে তোমার জানটি আরামে নিবো?
ধন্যবাদ সবাইকে -{@
কোথাও কোন ভুল হলে সুধরে দিবেন …
১৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হযরত নিজামউদ্দিন আওলীয়া সম্পর্কে জানলাম বেশ কিছু তথ্য।
মারেফাত আসলে কঠিন এক সাধনা, একে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করা খুবই কঠিন।
এমন পোষ্ট আরো চাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকে -{@
আসলে তাই সবই উপরওলার হাত -{@
অনিকেত নন্দিনী
পুচকাকালে কোন ক্লাসের বইতে জানি এই গল্পটা পড়েছিলাম।
অনেক বছর আগে দেখেছিলাম চট্টগ্রাম চা বোর্ডের কাছেই এক দরগাহ আছে। ওইটাকেও নিজামুদ্দিনের মাজার বলে লোকে।
পুরাই দ্বিধান্বিত। ^:^
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম বিষয়টা হচ্ছে সে সময় ইসলাম প্রচারে বিভিন্ন দেশের ইসলামের কান্ডারীরা বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করতেন তো যিনি যেখানে যেখানে ঘুড়ে বেররিয়েছেন ভক্তরা ঠিক সেখানে সেখানে তাকে স্মরণ করতে কিংবা তার অনুসারী হয়ে ইসলাম প্রচারে স্ব স্ব স্থানেই মাজার তৈরী করেছেন।এটা সম্পূর্্ণ মনের বা আত্মার ব্যাপার,আত্মসুদ্ধিতে এমনটি হয়।ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
হ্যাঁ, কিছুটা পড়েছিলাম।
সুন্দর আলাদা একটা পোষ্ট। যদিও আমি মাজার বিশ্বাষ করি না। মাজার মানে শুধুই আমার কাছে সমাধী। এখানে পূণ্য আত্না থাকলেও আমি সুরা ফাতিহা পড়ি, সালাম দেই অন্য কবরে যে রকম সালাম দেই সুরা ফাতিহা পড়ি। তাই আলাদা করে দেখি না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম,এক সময় মাজার মানে কুসংস্কার ছিল রাশি রাশি এখন যুগ পাল্টিয়েছে পাল্টিয়েছে মানুষের ধ্যান ধারনা।আপনাটাই সঠিক মাজারে গেলে দোয়া সুরা পড়া আর সালাম দেয়া এর চেয়ে বেশী অতি রঞ্জিত।ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
জগতে পেতে হলে সাধনা ছাড়া কিছুই জুটবেনা।
সে পাপ করেছিল কিন্তু তারপর সে কঠর সাধনা করে আল্লাহর কাছে যাওয়ার তইফিক পেয়েছিল।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মজিবর ভাই সালাম নিবেন।অবশ্যই সে কঠোর সাধনা করেছিল আর সাধনা ছাড়া এমন পাপ হতে কেউ পাড় পাবেও না। -{@
খসড়া
ভাল লাগল পোস্ট। আসলেই সাধনা করলে সবই মেলে। বিশ্বাস বড় কঠিন জিনিস এতে অটল থাকা আরও কঠিন। এটা যে পেরেছে সেই জিতেছে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপু -{@বিশ্বাসে বস্তু মিলে তর্কে বহুদুর
ব্লগার সজীব
মনির ভাইয়া বিস্তারিত জানলাম এই মহান সাধক সম্পর্কে। খুন করেও সাধক। আল্লাহ কখন কার মন পরিবর্তন করেন, কেহ জানিনা আমরা। পোস্টে প্লাস।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ -{@
লীলাবতী
জানলাম অনেক অজানা তথ্য। উপদেশ সমূহ দেয়ায় পোষ্টের গুরুত্ব আর বৃদ্ধি পেয়েছে। ” পিতা মাতার দিকে ভক্তি সহকারে তাকানোও ইবাদত ” (y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধনবাদ লীলাদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই সংক্ষেপে একটি গল্প বলি। সবচেয়ে প্রচলিত বাল্মীকি রামায়ণ যিনি রচনা করেছিলেন তিনি ছিলেন রত্নাকর দস্যু। কথিত আছে রত্নাকর একের পর এক ডাকাতি করে মানুষ মারতো। একদিন ঈশ্বর সাতজন ঋষিকে পাঠালেন। ঋষি অত্রি বললেন “এভাবে মানুষ হত্যা করে যে পাপ কুড়াচ্ছো, কে এই পাপ বহন করবে?” দস্যু রত্নাকর বললো যাদের খাদ্যের জন্যে এসব সে করছে তারা ওর এই পাপ বহন করবে। ঋষি বললো তখন গিয়ে তার বাবা-মা-স্ত্রী-পুত্র সকলকে জিজ্ঞাসা করো কেউ তোমার এই পাপ বহন করবে কিনা? রত্নাকর সকল ঋষিদেরকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে বাড়ী গিয়ে একে একে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলো ওর পাপের দায়ভার কি ওরা বহন করবে? মা-বাবা-স্ত্রী-পুত্র সকলেই “না” বললো। অবশেষে ঋষিদের কাছে ফিরে এসে ক্ষমা চেয়ে জানতে চাইলো এখন কিভাবে এই পাপ থেকে সে মুক্তি পাবে? ঋষি অত্রি বললেন “রাম” নাম জপ করতে। সেই রত্নাকরের নামই স্বয়ং ব্রহ্মা দিয়েছেন বাল্মীকি।
মনির ভাই হযরত নিজামউদ্দিন আওলীয়াকে নিয়ে লেখা পোষ্টটি পড়ে গল্পটি মনে পড়ে গেলো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য….বিষয়টা হচ্ছে “জীব হত্যা মহাপাপ”এই কথাটি সব ধর্মেই ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে এসেছে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সেটাই তো ভাইয়া আমরা ধর্ম মানি, কিন্তু আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ত্ববোধটুকুই নেই।