বিন্দুকে কেন্দ্র করে
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে
ব্যাস্ত পরিধির পথচলা
ঐ তো সামনেই আদি বিন্দু।
“মিলব আমি ওখানেই
বৃত্ত আমি হবই তোমায় ঘিরে”
ভয় ছিল, ছিল অনিশ্চয়তাও
কেন্দ্র আর পরিধির মিলন নিয়ে,
সংযোজক তৈরির সপ্ন
সত্য হবে কি কোনদিন?
বিন্দুর আশঙ্কা-“ওটা কি সম্ভব?”
হেসে বলে পরিধি-“কেন নয়”!
ব্যাসার্ধ তৈরি করে নিব
আর মাত্র ক’টা দিন।
হাজার মাইলের বক্র পথ পাড়ি দিয়ে
ক্লান্ত সে পরিধি
তারপরও সরল রেখা তৈরির
সপ্ন দেখতে ভুলে না।
দুই মাত্রার জগতে
জ্যামিতিক প্রেম চলে তাদের
একই সমতলে
সমান্তরাল ভাবে।
একদিন হঠাৎ…
এক ঝড় এলো
তিন মাত্রার জগত থেকে
আর এলোমেলো করে দিল সব!!
একান্ত কিছু কথাঃ ভেবেছিলাম রমযানের সংযম এবং বাজার নিয়ে একটা রম্য লিখবো। কিন্তু কি নিয়ে লিখবো, বছরের পর বছর একি সমস্যা তৈরি হওয়া পুরুনো প্যাঁচাল নতুন করে লিখে লাভ কি? তাই এই কবিতাটাই দিয়ে দিলাম, যে কবিতায় লুকিয়ে আছে সীমান্ত উন্মাদের জীবনের নির্দিষ্ট একটি সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনা। আর সেই সময়ে লিখা একটি কবিতা, যে কবিতার নাম দিয়েছিলাম প্রথমে পিথাগোরাসের জ্যামিতিক প্রেম। নিজের ভীতর নিজেকে হারিয়ে ফেলার কথা কাউকে জানাতে চাইনি বলেই দিয়েছিলাম এই নাম। নিজের ভীতর নিজের কষ্ট সত্মা কে লুকিয়ে রেখে, সমপাদ্য আর উপপাদ্যের প্রতি প্রেম দিখিয়ে সবাইকে বুঝাতেও পেরেছিলাম এ শুধু জ্যামিতির প্রতি আমার প্রেম। আসলে কিন্তু তা না। সেই কষ্টকে শক্তিতে পরিনত করেই আজ ব্যাক্তি জীবনে সফলতার পথে হাঁটছি তাও একা একা। এই একাকীত্বই আমার শক্তি। কিন্তু তবুও মগজের ভীতর সিরোটনিন ক্যামিকেল গুলো মাঝে মাঝে আবেগকে ভাসিয়ে তুলে আমাকে মধ্যরাতে জাগিয়ে তোলে আর বলেঃ নিজেকে প্রকাশ করে দাও। তোমার প্রেমাবেগ আর বাধা হয়ে দাঁড়াবেনা কারন সময়ের স্রোতধারা গড়িয়ে গেছে অনেক অনেক পথ, এখন তার সে শক্তি নেই তোমার জীবন চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আর তাই আজ জানিয়ে গেলাম, সোনালার প্রিয় মানুষগুলোকে আপনাদের সীমান্ত উন্মাদও একজন মানুষ, যার মধ্যে রম্য রসের সাথে সাথে আবেগের ডালপালাও আছে, যা কখনো কখনো ঝাপটা মেরে মনে করিয়ে দেয়, উন্মাদ তোর একজন ভালোবাসার মানুষ ছিল, যার পরে আসা গোছা গোছা অজানা নীল ফুলের পোশাকের নীলের নেশা আজো স্মৃতির রোমন্থনে হাসায়, কাঁদায় আর অন্দলিত আবেগে ভাসায়। হয়ত আপনারা ভাবছেন তাহলে আমার কষ্টগুলোর অবস্থান কোথায় এখন, সেই উত্তরও সহজ, আমার কষ্টগুলোকে সেই সোনালি বিকেলের যেই মুহূর্তে আঁধার নেমে এলো সেই ক্ষন থেকেই আমার গিটারের ছয় তারে সীমাবদ্ধ করে রেখে দিয়েছি।
সবাইকে রোজার শুভেচ্ছা।
বিঃদ্রঃ থাক আজ না হয় বিশেষ দ্রষ্টব্য নাইবা দিলাম, সীমান্ত উন্মাদের বিশেষ স্টাইলটা না হয় আজ একটু ভিন্নই হল। হা হা।
(আর যে ছয় তারে আমার কষ্টগুলো সীমাবদ্ধ এই সেই ছয় তার)
২৩টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
কেন্দ্র আর পরিধি মিলে গেলে বৃত্ত কি আর বৃত্ত থাকে?
