হিমু

রাহাত হোসেন ১২ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার, ০৮:১১:৩৮অপরাহ্ন কবিতা ২২ মন্তব্য

আজ সেই দিন
যে দিনে আলমারির ভেতর মায়া নিয়ে ভাজ করা সেই হলুদ পাঞ্জাবিটা খুঁজি
খুব ভোরে উঠে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা হাতে এলোমেলো ভাবনায় ডুবে চেয়ে থাকি পাঞ্জাবিটার দিকে
তারপর এক টুকরো শিহরণ মেরুদণ্ড বেয়ে বিদ্যুতের গতিতে বয়ে যায় সমস্ত পিঠ জুড়ে
সেই অগোছালো ভাবনার ভিড়ে কখন যে দুচোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরে বলতে পারি না
মাস দুয়েক হল দাড়ি কামাই নি চুলগুলোও বেশ বড় হয়ে গেছে
অধীর আগ্রহ নিয়ে এই দিনটা পালনের আয়োজন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় নিজের অজান্তেই
সূর্য মোটামুটি আলো ফোটানোর আগেই বের হয়ে পড়ি নগ্ন পায়ে সেই চিরচেনা ব্যস্ত রাজপথে
হেঁটে যেতে হবে দূর বহুদূর
রোদের মিষ্টি আলোয় হলুদ পাঞ্জাবিটাও খুব সুন্দর দীপ্তি ছড়াচ্ছে
অগোছালো এলোমেলো এক তরুণ আবার তার পুরনো উদ্যমে হেঁটে চলেছে এই ব্যস্ত রাজপথের বুক চিরে
তবে গন্তব্যটা উদ্দেশ্যহীন নয়
আমার গন্তব্যটা হোতাপাড়া হতে আট কিলোমিটার দূরে এক স্নিগ্ধ শ্যামল গ্রামে
নাম নুহাশ পল্লী
এখন বুঝতে পারছেন তো আমি কে?
আমি,আমি হিমু
আমার চরিত্রের স্রষ্টা প্রিয় হুমায়ূন স্যার
স্যার আমাকে নিয়ে কত কিছুই না করেছেন
কখনও ভিক্ষে করিয়েছেন,কখনও বিয়ে দিয়েছেন,কখনও পুলিশে ধরা খাইয়েছেন আরও কত কি
নানা ধরণের উদ্ভট কাজ করিয়েছেন
স্যার আজ নেই
কেউ আর সেই উদ্ভট কাজগুলো করে না আমাকে নিয়ে
খুব খারাপ লাগে জানেন মাঝে মাঝে আমি কেমন যেন হয়ে গেছি
আগের মত উদ্ভট আচরণ করতে পারি না লোকে মন্দ বলে তাই
স্যার থাকলে আমার কোন চিন্তাই থাকতো না
তিনি এই মন্দ বলা লোকদেরকে কোন না কোনভাবে ঠিকই বুঝিয়ে দিতেন যা আমি পারি না
খুব খারাপ লাগে মাঝে মাঝে কেউ এখন আমাকে নিয়ে ভাবে না এই ভেবে
তবুও হিমুরা কি আর তার জায়গা থেকে সরতে পারে বলুন
এখনও ভুলে যাই শার্টে পকেট লাগাতে,এখনও রাত বিরাতে বের হয়ে পড়ি উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যে
খালি পায়ে হাঁটাটাও পুরোপুরি ছাড়তে পারি নি
তাই আজ সেই খালি পায়ে শূন্য পকেটে বের হয়ে রওনা হয়েছি নুহাশ পল্লীর উদ্দেশ্যে
স্যার নেই জানি তবুও মাঝে মাঝে ছুটে যাই সেই অদম্য টানে
সেই গাছগুলো আগের মত নেই জানেন
কেমন যেন মুষড়ে পরেছে
তবুও সেই গাছগুলোর সাথে কথা বলি,স্যারের হাতে সকল গাছের সকল পাতার ছোঁয়া লেগে আছে
তাদেরকে ছুঁয়ে স্যারকে অনুভব করার চেষ্টা করি
তবুও দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে
অনেকক্ষণ কান্না জড়ানো চোখে বসে থাকি সেই লিচু বাগানে স্যারের কবরের পাশে
মনে মনে অনেক অভিযোগ করি
জানি না স্যার সেগুলো শোনেন কিনা
যদি শুনে থাকেন তবে সবচেয়ে বেশি শোনেন যে অভিযোগটা তা হল
অনেক লুকোচুরি হয়েছে স্যার আর ভাল্লাগে না
এবার ফিরে আসুন প্লীজ
দেখুন আপনাকে ছাড়া মিসির আলি কেমন কালোমুখ করে বসে আছে
আমারও ভালো লাগছে না
শুভ্রটাও কেমন যেন বদলে গেছে
আমি স্যার কে নিয়ে এত কথা বললাম কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন
আমি স্যার কে কখনও সামনা সামনি দেখি নি
কিন্তু স্যার এর সৃষ্টিকর্মে মুগ্ধ হয়ে তার মৃত্যুর পরও বারেবার ছুটে যাই তার আঙিনায়
খুব মিস করছি স্যার আপনাকে
জানি না কোথায় আছেন
তবে যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা পাঠালাম আপনার নামে উড়ো ঠিকানায়
যদি এই ভালোবাসা কোন মাধ্যমে যদি ডাকযোগে আপনার নিকট পৌঁছে তবে সাদরে গ্রহণ করবেন
খুব ধন্য মনে করবো নিজেকে

