মাথা নুইয়ে মুখ চোখ অন্ধকার করে বসে আছে মেধা।এবার চার চারটি বিষয়ে সে ফেল করেছে। তাই বাবা খুব বকেছেন।কি আর করা,তাই বাধ্য হয়ে পড়ার টেবিল ও চেয়ারে লোক দেখানো এ অবস্থান। কিন্তু কিছুতেই পড়া হয়না।পড়তে যে একদম ভাল লাগে না। কি হবে এত পড়ে? পরীক্ষা দিয়ে পাস করলেই কেবল মানুষ হওয়া যায়,নতুবা যায় না? কত প্রশ্ন ঘোরে ফেরে তার মনে।কে দেবে সেসবের উত্তর?
ওহ,মেধার পরিচয়টাইতো দেয়া হল না। আয়ান মোশাররফ মেধা, কর্নেল পারভেজ মোশাররফের বড় ছেলে।বয়স ১২ কি ১৩ হবে। মা খুব শখ করে নাম রেখেছিলেন মেধা।ভেবেছিলেন ছেলে খুব মেধাবী হবে।প্রতি ক্লাসে ১ম হবে।গোল্ডেন এ+ পেয়ে মা বাবার উজ্জ্বল মুখ আরো উজ্জ্বল করবে।কিন্তু তা আর হল কই? বরং মেধাকে নিয়ে তার মা বাবা হতাশায় ভোগেন,কি হবে ছেলেটার? কতশত ডাক্তার দেখান,যদি তার মস্তিষ্ককে আরেকটু উন্নত করা যায়।যদি সে ভালো রেজাল্ট করতে পারে।যাই হোক, মেধার ছোট বোন সারা।পড়াশোনায় যেমন ভাল,তেমনি বুদ্ধিমতি।বাসায় কেউ বেড়াতে এলে এতটা সামলে রাখে তার ভাইটাকে,যেন কেউ বুঝতেই পারে না মেধার কোন সমস্যা আছে। এমন একটা সাপোর্ট মেধাকে প্রচুর এগিয়ে নেয়। তাছাড়া মায়ের অকৃত্রিম ভালবাসা,বাবার স্নেহ শাসন সব মিলিয়ে চলে যায় বেলা।তবু মায়ের মনে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধে,বড় হয়ে কি গতি হবে ছেলেটার? প্রতি বছর সে দুটো তিনটে বিষয়ে ফেল করে, তার ছোট বোন ঠিকি পাশ করে যায়।তাই মা স্কুলের কমিটিকে বুঝিয়ে তাকে ওপরের ক্লাসে তুলে দেন।ছোট বোন পাস করবে আর বড় ভাই ফেল করে নিচের ক্লাসে থাকবে,তা তো হতে পারে না। কিন্তু এভাবে আর কতদিন?
পড়ার টেবিলে বইয়ের পাতায় চোখ গুজে রাখতে আর ভাল লাগছে না।তাই সে আশে পাশে তাকাতে লাগল। বাবার বকা এতক্ষণে হজম হয়ে গেছে। দেয়ালের দিকে তাকাতেই চোখ পড়ল একটা দেয়ালঘড়ির দিকে। সাথে সাথে সে সেটা নামিয়ে আনল। ঘড়িটার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। এবার তার মনে এলোমেলো ভাবনারা উঁকি দিচ্ছে। কি আছে এতে,কি করে এটা তৈরি হল। কেনইবা তৈরি হল? কিন্তু এসব প্রশ্ন এখন কাওকে করা যাবে না। কারন এগুলো সিলেবাসে নেই, তাই পরীক্ষায় আসবে না।কিন্তু এর উত্তর না জানা পর্যন্ত তার মনে শান্তি নেই। কোথায় পাবে এর উত্তর? কেন যে সিলেবাসটা তার পছন্দের বিষয়ের ওপর তৈরি হলনা!
