যান্ত্রীক জীবনটা আর ভাল্লাগেনা,
প্রতিদিনের সাধারন রুটিনটায় হয়ে গেছে যন্ত্রনাদায়ক।
আম্মুর ডাকাডাকিতেই ঘুম ভাংগে, প্রথম
ক্লাস ৮টায়, তাই যেভাবে হোক ৭টার ভিতর উঠে
ফ্রেশহয়ে রেডি হতে হয়।
আম্মু ঘুম থেকে না ডাকলে সেদিন আমার উঠা হয় ১২ টায়।
সেখানে ৭ টায় উঠা মানে আমার জন্য যে কি
তা শুধু আমিই যানি।
ইদানীং তো অভ্যাস হয়ে গেছে ওয়াসরুমে
দাড়িয়ে দাড়িয়ে ১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নিই।
অনেকটা ঘোড়ার মতন, ঘোড়া কিন্তু দাড়িয়ে ঘুমায়। আমারো সেই অভ্যাসটা হয়ে গেছে।
হয়তোবা একেই ঘোড়া রোগ বলে।
ঘুম থেকে উঠে চোখ বুজেই ওয়াশরুমে
যাওয়ার সময় দুবার অন্তত পক্ষে দেওয়ালের
সাথে ধাক্কা খাই,,
ধাক্কা খেতে খেতে বাথরুমে গিয়ে আবার ঘুম।
এরপর দেরির কারনে আম্মার বকাবকি তো আছেই,,
তারপর বাথরুম থেকে বের হয়ে তাড়াতাড়ি
রেডি হয়ে দৌড় মারি ভার্সিটির দিকে।
শহরের সিটি সার্ভিস গুলোর অবস্থাতো সবাই যানেনই,
যখন কোন বাসের ভিতর ঢুকি, মনে হয় এটা
বাস না, জাস্ট একটা ইট ভাংগা মেশিন মানুষ ভাংগার
কাজে লাগানো হচ্ছে।
এদিক দিয়ে চিন্তা করলে, মেয়েরা ভালোই সুখে আছে।
রাস্তায় মেয়েদের যতটা সম্মান দেওয়া হয় ছেলেরা
তার নুন্যতম টুকুও পাইনা।
সিটি সার্ভিস গুলোতে মেয়েদের জন্য
আলাদা সিট রয়েছে, ছেলারা চাইলেই
সেখানে বসতে পারেনা।
একবার ক্লাস শেষে বাসায় আসছিলাম,
একটা বি,আর,টি,সি এর বাসে উঠে
কোনভাবে একটা সিট নিয়ে বসছিলাম।
আমি আসলে খেয়াল করিনাই উপরে মহিলা
সিট লিখা ছিলো।
ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির একটা মেয়ে বাসে
উঠার পর কন্টাক্টর আমাকে বল্লেন। “ভাই উঠেন
এটা মহিলা সিট”
কথাটা শুনে মাথাটা এত গরম হয়েছিলো
বোঝাতে পারবোনা।
মনে মনে ভাবছিলাম মেয়েরা যখন ছেলেদের সিটে বসে তখন তাদেরতো এভাবে উঠিয়ে দেওয়া হয়না। বরং তাদের খুব যত্ন সহকারে বসিয়ে রাখা হয়।
এটা মেয়েদের জন্য একটা এক্সট্রা সম্মান নয় কি??
