সবার সদয় দৃষ্টি অাকর্ষন করছি

সাইয়্যেদ আসাদ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, বুধবার, ০৬:০৫:০৫অপরাহ্ন বিবিধ ৪ মন্তব্য

সবাই মনে হয় ব্যস্ত…………

সবার ব্যস্ততায় একটু ডিস্টার্ব করি।সবার সদয় দৃষ্টি অাকর্ষন করছি.

প্রাইমারী স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় কখন ও কেউ কি ক্লাস চেঞ্জ ফী দিয়ে ভর্তি হয়েছেন?

পুরো প্রাইমারী স্কুল জীবন শেষ করতে আপনার কি কি ধরনের চাদা লেগেছিলো?

প্রাইমারীতে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার কোচিং ব্যতিত,অন্য কোন কোচিং করেছেন?

প্রাইমারীর কোন টিচার আপনাকে কি তার কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রলুব্ধ করেছে?

সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একসাথে দেয়ার চেষ্টা করেন।
উত্তর কি আসবে……….?

এক ভর্তিতে,বিনা চাদায় বিনা কোচিং এ,শিক্ষকদের সহায়তায় বৃত্তি পেয়েছিলাম।প্রাইমারী স্কুল জীবন শেষ করেছিলাম।বলতে পারি,
বিশেষন স্বরূপ একটা কথা ও বলবেন…….সেই স্যারদের অনেক শ্রদ্ধা করি!এখনো সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়াই………

এবার আসেন,শোনেন আপনার পরবর্তী প্রজন্ম কি বলে……..

ক্লাস টু থেকে থ্রীতে উঠবে আপনার ছোট ভাই।রেজাল্ট নিয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে কিছু মুখে নেয়ার আগে বলবে:-ভাইয়া,ভর্তি হতে একশ টাকা লাগবে।ম্যাডাম বলছে কালকের ভিতর টাকা না দিলে ভর্তি করাবে না……………..স্কুলে যেতে পারবো না।

মানে যেই বয়সে আমি আপনি বলতাম-স্কুলে না গেলে উপবৃত্তি পাবো না।সেই বয়সে আমাদের উত্তরসূরীরা কি বলবে?………

আপনার মনে থাকার কথা,শুধুমাত্র পরীক্ষা ফী ব্যাতীত আপনার আর কোন ফী দিতে হয় নাই।মানে তখন কোন শীতকালীন চাদা গ্রীষ্মকালীন চাদা বর্ষাকালীন চাদা ছিল না।ছিল না মানে সিস্টেমটাই ওরকম।নো ফী নো চাদা।অথচ আপনার উত্তরসূরীরা……….?

প্রাইমারী জীবনটা আসলে কি?কোচিং প্রাইভেটের সাথে এর সম্পর্ক কি?আপনার ছেলে বা মেয়ে কেন স্কুল থেকে এসে বলবে-অমুক স্যার প্রাইভেট পড়ায়,তমুক স্যার কোচিং করায়।স্যার বলছে এই অধ্যায় কোচিং এ পড়াবে,,,,,,,,স্যার বলছে -আমার কাছে না পড়লে,একটা কমার(,)জন্য ও নাম্বার কাটবো।আমার এমন তেমন হরেক রকম ক্ষমতা আছে।আমি সেন্টারে নকল দিয়ে পোলাপাইনরে পাশ করিয়ে আনতে পারি।আমি এই,আমি সেই……..কেন?

কেন?

আমি জানি!আমার এই কেন এর উত্তর নাই।আমার এই কেন নিরর্থক।
যতক্ষণ অামি সোচ্চার না।

ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কিসের ভর্তি ফি,কিসের চাদা,কিসের কোচিং কিসের প্রাইভেটের উত্তর পাবো না।ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত,যতক্ষণ পর্যন্ত আমি সচেতন না।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটি আমার মামা,চাচা,খালু।স্কুলের হেড আমার গুরুজন,শ্রদ্ধাভাজন তাই বলে জানতে চাইবো না এই ফি টা আসলো কোথা থেকে?

মাছ কিনতে গেলেও পাঁচ শত টাকা লাগে। তাই বলে একশ টাকা আমি নীরবে, চুপসে দিয়ে আসলাম?কোথায় দিলাম এই টাকাটা?যেখান থেকে আমার উত্তরসূরী শৈশবের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিষগুলো শিখবে,ঠিক সেইখানে দূর্নীতির একটা বীজ পুতে দিয়ে আসলাম।আমার এই পুতে দেয়া বীজটার কি এক সময় ঠাল-পালা অনেক বড় হবে না?একশটাকা থেকে পাঁচশত টাকা হবে না?প্রাইভেট কোচিং সেন্টার থেকে ইয়া বড় বড় শিক্ষাগুরু হয়ে বের হওয়ার বদৌলতে মা-বাবার শাষনের চৌকাঠ পেরিয়ে ঘোরমীতে পথভ্রষ্ট হবে না?

যদি হয় তবে এই সবের জন্য দায়ী আমি আপনি……….
সরকারী প্রতিষ্ঠানে আবার কিসের ভর্তি ফি?…………এই প্রশ্ন সামনে রেখে আপনার সন্তানের হাতে ভাইয়ে হাতে টাকা তুলে না দিয়ে,বরং সেই টাকাটা আপনার পকেটে রেখে আপনি স্কুলে যান।জানতে চান!কোন সরকারী নোটিশে তারা ভর্তিতে টাকা নিচ্ছে?যদিসঠিক রেফারেন্স না দিতে পারে, তবে বাদ দেন না আজকের জন্য ভর্তিটা!কালকে গিয়ে আপনার কাছে করজোড় মীনতি করবে আপনার সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য।মনে রাখেন মিথ্যা সত্যের কাছে তার অস্তিত্ব হারাবে।

তাও না পারেন।তো ভালো!একে বারে বিদায় দিয়ে দেন এই প্রতিষ্ঠানকে।ফী আমানিল্লাহ্ বলে আপনার উত্তরসূরীকে অন্যত্র কোথাও ভর্তি করিয়ে দেন,যেখানে আপনার উত্তরসূরী অন্তত দূর্নীতি শিখবে না……………
যদি তাও না পারেন,অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূরে!তা ও ভালো।আজকের জন্য আপনি একজন সমন্বয়ক!কিসের সমন্বয়ক?অন্যায়কে প্রতিহত করার সমন্বয়ের সমন্বয়ক।আপনি আপনার পাশে তাকান!দেখেন আরো কজন ভূক্তভূগী অভিভাবক আছেন।তাদের হাতে হাত মিলান,সমন্বয় করেন।শিক্ষা অধিদপ্তর অফিসে টিএনও বরাবর দরখাস্ত লিখেন।পত্রীকায় খবর ছাপার জন্য সাংবাদিকের শরনাপন্ন হন।

রেজাল্ট আসবেই……………..দূর্নীতি রুখবেই…….

৩৮৬জন ৩৮৬জন
0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ লেখা

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