বারে বারে আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হ্রদয়
মুখ থুবড়ে ডাস্টবিনের জঞ্জালে পরিণত
হয়!
ওষুধের শিশিটা ঝাঁকাতে পারছি না/
বা উত্তম ওষুধ তৈরী করতে পারছি না/
যতক্ষণ না ভর্তি ওষুধের খানিকটা কাজে
লাগছে!
চাবুক মন্তব্যের অহেতুক পিটুনিতে পেনের কালি শুকিয়ে কাঠ!
হিড়িম্ব হিড়িম্বা রাক্ষস রাক্ষসীদের গ্রাস করছে মনের নির্মলতার স্রোত!???
#
স্বপ্নের চোরাবালিতে সমুদ্র মন্থনের অমৃত ভাসে না!?
দেবরাজ ইন্দ্র গুরুপত্নী অহল্যা দেখে মূর্ছাও যায় না!?
কৃষ্ণের প্রেম লীলা না ব্যাভিচার তা প্রকৃতভাবে বুঝতে গীতার কর্মযোগ শিউরে উঠছে!!
মনের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ কামনার সেন্ট্রিগ্রেডের তাপমাত্রায় দোদুল্যমান !
ফুলের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে সৌন্দর্যের ড্রাগের নেশায় উন্মত্ত হয়ে ভ্রমরগুলি আধা আলো ছায়ায় রবির কিরণে মাখামাখি হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে!!
#
বড়শিতেমাছ বিঁধলে মাছের কি বা দোষ!!!
অসহায়ত্ত্বের যন্ত্রণায় পিঠে হতাশার ক্যানসার তৈরী হলে
সেখানে বোরোলিন বা কোন আন্টিবায়োটিক কাজ দেবে না
মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতে বেঁচে
থাকাটাই তাঁর কাছে চরম নরক মনে হয়!!!??
#
আমি ভাবি লিখব না/
কিন্তু হারিয়ে যাব রবীন্দ্রনাথের গানের পরশে!
হারিয়ে যাব শেক্সপিয়ারের আরব্যোপন্যাসের রোমান্সের শিহরণে!
কোন বলিউডি মুভির উজ্জ্বল লাভ সিনের দৃশ্যে!
মাধুরী – অনিল কাপুর ,প্রসেনজিৎ- দেবশ্রী ,উত্তম -সুচিত্রা, জুটির মধ্যে আগুন ঝরা রোমান্স ফিরিয়ে আনতে!!!!
আকাশের সূর্যের লাল রশ্মিটা মনে হচ্ছিল মাথার উপর হাত বুলিয়ে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছে কুরুক্ষেত্র ময়দানে নেমে শিখণ্ডীদের সংঘে লড়ে যেতে!!!
#
কালির দোয়াত টা উপচে পড়ছিল/
রংগুলো একবার লাল নীল হলুদ রং
ধারণ করছিল/
যার মধ্যে কোন জ্ঞানের রং ছিল না/
সেটা ছিল দোয়াতের একদম নীচে/
জ্ঞানের রং দিয়ে লিখতে আরম্ভ করতেই
সমাজের নিগ্রো পিশাচের দল থাবা বসাল!!!??
কাগজ ছিঁড়ে গেলো/
কিন্তু লেখাগুলো মনের কম্পিউটার তে হারবেরিয়াম করলাম/
লেখাগুলো আবার
ঢাকাই জামদানি শাড়ির মত মসলিন তাঁতের ছাঁচে চকচকে করে সাজিয়ে
জুরির শাড়ির মত ঝকঝকে পুঁতি দানার কারুকার্য করে ,পিকো, ইস্ত্রী করে, জবরদস্ত
পালিশ করে ,বাজারে ছেড়ে দিলে
দিব্যি লাভের খাতা চড়চড় করে বাড়ছে!!!!
চৈত্র সেলের পোকা খাওয়া পচা শাড়ি ও যদি পালিশ করে ভালোভাবে তেল মাখিয়ে হিরোইনদের নামে ছেড়ে দিলেই
দোকানদারের বাজার পুরো রমরমা!!!!
#
তুমি কি জানো/
নতুন জিনিসটা ঠিক কিরকম?
বানর থেকে অভিযোজিত হয়ে মানুষ!
বাউল ,মান্না দে, রবীন্দ্রসংগীত, কিশোরকুমার ,আশা ভোঁশলে র পরই আধুনিকীকরণ হয়েই হয়েছে ডিস্কো অরিজিৎ সিং, বাংলা ব্যান্ড ,নচিকেতা, সুমন বাংলা ব্যান্ডের গান হানি সিং, কণিকা কাপুর ,শ্রেয়া ঘোষাল ,অঙ্কিত তিওয়ারি!!!!!