যাইহোক, মেয়েদের সম্মান নিয়ে আমার
কোন অভিযোগ নাই, কারন ওরা এটা ডিজার্ভ করে।
শুধু বলবো, পুরুষের কাছে এতটা সম্মানিতো
হয়ে যদি পারেন একটু কৃতগ্যতা প্রকাশ
করবেন। এতে আপনাদের সম্মান আরো বাড়বে, বিন্দু পরিমানও কমবে না।
মনে হচ্ছে লিখার লাইনটা একটু ঘুরে গেছে।
আসলে টপিক খুজে পাচ্ছিনা।
হইসে কি! আজকে ভার্সিটি থেকে আসার সময়
বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাড়িয়েছিলাম।
আমার একটু সামনেই একটা মেয়ে দাড়িয়ে
ছিলো, ওরে মনে হয় কেউ সম্মান (সিট)
দেয়নি।
তো বাস চলতে চলতে হঠাৎ হার্ড ব্রেক করাতে মুহুর্তেই মেয়েটার পায়ের হীল আমার পায়ের উপর অবস্থান নিলো।
ঐ মুহুর্তটাই তার দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকা
ছাড়া আমারআর কোন উপায় ছিলোনা।
মেয়েটা কয়েকবার সরি বলেছিলো, তবে
সরিতে তো আর হীলের গুতার ব্যাথা কমেনা।
আমি ইট্স ওকে বলে একটু নীরাপদ দুরত্ব
বজায় রেখে দাড়িয়ে রইলাম।
কি যানি! ড্রাইভার সাহেব এবার হয়তো
আরো জোরে ব্রেক মারতে পারে !!
# ধন্য হে নারী, তুমি সত্যিই ধন্য!
৩৫টি মন্তব্য
ইনজা
পায়ের ডাক্তার দেখিয়েছেন কি। :p
মোস্তাফিজ আর রাহমান
হুম দেখাবো বলে ভাবছি, ব্যাথা এখনো কমেনি । 😀
অপার্থিব
// রাস্তায় মেয়েদের যতটা সম্মান দেওয়া হয় ছেলেরা তার নুন্যতম টুকুও পাইনা। //
হা হাহা….সিটিং বাসে মেয়েদের জন্য যে পরিমান সিট থাকে সেটা কি চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট? বাসের সিট না পেলে ছেলেরা যদি দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তবে মেয়েরা পারবে। কিন্ত ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় সেই মেয়েটি যে কোন পুরুষের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের স্বীকার হবে না তার গ্যারান্টি কে দিবে? আগে পরিবহন ব্যবস্থা নারী বান্ধব হোক তারপর না হয় সমান অধিকারের প্রসঙ্গ তোলা যাবে। বাসের ভিড়ে হিলের গুতার ঘটনা হয়তো খুবই রেয়ার অপর দিকে বাসের মধ্যে প্রতিদিন অসংখ্য মেয়ে পুরুষের গুতা, টিপাটেপির স্বীকার হয় । সেদিন এক পরিসংখ্যানে দেখেছিলাম এদেশের গণপরিবহনে চলাচল করা প্রায় ৪১ শতাংশ নারী যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
হুমমম কথা ঠিক ;(
শুভ মালাকার
হ্যা, আপনি ঠিক বলেছেন। তবে, আমাদের উভয়ের মধ্যে সহানুভুতি, সহনশীলতা এবং সহমর্মিতা বিদ্যমান থাকলে কোন সমস্যা-ই হবেনা।
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ ভাইয়া
ইকবাল কবীর
মেয়েদের জন্য কিন্ত ৭-৮ টা সিট রাখা হয় বাকি সব পরুষদের তাই ওনাদের প্রতি একটু নমনীয় হতেই হয়। আসলে মেয়ে পুরুষ বলে কথা না, কথা হল সার্বজনীন নিরাপত্তা ও নিরাপথ যাত্রি সেবা। কিন্ত আমাদের দেশে হয় উল্টা, ভাড়ারপরিমান যেই হারে বাড়ায় সেই হারে সেবার মান কমিয়ে ফেলে।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
মেয়েদের সম্মান নিয়ে কোন অভিযোগ নেই, ওরা এটা ডিজার্ভ করে।
ইকবাল কবীর