ইতি
আপনার হিমু

রাহাত হোসেন

৮১০জন ৮০৯জন

২২টি মন্তব্য

  • ব্লগার সজীব

    অন্যের লেখা তো পড়বেনই না, কারন আপনার চোখ অন্ধ। ব্লগের পাতায় যে আরো লেখা থাকতে পারে,তা কোনোদিন দেখেছেন বলে মনে হয় না। এই একই লেখা আপনি এপ্রিল ১০, ২০১৬ at ৫:৩৯ অপরাহ্ন এ দিলেন, আপনার নিজের লেখাটাও দেখলেন না? সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। কি চিন্তা করে একই লেখা একই শিরোনামে দিলেন একটু বুঝিয়ে বলবেন? একটু পার্থক্য আছে অবশ্য, হিমুর ছবি একটায় হলুদ, আর একটায় কোন ছবি নেই, আছে কালো একটি আয়তক্ষেত্র।

    • রাহাত হোসেন

      ভাই আপনি এত ইলটেম্পারড কেন?আমার ঐ লেখাটা আমি ডিলিট করতে ভুলে গেছি।আর আপনি যে বললেন আপনি বা কয়টা মন্তব্য করেছেন আমার পোস্ট এ যে বলছেন আমি কারও লেখা পড়ি না।আপনার মত মূর্খরা আছে বলেই আজ জ্ঞানীদের অবমূল্যায়ন হচ্ছে।মনে রাখবেন যে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করি।আর আমি ছবিটা দিতে পারি নাই বিধায় আবার পোস্ট টা করেছিলাম।

      • লীলাবতী

        সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখে ক্লিক করে এই মন্তব্যে এলাম। আপনি লিখেছেন ভাইয়া ” আপনার মত মূর্খরা আছে বলেই আজ জ্ঞানীদের অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ” ব্লগার সজীবের মন্তব্যে এমন কিছু ছিলনা যে আপনি তাকে মূর্খ বলবেন। ভুল আপনি করেছেন, ব্লগার সজীব তা দেখিয়ে দিয়েছেন মাত্র। ব্লগার সজীব মন্তব্য করেন না? আসুন দেখি তো আপনাদের দুজনের ব্লগিং ইতিহাস 🙂
        রাহাত হোসেন পোস্ট লিখেছেনঃ ১৭টি
        মন্তব্য করেছেনঃ ৭টি
        মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৭৯টি
        **********************
        ব্লগার সজীব পোস্ট লিখেছেনঃ ৬২টি
        মন্তব্য করেছেনঃ ৩৮৩৪টি
        মন্তব্য পেয়েছেনঃ ২৬০২টি
        ***********************
        বিশ্লেষনঃ আপনি আপনার প্রতিটি পোষ্টের বিপরীতে মন্তব্য করেছেন দশমিক ৪১ টি
        ব্লগার সজীব তার প্রতিটি পোষ্টের বিপরীতে মন্তব্য করেছেন ৬১ দশমিক ৮৩ টি।
        ************************
        প্রচলিত কথাঃ
        ১। ব্যবহারে বংশের পরিচয়
        ২। একটি ছড়াঃ
        বড় কে
        হরিশচন্দ্র মিত্র
        ————-
        আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়
        লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
        বড় হওয়া সংসারেতে কঠিন ব্যাপার
        সংসারে সে বড় হয়, বড় গুণ যার।
        গুণেতে হইলে বড়, বড় বলে সবে
        বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।
        *************************************
        ব্লগার সজীবকে মূর্খ বলায় তীব্র প্রতিবাদ করছি।

