এর মধ্যে শিমুল পলাশ ফুটে গেছে, শীতের শুষ্কতা পেছনে ফেলে কৃষ্ণচূড়া বেশ খানিকটা লালও হয়েছে আরো। সাজিদ বন্যারও দেখা সাক্ষাত হয়েছে বেশ কবার। সম্পর্ক আপনি থেকে তুমিতে চলে এসেছে। বইমেলার সামনের রাস্তার মাঝখানের আইল্যান্ডে বসে দুইজনে আড্ডা দিচ্ছে প্রায় রোজ। - এই তুমি বই পড়োনা কেন? বিরক্ত লাগে। - প্রথমতঃ বই পড়ার মত মেধা আমার নেই। দ্বিতীয়তঃ যত বেশি জানবো যন্ত্রনা তত বেশি বাড়বে। এই দেশে আই ক্যান্ট লিড মাই লাইফ বাই দ্যা বুক। তাছাড়া আই হ্যাভ এ রাইটার উইথ মি, হোয়াই ড্যু আই নিড বুকস?’ ভুরু দুলিয়ে শেষ কথাটা বলে হাসতে থাকে সাজিদ। - উফ! খালি এক কথা। ধুর। মেলায় কত কবিতার বই, অনেক ভালো ভালো উপন্যাস এসেছে, আমি কিছু বই সিলেক্ট করে দিচ্ছি তুমি পড়ে দেখো ভালো লাগবে। - না গো কন্যা বন্যা, সাজিদ কাব্য প্রতিবন্ধি মানুষ, সে কবিতা বোঝেনা। সাজিদের কথায় চোখ গরম করে তাকায় বন্যা। সাজিদ হাসে, - আসলে আমার কাছে মনে হয় ইদানিংকার কবিরা বাই ডিফল্ট অলস। ডিকশেনারি খুঁজে খুঁজে কঠিন সব শব্দ যা কিনা মানুষের এভ্রি ডে লাইফে অনুউপস্হিত কবিতার মধ্যে জুড়ে দেয়। মনে হয় কবিতায় যে যত কঠিন এবং দুর্ভেদ্য শব্দ চয়ন করতে পারে সেই বড় কবি। আর উপন্যাসের কথা বলছো? ইদানিংকার ঔপন্যাসিকদের ব্যাপারে আমি পুরাই হতাশ। প্রেমকে এরা বাড়ির আশপাশ থেকে শপিং মলের ফুড কোর্টে কিংবা দূরের কোন বার্গার শপ অথবা পিজ্জারিয়াতে নিয়ে প্রেমের কনসেপ্ট চেঞ্জ করে দিয়েছে। বয়ফ্রেন্ড এবং প্রেমিক এখন একই অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেলফোনে সকালে আই লাভ ইউ বলে যে সম্পর্কের শুরু সন্ধ্যার আগেই টেক্সট ম্যাসেজ করে আই হেট ইউ বলে সেই সম্পর্কের ইতি টানছে। অথচ কিছুদিন আগেও প্রেম সবার অগোচরে বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশেই সীমাবদ্ধ ছিলো। চার চোখের মিলনে হাজার কথার আদান প্রদান,আড়ালে আবডালে একটু ছোঁয়া, অতি সঙ্গপোনে ছোট ছোট চিঠি চালাচালি হতো, একটা বৈরী পরিবেশে প্রেম হলেও সেই প্রেমে একটা এগ্রেসিভনেস ছিলো । একজনের জন্য আরেকজন জীবন বাজি রেখে ঝুঁকি নিতো। এখন প্রেমের ভাষা হলো আই লাভ ইউ বিকজ আই নিড ইউ আর আগে প্রেমের ভাষা ছিলো আই নিড ইউ বিকজ আই লাভ ইউ ’ এখনকার উপন্যাস পড়তে বসলে তাই বমি লাগে’ এক নাগাড়ে বলে দম নেয় সাজিদ। বন্যা চোখ বড় বড় করে সাজিদের হাতে পানির বোতল ধরিয়ে দিয়ে বলে, - নাও পানি খাও। উফ !!! আচ্ছা তুমি আসলে কি কাজ করো বলতো? আমার তো মনে হয় তুমি বাতের বড়ি বিক্রি করো ’ - যাইই করি, করি । তবে হেলথ সার্ভিসের সাথে আমি জড়িত না’ নির্বিকার চেহারা সাজিদের। তাই দেখে গা জ্বলে