মেজাজটা কেমন যেন শান্ত হয়ে আছে যেন কি হচ্ছে কেনো হচ্ছে তা জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিন্তু কিছুটা ভয়ও হচ্ছে কারণ এইভাবে কেউ মরতে চাইনা সে আর শুধু সে কেনো কেউ এভাবে মরতে চাইনা যখন মৃত্যুকে এইভাবে সামনা সামনি দেখতে হবে, মাথা একবার ঝাড়া দিলো তারপর হাটতে শুরু করলো A462, হাঁটতে হাঁটতে শপিং মলের কাছে এলো যা তার বাসা থেকে দূরে নয় বলে হেঁটেই এলো নয়ত VS মডেলের শীপটা নিয়ে আসতো, মলে এসে মেসিনে তার হাত রাখলো নিজের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আর সাথে সাথে চিউউউ করে সামনের দরজা খুলে গেলো, দেখলো সামনে এক স্মল মডিউল শীপ দাঁড়িয়ে তার অপেক্ষায়, এইখানে যত মানুষ আসে সবাইর একি ভাবে শনাক্তকরণ করলে তাদের জন্য স্মল মডিউল শীপ চলে আসে যাতে চড়ে যার যা দরকার যেমন খাদ্য টেবলেট, বস্ত্র যা খুব সুক্ষ্ম ফাইবার দিয়ে তৈরি হয় আর দরকারি সব সরঞ্জামাদি সব এইখান থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। A462 চেপ্ব বসে শীপে সামনে এগিয়ে চলতে লাগলো আর ও যা যা দরকার সব সাজানো রেক থেকে নিতে লাগলো আর চিন্তা তার মাথায় আবার ঘুরপাক খেতে লাগলো, কিংবদন্তি আছে আগেকার মানুষদের সুন্দর সুন্দর নাম ছিল যা তাদের সম্বোধনে সহায়ক ছিলো আর এখন নাম মাত্র কিছু সংখ্যা যেমন মডেলের মত আর এইটাই তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সুপরিমোরা দেয় আর সুপরিমোরাই হোল এই পৃথিবী নামক গ্রহ সহ আরো কিছু গ্রহের শাসনকর্তা।
যখন বের হোল মল থেকে তখন সন্ধ্যা আকাশে চাঁদ উঠেছে যেন মৃত্যুদূত হা করে আছে, আজ আরো বড় দেখাচ্ছে আর দিন দিন বড় হচ্ছে যেন বলছে আমি আসছি আমি আসছি তোদের সবাইকে গিলে খাবো। এই গতমাসেই সুপ্রিমো ডিক্লেয়ার করেছেন আর বেশি দেরি নেই মহা কেয়ামতের, বেছে বেছে যত বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, পলেটিশিয়ান, কিছু নামকরা ব্যাক্তি, সব শিশুদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কয়েক কোটি আলোকবর্ষ দূরের গ্রহ আল্ট্রো মেডিয়াতে যেখানে কলোনি গড়ে তোলা হচ্ছে নতুনদের আর বাকিদের এইখানেই ধ্বংস হতে হবে, এখানে আর কিছুই থাকবেনা সব নিশ্চিন্ন হয়ে যাবে কারন আর দুই সপ্তাহ পরে কক্ষচ্যুত হওয়া চাঁদ এই পৃথিবীর গায়ে আছড়ে পড়বে যা হবে শ্বরণকালের এক মহাজাগতিক ঘটনা যা আসে পাশের বেশ কিছু গ্রহের জন্য বিপদ ডেকে আনবে, আর ভাবতে পারছেনা এখন বাসায় যেতে হবে, অনেক কাজ তার।
চলবে….
৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
প্রথম পর্বটি এখন পড়লাম 🙂
ভুলে খসড়ায় রেখে দিয়েছিলেন মনে হয়।
ইনজা
ওহ খোদা এই ছিল সোনেলার মনে। :p
নীলাঞ্জনা নীলা
তৃতীয় পর্ব দেখে একটু অবাক হলাম। সরাসরি আপনার ঘরে এসে এখন প্রথম পর্ব পড়লাম। 🙂