
এই দেশে যতো রকমের খেলা আছে — ফুটবল , হা-ডু-ডু, কানামাছি ভো ভো যারে পাবি তারে ছো , তার মইধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরিমান জনপ্রিয়তা পাইছে কোন খেলাটা জানেন? ‘ইমোশন’ নামের সাইকোলজিকাল খেলাটা ।
তবে এইটা একটা বৈধ নেগেটিভ খেলা । যতক্ষণ পর্যন্ত না বিপরীত পক্ষের মন ভাঙ্গতাছে ততক্ষন পর্যন্ত এই খেলা চলতেই থাকবে ।
না এই খেলায় আলাদা কইরা কোন মাঠ লাগে না । দৃশ্য- অদৃশ্য যেকোন স্থানে হইতে পারে এই খেলাটা । এই খেলায় খেলোয়াড় কমপক্ষে দুইজন হইলেও , কোন কোন সময় খেলার শেষে হাতে তালি দেওনের দর্শক কিন্তু হাজারেরও উপরে থাকে ।আবার কোন সময় একজন দর্শকই থাকে , আর তিনি হইলেন সর্বশক্তিমান অদৃশ্য ঈশ্বর ।
যেহেতু এই খেলায় স্পেশিফিকলি কোন মাঠ নাই, তাই এই খেলা প্রকাশ্যেও খেলা যায় আবার গোপনে গোপনেও খেলা যায় ।
আমার সতর্কতা হইল যে , যেহেতু এই খেলায় গেম ওভার হয় বিপরীত পক্ষের মন ভাইঙ্গা , তাই যারা ইমোশন নামের এই সাইকোলজিকাল খেলাটা খেইলা থাকে বা খেলতে আগ্রহী , সেইসব পাক্কা খেলোয়াড়দের কুদৃষ্টির হাত থিকা নিজেরে আপনারা ১০০ গজ আর পারলে ১০,০০০ হাজার গজ দূরে রাখবেন ।
আমি কিন্তু প্রথমেই বলছি এইটা একটা বৈধ নেগেটিভ খেলা , So be careful …….
২৫টি মন্তব্য
শিপু ভাই
আমিও খেলি। পজিটিভ
মুক্তা মৃণালিনী
খুবই ভাল পজিটিভ হলে। ধন্যবাদ ভাই…
আকবর হোসেন রবিন
আমি তো প্রচুর খেলি। আপনি বললেন, এই খেলায় গেম ওভার হয় বিপরীত পক্ষের মন ভাইঙ্গা। কিন্তু, আমার খেলায় মন ভাঙ্গা ভাঙ্গির কাম নাই।
মুক্তা মৃণালিনী
খুব ভাল। আমি যেটা বলছি সেটা ঠিকই বলছি। আপনি হয়তো ভাঙ্গেন না অথবা আমার কথার মিনিং বোঝেন নাই। যাইহোক, আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া..
আকবর হোসেন রবিন
আপনার কথার মিনিং বুঝেছি। মন ভাঙ্গার জন্য একটা সম্পর্কে জড়াতে হয়, আমি জড়ায় না্।
‘ইমোশন’ নামের সাইকোলজিকাল খেলাটা মন দিল ভাঙ্গা ছাড়াও অন্য অনেক বিষয়ে, অনেকের সাথে খেলা যায়।
ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
আমার খেলা শুধু নিজের কর্মের সাথে আর মহান ঈশ্বরের সাথেই চলে। চলে প্রকাশ্যে আবার গোপনেও। এছাড়া আর অন্যকোনো খেলা জানি না, বুঝিও না।
মুক্তা মৃণালিনী
নিজের সাথে খেলা তো ভাল দাদা। তাতে করে নিজের অবস্থানটা আরো বেশি স্বচ্ছ আর পরিষ্কার হয়।
নিতাই বাবু
একটা কথা বলি! তাতে মনে কিছু করবেন না। কথা হলো, আমার এই পোস্টের শিরোনাম দিয়েছেন, “সাইকোলজিকাল গেইম” এটি খুবই সুন্দর একটা শিরোনাম, যা অল্পসংখ্যক শব্দ দ্বারা গঠিত। আবার শিরোনামের সাথে লেখারও একটা সুন্দর মিল আছে। তা যাঁরা আপনার সুলিখিত লেখনী পড়ছে, তাঁরাই বলতে পারবে। তবে আমি একটা জিনিশ বুঝতে পারছি না! সেটা হলো, এই লেখার সাথে আপনার ছবির দেওয়ার কারণটা কী। তা কী একটু জানতে পারি?