নজরুল, সুকান্ত, রবীন্দ্রনাথ,
থেকে জীবনানন্দ ,জসীমুদ্দীন ,শক্তি চট্টোপাধ্যায় ,শঙ্খ ঘোষ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ,জয় গোস্ব্বামী,
দেশী মদের মধ্যে ফলের রস দামী ফ্লেবার মিশিয়ে দামী বিলিতি মদ তৈরী করানো হচ্ছে!!!!!
#
ডায়েরির পাতায় কাটাকাটি করে লেখাগুলো/
বলিষ্ঠ পান্ডুলিপির গঠন করে!
পড়তে পড়তে মন কেঁদে বিবেকের চোখ
দিয়ে জল উপচে আসবে
সেটাই উজ্জ্বল লেখনীর তাজমহল!!!
#
তাঁতে বোনা বস্ত্র থেকে ফ্যাশান ডিজাইনের দামী পোষাক!!
তালপাতা র পাখা থেকে এয়ারকন্ডিশন্ড!!
সবই ওই পুরনো মেশিন কে নতুনের সৌখিন ছাঁচে ফেলে গঠনের মডেল আর পার্টস পরিবর্তন করে নতুন নাম দিয়ে নতুন করে তোলা হচ্ছে!!!
পুরীর জগন্নাথদেবের মূর্তি বৃন্দাবনের কৃষ্ণমূর্তি কিন্তু একইরকম আছে!
পূজোর পদ্ধতি আজও একইরকম হয়ে আসছে!
শুধু সাজগোজের পরিপাটি বেড়েছে আর পান্ডাদের চাঁদা তোলার চিৎকার!!???
==========
কোলকাতা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
১৬টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
লিখবনা বলে পালিয়ে গেলে কিন্তু ছেড়ে দিব না। ধরে নিয়ে আসব 🙂
অরুণিমা
ভয় পেলাম অরুদি 🙂 লিখেছি দেখুন।
সীমান্ত উন্মাদ
লিখার এই ধারাটা চমৎকার, গদ্য কাব্যের মত করে মনের কথাগুলোকে গল্প ভাষায় বর্ণনা। বেশ ভাললাগেছে কিন্তু। তবে এই লিখার নাম লিখবো না কেন হল। হারিয়ে যাবার পাঁয়তারা করছেন নাকি দিদি। মানিনা মানবো। লিখা চলছে চলবে।
থামলে হবে আন্দলন জারি হবে ধারা পর ধারা।
লিখাটায় অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
অরুণিমা
পাঁয়তারা কিছুটা ছিলো অবশ্য।ধন্যবাদ দাদা।
মরুভূমির জলদস্যু
লিখব না বলেও তো অনেকগুলি লিখলেন। -{@
অরুণিমা
বুঝিয়ে তো বলতে হবে দাদা।
লীলাবতী
বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাল দিদি।এত ভাল লেখেন কিভাবে?
অরুণিমা
কি যে বলেন লীলাদি,সোনেলায় কত ভালো লেখকের সমাহার।ওনাদের পাশে আমি অনুজ্জ্বল।
মেহেরী তাজ
আপু না লিখে যাবেন কই??
আপনি না লিখলে আমারা জানবো কিভাবে????
অরুণিমা
এই যে লিখতে এলাম এপার বাংলা হতে ওপার বাংলায় আপনাদের মাঝে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস লিখবো না বললেই লেখা আপনাকে ছেড়ে দেবে ভেবেছেন? অক্ষর দৃশ্যমান না হলেও লিখে চলবে মন, মনের কাগজে। টাইপ করবে, করতেই থাকবে আবেগী ল্যাপটপ।
আর যদি আমাদের ছেড়ে চলে যাবার প্ল্যান থাকে, আটকে তো রাখতে পারবোনা। আপনি যদি আমাদের কষ্ট দিয়ে ভালো থাকতে পারেন, কি আর করা! ধারণ করবো জীবনের সাথে।
কবিতার কথা কি আর বলবো! অমন করে লিখতে কেন পারিনা? ইচ্ছে করে যে! -{@
অরুণিমা
চলে এলাম নীলাদি।আপনারা ডাকছেন যে।আপনি লিখতে পারেননা এটি কে বিশ্বাস করবে বলুনতো??
শুন্য শুন্যালয়
কার উপর রাগ করছেন অরুনিমা আপু? ভেবে দেখুন কে আপনাকে লেখায়? কারা লেখায়?
নিজের এই কবিতাটি আরেকবার পড়ুন, এবার বলুন না লিখে পারবেন?
অসাধারন, শুধু এটুকই বলার।
অরুণিমা
এসে গিয়েছি আপনাদের মাঝে আবার শুন্যদি।সোনেলাকে মনে হয় দুই বাংলার সেতু -{@
ব্লগার সজীব
গতকাল পড়েছি এখানে আপনার কবিতা।অসাধারন কবিতা।
অরুণিমা
ধন্যবাদ দাদা।