      • ব্লগার সজীব

        বহুদিন পরে একটি টাইটেল পেলাম ভাইয়া 🙂 মূর্খ ব্লগার সজীব, ব্লগার মূর্খ সজীব, ব্লগার সজীব মূর্খ, ঠিক কিভাবে লিখলে টাইটেলটি আমার নামের সাথে মানাবে এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ চাচ্ছি জ্ঞানী রাহাত হোসেন ভাইয়া। সরি আপনি মূর্খের ভাই হতে যাবেন কেনো?
        বান্ধাইয়া রাখার মত আপনার মন্তব্য। একটা ফুলের মালা থাকবে ফ্রেমের গায়ে। আপনার কবিতাটি খুবই চমৎকার হয়েছে। মূর্খ সজীবের কাছে চমৎকার 😀 প্রিয়তে নিলাম আপনার লেখাটি।

    • অনিকেত নন্দিনী

      ভাইজান, অন্যদের পোস্ট তো পড়েননা; পড়লেই না জানতেন আপনি কোন জাতের ব্লগার। ব্লগে আসছেন এখনো একমাস হয়নাই, তাইতেই এত্ত স্পর্ধা আর বড়াই? একবছরের অভিজ্ঞতা হলে না জানি কী করতেন তা ভাবতেও চাচ্ছিনা।
      এই ব্লগে সজীবের মতো মার্জিত ও ভদ্র ব্লগারকে যে মুর্খ বলতে পারে তার জ্ঞান নিয়ে আমি সন্দিহান। ব্লগার সজীবকে মূর্খ বলায় তীব্র প্রতিবাদ করছি। (9)
      এই পোস্টে মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    • আবু খায়ের আনিছ

      উনার লেখা প্রথম দিকে পড়তাম, এখন পড়ি না। মন্তব্য করে কখনো প্রতিমন্তব্য পেয়েছি বলে মনে পড়ে না, আর উনাকে কারো পোষ্টে মন্তব্য করতে দেখি নাই। প্রথম দিকে ভাবতাম হয়ত ব্যাস্ত মানুষ তাই মন্তব্য করতে দেরী হচ্ছে, কিন্তু ক্রমান্নয়ে বেশ কিছু লেখাই মন্তব্য করার পর দেখলাম উনি আসলে যতটা না ব্যাস্ত তারচেয়ে বেশি অগ্রাহ্য আমাদের মত পাঠকের মন্তব্য এর জবাবা দিতে। সত্য বলছি, ব্লগে ঢুকে উনার লেখা চোখে পড়লে এড়িয়ে গিয়েছি, দেখার বিন্দুমাত্র আগ্রহ জন্মায়নি মনে।

      লীলাপু এই পরিসংখ্যাটনা উনাকে একবার দেখাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার নিজের আগের আইডিটা না থাকায় আমার পরিসংখ্যানটা একটু ভিন্ন চিত্র ধারণ করেছে, তাই দেখাইনি।

      খুব সুন্দর একটা কথা বলেছে, সজীব ভাই মূর্খ্য!! যে নিজের জ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ সে অন্যকে তারচেয়ে ভালো কিছু ভাবতে পারে না। আপনার মত ব্লগার দেখে সত্যি চোখ জুড়িয়ে গেল।

      কাউকে কিছু বলার আগে কথার ওজন আর নিজের ওজন বুঝে কথা বলবেন মি. রাহাত। নয়ত ওজনের ভারে নিজেই নুয়ে পড়বেন।

  • ইলিয়াস মাসুদ

    এতো কপি পেষ্ট করলে নিজেও এক সম​য় পেষ্ট হ​য়ে যেতে হবে রাহাত ভাই…….
    লিখা যদি না আসে তবে ক্ষেমা দেন একটু …….. যখন লেখা আসে তখন লিখেন, তার পরেও এত এত কপি মাইরেন না ভাই,অন্যের লেখা প​ড়েন তবে লিখা আসতে পারে…. (9)