বাবা এ ঘরের দিকেই আসছেন। পায়ের আওয়াজ পেয়ে মেধা তরিঘরি করে ঘড়িটাকে লুকোলো।তারপর বই নিয়ে আবার পড়ার ভান করল। বাবা তাকে পড়তে দেখে চলে গেলেন। এবার কিছুক্ষণ সে সত্যিই পড়ল। পড়া শেষ করে আবার ঘড়িটি নিয়ে বসল। কাঁটাগুলো কিকরে নড়ছে,কেন নড়ছে তা বোঝার চেষ্টা করছে। সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হল।রাতে খাবার ডাক এল।খেয়ে ঘুমোতে হবে এবার। কাল সকাল সাতটায় স্কুল। তাই খুব সকালে উঠতে হবে।নইলে বাবা বকবেন।কি আর করা।খেয়ে ঘুমিয়ে গেল মেধা। পরদিন সকালে ওঠেই বলল,
” আমার পায়ে ব্যাথা, আমি স্কুলে যাবনা।”
বাবা ফজরের নামাজ শেষে কিছুক্ষণ হাঁটেন।তাই তিনি এখনো ফেরেননি।ফলে মেধাকে আর কেউ জোর করে স্কুলে পাঠাতে পারলনা।মেধাও বেঁচে গেল। আজ সারাদিন বাসায় বসে ঘড়িটাকে আরো ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।বাবা অফিস গেলে ঘড়িটাকে খোলা হবে।ভেতরে কি কি আছে তার সব দেখা যাবে। তাকে আর পায় কে? আজকের দিনটাতো মেধার রাজত্ব! খুব খুশি মনে নাশতা শেষ করল সে। তারপর অপেক্ষায় আছে কখন বাবা বেরুবেন।
মেধার গল্প ২
বাবা সকালে নাশতা করে অফিস গেলেন,মা দুপুরের খাবার আয়োজনে ব্যস্ত। এসময় মেধা বেরিয়ে এল স্টোর রুমের সরু গলি থেকে। কর্ণেলের বাসা হওয়াতে প্রচুর সুবিধা,কেননা, এত বড় বাড়ি! এর আনাচে কানাচে কে কোথায় লুকিয়ে থাকে তা বোঝা মুশকিল। ফলে মেধার লুকোচুরি কেউ এতক্ষণ টের পায়নি। কিন্তু এবার বেরিয়ে আসতেই প্রথম মায়ের চোখে পড়ল। মা তেমন কোন বকাঝকা করেন না। তাই এতক্ষণ কোথায় ছিল,কেন ঠিক সময়ে নাশতা করেনি, তার উত্তরে কিছু একটা বলে দিলেই হল। নাশতা করে সোজা নিজের ঘরে চলে গেল সে। তারপর দেয়াল থেকে পেরে আনল সেই ঘড়িটা, যেটার ওপর থেকে গতকাল থেকে তার নজর সরছিল না। এরপর ধীরে ধীরে সে ওটা খুলল। কলকব্জা সব আলাদা আলাদা করে ফেলল। ব্যপক এক গবেষণা চলল। তারপর কোথায় কোনটা লাগানো ছিল তা আবার মনে করে ঠিক ঠিক জায়গায় লাগাল, অন্তত তার ধারনামতে সব ঠিকি আছে।সেটি আবার আগের মত করে সেট করতে পেরে তার সে কি আনন্দ! কিন্তু বিপত্তি ঘটল তখন,যখন ব্যাটারি দেয়ার পর সেটা আর চলল না। আহা! কি হবে এখন? এসব ভেবে ঘড়িটা দেয়ালের যেখানে লাগানো ছিল সেখানেই রেখে দিল এমনভাবে যেন সে কিছুই জানে না।