মুক্তা মৃণালিনী
দাদা ধন্যবাদ আপনাকে। দাদা লেখার সাথে মিল রেখে সবসময় ছবি দেয়ার চেয়ে আমি লেখকের ছবি দেয়াকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। লেখক তার লেখায় একই সাথে লেখক ও মডেল দুটোই হতে পারে।
নিতাই বাবু
জানা ছিল না দিদি, আপনার কাছ থেকে জানা হলো। তো, আমি মনে করি এটা যার যার অভিরুচির উপরই নির্ভর করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনার পোস্ট ক্লিয়ার বুঝিনি…
মুক্তা মৃণালিনী
ভাইয়া মন দিয়ে পড়েন তাহলেই বুঝবেন।
নীরা সাদীয়া
তাদের সামান্য আঁচ করতে পারলেই আমি কুইট্টা দৌড় মারি 🤣
মুক্তা মৃণালিনী
একদম ভাল কাজ করেন আপু শুভকামনা আপনার জন্যে…
নাজমুল হুদা
এই খেলায় আমি সবচেয়ে আনাড়ি খেলোয়াড় যখন তখন হুটহাট খেলোয়াড় এসে তাসের ঘরের মতো হারাইয়া দিয়া জিতে চলে যায় , আমিও ক্ষোভ নামক একটা ট্রফি দিয়া নতুন খেলার অপেক্ষায় থাকি ।
মুক্তা মৃণালিনী
ভাইয়া সেইম আমার বেলায়ও। এই খেলায় আমিও সবচেয়ে আনাড়ি খেলোয়াড় যখন তখন হুটহাট খেলোয়াড় এসে তাসের ঘরের মতো আমারে হারাইয়া দিয়া জিতে চলে যায় , আমিও ক্ষোভ নামক একটা ট্রফি দিয়া নতুন খেলার অপেক্ষায় থাকি। আর তাই তো এই খেলা সম্বন্ধে যাবতীয় খুটিনাটি বিষয়াদি আমি জানি…
নাজমুল হুদা
হারতে হারতে একদিন জিতে যাবো , কিন্তু জেতার ইচ্ছে নাই । এই খেলায় হেরে যাওয়ার নতুন কিছু সৃষ্টি হয়।
খেলা চলুক
জিসান শা ইকরাম
সাইকোলজিকাল গেমের অংশ গ্রহণকারী দুজন হলেও তালি দেওনের দর্শক হাজার হাজার।
এরা প্রচুর আনন্দ পায়, সাইডে পপকর্ন নিয়ে বসে হাততালি দিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করে।
ভালো লেগেছে ভিন্ন ধরনের এই লেখাটি।
মুক্তা মৃণালিনী
ধন্যবাদ দাদা..
শফিক নহোর
ভাল লাগছে স্যার । ধন্যবাদ বুনু ।
মুক্তা মৃণালিনী
ধন্যবাদ নহোর দাদা…
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি কখনো ট্রাই করিনি। তবে খেলার দর্শক হয়েছি অনেকবার। হাত তালি দেয়ার সুযোগ পেলেও সেটা বর্জন করেছি অবশ্য। খেলায় হারজিৎ দেখাটাটাই আমার কাছে মুখ্য, বাকিসব বাদ। 🙂
তোমার লেখার ধার কেমন আমি জানি।
আরও আরও বেশি লেখা দাও, মৃণালিনী মুক্তা নামেই মুক্তা, কিন্তু লেখায় সে হীরের মতো কাটতে জানে। 🙂
শুভ কামনা 🌹🌹
সুরাইয়া পারভিন
এই খেলায় খেলোয়াড় হিসেবে আমায় কেউ পায়
আমি সবসময় সচেতন
শবনম মোস্তারী
মাঝে মাঝে এই গেমে একজন ইন্ধন যোগান কারি খেলোয়াড় ও থাকে …যিনি আউট ওফ ফোকাস থাকেন।
আরজু মুক্তা
মন ভাঙ্গারও দরকার নাই। এইসব গেমেরও দরকার নাই।