খোকা তুই কই?
আমায় কি দেখতে আসবি সঙ্গে নিয়ে খই?
নাতিটার জন্য বড্ড খারাপ লাগে চোখ ভিজে যায় জলে,
দেখতে ইচ্ছে করে দাদুভাইটাকে আমার কেমনে করে খেলা করে।
ওর দাঁত উঠেছে খাবার কি চিবিয়ে খায়?
হাতে তালি দিয়ে খেলে তাই তাই তাই।
এখানে বড্ড গরম অসহ্য লাগে আমার
দুই হাতে লাগেতে পারিনা বোতামটা জামার।
হাতগুলো অনর্গল কাঁপতে থাকে, কিচ্ছু থাকেনা মনে
সকালে কখন খেয়েছি থাকেনা স্মরণে।
ঔষধ কখন খেতে হবে মনেই থাকেনা,
বিছানা অগোছালো কেউ খোঁজ রাখেনা।
মেয়ে আমার স্বপ্না গতমাসে এসেছিলো,
বাড়ি যাবার বায়না করায় তড়ায় চলে গেলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়াতাম হাজার ছাত্র সম্মান করতো আমায়
এখন পাশে কেউ নেই মরলে বাঁচে সবাই ।
নাতনিটাও খোঁজ নেয়না থাকতো গলায় জড়িয়ে
নিজের মুক্তোরমালা দিতো আমায় পরিয়ে।
এখন কারো সময় নেই নিতে আমার খোঁজ,
আমি আসলে এখন সবার অনেক বড়ো বোঝ।
মরে গিয়ে বড্ড বেচে গেছেন তোদের বাবা ,
আমার জন্য দোয়া করিস তাড়াতাড়ি মরণ যেনো দেয় থাবা।
আমার লাশটা দেখার জন্য আসিসনা বৃদ্ধখানায়
ওরাই যেন দেহখানি আমার কবরে নামায়।
তোরা যতদিন ছিলি আমার সম্পত্তির ভাগীদার ,
টুকটাক আমার খোঁজ নিতিস,করতি সামান্য আদর।
এখন সব কিছুয় তোদের দখলে সেজন্যে আমার এই হাল,
সবই আসলে আমার কপাল।।
দোয়া করি তোদেরকে যেনো তোদের সন্তানেরা ফেলে না দেয় রাস্তায়
মোনাজাতে প্রতি ওয়াক্তে এই কথায় জপি তাই।
বৃদ্ধাশ্রম থেকে
৫টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
বিষয় ও অনুভূতি চমৎকার। তবে কাব্যিক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আরও সুকৌশলী হলে এবং চিত্রকল্পের ক্ষেত্রে আরও নিপূণ হলে কবিতা আরও চমৎকার হবে বলে আমার ব্যক্তিগত মতামত।
ফারজানা তৈয়ূব
ধন্যবাদ
রোকসানা খন্দকার রুকু
সুন্দর কবিতা। অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
সুন্দর লেখা।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ আবেগময় কথাগুলো জীবনের সাথে মিলে যায় কবি আপা
ভাল থাকবেন———