প্রজন্ম যায় প্রজন্ম আসে
আর আমরা শুনে যাই সেই
ঘ্যানঘ্যানে ভাঙ্গা রেকর্ড,
‘তরুণেরাই পালটে দেবে সবকিছু,’
তবুও এই দেশ থেকে যায় আগের মতই
আর আমরা বিশাল হাই তুলে বলি
‘এদেশের মানুষকে দিয়ে হবেনা কিচ্ছুই’।
প্রজন্ম যেন কোন মহানায়কের অপেক্ষায়,
কিন্তু হে প্রজন্ম, তোমরা সকলেই তো সে মহানায়ক
যার অপেক্ষায় অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত।
যতই উচচকন্ঠ হোক ফ্যাসিবাদী মহাবিশ্ববেহায়ার,
যতই চালাক তারা অপশাসনের বুলডোজার,
সাম্প্রদায়িক পশু যতই ছড়াক মহামারী,
সাম্রাজ্যবাদীরা যতই করুক ছলচাতুরী,
হে প্রজন্ম আজ তবে বাজুক তোমার জয়ভেরী।
ভয় কি হে প্রজন্ম?
চেয়ে দেখ তোমাদেরই যাত্রাপথে
রাতভর দেয় সশস্ত্র পাহারা
রুমী, জুয়েল, বদী আর আজাদ,
তোমাদেরই রাখতে নিরাপদ
দেখ আবারও যুদ্ধে নামে
রুহুল, রউফ আর মতিউর,
বুকের তাজা রক্ত আবারও ঢেলে দিতে চায়
রফিক, জব্বার, সালাম আর শফিউর।
আজ তোমাদের জন্যই চেয়ে দেখ
নূর হোসেন, মিলন আর বসুনিয়া
উদোম গায়ে ছুটছে ঢাকার এমাথা থেকে ওমাথা,
বিজয়মাল্য দিতে তোমাদেরই অপেক্ষায়
স্মিতহাস্যে দাঁড়িয়ে আলীম, জহির আর আলতাফ,
আর দেখ, তোমাদের জন্যই অর্ঘ্য সাজিয়ে প্রস্তুত
শহী মিনার, স্মৃতিসৌধ, অমর একুশে আর স্বোপার্জিত স্বাধীনতা।
হে প্রজন্ম, এগিয়ে যাও অন্ধকারের কুজ্বটিকা পেরিয়ে
তোমাদের হাতেই হোক অপশক্তির জীবনাবসান।
১৩টি মন্তব্য
সালমা আক্তার মনি
তবু অাশাই বাঁচিয়ে রাখে আমাদের, যদি কিছু হয়!
ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা।
শেহজাদ আমান
হুম, হাল ছেড়োনা বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে।
খসড়া
প্রজন্ম শিখবে শিখাতেই হবে।
শেহজাদ আমান
হুম, প্রজন্মই ভরসা।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রজন্মই শেখায়। আমরা নতূন ভুল তৈরী করি। পুরোনো ভুলগুলোকে সরিয়ে। আবার প্রজন্মই শেখায় পরবর্তী প্রজন্মকে।
এতো এতো আবিষ্কার তা নইলে কি সম্ভব হতো?
শেহজাদ আমান
বাংলাদেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কাজ প্রজন্মের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আবু খায়ের আনিছ
প্রজন্ম আরেক প্রজন্মের অপেক্ষা করে, কখনোই না। প্রতিটা প্রজন্মেই কিছু ব্যাতিক্রম তারুণ্য থাকে যারা পরিবর্তন করে দিয়ে যায়। কিন্তু সেই সংখ্যাটা খুবই কম।
এক পুরুষ আনে তিন পুরুষ খায়, উল্টোটা হলে হয়ত এই বিপ্লব আরো ঝাঝালো আলোয় চোখে পড়ত।
শেহজাদ আমান
হুম। প্রজন্মকে তার প্রকৃত দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে।
আবু খায়ের আনিছ
শুভেচ্ছা নিবেন। ভালো লেগেছে কবিতা।
আমি আমি
যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে,আবার উত্তরনও করছে। তাই আশাই আমাদের বাচিয়ে রাখে যদি ভাল কিছু পাই।
শেহজাদ আমান
ধ্বংস ও উত্তরনের চক্রে নিজেদের দায়িত্ব বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করাটাই প্রজন্মের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
মৌনতা রিতু
অসাধারন একটা লেখা।প্রজন্ম এই লেখা পড়ে টগবগিয়ে উঠবেই।সব বাঁধার বিন্ধ্যাচল পেরিয়ে ওরা উঠে যাবে অনেক উপরে।
শুভকামনা রইলো অনেক।
আবারও বলছি সুন্দর হইছে।
এরকম উৎসাহপূর্ণ লেখা আরো চাই।
শেহজাদ আমান
ধন্যবাদ। আমি কিন্তু বিদ্রোহ আর বেদনার কবি মনে করি নিজেকে; আমি যে ধারায় লিখি এই ধারায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আর কাউকে লিখতে দেখিনি। তবে, এটা অনুভব করি আমার লেখার মান আরও বাড়াতে হবে, একে আরও কারুকার্যময় করতে হবে।