ত্রিমাত্রিক পৃথিবীতে দ্বিমাত্রিক জ্যামিতিক প্রেম আমন্ত্রিত নয়, নিন্দনীয়; চতুর্মাত্রিক জ্যামিতিক প্রেমের অবস্থান জানিনা।
সীমান্ত উন্মাদ
থাকে অনল কল্পনায় থাকে বৃত্ত। আমন্ত্রীত না নিন্দনীয় তা কেবল ত্রিমাত্রিক জগতে গেলেই বুঝা যায়, আগে যেতে হবে যে সেখানে। আর চতুমাত্রিক জ্যামিতিক প্রেম হয় অনুভবে, কারন সেখানে উন্মাদ ছাড়া সুস্থ মানুষের প্রবেশ নিষেদ, তাই না জানাই ভালো, নন্দিনী নন্দিনীই থাকুক, উন্মাদ নন্দিনী হবার কি দরকার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর। ভালো থাকবেন।
অনিকেত নন্দিনী
কমেন্টের উত্তর পড়ার আগ পর্যন্ত নন্দিনী ছিলাম, এখন উন্মাদ নন্দিনী হয়ে গেলুম :D)
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা। আপনাকে সাদর আমন্ত্রন উন্মাদের দুনিয়ায়।
শুন্য শুন্যালয়
তোমার চেহারার হাল দেখে মজা পেলাম 🙂
আদি বিন্দুর সাথে পরিধির প্রেম হয়তো এমনই হবার ছিল। ব্যাসার্ধ সেতূ গড়ে দিলেও তারা দুই পারেরই মানুষ। দুই মাত্রার জগত সামলানোই যে কঠিন, তার উপর তিনমাত্রার ঝড় সইবে কি করে?
আমি শুধু এটুকুই জানি চলার নামই জীবন, হোক তা একা একাই। বেশ ভালো লিখেছ।
সীমান্ত উন্মাদ
সইতে না পেরেইতো আমি উন্মাদ হয়ে গেলাম। আর আমি শুধু জানি অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন তাইতো চলছি আর চলছি। আর উন্মাদের চেহারা দেখে হাসি পাবে এটাই তো কথা ছিল। উন্মাদ মাঝে মাঝে সিরিয়াস হলেও হাসির খোরাক দিতে ভুলে না।
বন্ধু তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা সব সময় থাকে এটাতো তুমি জানই আর নতুন করে কি বলব। ভালো থেকো নিরন্তর।
ব্লগার সজীব
সবার জীবনেই প্রেম আছে,উম্মাদ ও এ থেকে ব্যাতিক্রম নয়।বুঝলাম 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
তা ঠিক আছে, কিন্তু উন্মাদের প্রেম এখন ধুলো মলিন, সেখানে এখন আর ঝঙ্কার বাজে না ভালোবাসার সুরে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা সজীব ভাই।
আদিব আদ্নান
কবিতা আমার ব্যাপার না। তাই তা থাক। কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করতে পেরেছেন জেনে ভালই লাগল। সবাই তা পারে না।
সীমান্ত উন্মাদ
চাইলেই এবং সেই সাথে একটু চেষ্টা করলেই সবাই পারে। শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য নিরন্তর।
জিসান শা ইকরাম
প্রেমও তাহলে জ্যামিতিক হয় !
3D প্রেম!
ভাবতেই কেমন লাগে
লেখা ভালো হৈসে।
সীমান্ত উন্মাদ
ডিজিটাল যুগ মামা আরো কত দেখবেন, মাত্রতো হেক্সিলোড এর জমানা খতম হইলো, বিকাশ ইউক্যাশ প্রেম চলছে পঞ্চম মাত্রায় দেখেননা আরো কত কি অপেক্ষা করছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা মামা।
স্বপ্ন
উম্মাদকে উম্মাদ মনে হচ্ছে না আর। নাম এর প্রতি সুবিচার না করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা বুঝছি আর হপে না। কারন উন্মাদনাই আমার বেঁচে বর্তে থাকার একমাত্র শক্তি। আর আমাকে যদি তা মনে না হয় তাইলেতো সমস্যা।
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা বুঝছি আর হপে না। কারন উন্মাদনাই আমার বেঁচে বর্তে থাকার একমাত্র শক্তি। আর আমাকে যদি তা মনে না হয় তাইলেতো সমস্যা।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
পারভীন সুলতানা
জ্যামিতিক প্রেম অপূর্ব সন্দেহ নেই । তার চেয়েও যা আমাকে , আমার স্বত্বাকে নাড়া দিয়েছে তা হচ্ছে……………।এত আমারই কথা । নিঃসঙ্গতায় চরম আনন্দ পাই আমি, চলছিত একাই। পথত প্রায় ফুরিয়ে এল। আর ভয় কি ? অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
সীমান্ত উন্মাদ
কি করবো আপু বলেন ভালো মানুষরাতো উন্মাদদের কথা তো দূরের কথা মানুষের মনের কথাই বলে না, তাই আমার মত উন্মাদরা মানুষের মনের কথা বলার চেষ্টা করছি। তবে আপনার কথায় এটা প্রমানিত হল যে আমি আপনি ভাই বোন। কারন আপনি উন্মাদ না হইলে আমার মনের কথার সাথে মিলল কেম্নে, তাই নয় কি? তাই ছোট ভাই উন্মাদের জন্য জন্য দোয়া কইরেন গো আপু। যাতে উন্মাদ হয়েও মানুষের কথা বলতে পারি। হা হা আপু এতো কথার প্রতিউত্তরে নিশ্চয় বুঝে গেছেন আমি আসলেই কত বড় উন্মাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য।
ব্লগার সজীব
সিরিজ কবিতা ভাল হচ্ছে।উম্মাদ এত ভাল লেখে কিভাবে?
সীমান্ত উন্মাদ
সজীব ভাই উন্মাদরে এই ভাবে লজ্জা দিলেন। :p
অনেক অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা দেবার জন্য আর শুভকামনাতো সব সময়ই থাকে।
হিলিয়াম এইচ ই
আহা!! আমি নিজেই উন্মাদ হয়ে গেলুম!! 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
উন্মাদের দুনিয়ায় স্বাগতম সায়ানাইড ডি ই থুক্কু হিলিয়াম এইচ ই। ;( হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।
খেয়ালী মেয়ে
কেন্দ্র,পরিধি,ব্যাসার্ধ বরাবরই আমার কাছে এলোমেলো জটিল ছিলো, আর এসব নিয়ে আপনার জ্যামিতিক প্রেম দেখি খুব গোছানো (y)
সীমান্ত উন্মাদের আবেগের ডালপালাগুলো এই বরষায় আরো সতেজ হয়ে উঠুক 🙂 এমন আবেগীয় লেখা আরো চাই……
বাই দ্যা ওয়ে আপনিতো দেখি সাংঘাতিক সুন্দর :p
সীমান্ত উন্মাদ
কবিতা নিয়ে সুন্দর কথার জন্য ধন্যবাদ। জীবন মানেই উপপাদ্য আর সম্পাদ্যের খেলা, আর তাই জীবন প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির এক কঠিন খেলা, যা আপনাকে খেলতেই হবে, পার পাওয়ার উপায় নেই সেটা খরা কিংবা ভেজা বর্ষায় অথবা কনকনে শীতে হোক না কেন।
বাই দ্যা ওয়ে সবই লাইট আর ক্যামেরার কারসাজী। :D) :p