
কখন দেখেছেন আপনার আম্মু আপনার আব্বুর মাথা বা শরীর টিপে দিতে? কিংবা আপনার আব্বুর পাকা চুলগুলোতে কালো কালার লাগিয়ে দিতে? যদি দেখে থাকেন ‘ধরে নিবেন এটাই আপনার দেখা পৃথিবীর সেরা এবং সুন্দর দৃশ্য। মা-বাবার এই ছোট ছোট খুনসুটি থেকে বুঝা যায় তারা একজন আরেকজনকে কতটা ভালোবাসে। ফ্যামিলির সবাই যখন এক সাথে খেতে বসে। আর হঠাৎ যখন বাবা বিষম খায় তখন বাকীদের থেকে মায়ের অস্থিরতা বেশি দেখা যায়। এটা কেন হয় জানেন? কারণ এই মানুষটার সাথেই সে মৃত্যুর আগ মূর্হুত পর্যন্ত থাকতে চায়। এই মানুষটার জন্যই তিনি আপনি আমার মা! পৃথিবীতে একজন মেয়ের সবচে আপন এবং কাছের মানুষ তার স্বামী! ছেলে-মেয়ে একটা সময় ছেড়ে চলে গেলেও ‘একজন আদর্শবান স্বামী কখনো তার স্ত্রীকে ছেড়ে যায় না। বৃদ্ধ বয়সেও একজন আরেকজনের চামড়া ঝুলে যাওয়া হাতটা শক্ত করে ধরে রাখতে চায়।
পরিবারের লোকজন বলেন কিংবা মা-বাবা বলেন। তাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আপনি যদি গ্রামে বড় হয়ে থাকেন তাহলে গ্রামের বিবাহিত মহিলাদের একটা প্রথা লক্ষণ করে দেখবেন ‘তারা তাদের স্বামীর নাম মুখে নেয় না। মানে তারা তাদের স্বামীর নাম ধরে কখনো ডাকে না। উনারা মনে করেন স্বামীর নাম ধরে ডাকা এক ধরণের পাপ। আমার কাছে এই বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং লাগে! এখানে একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর সম্মান এবং ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। অপরদিকে আমাদের শহরঞ্চলে এসব খুব কম দেখা যায়। শিক্ষিত স্বামী-স্ত্রী একজন আরেক জনের নাম ধরে সম্বোধন করে। এই বিষয়টা আমার পুরোপুরি অপছন্দ। একজন স্বামী যেমন স্ত্রীর সর্বশেষ ভরসার জায়গা। তেমনই ভাবে একজন স্ত্রীও স্বামীর সবচে নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসের স্থান।
আর এসব ভালোবাসা সম্মান এবং একে অন্যের প্রতি অধিক টান আছে বলেই এখনো কিছু বউ পাগল স্বামী নিজের স্ত্রীর প্রাণ বাঁচাতে নিজের জীবনটাকেও বিসর্জন দিয়ে দেয়। এতো এতো বিশ্বাস আর ভরসা আছে বলেই ‘একজন স্ত্রী স্বামীর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতে!
৭টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
এটা মানুষ বোঝে না।
ভালো থাকুক মায়েরা।
মাছুম হাবিবী
এটাই কামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হ্যাঁ এটা আমার ও খারাপ লাগে নাম ধরে ডাকা। ভালোবাসা হোক, সম্মান হোক, নিয়ম মানা হোক তবুও সেটা আমার ভালো লাগে। অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
মাছুম হাবিবী
হুম অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
পপি তালুকদার
তাদের সম্মান, ভালোবাসার প্রতি রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা।তবে নাম ধরে ডাকলে কি ভালোবাসা কমে যায়? ইসলাম ধর্মে নাম ধরে ডাকার জায়েজ আছে।
আমি বিরোধিতা নিয়ে তর্কে যেতে নারাজ এটা একেক জনের একেক ভালো লাগা সেটাও ভালোবাসা।
মাছুম হাবিবী
নাম ধরে ডাকলে ভালোবাসা কমে না। স্ত্রী থেকে স্বামীর বয়স প্রায় সব সময় বেশি হয়। তাই বড় হিসাবেও তার নাম ধরে ডাকাটা কেমন যেন লাগে। আর স্বামী তার সম্মানের পাত্র তার নাম ধরে ডাকাটা অদ্ভুত লাগে। তারপরও যে যার মত করে স্বামীকে ভালোবাসুক এটাই কামনা!
রোকসানা খন্দকার রুকু
নাম হল মানুষের আইডেনটিটি। ডাকলে মর্যাদা বাডে। এগুলো রীতিমত গোঁড়ামির মধ্যে পড়ে। গ্রামে স্বামী- স্ত্রী খেতে বসলে বারবার হাত ধুয়ে চামুচ ধরে ভাত দিতে হয়। খুবই ফালতু নিয়ম। মনোযোগ দিয়ে খাওয়াও ইবাদাত এর স্বামীল।
শুভ কামনা।