আজ অনেক দিন পর একটা কবিতা লিখতে চাইছিলাম কিন্তু একটা ছবি আমাকে খুব কষ্ট দিল তাই শুধু এটুকুই লিখতে পারলাম।
আমার সপ্নে আছে শুধু এক অন্তহীন বেদনা
আমি জানি তোমায় আমি আর পাবোনা।।
তুমি হারিয়ে যাবে বলে আমিও কি
পারবোনা হারাতে তোমার মাঝে??
অন্তহীনের অন্তর জ্বালায় আমায় আর না পোড়ানুর অনুরোধটা শুধু তোমার কাছে। আর যদি জ্বালাতে চাও তবে তাই হোক আমার আমৃত্যু পথ চলার সঙ্গী।
এই কথা গুলো কেন লিখলাম আমি নিজেই জানিনা। ব্যাক্তি আমার কোন কথা এখন মুল্যহীন যেখানে ইসরাইল হামাস নিধনের বরাত দিয়ে অগনিত নিরিহ ফিলিস্তিনি নারী শিশুদের নির্বিচারে মারছে যেখানে মানবতা ধুলুন্ঠিত হচ্ছে আর বিশ্বনেতারা তাদের দেশে বসে শুধু নিন্দা আর সমবেদনা জানিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন? কি অদ্ভুত? এমনকি জাতিসংঘও চুপচাপ। এমেরিকা যেখানে তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বে কিছু হলেই গেল গেল সব গেল এখন তাদের ওপেন সিকরেট মিত্র ইসরাইল যে এই রকম নিৎকৃষ্ট হত্যাকান্ড চালাচ্ছে সে ব্যাপারে শুধু একবার নিন্দা জানিয়ে চুপচাপ বেপারটা আমার মত অধম কোন ভাবেই বুঝতে পারছি না। তাইলে কি বুঝায় পরাশক্তিদের কাছে তাদের নিজের দেশের মানুষ ছাড়া বিশ্বের মুসলাম দেশগুলোর মানুষকে মানুষ মনে করছেন না? কি বিচিত্র এক দুনিয়ায় আমরা বাস করছি। আমাদের দেশে রাজনীতির সামান্য টানাপোড়ন বিশ্বের অনেক শাসক দেশের কাছে পিড়নের কারন হয়ে দাঁড়ায় আমাদের তারা সব সময় ছোট মনে করে। কিন্তু ইসরাইলের এই লজ্জাজনক কর্মকান্ডে তারা চুপচাপ কেন? কিসের সে স্বার্থ? আমরা সবাই এটা জানি যে বিশ্বের অনেক ক্ষমতাশালী দেশের পা চাটা গোলাম ইসরাইল। এদের দৈরাত্ব এতো যে এরা খুব জোরের সাথেই অঙ্গুল তুলতে পারে অথচ তারা রিফিউজি জাতি। আমরা সবাই জানি এরা এখন বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মানে না। ওদের মানা না মানায় আমাদেরও কিছু যায় আসেনা। তবে কি আমাদের সরকার কি একবারোও বিশ্ব দরবারে এদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাতে পারিনা?? কেউ জানাক বা জানাক এই খুদ্র আমি সীমান্ত উন্মাদ প্রতিবাদ জানাচ্ছি তীব্র ভাবে।
১২টি মন্তব্য
খসড়া
মানুষের মাঝে সুর অসুর।
সীমান্ত উন্মাদ
সেটাই। তবে একদিন মানুষ জাগবে, যখন রণতূর্য বেজে উঠবে নিজেদের কাঁধে।
জিসান শা ইকরাম
একটা প্রশ্ন এসে সামনে দাঁড়ায় ‘ মুসলিম জঙ্গিরা আজ পর্যন্ত ইসরাইলে কোন হামলা করলো না ? ‘ লাদেনের চোখে ইসরাইল কি মুসলিমদের বন্ধু রাস্ট্র ? ‘
সীমান্ত উন্মাদ
এ প্রশ্নটা মামা আমারও। লাদেন বা তার স্থলাভিষিক্ত যে আছে এই জংগি রা যাদের সৃষ্টি দেখেন তারাই ইন্দনদাতা কিনা।
অলিভার
বিশ্বের হর্তাকর্তাদের নীরবতা ইসরাইলকে আরও বেশি উস্কে দিচ্ছে। আবার সমবেদনা জানালেও পাল্টা কথা শুনতে হচ্ছে। সমবেদনা কেন তাদের নিয়ে জানাচ্ছি দেশের মধ্যে অবিচারের জন্যে জানাচ্ছি না এই সব হ্যান ত্যান শুনতে হচ্ছে। নিজের অবস্থানে দাড়িয়ে অন্যায়কে অন্যায় বলাটাও এখন এক ধরণের দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যায়কে অন্যায় বলছি আর তার প্রতিকার চাইছি এই জিনিষটা তাদের বোঝাতে না পেরে চুপ করে বসে আছি আর উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করছি হামাস বাসীদের শান্তির জন্যে..।
সীমান্ত উন্মাদ
কি বিচিত্র এই দেশ সত্যিই সেলুকাস, আলেকজান্ডার দি গ্রেটের এই কথাটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য সব সময় এর জন্যই। আমাদের দেশে যখন পুড়িয়ে মানুষ মারে তখন বললে বলে এ অমুকের দালাল তমুকের দালাল। আবার বিদেশের ব্যাপার বললে বলে নিজের দেশের খবর নাই। তাই এদের কথা না শুনে আসুন সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।
মা মাটি দেশ
মুসলিম জঙ্গি বলে কিছু নেই সব অ্যামেরিকার সৃষ্টি এবং অপ্রয়োজনে ধ্বংস করে।এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সীমান্ত উন্মাদ
প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ ই পারে হায়নার কাছ থেকে মানবতাকে বাঁচাতে
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই ।
সীমান্ত উন্মাদ
বিশ্ব দরবার যতদিন চুপচাপ। ততদিন এগুলো বন্ধ হবেনা। এটাই দুঃখ।
শুন্য শুন্যালয়
মানবতা শব্দটি আজও টিকে আছে, এটুকুই। ঘৃণা জানানো ছাড়া আর কিছুই করবার নেই।
সীমান্ত উন্মাদ
হয়ত একদিন আবার ফিরবে কাঙ্ক্ষিত মানবতা।