শোন,
আমি তোমাকেই চাই
একটু খুনসুটি, একটু তর্ক
সারাদিন পর এসে বললে “যূথী, এটা কিন্তু ঠিক করোনি!”
আমি “ওহ তাই?” বলে গাল ফুলাবো, বারান্দার এক কোণে গিয়ে আকাশ খুঁজবো
এখানে শহর, গলিঘুপচির গায়ে গায়ে ঘেষা বাড়িতে আকাশ খুঁজতে গিয়ে দূরবীন তাক করতে হয়, তারপর খুঁজে ফেরা এক চিলতে আকাশ
তাতে মন খারাপের তারা!
তুমি ফ্রেশ হতে গিয়ে যূথী, যূথী, যূথী বলে ডেকে ডেকে পাড়া জাগানোর আগেই
হাজির হয়ে যাবো গামছা হাতে
তারপর বেজার মুখ করে দাঁড়াবো গিয়ে ফের বারান্দায়
কিছুক্ষণ বা অনেকক্ষণ পর ছোট ক্ষুদ্র ঝুটি টেনে কাছে এসে মুখ ঘুরিয়ে বলবে, “আমার যূথীমনির হলো কী? একটুকুতেই গাল ফুলিয়ে গোমড়া মুখী?”
“নয়তো, কিছু হয়নিকো” বলে ঘরের ভেতর পা বাড়াতেই তুমি আটকে দিয়ে বলবে, “এসো, একটা গল্প শোনাই…”
গল্পের তালে পড়ে হাত ধরাধরি করে এ ঘর থেকে ও ঘর,
তারপর চুলো, তারপর কফি মগভর্তি হাতে,
চুমুকের পরে চুমুকে চুমুকে হেঁটে ফেরা সেই বারান্দাতেই..
দুটো হাসিখুশী মুখ
কত অনাগত গল্পের ভিড়ে স্বপ্নালু চোখে রাত বাড়ে….
তারপর পরদিন, ফের ভালোবাসা আর খুনসুটির গল্পগুলো চলতেই থাকে!
এমন একটা নাবুঝ বালিকা তোমার আশেপাশে থাকা দরকার নয়কি বলো?
৬ এপ্রিল ২০২১
{বিশেষ নোটঃ এই বইমেলায় আমার একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। “অ-গল্পের সংসার”। বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করা যাবে।}
৬টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
কাকতালীয় ভাবে একই টপিকস নিয়ে আমিও পোস্ট করলাম। খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। পড়ে ভালো লাগলো।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
বাহ। তাই নাকি? পড়তে যাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপু। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
এরকম প্রশ্ন শুনে ভালো লাগার রেশ থেকেই যায়।
শুভ কামনা
জাকিয়া জেসমিন যূথী
এরকম করে গল্পগুলো কিন্তু বেশ লাগে তাইনা?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ বাহ্ একদম আমার মনের কথা লিখেছো। এভাবেই তো প্রিয়জনকে কাছে চাইতে হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। এই আকুলতা সবাই বোঝে না রে । অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
জাকিয়া জেসমিন যূথী
বাহ, দারুন সুন্দর একটা কথা বললে কিন্তু… “এভাবেই তো প্রিয়জনকে কাছে চাইতে হয়।”
এই আকুলতা সবাই বোঝে না রে… খুবই সত্যি কথা।
তোমার জন্যেও রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা।