প্লেইন যখন ঢাকাই ল্যান্ড করে তখন রাত ৯.১২, অভি এম্বারকেশন করেই হাঁটা শুরু করে গ্রিন চ্যানেলের উদ্দেশ্যে হাতে শুধু ট্রাভেল ব্যাগ, বাইরে বের হয়েই দেখলো প্রিয়ন্তী হাত নাড়ছে আর সাথে মা হাসি মুখে দাঁড়িয়ে, অভি অবাক হলোনা কারণ এর আগেও প্রিয়ন্তী আর মা ওকে পিক করতে এসেছে, অভি এগিয়ে গেলে ওর মা এগিয়ে এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলো সাথে প্রিয়ন্তীও এসে জড়িয়ে ধরলো, এরপর প্রিয়ন্তী অভির থেকে ওর ট্রাভেল ব্যাগটা কেড়ে নিয়ে বলল, এইবার আমার জন্য নিশ্চয় ব্যাগ ভর্তি করে অনেক কিছু নিয়ে এসেছো?
অভি বলল, এই ছোট ব্যাগে আমার জিনিস ছাড়া আর কিছু ধরে বল?
ধ্যাত বলে কপট রাগ দেখিয়ে প্রিয়ন্তী ব্যাগ নিয়ে হেটে বেরিয়ে গেল কনক্রস হল থেকে, অভি আর অভির মা হেসে দিলো প্রিয়ন্তীর কান্ড দেখে তারপর ওরাও এগিয়ে গেল বাইরের দরজার উদ্দেশ্যে।
কি ব্যাপার মা আজ ড্রাইভার কই? প্রিয়ন্তীকে ড্রাইভিং সিটে দেখে মাকে জিজ্ঞেস করলো অভি।
তোর বোনের কান্ড, ড্রাইভারকে বললো, যাও আজ তোমার ছুটি, ভাইয়াকে আমরাই আনবো।
ট্রানকে অভি ওর ব্যাগ রেখে মাকে পিছনের দরজা খুলে বসিয়ে দিলো আর নিজে উঠলো প্রিয়ন্তীর পাশে।
গাড়ী ছুটে চলেছে, অভি প্রিয়ন্তীকে বলল, কিরে চুপ করে আছিস, রাগ কমেনি বুঝি তোর?
তোমার সাথে কোনো কথা নেই, প্রিয়ন্তী ঠোঁট উলটিয়ে বলল।
অভি পিছন ফিরে মার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।।
বাসায় ফিরে অভি শাওয়ার নিয়ে ফ্রেস হয়ে ডিনার টেবিলে চলে এলো, সবাই রাতের ডিনার শেষ করে ড্রয়িং রুমে এসে বসলো। অভি ওর ব্যাগ খুলে নতুন আনা ট্যাবটা বের করে বোনকে দিলো, প্রিয়ন্তী ট্যাব দেখে লাফ দিয়ে উঠলো আর বলতে লাগলো, ভাইয়া তোর মনে ছিল ট্যাবের শখ আমার, বলতে বলতে ভাইকে জড়িয়ে ধরলো তারপর ছুট দিলো উপরে ওর রুমে, এতক্ষন অভির মা হাসছিল দুই ভাই বোনের কান্ড আর ভাই বোনের ভালোবাসা দেখে, প্রিয়ন্তী যখন উপরে চলে গেল উনি এসে অভির পাশে বসলো, অভিও সুযোগ পেয়ে মায়ের কোলে মাথা রেখে শুলো।
কিরে তুই এইবার এতো দেরি করলি কেন, পাক্কা ২৬ দিন পর এলি? অভির চুলে হাত ভুলাতে ভুলাতে মা বলল।
