এইসব দিনে –
রঙহীন বেচেঁ থাকি।
ধুধু তেপান্তর বুকে পুষে রেখে,
দিনগত পাপক্ষয়ে প্রানপন বেচেঁ থাকি।
এইসব অবাক বিকেলে –
মেঘমেঘালির রঙডুবিতে জারিত পরাণ ;
আটপৌড়ে ছোঁয়া পেয়ে – পরিচিত শ্বাসবায়ুর
ছিলো কমলা রঙের আলোয় সুগন্ধি তুফান।
এইসব রাত্তির,
সুপর্নখার মতো রিরংসাকাতর রাত্তির
হিরন্ময় মৌনমুখরতার সাক্ষী হয়ে রবে,
এই সব রাত্রি, খুব করে মনে থেকে যাবে।
৮টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
যা মনের কোনায় দরজা বন্দী বা শিকল বন্দী, তা আজীবন স্পষ্ট থাকে। শুধু কিছু ধুলো পড়ে যায় তাতে।
রাত্রির দরজা খুলে,
নিকোষকালো আঁধার পেরিয়ে
চলে যেতে মন চায় সেই সব রাত্রিরে
যে রাত্রিগুলোতে হাসনাহেনা ফুটে উঠতো
দখিনদ্বারে।
সুন্দর শব্দমালা গেঁথেছেন।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কিউ রিতু 🙂
হাস্নাহেনার গন্ধমাখা রাতেরা অদ্ভুত হয়, এইসব রাতে পুরনো স্মৃতিরা জোয়ারের মতো ভাসিয়ে নেয়।
জিসান শা ইকরাম
যাদের লেখা পড়ি ইদানিং আপনি তাদের মাঝে ভিন্ন এক স্থান অধিকার করে আছেন, আপনার মত শব্দের বুনন খুব কমই দেখছি অন্যদের লেখায়।
বরাবরের মতই ভাল লেগেছে খুব।
শুভকামনা -{@
আগুন রঙের শিমুল
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা (3
তেলাপোকা রোমেন
সুপর্নখার মতো রিরংসাকাতর রাত্তির
হিরন্ময় মৌনমুখরতার সাক্ষী হয়ে রবে,
এই সব রাত্রি, খুব করে মনে থেকে যাবে।
__________________________________
মনে থেকে যাবে বাদামী শরীর
স্যাতসেতে চিলেকোঠা
সোডিয়াম আলোর দ্বৈরত্ব 🙂
আগুন রঙের শিমুল
যদি তার বুকে ভায়োলেট ফোটে
এইসব গাঢ় বাদামী বিচ্ছিন্নতা
কোথায় উড়ে যাবে, নৈকট্যের টানে –
আমার বুকে এতোগুলো রঙ কেনো আছে,
তার নির্মোহ চোখ দেখে নাকি? সেকি জানে?
নীলাঞ্জনা নীলা
একটা দিনের গল্প বলি
নাহ! বরং একটা রাতের গল্পই শোনাই!
ধুত্তোরিকা!!!
এ-ও তো হতে পারে!
দিন এবং রাত দুটোকেই যদি একসাথে সাজিয়ে নিয়ে আসি;
কোনো ক্ষতি হবে না তো? ——আপনি খুউব ভালো লেখেন।
আগুন রঙের শিমুল
যে লিখে কবিতা –
তার বুকে থাকে নিশ্ছিদ্র
লৌহবাসর ঘেরা শুন্যতা।
তার বুকপাজঁরে ইটের পরে
ইট গেঁথে, দেয়াল সাজায় বিষন্নতা।
লৌহবাসরে দিন রাত, সাঁঝ সকাল সবই একই রকম 🙂
আপনার মন্তব্য বরাবরই খুবই উৎসাহব্যঞ্জক, ধন্যবাদ।