বাড়ির কেউ এত দ্রুত লক্ষ্য করল না যে ঘড়িটা আর চলছে না। তবে বাসার কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্র ধরা বা ছোঁয়া মেধার জন্য নিষিদ্ধ।কেননা এ পর্যন্ত এরকম অনেক জিনিসই নষ্ট হয়েছে তার হাতে। ভয়ে ভয়ে এবার দুষ্ট বালক শান্ত চিত্তে পড়তে বসে গেল। মা এসে যখন ছেলের এত উন্নতি দেখলেন,তখন যতটা না খুশি হলেন,তারচে বেশি অবাক হলেন। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে চলে যাচ্ছিলেন, এমন সময় ছেলে মায়ের আঁচল টেনে ধরল। তারপর তার সেই প্রতিদিনের আবদার,
“মা ৩০৮ টাকা দাও,এ প্যাকেট চকলেট কিনব।”
দেখতে এত লম্বা হয়ে গেলে কি হবে, বয়সের সাথে সাথে তার মানষিকতার একটুও পরিবর্তন হয়নি। এখনো চার পাঁচ বছরের বাচ্চাদের মত চকলেট খায়,এখনো খেলনা গাড়ি দিয়ে খেলে।বাচ্চা মেধা বাচ্চাই রয়ে গেল। মা তার বায়না শুনে টাকা না দিয়ে পারলেন না। টাকা হাতে পেয়ে সে ড্রাইভারকে নিয়ে চলে গেল সি.এইচ.ডি. (সেনা,নৌ ওবিমান বাহিনীর জন্য নির্দিষ্ট ক্যান্টিন) তে। এক বাক্স চকলেট কিনে গাড়িতে বসেই অর্ধেক শেষ করে ফেলল। বাকি অর্ধেক বাসায় এনে লুকিয়ে রাখল, কেউ যেন না দেখে।
মেধা জানত না যে আজ তাদের বাসায় বেড়াতে আসবেন মেজো নানু। তার নিজের নানু ছাড়াও আরো অনেক নানু আছেন, নানুর বোন, নানুর ভাবী তারাও তার নানু। প্রতিদিন বাসায় কত মানুষ যে বেড়াতে আসে তার শেষ নেই। তেমনি আজো এলেন মেজো নানু। এই নানু মেধাকে খুব একটা পছন্দ কররেন না। শুধু তিনিই যে করেন না তা নয়, বরং এই লিস্টে আরো অনেকে আছেন যারা মেধাকে পছন্দ করেন না মেধার মেধাশূণ্যতার জন্য। কিন্তু সবার যে সমান মেধা থাকতে হবে সেটাই বা কে বলেছে? যাই হোক এরকম আত্নীয় স্বজনদের কাছে মেধা অনেকটা রবি ঠাকুরের “ছুটি” গল্পের ফটিকের মত। কিন্তু মেধার বাবা প্রভাবশালী হওয়াতে কেউ তাকে অতটা অবহেলা করতে পারে না, এই যা। তারপরো বাবা বাসায় না থাকলে মায়ের সামনে আত্নীয়রা মেধাকে যা খুশি তাই বলতে পারেন। যদিও মা তাকে খুব আদর করেন,কিন্তু অতি সহজ সরল ও বিনয়ী হবার কারণে মুখ ফুটে কাওকে কিছুই বলতে পারেন না। ফলে তাঁর আদুরে এবং স্বল্প বুদ্ধির ছেলেটি নানাজনের কাছে নানাভাবে বিদ্রুপের পাত্র হয়ে ওঠে। এসব ঘটনায় মনে মনে মা ও ছেলে যথেষ্ট অপমানিত হয় বটে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর মেধা সব ভুলে গিয়ে আবার খেলায় মেতে ওঠে। আজো তার ব্যতিক্রম হল না। মেজো নানু হরেক রকম উপহাস করলেন। এত উপহাস বোঝার মত বুদ্ধি তার না থাকলেও সে অন্তত এতটুকু বোঝে যে এগুলো সব বাঁকা বাঁকা কথা। তাই সে মুখ বেকিয়ে চলে যায় নিজের ঘরে। সেখানে গিয়ে মুখভার করে খেলনা গাড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে হঠাৎ সেটা খুলে দেখার বুদ্ধি আসে তার মাথায়!