মা অনেক কাজ ছিলো এইবার, সুখবর হলো আমেরিকা থেকে তিনটা কন্টেইনার শীপের ডিল করলাম, এরপর লন্ডন, ইতালি হয়ে হংকং এ আসলাম, তাই এইবার একটু দেরিই হলো।
এইসময় কাজের ছেলেটা এসে ফালুদা দিয়ে গেলে অভি লাফ দিয়ে উঠলো আর বলল মা তুমি ফালুদা বানিয়েছো বলেই ফালুদার গ্লাস টেনে নিয়ে খেতে থাকলো। ফালুদা শেষ করে অভি ঘড়ির দিকে তাকালো, ঘড়িতে রাত একটা বাজে প্রায়, মা অনেক রাত হয়েছে, তুমি ঘুমাতে যাও আর আমিও যায়, বলল অভি।
পরদিন সকাল দশটায় অফিসে এলো অভি নিয়মমাফিক ভাবে, এইটাই তার অভ্যাস। চেম্বারে ঢুকার পর ফাইল পত্র নিয়ে বসে গেলো ও, ইন্টারকমে কল দিলো জিএমকে, জিএম সাহেব প্লিজ রুমে আসুন আর কাউকে পাঠিয়ে দিন, কিছু ডিক্টেশন আছে। কিছুক্ষন পর দরজায় নক হলে মাথা না তুলেই অভি বলল, কাম ইন।
সালামালেকুম স্যার, এক মেয়ে কন্ঠ।
অভি মাথা তুলে চাইলো, সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ী পড়া হাল্কা সাজে অবণীকে দেখে অভি কতক্ষণ দেখে রইলো তারপর জিজ্ঞেস করলো, কি নাম যেন আপনার?
জি স্যার, জেসমিন সুলতানা অবণী, সবাই ডাকে অবণী।
ওকে বসুন, কবে জয়েন করেছেন?
গত ১ তারিখে।
এর মধ্যে জিএম এসে ঢুকলো রুমে আর বলল, অভি স্যার কখন এসেছেন?
এই তো গতরাতে।
তা স্যার কেমন হলো আপনার ট্রিপ?
ভালো ভাবেই সব হয়েছে, আমরা ঐ তিনটা শীপের অর্ডার কনফার্ম করে দিয়েছি, আপনি এলসি খুলে ফেলুন আর হাঁ লন্ডন, ইতালি আর হংকং এর এজেন্টদের সাথেও এজেন্সি রিনিউ করে দিয়েছি, আপনি আজকে অফিসের রিলেটেড অফিসারদের আর নতুন রিক্রুটদের আধা ঘন্টা পরে কনফারেন্স রুমে আসতে বলুন, সবাইকে আমি পরবর্তী জবগুলো সম্পর্কে নিজে ব্রিফ করবো বলেই অবণীর দিকে তাকালো, অবণী এতক্ষণ অভির দিকে তাকিয়ে ছিলো, তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে ফেললো।
আর আপনি ডিক্টেশন নিন।
জিএম চলে গেলে অভি ডিক্টেশন দিতে লাগলো, ডিক্টেশন শেষ হলে অবণী বেড়িয়ে গেল রুম থেকে।
অবণী বাসায় ফিরলো তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে, ফ্রেস হয়ে চা খেলো, তারপর বাবার পাশে যেয়ে বসলো। অবণীরা তিন বোন আর যেনো হরিহর আত্মা, বন্ধুর মতোই ব্যবহার তাদের একে অপরের সাথে। অবণীর বাবা বলল, কিরে আজ এতো দেরি?
বাবা আজ অভি স্যার আসছে তাই কাজ ছিলো বেশি।
তা ছেলেটি কি জানে তোর বিষয়ে?