    • রাহাত হোসেন

      এটা কার লিখা ভাই?সারা জীবন সাধনা করে যদি আপনি আমার মত একটা কবিতা লিখতে পারেন তাহলে আর জীবনে কলম ধরবো না আল্লাহ্‌র কসম।কপি পেস্ট তারাই করে যারা এটার ব্যাপারে আপনার মত ভালো জ্ঞান রাখে আমরা তা পারি না ভাই। 🙂

      • ইলিয়াস মাসুদ

        না ভাই,আমি আপনার মতো লিখতে পারিনা,কেউ কারো মতো লিখতে পারে না,আমি কারো মতো লিখতেও চাই না,জীবনের এতটা পথ এসে যদি আপনার মতো লিখতে হ​য় তার চেয়ে ভাল না লিখি……
        আর হ্যা,সামান্য কথা টুকু বুঝতে পারেন না,আবার কবিতাও লিখেন? আমি বলেছি আপনি আপনার নিজের লিখাকে কপি পেষ্ট করে আবার দিয়েছেন, অন্যের লিখা কপি করেছেন কোথায় বল্লাম?
        আমরা যাকে ব্যাক্তিগত ভাবে জানি না তাকে নিয়ে এত নীচ কথা বলা যায় না,আপনার ব্যাবহার শুধু আপনার পরিচ​য়-ই বহন করে না, আপনার পুরো বংশেরও ……..।

    • আবু খায়ের আনিছ

      মাসুদ ভাই,
      মি. রাহাত মনে হয় এই প্রবাদ বাক্যটা ভুলে গিয়েছেন। অহংকার পতনের মূল।

      বাপরে কি কবি ভাই, লেখা ছেড়ে দিব এমন কথা কত বড় মাপের একজন লেখক হলে বলা যায় ভাবতে পারেন।

  • ব্লগার সজীব

    অসম্ভব ভালো লিখেছেন। এক কথায় অনবদ্য। বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এধরনের লেখা আর আগে আসে নি। অনবদ্য…অসাধারণ… শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময়যোগী লেখা তাই নয় একেবারে সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত।

  • ব্লগার সজীব

    সমকালীন বঙ্গীয় সাহিত্যাকাশের উদীয়মান নক্ষত্রসম আপনার এই কবিতাখানা সাহিত্য পিয়াসীদের মনে নিগূড় যে বেদনার সৃষ্টি করিয়াছে তাহা কেবলমাত্র নব্য একবিংশীয় ধারার তত্ত্বীয় দর্শনের সহিতে প্রাচীন চন্ডী মঙ্গলীয় রোমান্টিসজমের সামঞ্জস্যপূর্ণতার ব্যাখ্যাই নয়, বর্তমান পেটি বুর্জোয়াদের জলশুন্য অন্ন ভক্ষণের তীব্র ক্ষুধাও প্রকাশ করিয়াছে…

  • ব্লগার সজীব

    তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা যখন সাম্রাজ্যবাদীদের চোখ রাঙ্গানো আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; ঠিক তখনি, ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার এই পোস্টের মাঝে আমি খোজে পাচ্ছি অন্ধকার ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভবনা আর বিদেশী বেনিয়াদের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব গ্রহন করার বিপক্ষে একটি সুক্ষ বার্তা যা আমার মনে মুড়ি খাওয়ার বাসনা জাগিয়ে তুলেছে।
    যাই, মুডি খেয়ে আসি।

  • অনিকেত নন্দিনী

    মডু ভাইয়্যু/আফা,
    আপনি এখনো কোথাকার কোন নিরিবিলি চিপায় বইসা মুড়ি চিবাইতাছেন? আমাদের এই ক্ষুদ্র ব্লগে অতি জ্ঞানী এক ব্লগার পদার্পণ করেছেন। তাঁর লেখার মান আমেরিকার ভূতপূর্ব টুইনটাওয়ারের মত সুউচ্চ। ঐ টুইনটাওয়ার যথাযোগ্য দেখভাল আর সাবধানতার অভাবে ধ্বংস হইয়া গেছিলো, এই সুউচ্চ লেখার মান যাতে ধ্বংস হইয়া না যায় তাই আমি আবদার অনুরোধ করতেছি বঙ্গীয় সাহিত্যের এমন সুউচ্চ মানসম্পন্ন লেখাকে যেনো স্টিকি কইরা রাখা হয়। সম্ভব হইলে আমাদের এই ক্ষুদ্র ব্লগের কভারে এই সুউচ্চ মানসম্পন্ন লেখকের গলায় ফুলের মালা ঝোলানো একখানা ফটোও ঝুলাইয়া দিয়েন।
    এই টুইনটাওয়ারসম উচ্চতাসম্পন্ন লেখকের এই ব্লগে আগমণের কারণে আমরা ধন্য। জ্ঞানী লেখকের জন্য তালিয়া। :c

