সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে: সিরাজদিখান উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজে করা হচ্ছে অত্যাধুনিক
আটোমেটিক টোল প্লাজা। টোল প্লাজার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হলেও অটোমেটিক মেশিন বসানোর কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। ইজারাদারের অব্যবস্থাপনা ও টোল আদায়কারী জনবলের স্বল্পতার কারণে মাওয়াগামী যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে যানজটে পরিণত হয়। এ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবার ঈদেও একই ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা- মাওয়া মহাসড়কের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের ধলেশ্বরী-১ ব্রিজের নিকট একটি অত্যাধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে কয়েক মাস ধরে। এর অধিকাংশ কাজই প্রায় শেষের পথে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ মুন্সীগঞ্জ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, টোল বুথ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হলেও ঈদের পূর্বে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। টোল বুথের অটোমেটিক মেশিন সময়মতো বিদেশ থেকে না পৌঁছায় মেশিনগুলো স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু মেশিন চলে এসেছে। এগুলো স্থাপন করতে ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে প্রকৌশলীরা চলে এসেছেন। তারা এখন টোল প্লাজায় কাজ করছেন।
অত্যাধুনিক মেশিন, সিসিটিভি ক্যামেরাসহ সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড হবে এ টোল প্লাজা। টোল পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে ওপরে উঠে যাবে টোল বুথের ব্যারিকেড লাঠি। গাড়িতে বসেই টোল দেয়া যাবে টোল সংগ্রহকারীর হাতে। ছয় লেনবিশিষ্ট এ টোল প্লাজায় ছয়টি অত্যাধুনিক এসি টোল বুথ রয়েছে। যা থেকে ১২ জন টোল কালেকটর উভয়দিকে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে একই সঙ্গে টোল নিতে পারবে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৩ কোটি টাকা হলেও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স লি. আগামী ৫ বছর এ টোল আদায় করে সরকারের কাছে দেয়াসহ দেশি-বিদেশি লোক দিয়ে বুথের রক্ষণাবেক্ষণ ও যাবতীয় দেখাশোনা করবে।
৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভালো খবর । দেশের দক্ষনাঞ্চলের জনগনের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
মিসু
ভালো খবর পড়তেও ভালো লাগে ।
আদিব আদ্নান
কত দিন চালু থাকে এটাই দেখার বিষয় ।
এরকম আরো চালু হয়েছিল , এখন খবর নেই ।
ভালোগুলো কেন যেন আমাদের জন্য টেকসই হয় না ।