সোনেলায় স্বাগতম। ভাল থাকবেন সব সময়।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ
লীলাবতী
সোনেলায় স্বাগতম ভাইয়া -{@ প্রথম লেখা ভালোই লেগেছে। নিয়মিত লেখুন, অন্য ব্লগারদের লেখা পড়ুন।
লেখার লাইনের বিন্যাস কি এমনই করেছেন? নাকি হয়ে গিয়েছে। যদি ইচ্ছেকৃত না হয়, তবে এমন ভাবে লেখা প্রকাশ করুনঃ আপনি সম্ভবত ফেইসবুক বা অন্য কোথাও থেকে কপি করে এখানে পেষ্ট করেছেন। কপি করে পেষ্ট করার পুর্বে শিরোনামের নীচে ডানদিকে দেখবেন ‘ দৃশ্যমান’ আর TEXT লেখা যাছে। TEXT এ ক্লিক করে এরপর লেখাটি পেষ্ট করুন। এরপর দৃশ্যমান এ আবার ক্লিক করে পেষ্ট করুন। তাহলে আর এই সমস্যা থাকবে না।
সোনেলার একটি নীতিমালা আছে। নীতিমালা অনুযায়ী একজন লেখক ২৪ ঘন্টা অতিক্রম না হলে দ্বিতীয় একটি পোষ্ট দিতে পারেন না। নীতিমালা পড়ুন এই লিংকে ক্লিক করে — https://sonelablog.com/tac/
মোস্তাফিজ আর রাহমান
হামম এটা ফেসবুকে আমারি লিখা, কিছুদিন আগে লিখেছিলাম, আমার টািমরাইনে এখনো আছে।
লীলাবতী
ভাইয়া কি ফেইসবুকের সোনেলা গ্রুপে আছেন? না থাকলে সদস্য হয়ে যান 🙂
মোস্তাফিজ আর রাহমান
হুমম হয়ে গেছি!!
সোনেলা দিগন্তে জলসিঁড়ির ধারে
প্রিয় ব্লগার, অদ্য ২০ মে একই দিনে প্রকাশিত আপনার ‘চুপচাপ ভালোবাসা’ লেখাটি আপনার খসড়ায় রেখে দেয়া হলো। এই পোষ্ট দেয়ার ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলে আপনি ‘চুপচাপ ভালোবাসা’ লেখাটি পুনঃ প্রকাশ করতে পারবেন।
সোনেলার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে -{@
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ওহ, সরি, আমি ঠিক জানতামনা। বলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
অনিকেত নন্দিনী
সোনেলায় স্বাগতম।
আগের দিন কি এখন আর আছে?
পিচ্চিবেলায় বাসে চড়লে দেখতাম ওই গুটিকতক মহিলা সিটের অনেকখানিই ফাঁকা পড়ে থাকতো। আর এখন? দিন বদলেছে। নারীরাও এখন হরহামেশা বাসে চড়ছে, কাজে যাচ্ছে। কাজেই সেই আগের নিয়মে এখনো বাসের ইঞ্জিনের উপরকার ৪/৫ টি আর ড্রাইভারের পেছনের ৪ টি সংরক্ষিত আসন কি নারীদের জন্য যথেষ্ট কিনা সেইটাও কিন্তু ভাবার বিষয়।
নারীরাও দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে পারে, বাধ্য হয়ে যেমন দাঁড়িয়ে আসা যাওয়া করতে হয় তাদে, তেমনি যৌন হয়রানির শিকারও হতে হয়। তারা বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করলেও যৌন হয়রানির শিকার হবেনা এই নিশ্চয়তা দিতে পারবেন? এই নিশ্চয়তা পেলে কোনো নারীই আর দাঁড়িয়ে যাতায়াতকে অপছন্দ করবেনা বা আলাদা নারী সিটে বসার আগ্রহ দেখাবেনা এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। 🙂
মোস্তাফিজ আর রাহমান
হুমম কথা সত্য। এ বেপারে আমর মন্তব্য আমাদের পুরুষদের সচেতন থাকতে হবে।
আর যারা এসব অশালীন কাজ করে তাদের মুল্যবোদ বলতে কিছুই নাই। তাদের চরিত্রই একদিন তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়।
তবে গন সচেতনতা অধিক গুরুত্ব পূর্ন।
