ইদানিং শিহাবকে কেন যেন দূর্বোধ্য লাগছে কণার কাছে।
সেই একই মানুষ… কাছে আসার সময়টাতেও সেই চিরচেনা,তবুও হঠাৎ হঠাৎ কেন এমন অচেনা মনে হয়?
সেদিন চশমার দোকানে গেল দু’জনে। পরিচিত দোকানদার দু’জনের জন্য চা আনালো পিচ্চিকে দিয়ে। শিহাব ধীরে ধীরে তার নিজেরটা শেষ করে কণার জন্য ‘সানগ্লাস’ পছন্দ করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কণাকে এক একটা চোখে দিতে বলে, আর নিজে দেখে ওকে কেমন দেখায়। এই অবসরে কাউন্টারের উপরে রাখাকণার চায়ের কাপ শেষ হয়েছে মনে করে পিচ্চিটা নিয়ে যায়।
একটা ‘গ্লাস’ পছন্দ হওয়াতে শিহাব ওটাই নিতে বলে। কণা এবার ওর চায়ের কাপের দিকে নজর দিতেই শূন্য কাউন্টারটা ওকে উপহাস করে যেন। শিহাবের জন্য একটা ‘এন্টি রিফ্লেক্টিভ গ্লাস’ পছন্দ করা ফ্রেমে সেট করছিল। কিছুটা সময় সেখানে লাগে। ওরা দু’জন অপেক্ষা করে। কণা শিহাবকে জানায় ওর চা টা শেষ না হতেই পিচ্চিটা নিয়ে গেছে। শিহাব মৃদু হাসে। তবে কণা কি বলল, সে শুনলেও আসলেই কি অনুভব করে?
কিছুক্ষণ পরে শিহাব দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে, ‘ চা এর স্টলটা কোথায়?’ পিচ্চিটা ওকে সেখানে নিয়ে যায়। শিহাব একটা সিগ্রেট টেনে আবার দোকানে ফিরে আসে। কণা মনে করে শিহাব ওর জন্য হয়তো চা নিয়ে আসবে। শিহাবকে খালি হাতে আসতে দেখে কিছুটা ম্রিয়মান হয় কণা। ফস করে বলেও ফেলে, ‘সিগ্রেট টেনে আসলে? আমি মনে করেছিলাম হয়তো চায়ের অর্ডার করতে গেছ।’
শিহাব কিছুটা লজ্জা পায়। বলে, ‘আচ্ছা নিয়ে আসছি… এই পিচ্চি’ কথার মাঝে কণা বলে, ‘ থাক, লাগবে না।’
ইত্যবসরে শিহাবের গ্লাস রেডি হয়ে যায়। সেটা নিয়েই সে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কণার এবং ওর চায়ের কথা কিভাবে যেন ভুলে যায়।
এভাবেই কাটছে কণার দিনকাল। অথচ সেই প্রথম দিকে কণার জন্য… ওকে একটু মুগ্ধ করার জন্য… কণার সকল চাহিদা যেন শিহাবের কাছে সকল কিছুর উর্ধে ছিল।
অথচ আজ!
কেন এমন হয়?
৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
নিজের খেয়াল করতে গিয়ে শিহাব সাহেব আর কনার প্রতি জত্নবান হতে পারেন্নি এরকমই মন
মামুন
হ্যা, অনেকেই আছেন যারা শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হৃদয়ের স্পন্দন
আমি নিজেই এতটা বেখেয়ালী ছিলাম হয়তো, অনেকদিন পর দেখলাম ভাইয়া, কোনো বিপদ হয়নি তো
মামুন
ধন্যবাদ। না হয়নি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সম্ভবত মোহ কেটে গেছে অথবা শিহাব নামের চরিত্রটা আত্মকেন্দ্রিক।
মামুন
সম্ভবত। ধন্যবাদ আপনাকে।