না বাবা মনে হয়না, উনার তো আমাকে চেনার কথা না, তখন তো আমার মাথায় আর মুখে ব্যান্ডেজ বাধা ছিলো আর উনি যখন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তখন আমার চেহেরা ঠিক মতো দেখেছেন বলে মনে হয়না।
অবণীর বাবা বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে বললেন, ছেলেটাকে আল্লাহ্ আরো বড় করুক, আজ তুই বেঁচে থাকার কারণ ছেলেটা, নাহলে বাবা তোকে ফিরে পেতাম নারে মা, বলেই কেঁদে দিলেন।
বাবা, তুমি আবার শুরু করলে, ধমক দিলো অবণী।
আমি একদিন যাবো তোর অফিসে, ছেলেটাকে কথা দিয়ে ছিলাম যাবো বলে।
এখন না বাবা, এখন গেলে উনি যদি অন্য কিছু ভাবেন, আরো কয়েক মাস পরে যেও। বাবা আমি উঠছি, একটু রেস্ট নিই গিয়ে।
যা মা যা।
এতক্ষণ বোনরা রুমে বসেছিল কখন অবণী আসবে রুমে, অবণী ঢুকতেই অবণীর সব চেয়ে ছোটটা শ্রাবণী দৌড়ে গিয়ে দরজা লাগালো আর মেঝো ফাল্গুনী অবণীকে টেনে খাটে বসালো, তারপর বললো কিরে শুনলাম তোর রাজকুমার নাকি এসেছে, তা কি বললো তোকে?
অবণী হেসে বলল, আর বলিসনা উনি তো আমাকে চিনেনই না আর দেখলাম বেশ কঠিন রুপ।
শ্রাবণী বলল, আপু উনি কি ধমক টমক দেন নাকি?
আরে না না ধমক দেননা, কিন্তু খেয়াল করলাম উনি হাসেন না, কথা বলেন স্ট্রেইট ভাবে, অফিসের সবাই বলেন অভি মানে অভি স্যার অফিসে বেশ কড়া, কোনো ভুল সহ্য করেন না কিন্তু যখন উনি ক্যান্টিনে যান খেতে তখন সবার সাথে নাকি কথা বলেন প্রাণ খুলে আর তাও দেখলাম আজ দুপুরের লাঞ্চে আর তাই অফিসের লোকজন উনাকে বেশ লাইক করেন।
আরো কিছু বলনা আপু, শ্রাবণী বলল।
আজ আর কোনো কথা নেই, যা পড়তে বস গিয়ে, তোদের না সামনে পরীক্ষা, আমি যায় মাকে হেল্প করি গিয়ে।
কিচেনে এসে অবণী দেখে ওর মা রান্না করছে, জিজ্ঞেস করলো, মা কি রান্না হচ্ছে আজ?
গরু ভুনা, তা তোর সময় হলো মার কাছে আসার?
আরেহ কি যে বলোনা, আমি একটু রেস্ট নিলাম আর কি, জবাবে বলল অবণী, বলেই মার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো আর ওর মা হাত দিয়ে মুখ ছুঁলো।
আজ তাহলে কি শুধু গরু ভুনা?
না সাথে খিচুড়ি, তুই পছন্দ করিস আর এই জন্যই আজ এই স্পেশাল।
ইশশ মা খিদে পেয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি করোনা।
যা অপেক্ষা কর আর কিছুক্ষন পরেই খাবার দেবো, তুই প্লেটগুলো পারলে ধুয়ে টেবিলে নিয়ে যা।
আধা ঘন্টা পরে সবাই খেতে বসলে অবণী প্রথমে ওর বাবা আর মাকে ভাত বেড়ে দিলো তারপর তারা নিজেরা নিলো, সবাই খুব আনন্দ করে খাচ্ছে আর গল্প করছে।
রাতের খাবার শেষ হলে, অবণী আর কাজের বুয়া প্লেট আর ডিস গুলো নিয়ে গেল কিচেনে।
সব ঘুচিয়ে অবণী যখন ঘুমাতে এলো তখন বোনরা শুয়ে পড়েছে। অবণী শুয়ে শুয়ে অভির কথা ভাবছে, অভি কিভাবে কথা বলে, কিভাবে হাঁটে, অভিকে বেশ স্মার্ট লাগে। অভির কথা ভাবতে ভাবতে সে ঘুমিয়ে পড়ে সপ্নের রুপকথায়।
পরদিন অফিসে এলো অবণী ৯ টার কয়েক মিনিট পরে, এসেই গতদিনের পেন্ডিং কাজগুলো শেষ করে গতকালকের মিটিংয়ের মাইনটস লিখে পিয়নকে দিয়ে জিএম সাহেবের রুমে পাঠিয়ে দিলো। অভি অফিসে ঢুকছে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে গেলে সেও দাঁড়িয়ে গেল, অভি সবাইকে গুড মর্নিং জানিয়ে ওর টেবিলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সামনে এসে দাঁড়াল।
গতকালকের কাজ গুলো কি শেষ করেছেন?