চলবে………
Neera Sadeea
4.12.16
২৩টি মন্তব্য
অয়োময় অবান্তর
প্রথমেই কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। ‘মেধা’ নামের জন্য। সারাজীবন তো মেয়েদের নামই শুনে আসছি, তাই এই কনফিউজ। গল্প ভালো লাগছে। শুধু ভাল না বেশ ভালো।
চলতে থাকুক।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
নীরা সাদীয়া
আসলে নামটা নিয়ে আমিও অনেক ভেবেছি। তারপর এর থেকে যুৎসই নাম এ চরিত্রটির জন্য আর পেলাম না। নামটি গল্পের মর্মার্থ বহন করছে। ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। ভাল থাকবেন খুব।
মোঃ মজিবর রহমান
এই শিশু বা মানুষ গুলো খুব অবহেলার পাত্র সমাজে পরিবারে কিন্তু এদের সামাজিকভাবে অন্যকাজে ব্যাবহারের কোন উদ্যোগ কেন নেন্না করতপক্ষ তা বোধগম্য নয়।
নীরা সাদীয়া
হুম। ঠিক বলেছেন। আর সিলেবাসটা বাচ্চাদের আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হলে আরো ভাল হত। যে যা পছন্দ করে, সে তা নিয়েই পড়বে। এমনটা হলে আরো ভাল হত। শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
মনের উপর জোড় করে কোন কিছুই স্পম্ভব না।
নীরা সাদীয়া
ঠিক বলেছেন। জোর করে কিচ্ছু শেখানো যায়না। বরং জেদ বেড়ে যায়।
আবু খায়ের আনিছ
বিকাল বেলা স্কুল থেকে ফিরতেই মা বলল, দেখতো টিভিটার কি হলো, চ্যানেল আসছে না ঠিক মত, তোর বাবা ওটাকে বাজারে নিয়ে যেতে বলেছে, উনি দোকানে থাকবেন।
ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া বিজয় বলল, দেখছি মা। জ্যাক নাড়িয়ে দেখেও যখন কোন সমাধান হলো না, তখন প্রথম বারের মত টিভিটাকে নিজের রুমে নিয়ে দজড়া আটকে দিল সে, তারপর ধীরে ধীরে সব পারস খুলে ফেলল। ঘন্টা দুয়েক বড় ভাই এর যন্ত্রপাতি দিয়ে এখানে সেখানে খোচাঁখুচিঁ করে, এভোমিটার দিয়ে কি যেন মেপে মেপে দেখে বের হয়ে এল। টিভিটা যথাস্থানে রেখে মাকে গিযে বলল, মা টিভি তো ঠিক হয়ে গিয়েছে।
এমন আশ্চর্য গল্প আমাদের দেশের কিশোরদের মধ্যে আছে, যেগুলোর সঠিক ব্যবহার আমরা জানি। বাস্তব একটা ঘটনার কিছু অংশ আমার মন্তব্য।
ভালো লাগল গল্প, বেশ ভালো লিখছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
নীরা সাদীয়া
বেশ লাগল আপনার ঘটনাটা। এমন একটা ছেলেই হল মেধা। ধন্যবাদ। শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
একটা গল্প পড়েছিলাম বহু বছর আগে। তখন আমি ক্লাশ এইটে পড়ি। নামটা মনে পড়ছে না, একটা ছেলে যে কিনা পড়ালেখায় একেবারেই গোল্লা। কিন্তু ও এভাবেই বিভিন্ন কিছু নিয়ে খোঁচাখুচি করতো। ওকে ক্ষ্যাপানো হতো এই বলে “Jack of all trades, master of none.” এই প্রবাদটা আমি ওই প্রথম শুনি।
