সেরিব্রাল পালসি

নাজিয়া তাসনিম ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ১০:৩৬:৩৫অপরাহ্ন চিকিৎসা, স্বাস্থ্য বার্তা ১ মন্তব্য

সেরিব্রাল পালসি (Cerebral Palsy – CP) হল এক ধরনের নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার, যা মস্তিষ্কের ক্ষতি অথবা অস্বাভাবিক বিকাশের ফলে ঘটে থাকে।

সেরিব্রাল পালসির কারণ বিভিন্ন, যেমন: জন্মের সময় অক্সিজেনের অভাব, জন্মের পরে দেরিতে কান্না করা, মায়ের গর্ভাবস্থায় ইনফেকশন, জেনেটিক কারণ ইত্যাদি।

প্রতিটি শিশুর জন্য লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে: মাংসপেশীর দৃঢ়তা অথবা দুর্বলতা, অস্বাভাবিক চলাচল, ভাষার বিকাশে বিলম্ব হওয়া, এবং ভারসাম্য বা সমন্বয়ের সমস্যা।

এই রোগ নিরাময়যোগ্য না হলেও, প্রতিকার এবং থেরাপি এই শিশুদের জীবনের মান উন্নত করতে পারে।

আমরা বিভিন্ন প্রকারের থেরাপি – যেমন ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, এবং বাক-চিকিৎসা – প্রদান করি, যা তাদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক অংশগ্রহণে সহায়ক হতে পারে।

সেরিব্রাল পালসি নিয়ে জীবন যাপন করা খুব চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক সাপোর্ট এবং উৎসাহের মাধ্যমে এই শিশুরা অসাধারণ কিছু অর্জন করতে পারে।

সেরিব্রাল পালসি প্রতিরোধের জন্য করণীয়:

– গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের নিয়মিত পরিদর্শন এবং পরামর্শ অনুসরণ করুন।
– গর্ভাবস্থার আগে এবং চলাকালীন প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নিন যাতে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়।
– সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং ধূমপান, মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
– ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে, তা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, মাতৃ-স্বাস্থ্য সচেতনভাবে মনিটর করা এবং প্রসবের সময় হাসপাতাল ডেলিভারি নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

ডা: নাজিয়া তাসনিম
এমবিবিএস, ডিসিএইচ (অন-কোর্স)
সিএমএইচ, ঢাকা।

২৯০জন ১৯২জন
0 Shares

একটি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ লেখা

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