দুপুরগুলো –
সুন্দর বিদায় নিয়েছে –
এইসব দুপুর, অবসন্ন ভাতঘুম মাখা প্রেম
বিদায় নিয়েছে দেরাজের অন্ধকোনে বিলীনপ্রায় ঘ্রাণ রেখে।
এইসব দারুণ দুপুর ছবি হয়ে গ্যাছে।
বিকেলে –
গড়িয়ে নামে তরল অন্ধকার ;
ফোটা ফোটা তরল আধাঁর এসে জমা হয় পানপাত্রে,
পানপাত্রের গায়ে জমে হৃদয়ের হিম ; কুয়াশা।
আবহে বাজে ঘরছারানিয়া মন্দিরার ধূন –
অথচ তার বুকের ভেতর তরল আগুন।
বিফল জনম গেল বধূ, পানপাত্র সম্মুখে রাখি তৃষায় পুড়ি শুধু।
সন্ধ্যায় –
এইসব দীপান্বিতা সন্ধ্যা অতলান্তিক,
স্মারক ডাকটিকেটের মতো দুর্লভ ছায়াস্মৃতি ; এবং
মাছের চোখে মৃত সময় দেখে যাই।
আর কক্ষচ্যুত নক্ষত্রের মতো নিজের চারিপাশে অবিরাম পাক খাই।
নোট – রোমেনের একলাইন লেখা দেখে হুট করে পুরোটাই মাথায় এসে গেলো, একটা মন্তব্য ও ঠিকঠাক জায়গায় বসে গেলো … এভাবেই লেখা হয়? কি জানি
৭টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
হুম এভাবেই তো লিখা হয় 🙂
এক আধটা লাইন পুরো উপন্যাস প্রসব করে অথচ এক একটা শব্দ প্রতিনিয়ত যন্ত্রণায় কাতরায়, তার কোন স্বিকৃতিই নেই। লেখক নিয়ে নেয় উপন্যাসিক বাহবা, আর চ্যাপ্টারের লাইনে লাইনে জমা হয় আন্ডারলাইন।
আহা শব্দরা….
বিকেল, সন্ধ্যে মানে একটা দিনেই থেমে থাকা স্মৃতি তবে আমি দুপুরের ঘ্রাণ পাই খুব। ভোর, দুপুর আমার প্রিয় সময়। ভোরটা কাল্পনিক, দেখি না ভেবে নেই আর দুপুর আমার প্রাত্যহিক পরিদর্শন।
লেখা আপনার, বকরবকর করি আমার কথা।
জ্বলে জ্বলে পাঁক খেতে খেতেই একদিন আমরাও ছবি হয়ে যাবো।
খুব সুন্দর শিমূল ভাই। 🙂
আগুন রঙের শিমুল
এমনি .. শব্দেরা গরিয়ে যায় দিন রাত থেকে সময়ের অন্যপ্রান্তে … আমরাও ছবি হয়ে যাবো। হু যাবোই
নীহারিকা
দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যারা এভাবেই হারিয়ে যায়। আর লেখকদের লেখা শুনেছি এভাবেই আসে, হুট করে।
আগুন রঙের শিমুল
হারায় না, ছবি হয়ে যায় 🙂
ইঞ্জা
দারুণ কথামালায় লিখণী গুলো মুগ্ধ করে আমায়।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কস ভাউ
ইঞ্জা
(3