যায় বন্যার, - আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে রবীন্দ্রনাথ নজরুল শরৎ বাবুর বইই পড়ো, তোমাকে আর কষ্ট করে এখনকার উপন্যাসিকদের উদ্ধার করতে হবেনা। - উহু । আমাদের জাতীয় সংগীত আর মোটা গলায় রবীন্দ্র সংগীত ছাড়া আমার সাথে রবীন্দ্র নাথের কোন সম্পর্ক নেই। আমি মনে করি রবীন্দ্র সাহিত্য বোঝার মত মগজই আমার নাই। আমার কাছে মনে হয় রবীন্দ্র সাহিত্য নির্দিষ্ট শ্রেনীর জন্যই রচিত হয়েছ। আমার মেধা থাকলে শেষের কবিতার আগের কবিতা অথবা শেষের কবিতার পরের কবিতা নামে কিছু একটা লিখে ফেলতামশ। নজরুলকে আমি পছন্দ করি নজরুলের ক্ষেপামি নজরুলের ছন্নছাড়া, শিকল ছেড়া ব্যাড়া ছেড়া বহেমিয়ান লাইফটার জন্য। নজরুলের মত আমিও জীবনের অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত তাই। আর আমার দৃষ্টিতে শরৎ বাবু একজন খাঁটি প্রেমির। এলজাবরার কঠিন নিয়ম এ প্লাস বি হোল স্কয়ারের মত নিদৃষ্ট ফর্মুলায় যে প্রেম হয়না এটা এক মাত্র শরৎ বাবুর লেখায় পাওয়া যায়। শরৎবাবু প্রেমকে প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির উর্দ্ধে নিয়ে গেছেন বলেই বড় প্রেম শুধু কাছে টানেনা, দুরেও ঠেলে দেয় বলতে পেরেছেন। শরৎ সাহিত্যে বিধবাদের চাওয়া পাওয়া এবং প্রেম পাওয়া যায় কিন্তু একজন বিধবাকেও তিনি বিয়ে দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেন নাই বলে শরৎ বাবুর বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ আছে। তার কোন বইয়ে ‘অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল’ ধরনের কোন এন্ডিং পেয়েছো ? পাও নাই, কারন শরৎ বাবু যা লিখতেন তিনি তা বিশ্বাস করতেন না কিংবা সমাজকে উনি ভয় পেতেন। এটা এক ধরনের ভন্ডামি। আর আমার সব চাইতে অপছন্দ ভন্ডদের’
এক নাগাড়ে বলে পানির বোতলের জন্য হাত বাড়ায় সাজিদ। বন্যা চোখ বড় বড় করে সাজিদের দিকে তাকিয়ে বলে, - তুমি আসলেও একটা উজবুক। উফ!! ধ্যাত্,আজকের পরে তোমার এই পড়া নিয়ে আমি যদি আর কিছু বলি তোমাকে কোনোদিন, বাপরে!! দাঁত বের করে হেসে কথা ঘোরায় সাজিদ, - আচ্ছা কালইতো মেলা শেষ । প্লিজ আমার একটা কথা রাখোনা, কালকে শাড়ি পরে আসোনা প্লিজ, আমার খুব শখ তোমাকে শাড়িতে দেখি ’ সাজিদেরর গলায় আবদারের সুর শুনে মুচকি হাসে বন্যা, - কি রকম শাড়ি পছন্দ তোমার ? - এক রঙ্গা খোলের সাথে চওড়া পাড়ের যে কোনো তাঁতের শাড়ি। স্পেশাল হলে সাদা সিল্কে লাল পাড়ে জরির সুতোর কাজের শাড়ি। হাত ভর্তি লাল সাদা কাঁচের চুড়ি, কপালে লাল টিপ, চুল থাকবে খোপায় বাঁধা, খোঁপায় থাকবে রজনি গন্ধার মালা উরি বাবা! লিস্টি তো ম্যালা লম্বা! ওক্কে যাও, তাও