২৭-০৫-২০১৬
সময় দুটো বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। দুপুরের খাওয়া প্রায় শেষের দিকে। ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম আজ তারিখ কত। হঠাৎ আমি শুধু তাকিয়েই থাকি। ফ্যানের বাতাসে ক্যালেন্ডারের কিছু পাতা উড়তে থাকে। চোখ স্থির। ঝাপসা হয়ে আসে। পলকহীন চোখে আমি ভাবতে থাকি খানিক। আজ আছি। এখন আছি। হয়তো একটু পর আর থাকবো না! কখনোই আসবো না। কেউই পাবে না আমায়। কিন্তু…বছরের পর বছর ক্যালেন্ডার এর পাতা এভাবেই উড়তে থাকবে। দিন, মাস, বছর এগোবে…আর সময়ের সাথে মানুষ একটু একটু করে ভুলতে থাকবে আমায়। দু চার দিন কেউ হয়তো আমার কথা বলবে। পরে আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হতে থাকবে। পরিবার আর হাতে গোনা কিছু বন্ধুই আমাকে মনে রাখবে… হয়তো! আবার ব্যস্ততায় নিজেকে…নিজের সংসার গোছাতে গিয়ে আমাকে ভুলিয়ে ফেলবে… হয়তো! হাজারো ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ করে মনে পরে যাবে! হয়তো কেউকে বলবে…আমার এইরকম একটা বন্ধু ছিলো। আজ নেই। মন খারাপ করবে একটু। মিস করবে একটু। বলতে বলতে অন্য কাজে ব্যাস্ত হতেই ভুলে যাবে…হয়তো!
সবাইকে দেখবো আমি। কে কেমন আছে। সবাই আমাকে ভুলেই থাকবে…আপন পর। সবাই। আর আমি…দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারবো না। শুধুই দেখে যাবো…
সবার কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখ ভরে এলো পানিতে। খুব মিস করবো আমি সবাইকে…হয়তো।
কালের বিবর্তনে সবাই সবাইকে ভুলে যায়। থেকে যায় শুধু কিছু স্মৃতি।।।
১৯টি মন্তব্য
মোস্তাফিজ আর রহমান
ভালো লাগলো। আরো ভালো লিখা পাবো আশা করি।
সায়মা নুর নাতাশা
ধন্যবাদ…
ইনশাআল্লাহ…সামনে পাবেন… 🙂
আবু খায়ের আনিছ
সময়ের পরিক্রমায় আমাদের সবাইকেই যে চলতে হয়। যে সময়ের সাথে দৌড়াতে না পারবে সেই যে হারিয়ে যাবে। সময় আমাদের অনেক কিছুেই করতে বাধ্য করে। তারপরেও কিছু মানুষ অমর হয়ে থাকে, তার কর্মের মাধ্যমে।
সায়মা নুর নাতাশা
ধন্যবাদ স্যার।
কিন্তু ক জন পারে টিকে থাকতে???
খসড়া
কিশোর কুমারের “আমি নেই ভাবতেই” অথবা কবিগুরুর “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন”
সায়মা নুর নাতাশা
জ্বি…
ইকবাল কবীর
চলে একদিন আমরা সবাই যাবো। এটা অলিখিত নিয়ম। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সায়মা নুর নাতাশা
ধন্যবাদ…
ব্লগার সজীব
আপু, মন খারাপ করে দেয়া লেখা, চলে যাবো একদিন সবাই। সবাই ভুলে যাবে আমাকে, আমি দেখবো কিছুই বলতে পারবো না 🙁
সায়মা নুর নাতাশা
সেদিন মন খারাপ ছিল সম্ভবত।
জ্বি…এটাই..আমরা দেখতেই শুধু পাবো…এনে মনে করিয়ে দেয়ার ক্ষমতা সেদিন আর থাকবে না।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সবাই আমরা চলে যাবো একদিন। শুধু থেকে যাবে আমাদের কর্মের স্বীকৃতি। কাজেই “এমন জীবন তুমি করিবে গঠণ, মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন।” আজ অনেকদিন পর ছোট্টবেলার সকালে অফিস যাওয়ার আগে প্রায় আধঘণ্টা আমার বাবার এই দীক্ষামন্ত্রগুলো মনে পড়ে গেলো। আজকাল কোন পরিবারই এই স্রোতলিপিগুলো বাচ্চাদের পড়ায় না।
সায়মা নুর নাতাশা
জ্বি…এটাই।
আমরাও পড়িনি কখনো এগুলো। কিন্তু বাসার বড়দের থেকে শুনেছি…
আগের সব অনেক ভালো ছিলো
ইনজা
মন ছোঁয়া লিখণীতে মুগ্ধতা।
সায়মা নুর নাতাশা
থ্যাংক ইউ বাপি…
নীলাঞ্জনা নীলা
“মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।” মৃত্যু তার সময়ে আসবেই, তাই ভাবিনা। বরং জীবনের গান গাই। খুব সত্যি একটা কথা মরে গেলে কেউ বেশীদিন মনে রাখেনা। কেউই না। বেঁচে থেকেই মানুষ ভুলে যায় তার সময়ের কাছে দাঁড়ানো মানুষকে। তাই ওই যে বললেন আপনি দেখবেন সবাইকে, তার চেয়ে লিখুন না “বেঁচে থেকেই দেখে যাবো সম্পূর্ণ সময়।” 🙂
সায়মা নুর নাতাশা
জ্বি…
অনুপ্রেরণা জাগালেন…
ধন্যবাদ নীলাপু… <3
জিসান শা ইকরাম
অল্প লেখায় অনেক কিছুই বলে দিলেন।
সায়মা নুর নাতাশা
হুম…মন খারাপ ছিলো তো তখন…তাই
মৌনতা রিতু
সত্যি একদিন চলে যাব। যেতেই হবে।
সব কিছুই স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। এই তো জীবন ও প্রকৃতির খেলা।
ভালো লিখেছেন। আরো লিখুন।