মেধা নামটা আসলে ছেলেদের হয়না। আমার ভাইয়ের মেয়ের নাম মেধা। যাক গল্পটা ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নীরা সাদীয়া
আমি অবশ্য সেই গল্পটা মিস করেছি। যাই হোক আজকাল অনেক নাম ছেলে মেয়ে উভয়েরই হয়। যেমন রিফাত,বাবু,নিপু,দিপু ইত্যাদি। মেধা নামটা রেখেছি গল্পের মূলভাবের সাথে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য। আপনার মেয়ের নামটা শুনে বেশ ভাল লাগল। খুব ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার ভাইয়ের মেয়ে। মজা হলো আজও ওটাকে দেখা হয়নি। ও থাকে অষ্ট্রেলিয়াতে।
নীরা সাদীয়া
শুভকামনা রইল আপনার ভাইয়ের মেয়ের জন্য।
অপার্থিব
আইনষ্টাইনেরও কথা বলা শিখতে অনেক সময় লেগেছিল, শৈশবে স্কুলে তার সম বয়সী ছেলে মেয়েদের তুলনায় লেখা পড়ায় অনেক পিছিয়ে ছিল। এমন অনেক শিশু আছে আমাদের সমাজে যাদের মানসিক পরিপক্কতা বা যেটাকে আমরা মেধা বলি সেটা অর্জন করতে কিছু সময় লাগে।
এমন না যে এরা জীবনে মিনিংফুল কিছু করতে পারবে না, প্রয়োজন শুধু একটু সাপোর্টের। কিন্ত দুঃখের বিষয় খুব কম সংখ্যক বাবা মাই সেটা দিতে পারে। পরের পর্বের অপেক্ষায়…
নীরা সাদীয়া
ঠিক বলেছেন। মেধার চরিত্রটা আমি বাস্তব ঘটনা থেকে নিলেও আইনস্টাইনের কথাটা মাথাতে রেখেছি। আর আপনি সেটা ধরতে পারায় বেশ ভাল লাগছে। শুভকামনা রইল। আজ নতুন পর্ব পাবেন।
ইঞ্জা
অসাধারণ মেধা আপনার, দারুণ লেখার ক্ষমতা আপনার, মুগ্ধ হয়ে অপেক্ষায় রইলাম বাকি পর্বের।
নীরা সাদীয়া
ধন্যবাদ। আজ নতুন পর্ব দেব। শুভকামনা রইল।
ইঞ্জা
শুভকামনা
অলিভার
মেধা খাটিয়ে যে ‘মেধা’কে নিয়ে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ইতোমধ্যে সকলেই গল্পটির ভালোদিক নিয়ে বলে ফেলেছে, নতুন করে বলার মত তেমন কিছু পাচ্ছি না। লিখতে থাকুন দ্রুত দ্রুত, শেষটা জানার আগ্রহ হচ্ছে।
মেধার গল্পঃ পর্ব – ১ ; গল্পের শিরোনামটা এমন হলে বোধ করি আরও বেশি আকর্ষনীয় হতো। দুই তিনটি পর্ব একত্রে পোষ্ট না করে একটি একটি করে নির্দিষ্ট বিরতিতে পোষ্ট করলে পাঠকদের আকর্ষন তাতে আরও বৃদ্ধি পাবে 🙂
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম -{@
নীরা সাদীয়া
বেশ বলেছেন। এবার থেকে একটি করেই দেব। আপনারা পড়ছেন জেনে ভাল লাগল। আজ নতুন পর্ব দেব। শুভকামনা রইল।
অলিভার
🙂 🙂
নীরা সাদীয়া
নতুন পর্ব দেয়া হয়েছে। স্বাগতম আপনাদেরকে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
গল্প ভাল লেগেছে । শেষ থাকার ইচ্ছা আছে। যদি আল্লাহ তৌফিক দেন।
নীরা সাদীয়া
ধন্যবাদ। আশা করছি ভাইয়াকে নতুন পর্বগুলোতেও পাশে পাব। শুভকামনা।