জি স্যার, শেষ করেছি, অবণী জবাবে জানালো।
আপনি সব নিয়ে আমার চেম্বারে আসুন, আর হাঁ অফিসে কেউ আমাকে শুধু স্যার বলে না, আপনি জানেননা?
না স্যার, জি স্যার সরি অভি স্যার।
দেটস গুড, বলেই অভি খট খট জুতার শব্দ করে চেম্বারে গিয়ে ঢুকলো আর অবণী তো ঘাবড়ে গিয়ে ওর হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেলো যেন।
অবণী তাড়াহুড়া করে সব ডিক্টেশনের রাফ প্রিন্ট নিলো আর এর মধ্যেই পিয়ন মিটিংয়ের মাইনটস জিএম সাহেবের রুম থেকে সাইন করিয়ে দিয়ে গেলো।
অবণী ফাইল পত্র নিয়ে অভির চেম্বারের দরজায় নক করে অনুমতি নিয়ে ঢুকলো, অভির সামনে ফাইলগুলো রাখলো, অভি বসতে বলেই ফাইল গুলো টেনে নিয়ে দেখতে লাগলো তারপর বলল, আপনি এইগুলো কোথায় পাঠাতে হবে জানেন?
জি, বাংলাদেশ শীপিং কর্পোরেশন, ড্রাইডক আর পোর্ট ম্যানেজমেন্টকে, অবণী জবাব দিলো।
অভি বাকি কাগজগুলো সাইন করে ফাইলে রেখে অবণীর সামনে দিলো।
আপনার কোনো সমস্যা হচ্ছেনা তো?
জি না স্যার, সরি অভি স্যার কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।
এই সময় জিএম নক করে রুমে ঢুকলো।
জিএম সাহেব, অবণীতো EEE করেছে, উনাকে আমাদের আইটি ডিপার্টমেন্ট বুঝিয়ে দিন, দেখি কেমন সামলায় আর আইটির হেডের রুমটা আপাতত উনাকে দিন, উনি ওখানেই বসুক, কি বলেন জিএম সাহেব?
জি অভি স্যার কোনো সমস্যা নেই, আজকেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। জবাবে জিএম বলল।
অবণী হা করে দেখে আছে।
কি অবণী ম্যাডাম কোনো প্রবলেম নেই তো আপনার, অবণীকে জিজ্ঞেস করলো জিএম।
অবণী ঢোক গিলে বলল, আপনারা যেভাবে বলেন আমার কোনো সমস্যা নাই, আমি চেস্টা করবো যেন আমি সব কাজ সঠিক ভাবে করতে পারি।
করতে পারি নয়, করতে হবে। অভি বললো খটমট করে অবণীর দিকে তাকিয়ে।
জি অভি স্যার, আমি অবশ্যই পারবো, খুব দৃঢ় ভাবে বললো এইবার অবণী।
অভির চোখটা হেসে উঠলো যেন, অবণী দেখতে পেলো।
___________ চলবে।
২৩টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
নায়কের জীবনে ২য় নায়িকার আগমন ঘটিল অবশেষে।
পরের পর্বের অপেক্ষা ভাইয়া।
শুন্য শুন্যালয়
অবনী ২য় নায়িকা নয়, ইনিই প্রথম নায়িকা ছিল। অনামিকা হচ্ছে এন্টিহিরোইন 😀
আবু খায়ের আনিছ
ঠিক ঐ ভাবে চিন্তা করি নাই, শুধু দুই জনের মাঝে এক দুই নাম্বারিং করলাম আপু।
শুন্য শুন্যালয়
বুঝেছি তো, মজা করলাম। 🙂
ইঞ্জা
আনিছ ভাই আর শুন্য শুন্যালয় আপু আপনাদের উভয়কেই অনিঃশেষ ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিরন্তর, পাশে থাকবেন এই আমার বড় পাওয়া। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