মনে রাখলাম … ভাল কথা, আমাকে শাড়িতে দেখতে হলে নিজেকেও যে পাঞ্জাবীতে মুড়িয়ে আনতে হবে এইটা যেন মনে থাকে। একদিনের জন্য হলেও তোমাকে ছেঁড়া জিন্স আর গেঞ্জির বাইরে দেখি। উফ, চোখ পঁচে গেল এই ছেড়া জিন্স দেখতে দেখতে’ বলে নাক কুঁচকায় বন্যা। - ওহ নো। পাজামা পানজাবি কেন? জিন্স ইজ মাই সেকেন্ড স্কিন এন্ড আই ডোন্ট এক্সিস্ট উইদাউট জিন্স… - এহ্সেকেন্ড স্কিন, আমি অতশত বুঝিনা । তোমাকে কাল পাজামা পাঞ্জাবী পরে আসতে হবে ব্যাস’ আবদারের সুরে আদেশ শুনে মুগ্ধ চোখে বন্যার দিকে তাকিয়ে থাকে সাজিদ। চোখে কোমল প্রশ্রয়ের হাসি টেনে রেখে চেহারায় হাল ছাড়া ভাব ধরে কাঁধ নাচায়, - ওক্কি ডক্কি – তাই হবে কিন্তু তুমি একটু আর্লি চলে আসবে প্লিজ। - আর্লি কেন আবার?! - না মানে, আবার কবে দেখা হয় না হয় তাই বলছিলাম… একটু আর্লি এলে একটু বেশি সময় এক সাথে থাকতে পারতাম… - আবার কবে দেখা হয় না হয় মানে ?! কই যাচ্ছো তুমি?! - আরে!! বই মেলা শেষ হলে তুমি হয়তো বাসা থেকে বের হতে পারবেনা এই ভেবে বল্লাম… - তা ঠিক, তবে এমন না যে একেবারেই বের হতে পারবোনা । - আচ্ছা তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি ? - হুম করো । - আমার সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে না তোমার? তুমি কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার সম্পর্কে কিছুই জানতে চাইলেনা…’ সাজিদের কথার মধ্যেই ঝামটা দেয় বন্যা, - তোমার সম্পর্কে আর কি জানতে চাইবো হ্যা ? তুমি একটা উজবুক বহেমিয়ান ব্যারাছারা ফাউল পাগল … আর এই পাগলটাকে আমার অনেক পছন্দ । আর আর তোমার হাত ধরে শত জনম পার করার খুব ইচ্ছেও আমার’ বলে বাচ্চা মেয়ের মত নিষ্পাপ হাসে জ্বীহবায় কামড় দিয়ে। কি যে হয় সাজিদের ভেতরে তা সাজিদই জানে। এই বোকা মেয়েটা জীবনেও কি জানতে পারবে সাজিদ তাকে ছাড়া সত্যিই পাগল হয়ে যাবে ? বন্যার একটা হাত ধরে তার চোখের দিকে তাকায় সাজিদ । মনের ভেতরে অসংখ্য কথার খই ফুটছে কিন্তু মুখ চুপ করে থাকে । কতক্ষন পরেই ছটফট করে হাত ছাড়িয়ে নিতে চায় বন্যা, - উফ!! এমন করে কি দেখো হ্যা? বন্যার গরম চোখ অগ্রাহ্য করে রাজু গাঁঢ় স্বরে বলে, - তোমার চোখে নিজেকে দেখছি… আচ্ছা তুমি কি আমার চোখে তোমাকে দেখতে পাও? হঠাৎই কেমন অন্য রকম হয়ে যায় বন্যার চেহারা । ঠোঁট দুটোকে একবার কামড়ে নিয়েই ছেড়ে দেয়, - প্রথম যেদিন তুমি আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলেছিলে মনে আছে? সেইদিনই তোমার চোখে আমি নিজেকে আবিস্কার করে ফেলেছিলাম এটা কি তুমি জানো? আমি জানতামওনা তোমার সাথে আর কখনও দেখা হবে কি হবেনা । আমি জানতামনা তুমি কে ? তবে শিওর জেনেছিলাম, তুমি সেদিন যা বলেছিলে তাতে এক বর্ণও মিথ্যে ছিলনা । তুমি যা ফিল করেছিলে তাইই বলে দিয়েছিলে আর এটাও জেনে গিয়েছিলাম আমাদের আবার দেখা হবেই । সেদিনই বাসায় গিয়ে মাকে কথাটা বলেছিলাম । চাইলে মাকে জিজ্ঞেস করতে পারো । - মাই গড !! ইউর মম নৌজ এভ্রিথিং এবাউট মি !? - হ্যা, সব জানেন । তোমার ছবি দেখিয়েছি । তোমাকে লাইক দিয়েছেন কিন্তু তোমার এই ব্যারাছাড়া জামা কাপড় আর চালচলনের ব্যাপারটা মনে হয় বেশি লাইক হয় নাই । চিন্তায় আছে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে । আবার এইটাও জানে যে তোমার এই ছন্ন ছাড়া আগোছালো ব্যারাছারা বহেমিয়ান কেয়ারলেস কেয়ার স্বভাবটাই আমার পছন্দ । কিছুই করার নাই তার । বন্যার কথা শুনে সাজিদ এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে । বন্যার চোখ দুটো কেমন জ্বলছে খুশিতে । একটা শ্বাস ফেলে বন্যার হাত ধরে টেনে তোলে সাজিদ, - রাত হয়ে যাচ্ছে, চলো তোমাকে পৌছে দেই । পুরো রাস্তায় সাজিদ খুব একটা কথা বলেনা আর, বন্যা একাই কত কথা বলে যায় ! কিছু তার কানে যায় সাজিদের কিছু যায় না। সাজিদের বুকে ঝড় বইছে যে তা বন্যা টেরও পায়না । বন্যার বাড়ির মহল্লার কাছাকাছি এসে রিক্সা থেকে নেমে যায় সাজিদ বিদায় নিয়ে, - কাল কিন্তু শাড়ি, মনে থাকে যেন ।
বই মেলার মূল গেটে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল সাজিদ । সাজিদের পরনে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী । বন্যা রিক্সা থেকে নামতেই কলিজা ধড়াস করে লাফিয়ে ওঠে সাজিদের । লাল সাদা লম্বা স্ট্রাইপের একটা চওড়া পাড় অলা শাড়ি পরেছে বন্যা। হাত ভরা কাঁচের চুড়ি খোপায় রজনীগন্ধ্যার মালা, কপালে লাল টিপ । ঠিক ঠিক সাজিদের পছন্দ মতন সাজে সাজিদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বন্যা । সাজিদের বুক ব্যথা করতে থাকে বন্যাকে দেখে । বন্যা সামনে এসে দাঁড়াতেই ক্যাবলা একটা হাসি দিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রাখা রিক্সাটায় উঠে বসে বন্যাকে ডাকে হাতছানি দিয়ে ।
বই মেলা থেকে বেইলি রোডের রিক্সা ঠিক করেছে সাজিদ ।
রিক্সা চলতে শুরু করতেই সাজিদ বন্যার হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে,
- লেট মি ফিল ইউর হার্ট বিট ।
বন্যা কিছু বলতে চাইতেই সাজিদ তাকে থামিয়ে দেয়। এক হাতে বন্যার এক হাত চেপে ধরে অন্য হাতে বন্যার চিবুক ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফেরায়। কপালের উপর উড়ে আসা চুল সরিয়ে বন্যার চোখে চোখ রেখে গাঁঢ় স্বরে বলে,
- আই লাভ ইউ উইথ লাভ মাই লাভ, উইল ইউ ম্যারি মি?
