ছবিটা আমার প্রিয়তার শেষ বিদায়ের রুপ।
বৃষ্টির সাথে কথা কাটা-কাটি
বাতাসের সাথে অভিমান,
সাগরের সাথে ঢেউ খেলা-খেলি
জীবনের সাথে বহমান।
আকাশের বুকে নীল ছড়া-ছড়ি
সুখ পাখিরা চলমান,
রঙ্গিন ঘুড়িরা করে উড়ো-উড়ি
হঠাৎ সুতোর টান।
ফুলের বনে মৌমাছিদের ভাল’বাসা-বাসি
করে মধু পান,
প্রিয়তার সাথে হলো ছাড়া-ছাড়ি
নেই যে পিছুটান।
আজ আমার প্রিয় বৃষ্টি আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছে খুব ভোরে, ভেবেছিলাম ফিরে এসেছে আবার সে এই জীবনে, কিন্তু সিঁড়ি ভেঙ্গে এসেও নিয়েছে সে তখনি বিদায়, তাই তার সাথে আবার আমার হল ছাড়াছাড়ি।
তাতে কি চলুক উন্মাদের উন্মাদীয় জীবন এলোমেলো, পিছুটানহীন।
১৮টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
প্রিয়তার সাথে হলো ছাড়া-ছাড়ি
নেই যে পিছুটান—–এরপর আর কি বলার আছে, যেখানে পিছুটান নেই-সেখানে তো আর অন্যকিছুই অবশিষ্ট থাকতে পারে না…….
দারুন ছন্দমিল হয়েছে, ভালো লেগেছে (y)
ছবিটাও খুব সুন্দর হয়েছে -{@
সীমান্ত উন্মাদ
হাঁ জীবন এতোই নিষ্ঠুর যে কেউ চলে গেলে বা যেতে চাইলে পিছুটান রাখতে নেই, এতে জীবন থেমে যাবে আর জীবন থেমে গেলে, একজনের পিছুটানে, আশেপাশের বাকিরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে, সে অধিকার আমার আপনার কারোই নেই, কারন আপনি আমি একজনের জন্য নই, পরিবার সমাজ সর্বাপরি দেশের জন্য।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা খেয়ালী মেয়ে।
মোঃ মজিবর রহমান
কি জানি পিছু টান থাকতে আছে কি নেই এত সব বুঝি না। মন কখন কি চাই তাও জানিনা।
তবে বলতে পারি এটুকু যে অতীত মেমরাইজ হই আবল তাবল মনে আনে এলোমেলো কি সব ভাবনা।
পিছু টান না থাকলেই বোধ ভাল।
এই সেই বৃষ্টি………………।।
সীমান্ত উন্মাদ
ঠিক বলেছেন ভাই। পিছুটান হল হিংস্র একটা প্রানি যেটা আপনাকে এগুতে দিবেনা জীবনের গতিপথে।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
মেহেরী তাজ
কে এলো আর কে গেলো, তাতে উম্মাদের কি আসে যায়?
সীমান্ত উন্মাদ
উন্মাদ তো উন্মাদই তার কোন কিছুতেই কিছু আসা যাওয়া ঠিক না।
ব্লগার সজীব
তবুও প্রিয়তা ভাল থাকুক।এটি তো উম্মাদ এর কবিতা মনে হচ্ছে না।একজন উচুমানের সুস্থ্য কবির কবিতা মনে হচ্ছে।
সীমান্ত উন্মাদ
হুম, কি করমু সজীব ভাই, মাঝে মাঝে জাতে উঠতে মন চায় যে।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
অলিভার
ছন্দে গাথা শব্দ সমষ্টিতে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
প্রিয়তা আসুক, উন্মাদ করে দিক ভালোলাগায়, ভালোবাসায়…..
সীমান্ত উন্মাদ
এমনিই আমি পোনে দুইশ ভাগ উন্মাদ তার উপরে আপনার দোয়ায় যদি প্রিয়তা এসে উন্মাদনায় হালকা বাতাসও দেয় তবে পোনে দুইশ ভাগ পোনে দুইহাজারে পৌঁছাইতে পারে, অতএব বুঝে নেন আমার জন্য প্রিয়তা আনার দোয়া করবেন কিনা। কারন উন্মাদের কর্মকাণ্ড আপনাদেরই সামলাইতে হইবেক।
যাউজ্ঞা, এর পরও দোয়া করেন আর না করেন শুভকামনা নিরন্তর আমার তরফ থেকে নিয়ে নেন।
শুন্য শুন্যালয়
রঙ্গিন ঘুড়িরা করে উড়ো-উড়ি
হঠাৎ সুতোর টান।
তাইতো, এটাতো উন্মাদীয় কবিতা মনে হচ্ছেনা।
খুব সুন্দর কবিতা। উন্মাদের পিছুটান না থাকাই ভালো, নইলে এমন কবিতা পাবো কোথায়?
সীমান্ত উন্মাদ
বাহ বাহ তাইলে এইবার আমি শিউর আমি চিরিয়াস কবি হইয়া গেছিগা, তোমরা যেমনে কইতাছো বুইঝো কইলাম, রম্য ছাইড়া খালি চিরিয়াস ববিতা থুক্কু কবিতা লিখমু, আর তোমাগো মাথায় পিন ফুটামু। হিহিহি হাহাহা।
উন্মাদের পিছুটান না থাক খালি কবিতার জন্য না বেঁচে থাকার জন্যও দরকার। তয় উন্মাদের চিরিয়াস কবিতায় চিরিয়াস ভাব আরো বেশি আনতে তার জন্য একখান ডাক্তার বউ দেখো, নাইলে কলাম মাথাত বাড়ী দিমু তোমার। 😛
জানইতো তোমার জন্য শুভকামনা সবসময়ই থাকে।
লীলাবতী
কবিতা পড়ে আবার উপরে গিয়ে দেখলাম এটি কার পোষ্ট 🙂 এমন কবিতা চলুক।
সীমান্ত উন্মাদ
লীলাবতি আপু দিলেন সাহস, তাই কথা দিলাম চলবে আমার সিরিয়াস কবিতা।
অনিকেত নন্দিনী
লেখাটা পড়ে মনে হয়নাই উন্মাদের উন্মাদীয় জীবন এলোমেলো, পিছুটানহীন।
ভালোলাগা জানিয়ে দিচ্ছি।
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
অরুনি মায়া
প্রিয়তা কে ধরে রাখা গেল না 🙁
সীমান্ত উন্মাদ
সব সময় প্রিয়তাকে ধরলে তো সমস্যা, তাহলে বিচ্ছেদ নামের সুন্দর শব্দটা তাঁর মহত্ত্ব হারিয়ে ফেলতো আর কবিরা বলতে পারতেন বিচ্ছেদের শোকে আসবেনা আর সুখের দহন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।