অয়োময় অবান্তর
্সহজ কথায় মজার স্বীকার্য!!! 🙂
মোস্তাফিজ আর রাহমান
লাইনটা ছোট, কিন্তু অর্থটা কঠিন, পেচানো।।। :=
ব্লগার সজীব
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমানো? কিভাবে কি? যদি একটু শিখাতেন আমার উপকার হতো 🙂
শিক্ষার কারনে, জবের কারনে মেয়েরা এখন বাসে চড়ে বেশি। আমাদের দেশে আলাদা সিট রাখার কারনতো আমাদের মনোভাব। বিদেশে আলাদা সিট নেই। একই সাথে পুরুষ, নারী বসে দাঁড়িয়ে বাসে যাচ্ছে। পুরুষ দ্বারা নিগৃহিত হচ্ছেনা। এটি আমাদের দেশে ভাবা যায় না। আমাদের মনোভাব পরিবর্তন হোক, এরপর নারীদের সিট তুলে নিক।
লেখার উপস্থাপনা সুন্দর। সোনেলায় স্বাগতম আপনাকে -{@
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ
মেহেরী তাজ
আমার এক ফ্রেন্ড আছে সে আমার পাশে বসে থাকা অবস্থাতেই কোন মেয়ে কিংবা বয়স্কা মহিলা বা কোন বয়স্ক লোক বা যে কেউ যাকে বসতে দেওয়া উচিৎ এমন কেউ এলেই সে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে! প্রশ্ন করলে বলে “এটাই তো দাঁড়িয়ে জার্নির বয়স! ওকে আমার চিৎকার করে “থ্যাংক ইউ” বলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বলা হয় না!
একটু ছাড় আপনি দিন একটু ছাড় আমরা দেবো। তবেই তো হবে ……
লজ্জিত হওয়ার চেয়ে বড় প্রায়শ্চিত্ত আর কি হতেই পারে না!
লেখা গুলো একটা স্টেপে লিখুন! যাতে অপ্রয়োজনীয় ফাঁকা থাকবে না!
প্রথম লেখা বেশ ভালো! লিখতে থাকুন ও অন্যের লেখা পড়ে মন্তব্য করুন নিয়মিত।
সোনেলায় স্বাগতম! -{@
মোস্তাফিজ আর রাহমান
thnk u 🙂
সঞ্জয় কুমার
সোনেলাতে স্বাগতম ।
লিখতে থাকুন । আমি নিজেও এখনও ব্লগার হিসেবে শিক্ষানবিশ । সোনেলার সবাই খুবই আন্তরিক অনেকটা পরিবারের মত ।
আপনার কিছু সিমাবদ্ধতা একটু খেয়াল রাখলে লেখাটি আরও সুন্দর হবে ।
১) টাইপিং এর কারনে বানান ভুল আসা
২) লেখার মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ফাঁকা । (এই সমস্যা আমার আগে হত)
ভাল থাকবেন
মোস্তাফিজ আর রাহমান
🙂
মোস্তাফিজ আর রাহমান
dhonnobad vaya..
আবু খায়ের আনিছ
সোনেলায় স্বাগতম, লেখা নিয়ে অনেকেই বলেছে আমি আর কি বলব নতুন করে।
বিভাগ নির্বাচন করার আগে একটু খেয়াল করে দিবেন।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ok! dhonnobad
আবু খায়ের আনিছ
বাংলা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন দয়া করে। শুভেচ্ছা নিবেন।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
চেষ্টা করবো, সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মৌনতা রিতু
নারীর হিল সত্যিই ভয়ঙ্কর। তাই সাবধান।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
হুমম, ব্যাপারটা আমি ঐ দিনই লক্ষ করেছি, চরম ভয়ানক।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি হিল পড়তেই পারিনা। তাই সাবধান।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
তাহলেতো আর কথায় নাই। সিটি বাসেও আপনার পাশে দাড়াতে ভয় লাগবেনা আপু।
:p কিডিং :v