😮 আজ প্রচুর বৃষ্টি এখানে। রান্না করেছি খিচুড়ি, বেগুন ভাজা আর গরুর মাংশ। আপনি কি করে জানলেন ভাইয়া? হ্যাঁ আমার রান্নার ঘ্রান আকাশেও ওড়ে 😀
এইবার ঠিক আছে, কিন্তু অভি, অবনী, অনামিকা ভাইয়া সব অ? 🙂
বেশ লাগছে পড়তে, সিম্পল এন্ড সুইট।
ইঞ্জা
জিবে পানি চলে এলো আপু, এইটা বেশ খারাপ কথা, আমাদের জানিয়ে জানিয়ে আপনি মজা করে খাবেন আর আমরা এখানে থেকে উহ আহ করবো, আমি এর তেব্র প্রতিবাদ করছি, হয় আমাদের দাওয়াত করে খাওয়াবেন না হয় আমরা আপনার বাসায় হামলা (জঙ্গি হামলা নয়) করবো। ;(
আপু যখন যে নাম মনে এসেছে তাই লাগিয়ে দিয়েছি। 😀
ধন্যবাদ পরে দেবো আগে খিচুড়ি খাওয়াতে হবে। :p
ভালো থাকবেন আপু। 🙂
মৌনতা রিতু
অবনি কর্তব্য ও কৃতজ্ঞতা থেকে কাজে বেশ আন্তরিক হচ্ছে। গল্পটা সাবলিল ভাবে এগোচ্ছে। অভির সাথে পরিবারের এই মিলটা খুব ভাল লাগছে। বিশেষকরে বোনের সাথে এই খুনসুটি।
চলতে থাক।
ইঞ্জা
ভাইয়ের ভালোবাসা জানবেন আপু, দোয়া রাখবেন। 🙂
লীলাবতী
ভাইয়া সব পর্ব গুলোই পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি। খুবই ভাল লিখছেন।
ইঞ্জা
সব পড়েছেন এখনো মন্তব্য করেননি মানে কি আপু বেশি ঝামেলায় আছেন, দোয়া রইল আপু, ভালো থাকবেন সব সময়।
লীলাবতী
পূর্বের সব গুলো পড়েছি, একবারে এখানে মন্তব্য দিলাম। কিছুটা ব্যস্ততার মাঝে আছি ভাইয়া।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
খুব কিন্তু সরাসরি হয়ে যাচ্ছে!!
ইঞ্জা
ভাই কোনদিকে সরাসরি হচ্ছে একটু খুলে বলুন আমার লিখতে সুবিধা হবে, অপেক্ষায় রইলাম উত্তরের।
ছাইরাছ হেলাল
‘অভির চোখটা হেসে উঠলো যেন, অবণী দেখতে পেলো।’
আমি এটি বলতে চেয়েছি,
আপনি লিখুন আপনার মতই,
ইঞ্জা
এইখানে আমি বুঝিয়েছি অভি ধমকের কারণে অবণী যখন দৃঢ ভাব দেখালো সাভাবিক ভাবে অভির চোখ সফলতার আশায় হাসতেও পারে।
মিষ্টি জিন
এবার বুঝতে পারছি গল্পটা কোনটা এগোবে , দেখি আমার ধারনা ঠীক হয় কিনা । … পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়..
ইঞ্জা
ভালো লাগছে আপনাদের মত পাঠক পেয়ে, ধন্যবাদ আপনাকে সতত। 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
গল্পে ক্লাইমেক্স শুরু …………….। চলুক ভাইয়া 🙂
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্পকারের প্রধান দায়িত্ত্ব হলো, পাঠককে চমক দেয়া। চমক দেয়া কাহিনীগুলোই কিন্তু সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে।
আশা করবো এমন ভাবেই লিখবেন আমাদের আরেক গল্পকার ইঞ্জা। 🙂
ইঞ্জা
ভালোবাসার গল্পে আআর কতো চমক দেবো বলুন, চমকাতে চমকাতেই না নিজেই বেহুঁশ হয়ে যায় আপু। :p