
একটি ছেলের বেকারত্বের কষ্ট কোনো মেয়ে বুঝবেনা। মা-বাবার ছলছল চোখ কতটা আঘাত করে বুকের ভেতর, তা কোনো মেয়ের পক্ষে বুঝা সম্ভব না! কেউ হয়তো আপনাকে অনেক ভালোবাসে, আপনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। আর এদিকে আপনি রাষ্ট্রের দেয়া সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে কুকুরের মত ঘুরঘুর করছেন ছোট একটি চাকরীর জন্য! কোথাও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। বাসায় গেলে ফ্যামিলির ক্রাইসিস, বোনের স্বপ্ন, ভাইয়ের পড়াশোনা সবকিছু আপনাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিবে! আপনি দিশেহারা হয়ে পরবেন।।
এবার বলুন তো, আপনার পক্ষে কী কারো স্বপ্ন হওয়া সম্ভব? আপনার পক্ষে কী কারো ভালোবাসার মানুষ হওয়া সম্ভব? নিশ্চয় নাহ? তাহলে আপনার জীবনটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো? অশ্চিত ভবিষ্যৎ আর বাবা মায়ের মুখে হাসি, কিছুই তো পূরণ করতে পারলেন নাহ। তাহলে আপনার জন্য বেঁচে থাকাটা কতটা কঠিন তা হয়তো ইতিমধ্যে অনুভূব করতে পারছেন। সব ছেলেরা প্রেম কিংবা প্রেমিকার জন্য কাঁদেনা, কিছু ছেলে বেকারত্বের অভিশাপ কাঁধে নিয়ে নিজের দারিদ্রতা গুছানোর জন্য কাঁদে!
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের স্বপ্ন হল ‘সে তার মা-বাবা এবং ভাই-বোনদের নিয়ে হাসিমুখে দিনপার করবে। তার পক্ষে কাউকে ভালোবেসে হানিমুনে ব্যাংকক যাওয়ার স্বপ্নটা বাজে স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়! মধ্যবিত্তদের স্বপ্নগুলোও ক্ষুদ্র হয়। তাদের সুখ আহ্লাদ বলতে নিজের ছোট পরিবার। দিনশেষে মা বাবার হাসিমুখটা দেখার জন্য, একটা মধ্যবিত্ত ছেলে সবকিছু করতে পারে। ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্ব সবকিছুই তার পরিবার। মধ্যবিত্তদের সবাই পছন্দ করে, কিন্তুু ভালোবাসে খু্ব কম সংখ্যক মানুষ। তাই মধ্যবিত্তদের ভালোবাসাগুলোও ভালো একটা চাকরীর পাওয়ার মতই ঐশ্বরিক ফল!!
বিঃদ্রঃ দীর্ঘদিন পা ব্লগে ফিরলাম। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত ব্লগে পাবেন ইনশাআল্লাহ্
১৪টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
ভালো লাগলো। সবাইকে নিয়ে এই মহামারীতে সাবধানে থাকবেন ও ভালো থাকবেন। শুভকামনা প্রিয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
মধ্যবিত্তদের কষ্ট মধ্যবিত্তরাই বোঝে। তারা একে অপরেরটা ভাগাভাগি করতে না পারলেও পরিস্থিতি বুঝতে পারে না বলতেই। তারা কাউকে নিজেদের গল্প গুলো বলে না, কিন্তু তাদের নিত্তনৈমিত্তিক জীবন যুদ্ধের গল্প দিয়েই তৈরি হয় জীবনের গল্প।
হ্যা, অনেক দিন পর ফিরলেন হাবিব ভাই। নিয়মিত হবেন জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা 🌹🌹
মাছুম হাবিবী
একদম ঠিক বলেছেন আপু। আর হ্যাঁ আপু, আপনাদের মিস করছিলাম। আশা করি এখন থেকে আমাকে পাবেন। ভালো থাকবেন আপু
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মধ্যবিত্তের মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। মধ্যবিত্তরা সহানুভূতি পায়, ভালোবাসা পেতে পারেনা,কারো স্বপ্নের রাজকন্যা, রাজপুত্র হতে পারে না। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন । শুভ সকাল
মাছুম হাবিবী
জ্বী ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকবেন। নিজের খেয়াল রাখবেন।
তৌহিদ
মধ্যবিত্তদের কস্ট শুধু তারাই বোঝে। সংসারের আপনজন ছাড়া কেউ তাদের পাশে থাকেনা। তারা বুঝতেও চায়না। সুন্দর লিখেছ ভাই।
অনেকদিন পরে এলে। কেমন আছ?
মাছুম হাবিবী
ভাইজান আপনাকে খুব মিস করি। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আসতে পারিনি। যাইহোক এখন থেকে আশা করি আমাকে পাবেন।
ভালো আছি ভাই, আপনি কেমন আছেন জানাবেন!
সুরাইয়া পারভীন
মধ্যবিত্ত নামটাই যেনো এক মস্ত অভিশাপ। এই অভিশাপ কাঁধে বহনকারী কখনোই কারো স্বপ্ন হতে পারে না। এই অভিশপ্ত জীবনের সাথে কারো জীবন জড়িয়ে অভিশপ্ত করতে চায় না তারা। মধ্যবিত্তরা বেঁচে থাকে কেবল পেটের খোরাক যোগানোর জন্য।
দারুণ লিখেছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার যুবকদের নিয়ে। এতো দিন ব্লগে আপনাকে ই খুঁজছিলাম। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
মাছুম হাবিবী
অনেক অনেক ধন্যবাদ, জ্বী দীর্ঘদিন ব্লকে আসিনি। আমিও মিস করছি সবাইকে। আশা করি এখন মাঝে মধ্যে দেখতে পাবেন। ভালো থাকবেন সব সময়!
জিসান শা ইকরাম
একমত আপনার লেখার সাথে।
মধ্যবিত্তদের অসহায় অবস্থার আগুন জ্বলে পুড়ে অংংগার করে দেয় বুক।
নিয়মিত দেখতে চাই আবার আপনাকে ব্লগে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
যাহ্ বাবা
আপনিই যদি না থাকেন আমাকে নিয়মিত দেখবেন কী করে?
আমি আছি তো
সুরাইয়া পারভীন
জিসান ভাইয়া সরি সরি
আমি আপনাদের দুজনার ছবি গুলিয়ে ফেলেছি।
ভেবেছিলাম ঐ ভাইয়াটা বোধহয় মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।🙈🙈
মাছুম হাবিবী
জ্বী ভাইয়া এখন পাবেন, খুব মিস করছিলাম আপনাদের। ভালো থাকবেন ভাইয়া ধন্যবাদ
হালিম নজরুল
মধ্যবিত্তদের হাত-চোখ বাঁধা থাকে।