
অঝোরে কেঁদে কেঁদে মুখে মাখা ফর্সা করা পার্লারের রুপগুলো ধুয়েমুছে যাচ্ছে। বান্ধবীরা বারবার বলছে এতো বেশি কাঁদিস না মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
– এই মেঘলা শুনতো।
মেঘলা – কি বলবি বল? আমার একটি কাজ করে দিবি?
মেঘলা – কি কাজ বল?
না, তেমন কিছু না। তুই একটু রুমিকে ডেকে দে।
কান্না জড়িত কন্ঠে কথা বলছিলো নববধূ। সেকি শব্দ করে কান্না! মাঝেমধ্যে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর কান্নার আওয়াজ আর নাকের পানিতে দেহের ভেতরটায় চাবুক চলছিলো। একদম অসহ্য জ্বালাতন। গায়ের মধ্যে কাঁটা বিঁধবার মতো। আর সেকি গলার সুর? উফফ! দম বন্ধ হয়ে আসে।
রুমি আমার মোবাইলটা নিয়ে আয় তো।
– কেন আপু?
এতো প্রশ্ন করিস নাতো? নিয়ে আসতে বলেছি নিয়ে আয়। গাধাটাকে শেষবারের মতো একবার..।
– নিতু বলতে লাগলো – আরে! গাধা না গাধা না। কুত্তা বলে ডাক। কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয়না। শোন, কিছু ছেলে আছে যারা শুধু প্রেম করতে জানে, সিনেমা দেখতে জানে, পার্কে বসে আড্ডা দিতে জানে, রিকশার ছাউনি টেনে ঘুড়তে জানে, অপ্রয়োজনে বারবার দেখা করতে জানে কিন্তু বিয়ের দিনে একবারের জন্যও পালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে না।
তাই বলে প্রিয় মানুষকে কুত্তা বলে ডাকবো। না আমার দাঁড়া সেটা সম্ভব নয়। আবার হুড়মুড় করে কাঁদতে লাগলো শৈলী।
ছবিঃ সংগৃহীত।
১১টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
হায় ভালোবাসা
হাম প্রেম
ভালো লিখেছেন গল্প
সুরাইয়া পারভিন
ধুর বাবা টাইপ মিস্টেক সংশোধন করার উপায় নেই
নৃ মাসুদ রানা
সমস্যা নেই প্রিয়..
এস.জেড বাবু
শৈলীর মতো মেয়ে কয়জন হয় !!
প্রেম করতে জানে, সিনেমা দেখতে জানে, পার্কে বসে আড্ডা দিতে জানে, রিকশার ছাউনি টেনে ঘুড়তে জানে, অপ্রয়োজনে বারবার দেখা করতে জানে কিন্তু বিয়ের দিনে একবারের জন্যও পালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে না।
ছেলেটার জন্যও শুভকামনা- সে বুদ্ধিমান হবে হয়ত।
নৃ মাসুদ রানা
কিছুটা বুদ্ধিমান, তবে সব সময় বুদ্ধিমান হলে চলে না।
মনির হোসেন মমি
মন বড় বিচিত্র। চমৎকার।
নৃ মাসুদ রানা
একদম ঠিক, কখন যে কি হয়ে যায় কেউ জানেনা।
নিতাই বাবু
কারোর বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে টানাটানি করাও ঠিক নয়! যা হবার আগে-পরেই হওয়া ভালো।
নৃ মাসুদ রানা
আমারও সেরকম ধারণা।
জিসান শা ইকরাম
শৈলীরা এমনই হয়,
খুব অল্প সংখ্যক মেয়ে শৈলী হয় না।
ভাল লেগেছে ছোট গল্প।
শুভ কামনা।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়