  • ব্লগার সজীব

    আপনার এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের জাতীয় জীবনে সে অভ্যাস তৈরীর ক্ষেত্রে একটি দিক নিশানা হতে চলেছে বলেই প্রতিভাত হয়। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর আপনিই প্রথম ব্লগ জগতে এমন একটি প্রয়াস নিয়েছেন যা একই সাথে ডিসকোর্স এবং তার কাউন্টার ন্যারেটিভে বাইনারী অপোজিটসের উদাহরণ সৃষ্টি করবে। এর মধ্য থেকেই আমরা বের করে নিতে পারবো আমাদের পরিবর্তনের পথ।

  • ব্লগার সজীব

    রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এমন এমন লেখা চোখে পরে নাই, এমনকি শরৎবাবুর প্রয়ানের পর এহেন তাৎপর্যমন্ডিত লেখা আজ পর্যন্ত আমি পড়িনি।

  • ব্লগার সজীব

    এই লেখাটিতে লেখক মনের অন্ধি সন্ধিতে যে মনস্তাত্বিক টানাপোড়েনের আভাস আমরা দেখতে পাই সেটা নিয়ে আসলে বিশদ আলোচনার অবকাশ রয়েছে। লেখাটিতে আমরা পাবলো পিকাসোর কিউবিজমের সাথে সালভাদর দালির স্যুরিয়ালিজমের একটি সম্মিলিত অভিক্ষেপের লিখিত রূপ দেখতে পাই। লেখককে সাধুবাদ তিনি খুবই মুনশিয়ানার সাথে এই দুটি বিপরীতমুখী চিত্রকলার ধারাকে একই লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পেরেছে। এ প্রসঙ্গেই স্বনামখ্যাত পরিচালক আকিরো কুরোশাওয়া হয়তো কখনো বলেছিলেন “দুটি বিপরীত ধারার মিলনে যেই লেখনী আমাদের সামনে প্রতিভাত হয়ে ওঠে সেটাই আসলে একটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের মূলকথা”। যাক, এই লেখা নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস করলে পাতার পর পাতা আই মিন মেগাবাইটের পর মেগাবাইট শেষ হয়ে যাবে তবু আলোচনার সিদ্ধান্তে আসা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাবে।

    জাতির ক্রান্তিলগ্নে এরূপ পোস্ট প্রসব করে জাতিকে আলোর পথ প্রদর্শন করার জন্য আপনাকে রত্নগর্ভা ব্লগার উপাধি দেয়া হউক !!!

  • সঞ্জয় কুমার

    লেখার চেয়ে মন্তব্য পড়তে পড়তে অবস্থা খারাপ । যা হোক সজিব ভাই আমারও একজন প্রিয় ব্লগার । যদিও লেখা পড়ে নিশ্চুপে মন্তব্য না করে পালিয়ে যাওয়া সু অভ্যাস !!! আমার খুব বেশী ।

    কবি ভাইকে জ্ঞান দেয়ার মত যথেষ্ট জ্ঞান আমার ভান্ডারে নেই ।
    শুধু এতটুকু বলতে পারি সোনেলার মত এমন ব্লগার বান্ধব পরিবেশ আর কোথাও পাবেন না । আমরা সবাই একটা পরিবারের সদস্যের মত ।

    ভালো থাকবেন ।

  • মোঃ মজিবর রহমান

    এই ব্লগ একটি শান্ত প্রিয় ব্লগ। রাহাত ভাই। নিজেকে এতো নিজে নিজে উচ্চে তুলে ধরা যায়না। কেউ সুন্দর কেউ অসুন্দর।
    আপনি ভাল লিখেন আপনার বিচারে। কিন্তু এখানে পাঠক বৃন্দ আপনার লেখার বিষয়ে মতামত দিতে পারে আর এক্ষেত্রে আপনার উগ্র মত মানবিক ভাবে অগ্রহনযোগ্য বলে মনে করি।

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