
কিছুদিন আগে বারান্দায় চড়ুই পাখি বাসা করেছে। কিচিরমিচির শব্দ শুনেই বুঝেছি যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়েছে। তারপর থেকেই বারান্দায় যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের উপর যেন অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বারান্দায় গেলেই পাখিগুলো চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে আর বারান্দার ফুলগাছগুলোর এ ডাল থেকে ও ডালে অস্থির ওড়াওড়ি করতে থাকে। ওরা হয়তো ভেবেছে যে ওদের বাচ্চাগুলো আমরা নিয়ে যাবো। ওদের অস্থিরতা কমাতে বারান্দায় গেলেই দ্রুত কাজ সেরে আবার রুমে চলে আসি। আজ দুপুরে যখন বৃষ্টি থামলো তখন বারান্দায় গিয়ে দেখি উনি এভাবে পড়ে আছেন। বোধহয় বৃষ্টির মাঝেই যেকোন একসময় পড়েছেন, ভেজা চুপচুপা। ওনাকে দেখে মনে মনে ভাবি আমরা বারান্দায় এলেইতো চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন, এখন যে উনি পড়ে গেছেন এখন কি করবেন, কিভাবে তুলবেন ওনাকে। যাইহোক ওনাকে উপরে তুলে দেব ভেবে ধরতে যেতেই দেখি উনি টুকটুক করে ফুল গাছের টবগুলোর পেছনে লুকিয়ে গেলেন। ভারী যন্ত্রণাতো!! শেষে অনেক কষ্টে সেখান থেকে বের করে ওনাকে উপরে তুলে দিলাম। এখন বোধহয় ভালোই আছে। 🙂
৩টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুক । আসলে কি আপনাদের ভয়ে পালাত চেচামেচি করত কিন্তু ঝড়ের ঝাড়ি হঠাত এসে তাঁকে কাবু করেছে জা তাঁর অভাবনাতে ছিল।
শুন্য শুন্যালয়
আমরা যেমন বাঘ দেখলে ডড়াই, এরা মানুষ দেখলেই ডড়ায়। 🙂
পাখির ছানার ছবিটা পোস্টের ভেতর দেখছিনা, আইকনে দেখছি কেন?
কিউট ছানার লেখা বেশ লেগেছে। 🙂
ইঞ্জা
আপু খুব খুশি হলাম পোষ্টটি ব্লগে দেখে, এইভাবেই শুরু করুন নিয়মিত ভাবে, ভালো লাগবে সবার, সাথে সাথে সবার লেখাতে কমেন্ট করুন, সবাই আপনারটাতেও কমেন্ট করতে উৎসাহিত হবে। 🙂