কয়েক মূহুর্ত থমকে তাকিয়ে থাকে বন্যা সাজিদের দিকে। হয়তো বোঝার চেষ্টা করে সাজিদ ইয়ার্কি করছে কিনা। এক নাগাড়ে তাকিয়ে থেকে বন্যার চোখ চিকচিক করে ওঠে জলে ভরে উঠে । সাজিদের চোখের দিকে তাকিয়েই ধীরে ধীরে তার ঠোট ছড়ায় হাসিতে । ঠোঁট দুটো চেপে ধরেই ঘনঘন উপর নিচ করতে থাকে মাথাটা ।
সমাপ্ত।
৫টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
গত পর্ব পড়ার পর বুঁঝতে পারছিলাম না গল্পের শেষ কি হবে। সেদিন বলেছিলাম মিস্টি প্রেমের গল্প আর আজ বলছি খুবই রোমান্টিক গল্প। এমন মিলল ভাল লেগেছে।
আই নিড ইউ বিকজ আই লাভ ইউ, না
আই লাভ ইউ বিকজ আই নিড ইউ তা আমি বুঝিনা।
ভালবাসা ভালবাসাই সেখানে কোন প্রয়োজন থাকতে নেই । ভালবাসার জন্যই ভালবাসা।
গল্পের লিখনি , উপস্হাপনা খুব ভাল লেগেছে।
নিয়মিত লিখতে হবে কিন্তু , দাবি করলাম।
ছবিটা পারফেক্ট হয়েছে।
ইঞ্জা
একদম ফাটাফাটি লিখেছেন ভাইজান, গল্পের প্রতিটি পরতে রোমাটিজমে ভরপুর,
ভাইজান আগামীতে কোন বিষয় পাবো?
অপেক্ষায় রইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
প্রেম নামক অলীক বা কুহকের বর্ণনা সাজিদের ভাষ্যে সুন্দর করেই তুলে ধরেছেন,
বিষাদ এড়িয়ে মিলনাত্মক সমাপ্তি লেখাটির ছন্দ-পতন ঘটেছে বলেই মনে করছি, ব্যাপার না,
কল্প-গরু আকাশে সাঁতার কাটলেও কার কী আসে যায়।
কুবি ও ল্যাখকেরা আসলেই খুপ খারাপ!!
চলুক, চলুক!!
মোঃ মজিবর রহমান
জমিদার ভাই, প্রেম কাকে বলে বুঝতেছি মনে হয় তয় আরো( ম্লেখা আপনার চাই।
শুন্য শুন্যালয়
রবীন্দ্র, নজরুল, শরৎ সবতো দেখি গুলে খেয়েছে সাজিদ, তারপরেও পড়তে ভালবাসে না? এ পড়া কোন পড়া কে জানে? তবে পড়তে ভালো না লাগলেও মন্ত্রপাঠে বেশ পটু।
শাড়ি আর পাঞ্জাবি, এই দুই পোষাক ছাড়া রোমান্টিসজম আধুরা লাগে। বেশ সুন্দর লেখা। তবে সত্যি বলতে আমার কাছেও মনে হয়েছে এ লেখায় বিয়োগান্তক সমাপ্তি বেশি ফুটতো, যদিও মিলনাত্মক গল্পই আমার বেশি পছন্দের।
ব্যারাছাড়া বোহেমিয়ান এর আরো আরো লেখা পড়তে চাই। এক দফা, এক দাবী।